নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ মানুষের জন্য

সুদুরে সকালের ডাক শোনা যায়, ভোরের লাল আভার পরেই শুভ সকাল

শীমুল শরীফ

হিপোক্রেটদের মতো দেশকে রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধা দু'ভাগে ভাগ করিনা।

শীমুল শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা সুন্দরবন ভ্রমনের তথ্য চেয়েছিলেন

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩



সুন্দরবনের টারজান লেখাটি পড়ে অনেকেই সুন্দরবনে যাওয়ার ব্যপারে উৎসাহ দেখিযেছেন। অধিকাংশরাই জানতে চেয়েছেন সুন্দরবন কিভাবে যাওয়া যাবে? কত দিনের প্রোগ্রাম? কত টাকা লাগবে ইত্যাদি।

ঢাকা থেকে সুন্দরবন টুরিস্ট নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু ট্যুর অপরেটর কাজ করে যেমন: দ্যা রয়েল ট্যুরস, বেঙ্গল ট্যুরস, হলিডে ট্যুরস, দ্যা গাইড ট্যুরস, জংগল বাড়ি ইত্যাদি। এসব ট্যুর কোম্পানী গুলোর এক এক জনের বৈশিষ্ট এক এক রকমের। কেউ জালি বোটে মাদুর বিছিয়ে আপনাকে নিয়ে যাবে, কেউ এসি ক্যাবিনের জাহাজে চড়িয়ে আপনাকে সুন্দরবন নিয়ে যাবে। কারো খাওয়া সিংগেল মেন্যু, কারো ডাবল মেন্যু কারো বা বুফে। এদের কেউ বসে আছে আপনার গলা কাটার জন্য আর কেউবা আপনার জন্য উপহার হিসেবে রেখেছে সীমাহীন দূর্ভোগ।

প্রশ্ন হলো বিশ্বাস করবো কাকে? উপরে যাদের নাম বললাম তারা প্রায় সবাই সুন্দরবন নিয়ে ব্যবসা করে। সেই ব্যবসার পন্য সুন্দরবন আর ক্রেতা আপনি, আমি বা আমরা। এর ভেতর একটি প্রতিষ্ঠান “ধ্রুব কমিউনিকেশন” সুন্দরবনকে নিয়ে ব্যবসা না করে সুন্দরবনের প্রতি মানুষের ভালবাসা ও মমতা সৃষ্টির জন্য কাজ করছে। তারা সুন্দরবনের অতিথীদের অতিথীর মতোই মর্যাদা দিয়ে নিয়ে যায়, অতিথীদের কাছে সুন্দরবনকে অন্য দৃষ্টি কোন থেকে উপস্থাপন করে। এ প্রতিষ্ঠানটি অতিথীর আর্থিক সংগতির সাথে সমন্বয় করে ট্যুর প্রোগ্রাম পরিচালনার চেষ্টা করে।

টুরিস্টদের জন্য ঢাকা খুলনা ঢাকা এসি এবং নন এসি দু’ভাবেই যাওয়ার ব্যবস্থা আছে। যে যেটি পছন্দ করেন। খুলনা থেকে সুন্দরবন যে শিপটি যাবে তার নাম “ম্যাগপাই”। এ শিপে ভিআইপি ক্যাবিন - ৩০,০০০/- টাকা, দু’জন থাকা যায় এবং এ্যাটাচ বাথ। টুইন বেড ক্যাবিন- ২০,০০০/- দু’জন থাকা যায়, কমোন বাথ এবং ফোর টায়ার কেবিন - ২৫,০০০/- চার জন থাকা যায়, কমোন বাথ। এই হিসেবে মাথাপিছু:

ভিআইপ: ১৫০০০/-

প্রথম শ্রেনী: ১০০০০/- এবং

দ্বিতীয় শ্রেনী: ৬৫০০/-



খাওয়া সব শ্রেনীর জন্য একই, বুফে।

খাবার মেন্যু:

১ম দিন

সকাল ৮:০০ ব্রেকফাস্ট উইথ ফ্রুট এন্ড ফ্রুট জুস

১১:০০ হালকা নাস্তা ও চা

২:০০ ইন্ডিয়ান ডিস (বুফে)

৪:৩০ বিকালের নাস্তা

৯:০০ রাতের খাবার (চাইনিজ ফুড - বুফে)



২য় দিন

সকাল ৫:০০ চা ও বিস্কিট

৯:৩৯ ব্রেকফাস্ট পরাটা সাথে ভেজিটেবেল ও ডিম

১২:৩০ ফ্রুটস সালাদ ও চা

২:০০ দেশি খাবার সাথে ইলিশ ও অনান্য মাছ (বুফে)

৪:৩০ বিকালের নাস্তা

৯:০০ রাতের খাবার (কাবাব, মুরগী ও সেমন মাছের বারবিকিউ সাথে পরাটা)



তৃতীয় দিন

সকাল ৮:০০ ব্রেকফাস্ট

১১:৩০ হালকা নাস্তা ও চা

২:০০ পান্তা ইলিশ / খিচুড়ির সাথে ইলিশ ফ্রাই ও গরুর মাংস (বুফে)

৪:৩০ বিকালের নাস্তা



ধ্রুবর পরবর্তী ভ্রমনের রুট খুলনা-মোংলা-হাড়বাড়িয়া-কচিখালি-কটকা বিচ। আপনাদের সুবিধার জন্য ধ্রুবর বিজ্ঞাপনটি এখানে সংযুক্ত করা হলো। আগ্রহীরা 01711738553 এই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। ভ্রমণের তারিখ 19-22 সেপ্টেম্বর।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভাই, ৩০,০০০ হাজার টাকা মানে??? এটা কি কন??

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

শীমুল শরীফ বলেছেন: এটা ভিআইপ ব্যবস্থা। যারা মধুচন্দ্রীমায় যাবেন। যাদের জন্য সংলগ্ন প্রক্ষালন প্রয়োজন এটি তাদের জন্য। সাধারন কাপোলরাও যাদি থাকতে চান তবে আপত্তি নেই। এই ক্যাবিনে দু'জন থাকা যায় সেই হিসেবে একজন=১৫০০০/-

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

আমিনুর রহমান বলেছেন:




ধন্যবাদ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

শীমুল শরীফ বলেছেন: আপনাকে স্বাগতম।

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

অেসন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

মাথাল বলেছেন: এতো অনেক খরচের কথা!!! সুন্দর বন নিয়ে ভালবাসাটাসার কথা বললেন সেগুলোর ব্যাপারে কি?

আই এম নট ক্লিয়ার এনাফ...

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

শীমুল শরীফ বলেছেন: বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানের ট্যুরিজমের সাথে সুন্দরবন ট্যুরিজমের ব্যপক পার্থক্য আছে। বাংলাদেশর সব স্থানেই যে কেউ একাই চলে যেতে পারেন। তার জন্য কারো সহযোগিতা বা সরকারের অনুমোতির প্রয়োজন হয়না। সুন্দরবনের ক্ষেত্রে সমস্যা হলো এখানে একা যাওয়া যায় না এবং এখানে যেতে সরকারের অনুমোতির প্রয়োজন হয়। সুন্দরবন যেতে গেলে একটি ভ্যাসেল নিতে হবে, ভ্যাসেলের সাথে একটি ট্রলার নিতে হবে, যারা যাবে তাদের নামের তালিকা দিয়ে ফরেস্টের অনুমোতি নিতে হবে। প্রতিজনের অনুমোতির জন্য ১৫০০ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দিতে হবে। ভ্যাসেল এবং বোটের জন্যও ফি দিতে হয়। এমনকি সুন্দরবনে ক্যামেরা ব্যবহারের জন্যও ট্যাক্স দিতে হয়। সুন্দরবনে কোন হোটেল নেই তাই টুরিস্টদের খাবার খুলনা থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে হয়। এছাড়া রান্নার জন্য কুক-ও নিতে হয়। সুন্দরবনে টুরিস্টদের নিরাপত্তার জন্য ফরেস্ট গার্ড নিতে হয়, এজন্য সরকারকে ফি দিতে হয়। এগুলো সবই বাধ্যতামূলক। এছাড়া টুরিস্টরা যে যে স্পটে নামবে সে সে স্পটের জন্যও অনুমোতি ও ফি প্রযোজন। এগুলোতো গেলো সরকারের খাত। এবার ভ্যাসেলের ফুয়েল, বোটের ফুয়েল, কুক ওয়েটার গাইড ভ্যাসেলের ক্রু এদের খরচ তো আছেই। আশাকরি এবার আপনার কাছে বিষয়টি ক্লিয়ার হয়েছে।

৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৬

এম ই জাভেদ বলেছেন: সংগ্রহে রাখলাম। খুলানায় তিন বছর থেকেও সুন্দরবন না দেখে বড্ড ভুল করে ফেলেছি। একবার অবশ্য করমজল পর্যন্ত গিয়েছিলাম। আমার ভ্রমন নেশা ধরেছে খুলনা থেকে ফিরে আসার পর। নাহ সময় করে একবার সুন্দরবন ট্যুর দিতেই হবে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

শীমুল শরীফ বলেছেন: ডিসেম্বরে সময় করুন। কম খরচে ঘুরিয়ে আনবো। জোর দিয়ে বলতে পারি আমাদের সাথে ভ্রমন হবে আপনার জীবনের একটি স্মরণীয় ভ্রমন। সাথে থাকার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ।

৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫০

একলাহুতুম বলেছেন: বিষয়টি নিয়ে দৈনিক বর্তমানের ভ্রমণ পাতায় বিস্তারিত লিখতে চাইলে মেইল করুন : [email protected]

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮

শীমুল শরীফ বলেছেন: বিষয়টি নিয়ে লিখার ইচ্ছা আছে। আপনার প্রস্তাবের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭

মোরতাজা বলেছেন: সুন্দরবনে ঢোকার জন্য জনপ্রতি ১৫০০ টাকা লাগে, কে কইছে। এইটা হইলো ডাহা মিথ্যা। লাগে ১০০ টাকা। ক্যামেরার জন্য ফি লাগে না। লাগে ভিডিও ক্যামেরার জন্য। দশ বছর ধইরা সুন্তদরবনের জঙ্গলে ঘুরতাছি। এখণ দেখি আপনারা পাবলিকের লগে মজা লইতাছেন!

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২০

শীমুল শরীফ বলেছেন: আপনাকে এবছর একটু ফরেস্ট অফিসে খেঁজ নেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

শীমুল শরীফ বলেছেন: আপনার মতামত পড়ে আমি এখনই ফরেস্টের সাথে কথা বলেছি। আপনি দশ বছর ধরে জঙ্গলে ঘুরছেন, তাও ১০০ টাকা দিয়ে! কিছু মনে করবেন না? আপনি কি টুরিস্ট হিসেবে ঘুরেছেন না আপনার বাড়ি সুন্দরবন অঞ্চলে? অত্যন্ত বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি যে, আপনি যদি লিগাল ওয়েতে যেতে চান এবং মোংলার করমজল ও হাড়বাড়িয়া বাদে একাধিক স্পটে টুরিস্ট নিতে চান তবে স্পটের সংখ্যা বুঝে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা লাগে।

৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৯

রাখালছেলে বলেছেন: েমারতাজা বলেছেন: সুন্দরবনে ঢোকার জন্য জনপ্রতি ১৫০০ টাকা লাগে, কে কইছে। এইটা হইলো ডাহা মিথ্যা। লাগে ১০০ টাকা। ক্যামেরার জন্য ফি লাগে না। লাগে ভিডিও ক্যামেরার জন্য। দশ বছর ধইরা সুন্তদরবনের জঙ্গলে ঘুরতাছি। এখণ দেখি আপনারা পাবলিকের লগে মজা লইতাছেন!


উত্তর প্রত্যাশী । আমিও গেছি। কই কোথাও তো এইধরনের কথা শুনি নাই । টাকা না গলা কোনটা কাটতে চান । উত্তর দিন তাড়াতাড়ি । ব্যাবসা ভালাই X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( B:-/

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

শীমুল শরীফ বলেছেন: উপরে দেখুন

৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

মিথ্যুক আমি বলেছেন: আমি ডিসকভারি টুরস এর সাথে গেসিলাম। ৪ দিন ঘুরসি খাওয়া দাওয়া বুফে এবং প্রায় একই রকম ৬০০০ করে পরসিলো।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪২

শীমুল শরীফ বলেছেন: ৬৫০০ টাকায় ধ্রুবরও একটি প্যাকেজ আছে। ২য় শ্রেণী। আর বিভিন্ন ট্যুর কোম্পানী বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ করে।

১০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭

রাখালছেলে বলেছেন: করমজলে ঢুকতে মাত্র ৫ টাকা লাগছিল । তাও এটা ২০০৭ এর ঘটনা । এখন না হয় ২০ টাকাই হল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.