নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ সোহাগ (A sinner slave of Allah) 2. সভ্যতার অসংগতি তুলে ধরার চেষ্ঠা করি ।\n

স্বপ্নবাজ তরী

প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক

স্বপ্নবাজ তরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়েরা কি আধো স্বাধীন,বা সমধিকার পেয়েছে নাকি কর্পোরেট হাউজের কাছে জিম্মি ????

১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮

একটা চাকুরীর বিজ্ঞাপন দেখতেছিলাম, হঠাৎ একটি পদের কাছে এসে চোখ আটকে গেল, পদের নাম : রিসিপসনিষ্ট (মহিলা)। আরো নয়টি পদ ছিল কোথাও এমন ব্রাকেটের ভিতরে মহিলা বা পুরুষ লিখেনি। তাহলে রিসিপসনিষ্ট এমন কি পদ যে এখানে কোম্পানি মহিলা প্রার্থী কে আলাদা করে লিখলো। আমরা সবাই জানি একজন রিসিপসনিষ্ট এর কাজ কি, তার কাজ হচ্ছে যারা অফিসে আসবে বিভিন্ন কাজে , তাদেরকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহয়তা করা। এই কাজটা কি পুরুষ প্রার্থী রা পারবে না, যদি পারে তবে কেন আলাদা করে মহিলা প্রার্থী চাওয়া হলো?? এই থেকে কি প্রমাণ হয়না, এখানে প্রার্থী কে যতটা না পদের জন্য বিবেচনা করা হয়েছে, তারচেয়ে পণ্য হিসেবে উপস্থাপণ করা হয়েছে।
গতবছর একটা কাজে, পুলিশ সুপারের অফিসে গিয়েছিলাম, ঐ খানেও একই চিত্র, রিসিপসনিষ্ট ডেক্সের তিনজনই মহিলা।
শুধু কি তাই, বেশীরভাগ রিসিপসনিষ্টই ফর্সা চেহারার অধিকারী, এখানেও মেয়েদের মধ্যেও বৈষম্য তৈরি করতেছে, কালো মেয়েদের রিসিপসনিষ্ট হওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়না। কেন? কারণ এই পদের জন্য যোগ্যতার চেয়ে, আপনার পণ্যাদি গুনই বিবেচ্য। আর তাহল আপনার ফর্সা মুখমন্ডল।
আসুন কল সেন্টার গুলো তে, এখানেও একই, কাস্টমারের মনোরঞ্জনের জন্য আপনাকে কোকিল কন্ঠী হতে হবে, কর্কশ, স্বাভাবিক মেয়ে বা পুরুষ এই ক্ষেত্রে অযোগ্য।
আপনি কোন অফিসের বসের পারসোনাল এসিস্ট্যান্ট হতে হলে, আপনার স্লিম ফিগার, ফর্সা, কোকিলকন্ঠি গুণ থাকতে হবে। পুরুষ প্রার্থী এই ক্ষেত্রে আবেদনের যোগ্যতা রাখে না। এবার বাসার টিভি অন করুণ। যত প্রকার বিজ্ঞাপণ আছে সব গুলোতে প্রধান চরিত্রে নারী, সাবানের অ্যাড, শেম্পু, লুডুস, ক্রিম, পানীয় দ্রব্যাদি, সবগুলো অ্যাডই নারী। প্রশ্ন হচ্ছে এসব পণ্য কি শুধু নারীরাই ব্যবহার করে, পুরুষেরা ব্যবহার করে না? । এসব বিজ্ঞাপন কি পুরুষেরা করতে পাের না।
আর টেলিভিশনের যেকোন শো এর উপস্থাপিকা হিসেবে তো মেয়েরাই প্রধান চয়েস থাকে, নির্মাতাদের। সেটা ক্রিকেট খেলার উপর আলোচনা পর্যায়ালোচনা অনুষ্ঠানেরও। নতুন করে বলিউড ছবিতে একটা রীতি চালু হয়েছে, তা আমাদের দেশেও অনুকরণ করা হচ্ছে, তা হলো আইটেম গান। আইটেম গানকে এমন ভাবে মিডিয়াতে প্রচারণ করতেছে, যেন তা নারীদের কে অনেক সম্মান দেখানো হচ্ছে। কিন্তু এটা নারীকে পুরোটাই পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করা হলো তা খোদ নারীরাও না বুজে একে বাহবা দিচ্ছে।
এসব বিষয়ে নিয়ে যেখানে নারীরা প্রতিবাদ করার কথা, সেখানে নারীরাই এগুলো কে মনে প্রাণে সমর্থন করে প্রতিবছর সুন্দরী প্রতিযোগীয় নাম লেখাচ্ছে। অথচ এই প্রতিযোগীতা স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাকেও পরিহাস করা হয়, কেন তিনি কালো চামড়া দিয়ে বাকী নারীদের তৈরি করলেন।
এভাবে নারী জাতি আজ কর্পোরেট হাউজের কাছে জিম্মি হয়ে আছে, তা নারীরাও জানে না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯

তারেক জামিল বলেছেন: ভাই তারা নিজেরাই নিজেদের সম্মান বুঝেনা ।

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: সহমত :) মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

এইচ. ইমরান বলেছেন: লগইন না করেই পড়তে ছিলাম। আপনার লেখাটি পড়ে মন্তব্যের জন্য লগইন করলাম।
অনেক সুন্দর লিখেছেন।
আপনার সাথে সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করছি।

তবে যারা তসলিমার ছবিকে শ্রেষ্ঠ বাঙালী ছবি হিসেবে পুরস্কার দেয়।
তাদের কাজে এটি একদম বাজে পোষ্ট।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৭

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: ধন্যবাদ ,, এত কষ্ট করে মন্তব্য করে আমার লেখাটার সাথে সহমত প্রকাশ করার জন্য ...

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

দ্যা লায়ন বলেছেন: মেয়েদের স্বাধীন হবার আগে শিক্ষিত হবার পরামর্শ দিন।পর্যাপ্ত পরিমানে শিক্ষিত হবার পরও তারা তাদের জাতিগত দুর্বল বৈশিষ্ট গুলো চর্চার ফলে অশিক্ষিতই রয়ে গেছে।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২২

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: আমার মতে মেয়েরা কর্পোরেট হাউজ আর আধুনিক মিডিয়ার জালে আবদ্ধ হয়ে ,, স্বাধীর আর সমধিকার খুজতেছে .... যা তাদের কে স্বাধীর আর সমধিকার থেকে যে দুরে সরিয়ে দিচ্ছে তা এখন তারা বুজতেচে না .....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.