নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ সোহাগ (A sinner slave of Allah) 2. সভ্যতার অসংগতি তুলে ধরার চেষ্ঠা করি ।\n

স্বপ্নবাজ তরী

প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক

স্বপ্নবাজ তরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেতাশূন্য বাঙলাদশ !!!!!!!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১১

আজকের এই আধুনিক বিশ্ব সমাজ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের মত এত দূর্ভাগা, অসহায় জাতি মনে হয় আর একটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিশ্ব যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমাদেরকে টেনে দরে রাখছে, এক অশুভশক্তি। তাহল আমাদের অপরিপক্ব রাজনীতি। বারবার এই অশুভ শক্তি আমাদেরকে বৃদ্ধাগুল দেখালেও, আমরা জাতি হিসেবে এতই অসংগঠিত, অপরিনামদর্শী যে, আমরা যেনে শুনে বারবার অাগুনে পা দিচ্ছি,।
আমাদের রাজনীতি কে এমনভাবে দ্বিজাতিতত্ত্বের মতো দ্বিরাজনীতিতে পরিনীতি করেছে যে, বর্তমান সমাজকে এমনভাবে দ্বিখন্ডিত করেছে, বাবা- ছেলে, ভাই-ভাই, চাচা - ভাতিজা কে সামনাসামনি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এমন এক ভীতকর পরিবেশ তৈরি করেছে যে, বাবা ছেলের, ভাই ভাইর , ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে।
দ্বিরাজনীতি ব্যবস্থা দেশকে এমন এক আবদ্ধ ঘরে আটকে রেখেছে, যেখানে সূর্যের আলো পৌছার কোন ব্যবস্থা নেই,ফলে নতুন করে ফসল উৎপাদের কোন সম্ভবনাই নেই, শুধু কি তাই যা আছে তা থেকে নতুন কোন ফসল উৎপাদনেরও কোন উদ্দেগও নেই। তারা আবদ্ধ ঘরে রেখে, জনগনের মধ্যে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, দৈনন্দিন বা বেঁচে থাকার যাবতীয় পণ্যসামগ্রী কে তাদের মূল হাতিয়ার হিসেবে নিজেদের মধ্যে কবজ্জা করে রেখে জনগনকে তাদের হুকুমের গোলাম বানিয়ে রেখেছে। মাঝে মাঝে জনগনের মধ্যে থেকে যারাই বিদ্রোহ করেছে, তাদেরকে হয়তো মরতে হয়েছে আর না হয় মরার মত বেঁচে থাকতে হচ্ছে। দুই দলের গদি দখলের জন্য হানা হানা, মারামারি, খুন, দুর্নীতি, অনিয়ম, অপশাসন, অপরিকল্পিত সমাজ উন্নয়ণ ব্যবস্থার কারনে বর্তমানে এমন এক ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, মানুষ বিচার ব্যবস্থার উপর থেকে এতটাই অস্থা, প্রকাশ্য খুনের বিচারের জন্যও মানুষ এখন পরজগতের বিচারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে।
মানুষ বুঝতে পারলেও যে, তারা অর্থনীতির দুষ্টচক্রের মত রাজনীতির দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়ে, বারবার একই বৃত্তের পরিধির চারপাশে ঘুরতেছে, তারা এইও জানে, এই দুষ্টচক্র থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই দুর্বিষহ জীবন ব্যবস্থা হতে মুক্তি নেই। এত কিছু বুঝতে পেরেও তারা অাজ পথহারা , কারন এই ব্যবস্থাকে ভেঙে নতুন করে, নতুন ব্যবস্থা পরিচালনা করার মত, সুনির্দিষ্ট কোন দিক নির্দেশনা যেমন নেই, তেমনি তাদেরকে নির্দিশনা দেবার মত কোন সৎ নেতাও তাদের নেই।
একসময়ে এদেশের উন্নয়নের মূল বাধা ছিল, বিট্রিশরা, এরপর ছিল পাকিস্তানিরা, কিন্তু বর্তমানে হচ্ছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং তাদের লালিত পালিত শিক্ষিত,অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত, লোভী, দুর্নীতিবাজ, চোরবাটপার, খুনেরর আসামি জাতীয় বিভিন্ন প্রজাতির সুবিধাবাদী নেতা। যাদের কাছে কুলিমুজুর থেকে শুরু করে সম্মানিত শিক্ষক পর্যন্ত অপমান অপদস্থ, এমনকি পায়ে ধরে ক্ষমা পর্যন্ত চাইতে বাধ্য। বিট্রিশ এবং পাকিস্তানিদেরকে যুদ্ধ মাধ্যমে তাড়ানো গিয়েছে, মুক্তি মিলেছে সাধারন মানুষের অপশাসন থেকে। কিন্তু যাদেরকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি, তাদের থেকে মুক্তি লাভের একটি উপায় ছিল, ভোটের মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমানে দেশ এতটাই ডিজিটাল হয়েছে যে, সেই পুরানো ভোটাধিকার টাও বর্তমানে নেই। আপনি ঘরে না শুধু বিদেশে থাকলেও অসুবিধা নাই, আপনার ভোট, ভোটের আগের দিনই কাষ্ট হয়ে যাবে। আপনাকে কষ্ট করে ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে না।
ফলে মুক্তি আপনি সহজে পাবেন কি? না।
প্রশাসনের প্রত্যেকটি পর্যায় রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে। স্বাধীন কোন প্রতিষ্ঠান নেই এমনকি বেসরকারি গণমাধ্যমও, সরকারের পা চাটা ভৃতে পরিনত হয়েছে, অথচ তাদেরই উচিত ছিল , অনিয়ম, দুর্নীতি, অপশাসনের অন্তঃপুরের কাহিনী জনগনের সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে গন আন্দোলণ সংগঠিত করা।
আজকে জাতি হিসেবে আমরা এতই অপরিনামদর্শী, খামখেয়ালিপনা, এতটাই বেখেয়ালি, আমরা জানি না, সাধারণ মানুষ জানেই না তাদের ভবিষ্যৎ কি, পাঁচ বছর পর তারা কোথায় দাঁড়াবে অথবা জাতি হিসেবে তাদের লক্ষ্য কি, দেশের ভবিষ্যৎ কি?। শুধু কি সাদারণ জনগন, আমি হলফ করে বলতে, যাদেরকে জাতি নির্বাচিত করেছে, তাদের কাছেও এই সকল প্রশ্নের উত্তর পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে। যাদেরকে এদেশের মানুষ সুশীল বলে, তারা মনে হয় আন্দাজ করতে পারবে না, বাংলার ভবিষ্যৎ কোন দিকে মোড় নিবে।
এতকিছুর মূল সমস্যা একথায় বলা যায়, আমাদের দুষ্টরাজনীতিচক্র। এই বিষবৃক্ষ সম্পর্কে ছেলে, বুড়ো, থেকে শুরু করে শিক্ষিত, অশিক্ষিত, সুশীল সমাজ সবাই অবগত, তবু আমরা জাতি হিসবে ঐক্য বদ্ধ হতে না পারা সত্যিই দুর্ভাগ্য। শুধু মৃত্যুভয়, আর জেলের ভয়ে আজ সবাই এই অন্যায় অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছে সবাই।
আমরা সবাই অপেক্ষায় আছি, কেউ এসে আমাদের কে এই অন্ধকার প্রকোষ্ঠ হতে উদ্ধার করে, মুক্তির স্বাদ দিবে। এমনটা ভেবে থাকলে তা হবে চরম বোকামি। স্বয়ং আল্লাহ যেখানে বলেছে, "যে জাতি নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে সচেষ্ট নহে,...................
সেখানে আমি, আপনি, যদি এভাবে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকে, আর ভাবতে থাকে একদিন কেউ এসে আমাদের ভাগ্য পরিবর্ত করে দিবে, তবে মনে রেখে সেই একদিন আর আসবে না, এই অন্যায়, অপশাসন, দুর্নীতি, অবিচার আমাদের ওপর অভিশাপ স্বরূপ চলতে থাকবে, এবং পরবর্তী প্রজম্মর ওপরও চলবে। আর ইতিহাসে আমাদের ঠাঁই হবে, দুর্বল চিত্তের, এবং নিকৃষ্ট মানুষ হিসেবে।
এমন অনিয়ম, দুষ্ট রাজনীতির বেড়াজালে পড়া শর্তেও আবারও আমাদেরকে এক হয়ে ভাঙতে দুষ্টরাজনীতিচক্রকে।
সময় লাগবে বেশী, ত্যাগও করতে হবে বেশী কারণ দুষ্টচক্রের হাত পা বড্ডই বড় হয়ে গেছে, অার শুরু করতে হবে আমাদেরকেই, আমাদের পরবর্তী প্রজম্মের জন্য, না হলে এর দায়বার ও কুফল দুইটাই আমাদেরকে বহন করতে হবে ।
(বি:দ্র: আমার লেখা যদি ভালো লাগে তবে মন্তব্য করার অনুরোধ রইলো। আমি নতুন সদস্য আপনাদের ভালো মন্দ মন্তব্যই আমাকে সংশোধন ও অনুপ্রানিত করবে, পরবর্তী লেখায় )

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৩৫

আর জে নিশা বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে আপনার ব্লগের শিরোনাম নেতাশূন্য বাঙলাদশ !!!!!!! না হয়ে হওয়া উচিত ছিলো - নরকে গুলজার থেকে বলছি !!!

ভালো আছেন, তাই ব্লগ লিখছেন তারপর ও নেতার অভাব মনে হলে নেতা কি এখন আমদানী করবেন পাকিস্তান থেকে ?

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৫১

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: পাকিস্তান নেতা রপ্তানি করে ,, এ কথা জানতাম না ! আমাদের যুব সমাজ থেকেই কেউ না কেউ আসতে হবে ,,,

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:০৮

আর জে নিশা বলেছেন: এক বাড়ীতে যেমন একজনই অভিভাবক থাকেন সবাই সর্দার হলে বিপদ তেমনি একটি দেশেও যোগ্য নেতা একজনই দরকার, কয়েকজন নয় । এবং বর্তমানে যোগ্য নেতার হাতেই দেশ আছে ।

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:১৩

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: সহমত । কিন্তু উনার অনুপস্থিতে কে হাল ধরবে । তাই এখন থেকে কি নেতা খুজ করা দরকার নহে ?????

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:৪৩

সাকী শওকত বলেছেন: নেতার বয়স এখন দশ /বারো,যখন ২০ হবে দেখতে পাবেন, অপেক্ষা করুন। আশা বাঞ্জক পোস্ট।

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:২০

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: ধন্যবাদ ,, মন্তব্যের জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.