নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ সোহাগ (A sinner slave of Allah) 2. সভ্যতার অসংগতি তুলে ধরার চেষ্ঠা করি ।\n

স্বপ্নবাজ তরী

প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক

স্বপ্নবাজ তরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংস্কৃতি, ধর্ম এবং অপসংস্কৃতি

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪২

সংস্কৃতি কি? কোন একটি গৌষ্ঠি বা গোত্রের বা জাতির প্রত্যহিক কর্মকান্ডসমূহের সম্মন্বিতরূপই হল সংস্কৃতি। অন্যভাবে বললে সংস্কৃতি হল, কোন গোত্র বা গৌষ্ঠি বা জাতির জীবনের প্রতিরুপ। ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতি ভিন্ন হওয়ার কারণ ঐঅঞ্চলের পরিবেশীয় উপদান। যেমন বাংলাদেশের বহু আগ থেকেই তাঁতশিল্পটি প্রচলিত ছিল ফলে এখানকার মানুষের প্রধান পোশাক হয়ে উঠে লুঙ্গি, শাড়ি। এটা এই ঐঅঞ্চলের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠে। কোন একটা কর্মকান্ড তখন সংস্কৃতির অংশ হয় যখন ঐঅঞ্চলের বৃহৎ একটি অংশ বা পুরোটাই ঐ কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে ঐটি পালন এবং মনে লালন করা শুরু করে।

সম্রাট আকবর খাজনা আদায় করার জন্য বাংলা পুৃঞ্জিকার অবির্ভাব। মূলত ঐ দিনে কৃষকেরা পুরাতন বছরের হিসাব চুকে নতুন বছরের যাত্রা শুরু করত। সম্রাটের রাজত্বের অবসান হলেও পরে এ অঞ্চলের মানুষরা এই প্রক্রিয়াটিকে এগিয়ে নেয়। ব্যবসায়ীরা নিজেদের বাৎসরিক হিসাব নিকাশ করার জন্য পহেলা বৈশাখে হালখাতার প্রচলন করেন। যাহা এই শতকের প্রথমদিকেও চলে আসছিল।

প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ছোঁয়া যখন এদেশেরঅর্থনীতিতে নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে তখন হয়ত কেউ ভেবে দেখেনি এটার কুফলও সমান তালে আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে যাচ্ছে। শফিক রেহমানের হাত ধরে যখন ভালবাসা দিবস আসে তখন কে ভেবেছিল এটার জনপ্রিয়তা এদেশে পশ্চিমাকেও হার মানাবে। এরপর মা দিবস, বাবা থেকে শুরু করে বহুদিবসের আমদানি হয়। পশ্চিমারা তাদের সংস্কৃতি বা পারিবারিক বন্ধনকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে এই সব দিবসের আবির্ভাব ঘটায়য়, যেটা এইদেশের মানুষের স্বভাবগত অভ্যাস। অথচ কেউ একবারও ভেবে দেখেনি এদেশে এইসব দিবসের গুরুত্ব কতটুকু বা আদৌ এদের প্রয়োজন আছে কিনা।

ছোটবেলায় পহেলা বৈশাখে আমরা সকালে উঠে চিড়া, মুড়ি, গুড় বা কলা কে একসাথে মেখে খাইতাম। বিকালে গ্রাম্য মেলায় গিয়ে বাঁশি, ঝুনঝুনি বা খেলনা কিনতাম। অনেক দোকানে হালখাতা হত। এইসবই ছিল। তখনও এদেশে বহুবুজুর্গ ছিল, আলেম ছিল কই তখন ত কেউ বৈশাখ পালনে বাধা দেয় নি। তবে এখন কেন? কারণ অপসংস্কৃতি।

অপসংস্কৃতি কি? অপসংস্কৃতি হল এমন কর্মকান্ডের লালন, পালন যাহা ঐগৌষ্ঠী বা গোত্রের বৃহৎ একটি অংশই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এড়িয়ে চলে বা মেনে নেয়নি। যাহা ঐ দেশের জন্য বা গোত্রের জন্য অপসংস্কৃতি হিসেবেই চিহ্নিত হবে।
অনেক ক্ষেত্রে বলা যায়, এমন কিছুর লালন, পালন যাহা বৈশ্বিক ভাবে নিষিদ্ধ। যেমন ভালবাসা দিবসে আপনি আপনার প্রেমিকার সাথে বিবাহবহির্ভূত দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন অধিকাংশ দেশেই আইনগত ভাবেই নিষিদ্ধ।
আমাদের বৈশাখ আর বৈশাখ নেই। এখন ঘুম থেকে উঠে আপনার প্রথম কাজ হচ্ছে ফেবুতে নতুন বছরের শুভেচ্ছা সম্বলিত পোষ্ট দেয়া তারপর লাল পাঞ্জাবি পড়ে মঙ্গল শোভা যাত্রায় যাওয়া। যাহা মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে এইদেশের মানুষরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এড়িয়ে চলে বা চলার চেষ্টা করে। তাহলে এই শোভা যাত্রা কিভাবে সংস্কৃতির অংশ হয়। আমরা যদি ইতিহাস দেখি তবে এই শোভাযাত্রার অবির্ভাব ১৯৬৮ এবং পাপেট সম্বলিত শোভাযাত্রার অবির্ভাব ১৯৮৯ সালে।
তারপর রয়েছে পান্তা ইলিশের মত একটা প্রথা প্রচলের চেষ্টা যেটা এইদেশের দরিদ্র মানুষকে উপহাস বৈ কি।
আমাদের যুব সমাজের দিকে তাকালে আপনি খুঁজে পাবেন আরো ভয়ংকর কিছুর প্রতিচ্ছবি। লাল শাড়ী, পাঞ্জাবি পড়ে ঘুরে বেড়ানো টাই বা কে অবিষ্কার করল? যাদের প্রেমিক যুগল নেই তারাই বা কম কিসে।একসাথে ১০ -১৫ জন মিলে ভিড়ের মধ্যে নারীদের যৌন হয়রানি করাও ত এখন বৈশাখী উৎসবের অংশ হয়ে যাচ্ছে। এমন বাড়তি অপসংস্কৃতি কিভাবে বৈশাখী উৎসব হয় যেটা বৃহৎ অংশই পালন বা লালন কোনটাই করে না।
কয়েক বছর ধরে আপনি যদি ভিন্ন উৎসবের দিকে লক্ষ্য করেন তবে দেখবেন সব কিছুর শেষ হয় যৌনতা গিয়ে। সেটা ভালবাসা দিবস হোক কিংবা ২৬শে মার্চ বা ১৬ই ডিসেম্বরই হোক না কেন? পথে ঘাটে আপনি জোড়া জোড়া কপতকপোতি দেখবেনই। আমরা এখন উৎসব পালন করি, লালন করি না। লালন করি যৌনতা, আর চামচামি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

আবিদ হোসেন ।। বলেছেন: অসাধারন বলেছেন ভাই ।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: আপনাকে স্যালুট এই ব্যাপারটা তুলে ধরবার জন্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.