নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ মানুষের জন্য

সুদুরে সকালের ডাক শোনা যায়, ভোরের লাল আভার পরেই শুভ সকাল

শীমুল শরীফ

হিপোক্রেটদের মতো দেশকে রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধা দু'ভাগে ভাগ করিনা।

শীমুল শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসংগ জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪

২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:৪৩

বর্তমান সময়ের বহূল আলোচিত দু’টি শব্দ ‘সম্প্রচার নীতিমালা’ যা ০৫ আগষ্ট ২০১৪ ইরেজী সনে গেজেট আকারে ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪’ শিরোনামে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। এ নীতিমালাটি নিয়ে সাংবাদিক ও সুশীল সমাজে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এটি নিয়ে এখন সুশীল সমাজ, বিরোধীদল, সরকার ও সাংবাদিকরা নানামূখী অবস্থান নিয়েছেন। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে এই নীতিমালাটি নিয়ে আমার দারুন কৌতুহল। আমার খুব জানতে ইচছা হচ্ছিল যে, ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪’ নামক প্যাকেটের ভিতর হতি-ঘোড়, সাপ-ব্যাঙ কি আছে যে, তা নিয়ে এতো সমালোচনা হচ্ছে।

সুখের বিষয়, দেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে তাই তথ্য মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইটেই নীতিমালার পিডিএফ কপি পেয়ে গেলাম। নেটে কপিটি পেয়ে দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি বেশ গর্বিত হয়েছি। দেশ ডিজিটাল না হলে হয়তো এটি পেতে আমার জুতোর তলা ক্ষয়ে যেতো। যাই হোক। নীতিমালাটি আমি খুবই মনযোগ সহকারে পাঠ করলাম। আমি মুগ্ধ হয়েছি, ১২ পাতার এ নীতিমালাটি পড়ে। আসলেই এটি যুগ উপযোগী একটি পদক্ষেপ। এটি নিয়ে সাংবাদিকরা কেন এতো হইচই করছে বুঝলাম না। আপনারা হয়তো ভাবছেন আমি চাটুকার, নীতিমালার পক্ষে সাফাই গেয়ে সরকারের কাছ থেকে কোন বিশেষ সুবিধা নিতে চাচ্ছি। বিশ্বাস করুন সরকারের কোন মন্ত্রীতো নয়ই এমনকি সরকারী দলের কোন কর্মীও আমাকে চেনেননা বা তাদের সাথে আমার পরিচয় নেই। আমি নিতান্ত একজন সাধারণ মানুষ, আম জনতা যাকে ব্যাংগ করে অনেকে ম্যাংগো পিপোল বলে থাকেন।



এ নীতিমালা পড়ে আমার দু’টি বিষয় মনে হয়েছে। নিচে ক্রম অনুসারে তা তুলে ধরলাম।



০১. রাজনৈতিক কারনে বর্তমানে এ নীতিমালা নিয়ে বিএনপি বিরোধীতা করলেও ভবিষ্যতে যদি কখনো তারা ক্ষমতায় যায় তখন তাদেরও এটি প্রয়োজন হবে। কারন নীতিমালাটি যখন যারা সরকারে থাকবে তখন তাদের জন্য খুবই যুতসই একটি নিয়ন্ত্রক মন্ত্র হবে। এটা অনেকটা ‘হিরক রাজার দেশে’ সিনেমার ‘যন্তর-মন্তর ঘরে’র মতো একটি যাদুকরী ক্ষমতাসম্পন্ন মন্ত্র। মারাত্মক এ মন্ত্রটি হাতে পেয়ে সরকার মনে করছেন এ মন্ত্রে তাদেরই সমূহ লাভ আর প্রজা? জনগনতো বোকা, ওদের আমরা যা বলি তাই বিশ্বাস করে। ওদের জন নতুন একটা মন্ত্র ছেড়ে দিলেই সব ঠিক - - আসলে কি তাই? মটেই না।

কারন, গণেষ যেমন উল্টে যায় তেমন মন্ত্রও উল্টে যায়। এ মন্ত্র যদি উল্টে যায় তবে তা সরকারের জন্যই ক্ষতির কারন হবে। কিভাবে তা ব্যাখ্যা করছি।

নীতিমালার পৃষ্ঠা-২ এ ১.১ পটুভুমিতে সম্প্রচারের সংগা দিতে গিয়ে বলা হয়েছে “এ নীতিমালার আওতায় ‘সম্প্রচার’ বলতে এমন সব প্রক্রিয়াকে বুঝাবে, যার মাধ্যমে কোন অডিও, ভিডিও এবং অডিও-ভিজ্যুয়াল তথ্য উপকরণ (কন্টেন্ট) অনুষ্ঠান, সংবাদ, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি টেরেস্ট্রিয়াল প্রেরক যন্ত্র, তার (কেবল), ভূ-উপগ্রহ বা অন্য কোন উপায়ে তরঙ্গ ব্যবহারের মাধ্যমে সর্বসাধারনের মাঝে একই সাথে ছড়িয়ে দেয়া হয়; যা রেডিও, টেলিভিশন বা একই ধরনের অন্য কোন গ্রাহক যন্ত্রের মাধ্যমে গ্রহণ করা যায়।”

এই ‘সম্প্রচার’র সংগার ভিত্তিতে অনুমোদিত নীতিমালার আওতায় যে আইন প্রনীত হবে সে আইনে প্রায় সকল মন্ত্রীর নামে প্রতিদিন একাধিক মামলা হওয়া সম্ভব। এটা কি মগের মুল্লক? বল্লেই মন্ত্রীর নামে মামলা হবে? হ্যা হবে।

জনসভায় মন্ত্রীরা যখন মাইকে কথা বলেন তখন সেটি একটি প্রেরক যন্ত্র (মাইক্রোফোন), যা শব্দ তরঙ্গকে বিদ্যুৎ তরঙ্গে রূপান্তর করে এবং সেই তরঙ্গকে তারের মাধ্যমে পরিবহন করে জনসভার বিভিন্ন কোণ স্থাপিত মাইকে (গ্রাহক যন্ত্র) নিয়ে যায় এবং মাইক / স্পিকার সে শব্দ তরঙ্গ জনসভায় উপস্থিত সর্বসাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দেয়। অতএব, উপরের সংগা অনুসারে এটি সম্প্রচার। আসলেই এটি সম্প্রচার কিন্তু এটি ওয়াইড জোনে নয়; এর স্প্রেড এরিয়া ন্যারো। অর্থাৎ এ সম্প্রচারটি সম্পন্ন হয় ক্ষুদ্র ভূখন্ডে বা কম ফুপপ্রিন্টে।

জনসভার এই শব্দ সম্প্রচারে (অডিও ব্রডকাস্টিং) মন্ত্রীরা অসত্য বলবেন তো সম্প্রচার আইনে মামলা হবে। বিভ্রান্তি ছড়াবেন মামলা হবে। রাজনৈতিক অনুভূতির প্রতি পীড়াদায়ক (৪.১.১) বক্তব্য রাখবেন মামলা হবে। তথ্যের প্রমান ছাড়া গাঁজাখুরী কথা বলবেন মামলা হবে। অশ্লিল শব্দ, উক্তি, সংলাপ, গালিগালাজ (৪.২.৪) করবেন মামলা হবে। কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত বা গোপনীয় বা মর্যাদা হানিকর (৫.১.৩) বক্তব্য রাখবেন মামলা হবে। আমাদের এক একজন মন্ত্রী ও অন্যান্য নেতাদের যা কথা বলার স্কেলিং তাতে খুব সহজেই অনুমান করা যায় যে এক একটি মঞ্চ থেকে এক একজন মন্ত্রী ক’য়েক ডজন মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে বাড়ি যাবেন। অতএব, এ নীতিমালা আইনে পরিনত হলে আখেরে দেশের মঙ্গল, জাতির মঙ্গল।



এখানে আর একটি বিষয় অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে তা হল: এ নীতিমালার পৃষ্ঠা ৪ অধ্যায়-২ এর ধারা ২.১.১ অনুসারে জনসভা করতে গেলে (যদি মাইক ব্যবহার করতে চান) কমিশনের কাছ থেকে সম্প্রচারের লাইসেন্স নিতে হবে। এখানে একটি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার বিষয় রয়েছে, তাই চাইলেই কোন দল, এমনকি সরকারও সহজে জনসভা করতে পারবেন না। ফলে অনাকাংখিত জানজট অনেকাংশেই কমে যাবে।



আর জনসভা কমে গেলে সরকার এবং বিরোধীদলের গলাবাজী কম হবে। যখন কথা কম হবে তখন সময় কাটানোর জন্য হলেও মন্ত্রী / নেতাদের কাজের পরিমান বাড়বে। ফল হিসেবে জাতির উন্নতি দ্রুততর হবে। তাই আমি মনে করি এ নীতিমালা অতন্ত যুক্তিযুক্ত এবং সময়ের সাথে মানানসই।





০২. নীতিমালা পড়ে দ্বিতীয় যে বিষয়টি আমার মনে হয়েছে তা হল: এ নীতিমালার মাধ্যমে সরকার সাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাচ্ছে। অর্থাৎ বর্তমানে সরকারের যে যে দিক গুলোয় সাংবাদিকরা বেশি নজর রাখছেন সে গুলো যেন জনগনের কান পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারে এবং এ নীতিমালাটি যেন একটি রক্ষাকবজ হিসেবে কাজ করে সেটিই সরকার অভিপ্রায়। এর ভিতর আমি খারাপ কিছু দেখি না। কারন কেউই তার খারাপ দিক মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে চায় না। তবে আমার মনে হয় সরকার এখানে একটু কৌশল অবলম্বন করতে পারতেন। প্রশ্ন হল কি কৌশল?

সরকার তার জামার ছেড়া-ফাঁটা অংশ কাউকে দেখতে দেবেননা বলে সবার চোখ বন্ধ করার চেষ্টা করছেন। সেটি না করে যদি তাঁরা নিজের জামাটাই ঢাকার ব্যবস্থা করতেন তবে বিষয়টা অনেক সহজ হত। এবারও একটি প্রশ্ন, কি ভাবে?

লেখা সংক্ষিপ্ত করার জন্য আমি শুধু নীতিমালার পঞ্চম অধ্যায়টি দিয়েই ব্যাখ্যা করছি।

(৫.১.১) “..., জনগনের অবমাননা অথবা .....” । জনগানের অবমাননা কারা করছে? উত্তর সহজ। যারা সরকারের বিভিন্ন পদে আছেন তারা প্রতিনিয়ত জনগনকে অবমাননা করে চলেছেন। ছোট্ট একটা উদাহরণ: আপনারা (যে দলেরই সরকার হোক না কেন) জনগনের রক্ত পানি করা টাকায় কেনা গাড়িতে ফ্লাগ লাগিয়ে, জনগনের টাকায় গড়া রাস্তা থেকে জনগনকে নামিয়ে দিয়ে ১০০ কিলো গতিতে সজোরে সাইরেন বাঁজিয়ে চলে যান। আর ভিআইপি প্রোটকলের নামে পুলিশ জনগনকে গরু-গাঁধার পালের মতো এক যায়গায় জড়ো করে রাখে। এমনকি ফুটপাতেও উঠতে দেয় না। এতে কি জনগনের অপমান হয় না? হয়, অপমানটা আপনি করেন বলে মনে হয় এটি জায়েজ। এরকম আরো বহু উদাহরণ আছে। আপনি / আপনারা জনগনকে অপমান করা বন্ধ করেন সাংবাদিকরাও আপনাকে অপমান করার চেষ্টা করবে না।

(৫.১.২) ‘বিচ্ছিন্নতা বা অষন্তোষ সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতি বা শ্রেণী বিদ্বেষ প্রচার, . . .’ এখন বলুন বিচ্ছন্নতা কে বা কারা সৃষ্টি করছে? সম্প্রচার কুশলীরা? সাংবাদিক? টেলিভিশন মালিক? না রাজনৈতিক নেতারা? যার বুকে সততার বিন্দুমাত্র অবশিষ্ট আছে সেই বলবে যে, রাজনৈতিক নেতারা। আপনারা তো আমাদেরকে হাজারো পদে বিচ্ছিন্ন করেছেন। প্রথমে বিচ্ছিন্ন করেছেন বাঙ্গালী আর বাংলাদেশীতে, এরপর হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান, তারপর ডান-বাঁম, মুক্তিযোদ্ধা-রাজাকার, জোট-মহাজোট, আবাহনী-মোহামেডান, ভারতের দালাল-পাকিস্থানের দালাল এ রকম বাহারী নামে আমরা এখন বিচ্ছিন্ন। আর অষন্তোষ? আমাদেরকে আপনারা কবে সন্তুষ্ট করার প্রয়োজন মনে করেছেন? জনগন এখন অষন্তোষের চরম পর্যায়ে অবস্থান করছে।

জাতি বা শ্রেণী বিদ্বেষ? এ বিষয়ে আপনাদের চেয়ে কে আর উত্তম বলুন। এইতো সেদিন ঘুম কাতুরে মহসীন আজ বিশাল সাহসী হয়ে কিভাবে সাংবাদিক শ্রেণীর সকলকে খবিশ বলে টুট-টুট দিলেন। সে বিদ্বেষটি কাদের পক্ষ থেকে দেখানো হলো? নিশ্চয় সাংবাদিকরা দেখায় নি। আবার অন্য এক মন্ত্রী সামনে যাকে পান তাকেই রাবিশ বলে টুট-টুট দেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতারা তো নানা প্রাণীর নামে বিভিন্ন জনকে টুট-টুট দিয়েই থাকেন। এটা এখন আর কোন বড় বিষয় না। কোন শিশু যদি বিভিন্ন ধরনের টুট-টুট শিখতে চায় তবে তার আর কষ্ট করে বস্তিতে যেতে হবে না। টেলিভিশনে খবর দেখলেই এক সপ্তাহে টুট-টুটের কোর্স কমপ্লিট করে ফেলতে পারবে। তাহলে বিচ্ছিন্নতা, অষন্তোষ ও শ্রেণী বিদ্বেষ কারা ছড়াচ্ছে? যারা এটি ছড়াচ্ছে তাদের নিয়ন্ত্রণ করুন তাহলে সাংবাদ এমনিই নিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে। আইন করে আর নিয়ন্ত্রণ করতে হবে না।

(৫.১.৩) ‘কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত বা গোপনীয় বা মর্যাদাহানি . . ’। এ কাজটি কারা করে তা আর কাউকে বলে দিতে হবে না। রেডিও, টেলিভিশন এবং পত্রিকার পাতায় প্রতিনিয়ত ছবি সহ প্রমান পাওয়া যাবে। যারা মানুষের আদর্শ হওয়ার কথা তারাই এখন একজন আর একজনের চরিত্র হননে ব্যস্ত। আপনারা এটি না করার প্রাকটিস করুন তাহলে আর সাংবাদিকদের উপর ধারাটি চাপানোর প্রয়োজন হবে না।

(৫.১.৪) এটি নিয়ে আমার কোন দ্বিমত নেই। বরং এ বিষয়টিতে অবশ্য অবশ্যই কঠোরতর অবস্থান নিতে হবে। দেশের ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তার বিষয়ে কোন রকম ছাড় কাউকেই দেয়া যাবেনা।

(৫.১.৫) ‘কোন অনুষ্ঠান বা বিজ্ঞাপনে সশস্ত্র বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত কোন সংস্থ্যা . . . দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের প্রতি কটাক্ষ বা বিদ্রুপ কিম্বা তাদের পেশাগত ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে পারে এমন কোন দৃশ্য প্রদর্শন কিম্বা বক্তব্য প্রচার করা যাবে না;’

এটি সম্পর্কে দু’টি কথা আছে। এক. উপযুক্ত তথ্য উপাত্ত থাকলেও না? দুই. প্রজাতন্ত্রের একজন সেবক সে যে পদেই থাকুক না কেন সংবিধানের কোন ধারা বলে সে সমালোচনার উর্ধ্বে উঠে গেলো? তথ্য অধিকার আইন অনুসারে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকেরই সঠিক তথ্য জানার অধিকার আছে। এ ধারাটি তথ্য অধিকার আইন ও সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। আমি বলি কি ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪’ এর মোড়কে দূর্নীতি, অনিয়ম আর অন্যায় ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা না করে বাহিনীর সদস্যদের বলুন সমালোচিত কাজ থেকে বিরত থাকতে তাহলে আর সাংবাদিকদের উপর খড়গ চালাতে হবে না।



সমাজতন্ত্রের ময়দান থেকে গণতন্ত্রে অভিবাসন গ্রহণ করলে প্রথম প্রথম একটু আধটু সমস্যা হতেই পারে। এটা এমন কোন বিষয় না। আমরা এটাতে কিছু মনে করিনি। আমরা খুশি হয়েছি এ কারনে যে, ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪’ নামক প্রচেষ্টাটি অনেক ভাল হয়েছে। আমরা বুঝতে পেরেছি যে, একজন শিক্ষিত মন্ত্রীর হাতে একটি ভাল মন্ত্র তৈরী হয়েছে। তবে আমরা যদি বিক্ষিপ্ত ভাবে সমস্যার ডালে ডালে না ঘুরে শেকড়ে যাই তাহলেই সবার জন্য মঙ্গল। এতে সুবিধা হল, ডাল ছেড়ে আমরা যদি শেকড়ে যাই তবে সৈরাচারী আচরণ করে কেউ ডাল কাটার চেষ্টা করতে পাবে না। আর কেউ যদি শত্রুতা করে শেকড় কেটেই দেয় তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ, সমস্যা স্বমূলে বিনাশ। একটি বিজ্ঞাপনের ভাষায় শেষ করতে চাই - আশাকরি বিষয়টি বোঝা গেছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//রাজনৈতিক কারনে বর্তমানে এ নীতিমালা নিয়ে বিএনপি বিরোধীতা করলেও ভবিষ্যতে যদি কখনো তারা ক্ষমতায় যায় তখন তাদেরও এটি প্রয়োজন হবে। কারন নীতিমালাটি যখন যারা সরকারে থাকবে তখন তাদের জন্য খুবই যুতসই একটি নিয়ন্ত্রক মন্ত্র হবে।//
-কথা সত্য!


অল্প লেখায় ভালো বিশ্লেষণ দিয়েছেন।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১১

শীমুল শরীফ বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব, মাঈনউদ্দিন মইনুল আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.