নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
" ধর্ম যার যার, উৎসব সবার " একটি আলোচিত সমালোচিত বিষয়। আমরা আসলে এখানে উৎসব বলতে কি বুঝাচ্ছি? এই উৎসব কি শুধু একটি নিছক উৎসব, নাকি একটি নির্দিষ্ট ধর্মের ধর্মীয় উৎসব বা তাদের সংস্কৃতির একটি অংশকে বুঝাচ্ছি ? যদি শুধু নিছক উৎসব হয়, তাহলে আমার কোন দ্বিমত নেই। আমরা জানি প্রত্যেক ধর্মের কিছু নির্দিষ্ট রীতিনীতি, সংস্কৃতি ও বিধি-নিষেধ রয়েছে। যেমন- হিন্দুরা মন্দিরে যায়, খ্রিস্টানরা গির্জায় আর মুসলিমরা মসজিদে যায়। হিন্দুরা গরু পূজা করে, মুসলিমরা গরু জবেহ করে আর ভক্ষণ করে। হিন্দু মারা গেলে তার মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলে,আর মুসলিম মারা গেলে তাকে মাটিতে দাফন করা হয়। সুতরাং ধর্মের কারণে তার রীতিনীতি, সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে।
আপনি যেমন হিন্দু হয়ে আপনার মরদেহ দাফন কিংবা মসজিদে গিয়ে উপাসনা কামনা করেন না, তেমনি কোন মুসলিম ও তার মরদেহ আগুনে পুড়া কিংবা মন্দিরে গিয়ে উপসনা কামনা করেনা। হিন্দুরা যেমন মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব হজ্জ পালন করেনা, তেমনি মুসলমানরা ও হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব তীর্থ যাত্রা করেনা। "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার " স্লোগান টি তখনই শোনা যায়, যখন দুর্গা পুজা, স্বরস্বতি পুজা ইত্যাদি আসে। আজ পর্যন্ত কখনো হজ্জ কিংবা অন্য কোন মুসলিম ধর্মীয় উৎসব চলাকালে এই স্লোগান শোনলাম না। যার ধর্ম যেটা, সে তার ধর্মের ধর্মীয় উৎসব পালন করবে।
আপনি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে যদি নাগরিক দায়িত্ব, দেশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন কিংবা কোন দেশদ্রোহী কাজ করেন, তাহলে দেশের আইন অনুযায়ী আপনাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে কিংবা আপনি দেশদ্রোহী উপাধি ও পেতে পারেন। ঠিক তেমনি আপনি কোন ধর্মের অনুসারী হয়ে যদি সেই ধর্মের রীতিনীতি, বিধি-নিষেধ মেনে না চলেন, তাহলে আপনি ও সেই ধর্মের চোখে ধর্মদ্রোহী হিসেবে আখ্যায়িত হবেন। মানবতার দিক থেকে আমারা এক। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় - একজন হিন্দু কিংবা খ্রিস্টান না খেয়ে বা চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে, মুসলিম বা যে কেউ তাকে টাকা বা তার চিকিৎসা সেবা প্রদান করে সাহায্য করতে পারে। এটা হল মানুষ হিসেবে মানবতার সাহায্য। কিন্তু কোন হিন্দু যদি তার পুজা মন্ডপের জন্য সাহায্য চায়, তাহলে কোন মুসলিম ব্যক্তির জন্য তাকে সাহায্য করে তার পূজাকে উৎসাহিত করার বৈধতা নেই।
ধর্ম আমাদের কিছু ক্ষেত্রে limitations দিয়ে দিছে। সুতরাং যে ধর্মের অনুসারী, সে সেই ধর্মের ধর্মীয় উৎসব পালন করবে। যেমন, মুসলিমরা হজ্জ করে, হিন্দুরা তীর্থ যাত্রা করে। তার মানি এই নয় যে, উৎসব সবার বলে আমি তীর্থ যাত্রা ও হজ্জ উভয়টা পালন করবো। আর যারা কোন ধর্মই পালন করেনা, তারা বিভিন্ন উৎসব পালন করবে, কোন ধর্মীয় উৎসব পালন করবে না। কারণ যেহেতু তাদের কোন ধর্ম নেই, সেহেতু তাদের কোন ধর্মীয় উৎসব ও নেই। সুতরাং " ধর্ম যার যার, উৎসব ও তার তার" এটাই হোক স্লোগান।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬
ইনোসেন্ট মিনহাজ বলেছেন: right brother. thanks#জাওয়াদ স্পিকিং
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৩
রোষানল বলেছেন: তাহলে এই শ্লোগান টা কেমন হবেঃ ধর্ম যার যার গরুর মাংস সবার
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
ইনোসেন্ট মিনহাজ বলেছেন: To eat the meat of cow is everyone's personal matter.
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৭
মুর্শিদুল ইসলাম বিপ্লব বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই সুন্দর লেখাটার জন্য
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
ইনোসেন্ট মিনহাজ বলেছেন: Thank you too.
৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সহমত
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫০
ইনোসেন্ট মিনহাজ বলেছেন: thanks.
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১৬
জাওয়াদ স্পিকিং বলেছেন: মুক্তমনাদের ধর্ম বিকৃত না করে,ধর্ম না পালন করাই বেশী যুক্তিযুক্ত যেহেতু তাদের কাছে ধর্ম বিষয়টাই মানব্জাতির জন্য ''ক্ষতিকর''।