নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ সোহাগ (A sinner slave of Allah) 2. সভ্যতার অসংগতি তুলে ধরার চেষ্ঠা করি ।\n

স্বপ্নবাজ তরী

প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক

স্বপ্নবাজ তরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ূন আহমেদ ও ফারুকীর ডুব বিতর্ক

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০৯


হুমায়ূন আহমেদ! আমার কাছে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়া কিছুই না। এই ব্যক্তির সাথে প্রথম পরিচয় "আঙুল কাটা জগলু" বইয়ের মাধ্যমে। অনেক বই পড়েছি, এখনও পড়ি কিন্তু এক বসায়, একটানা একটা বই কখনও শেষ করিনি। কিন্তু আঙুল কাটা জগলু টা এক বসায় শেষ করি বললে ভুল হবে শেষ না করে উঠতে পারিনি। অদ্ভুদ এক মায়া, টান ছিল বইয়ের প্রতিটি পাতায়। এটাও সত্য ঐ বইটা দ্বিতীয় বার কখনও পড়িনি এবং পড়বোও না। অর্থহীন একটা বই। যার গভীরতা বলতে কিছুই নেই। হিমু চরিত্রটি বইয়ে যতটা সুন্দর, চলচিত্রে ততটাই ব্যর্থ। কিন্তু হিমু চরিত্রটি ঐ সময়ের জন্য প্রয়োজন ছিল। বলা যায় যুগের চাহিদা। কারণ তরুন সমাজ তখন বইবিমুখ ছিল, নতুন নতুন গ্রামোফোন তখন শহরে, গ্রামের চেন্জার, ক্যাসেটের যুগ, অাধুনিকতার ছোঁয়া তখন লাগছে তরুনদের দেহ মনে, পপ সংগীতের আগমন। এমন সময়ে কে পড়বে সাধুরীতিতে নজরুল কিংবা রবীন্দ্রনাথের বই, কে পড়বে গুরুগম্ভীর আখতারুজ্জামান ইলিয়াসেরর রাজনৈতিক বই চিলেকোঠার সেপাই কিংবা শামসুল হকদের গুরুগম্ভীর ভাবধারার বই। বইয়ের কাজ শুধু সমাজের বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, সামজিক কুসংস্কার, হিংস্রা, প্রতিহিংসা তুলে ধরাই না, বইয়ের মাধ্যমে যে আনন্দ দেয়া যায় তা হুমায়ূন আহমেদ শিখিয়েছেন, পথটাও দেখিয়েছেন।
তুমুল জনপ্রিয়, আলোচিত, সমালোচিত একজন ব্যক্তির জীবনের একটা ছোট স্ক্যান্ডেলকে পুঁজি করে করে আপনি ফিকশন তৈরি করবেন, সেখানে আপনি স্যারের ভালোবাসার মানুষকে ছোট করে আপনি কি মজা ফেলেন তা আমার বোধগম্য নয়ে। হুমায়ূন স্যার কি কখনও বলছে, আমি আমার প্রথম স্ত্রীকে ভালোবাসি না কিংবা দ্বিতীয় স্ত্রীকে অনেক বেশি ভালোবাসি। উনাদের বিবাহ বিচ্ছেদ একান্ত উনাদের ব্যক্তিগত বিষয়। আপনি কোন অধিকারের বলে একটা স্ক্যান্ডেলকের ভেতরের দুঃখকে পুঁজি করে সহনাভূতি নিতে যাচ্ছেন । হুমায়ূন স্যারকে যারা ভালোবাসে তারা অবশ্যই উনার পরিবারকেও ভালোবাসে (সেটা হোক প্রথম কিংবা ২য়)। আর মানুষ কি দ্বিতীয় বিয়ে করে না?
ফারুক সাহেব শুধু ফিকশন তৈরি করে থেমে থাকেন নি। উনি আনন্দবাজার পত্রিকার সাক্ষাতকার দিয়েছে, ছবিটি হুমায়ূন আহমেদের জীবনী অবলম্বনে আবার বারবার অস্বীকারও করেছেন। উনি স্যারের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে ছবি হিট করতে চেয়েচেন। নিজের ছবি হিট করতে যদি আরেকজনের জনপ্রিয়তা লাগে তবে আপনি কেমন ডিরেক্টর। আপনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। হুমায়ূন স্যারের বিয়েটাই আপনার চোখ পড়লো, উনার জীবনের উথান-পতন , লেখক হিসেবে জনপ্রিয়তা, মানুষের ভালোবাসা কি আপনার চোখে পড়েনি? আপনি একজন পিতাকে ছোট করেছেন সন্তানের কাছে, একজন মা কে ছোট করেছেন তার সন্তানের কাছে।
এবার আসি ছবি নিয়ে, আমি আগেও বলেছে এখনও বলছি, আপনার ছবির সবচেয়ে দুর্বল দিক হলো, বাচনভঙ্গি বা শব্দের উচ্চারণ। আপনার ব্যাচলর ছাড়া বাকীগুলোতে এই শব্দ ও ক্যারেক্টারের উচ্চারণে একধরনের রোবট রোবট ভাব চলে আসে। সংলাপ ভালো হলেও ঐ রোবটিক ধরনের জন্য দর্শক আর নিজেকে ঐ দৃশ্যের সাথে একাত্ম করতে পারে না।
আপনি বলছেন, এদেশের দর্শক নাকি বায়োপিক বুঝে না। কিংবা আপনি বলেছেন, আপনি যদি বায়োপিক তৈরি করেন তবে কার কথা সত্য হিসেবে নিবেন, প্রথম স্ত্রীর নাকি দ্বিতীয় স্ত্রীর? এমন অদ্ভট প্রশ্ন যে করতে পারে, সেই ডিরেক্টের পক্ষে আসলে কখনও বায়োপিক তৈরি করা সম্ভব না।
আপনার ডুবই আপনার অর্জিত সম্মানকে ডুবালো।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: তার মানে শাওন এর অভিযোগ ঠিক ছিল

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: পুরাই ঠিক

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৬

স্পার্টাকাস৭১ বলেছেন:
কথা আপনি ঠিক বলেছেন। শাওন যতই খারাপ হোক হুমায়ূন আহামেদের সাথে যে তার সম্পর্ক খারাপ হইছে এমন কথা কখনো সুনি নাই।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১১

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: ছবি তে যেভাবে ২য় স্ত্রীকে দেখানো হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে মৃত্যুর আগে হুমায়ূন আহমেদ ফারুকী বলে গেছে, মেয়েটা জোর করে আমাকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছে

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫২

শেখ আশেক ইব্রাহীম জিহাদ বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ! উনি এক বিস্ময়, একজন যিদু কর । তাকে প্রকাশ করার ক্ষমতা ফারুকি সাহেবর কোথায় ? তার যতটুকু যগ্যতা , তাই তিনি করেছেন ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৩

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: সেটাই। খাপছাড়া খাপছাড়া কত গুলো ফ্রেম যদি ছবি হয়, তবে আর কিছুই বলার নেই

৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:১৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এটা ফিকশান। এখানে একটু এদিক ওদিক হবেই। হুমায়ুন আহমেদ -এর বায়োপিক কেন ভাবতে হবে? কিছুদিন আগে শাহাবুদ্দিন নাগরী-কে গ্রেফতার করা হয়েছে একটা খুনের মামলায়। উনার পরকীয়া ছিল। এখন এই বিষয় নিয়ে গল্প তৈরি করা হয় তাহলে কি সেটা শাহাবুদ্দিন নাগরির বায়োপিক হয়ে যাবে?
মানলাম হুমায়ুন আহমেদকে পুঁজি করে করেছে। কারো জীবনীকে পুঁজি করে কি আর কোন সিনেমা হয়নি কখনো?
আজহার সিনেমায় আজহারউদ্দিনকে হিরো বানানো হয়েছিল। ভাগ মিলখা ভাগ - এ নায়ক অস্ট্রেলিয়ান মেয়ের সাথে সেক্স করে প্র্যাকটিসে দেরী করে যায়। অথচ এটা বাস্তবে ঘটেওনি।
কোন নায়কের দ্বিতীয় বিয়ে প্রথম বউকে তালাক দিয়ে যদি হয় আর সেটা নিয়ে যদি সিনেমা বানানো হয় তাহলে কি সেটা আলমগীরের বায়োপিক হয়ে যাবে?

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৫৮

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: বাদ দিলাম, এটা ফিকশন । তবে উনি নিজেই কেন আনন্দবাজারকে বলল, এটা হুমায়ূন আহমেদের জীবনী অবলম্বনে? এটা বায়োপিক হয়নি, তবুও নৈতিক জায়গা থেকে হুমায়ূন স্যারের জনপ্রিয়তাকে নিজের ছবির প্রচারণায় ব্যবহার করাটা কতটা যুক্তিসংগত??
মার্কেটিং এর জন্য কি আর কোন পথ ছিল না???

৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৪৯

কানিজ রিনা বলেছেন: পৃথিবীতে অনেক সাহিত্যিক কাব্যিক বড় বড়
মনিষীদের নিয়ে নাটক থিয়েটার চলচিত্র তৈরি
হয়েছে, এটা তারই ধারা বাহিকতা।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন নিয়ে কাজী
নজরুল রবিন্দ্রনাথ আরও অনেক অনেক
কবি সাহিত্যিকের ব্যক্তি জীবনের গল্প নাটক
সিনেমার পর্দায় প্রদর্শিত হয় তা নিয়ে সমালনা
হয় বা হবে।
মাইকেল মুধুসূদনের ছবি দেখে কত আলচনা
সমালচনা হয়েছে। তাই বলে কি মাইকেল
মধুসূদন একজন বিখ্যাত ব্যক্তির নামটা
মুছেগেছে। হুমায়ুন আহমেদের জীবনের সাথে
হুবহু মিলে যায় ডুব ছবি, হয়ত আরও
অনেক অনেক মানুষের জীবনের সাথে মিলে
যাবে ডুব ছবি। সন্তানরা বাবার জন্য কষ্ট
পেয়েছে সন্তানরাত হুমায়ন আহম্মেদেরই।
এখানে ব্যক্তিগত কি থাকতে পারে।

বিখ্যাত প্রখ্যাত মানুষের ব্যক্তিজীবন মানুষ
জেনে ফেলে, হুমায়ুন আহম্মাদের জীবন
সম্পর্কে এযুগের সব মানুষ জানে সেখানে
ব্যক্তিজীবন বলতে কি থাকল।

এখন ভবিষ্যতে তার ছেলে মেয়েও হয়ত
তাদের বাবার অভাব কেমন করে কেটেছিল
তা নিয়েও চলচিত্র নাটক হতে পারে।
সেটাও তো তাদের ব্যক্তি জীবন তা নয় কি?
ডুব ছবি দেখে হয়ত অর্ধেক মানুষ পছন্দ
করবে অর্ধেক মানুষ করবে না তাই বলে
হুমায়ুন আহম্মেদ নামটা মুছে যাবেনা।
ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:০১

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: আপনার রিভিউর অপেক্ষায় রইলাম।
ছবিটা দেখার পর আপনি যদি আমাকে বলেন, এটা দেখা যায়, তবে আমি আবার দেখবো।

ফারুকির ছবিতে মার্কেটিং ব্যতিরেক কিছুই নেই।

৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৬:১৮

হিম বাহ বলেছেন: আপনার সাথে একমত, ফারুকী সাহেব বলেছেন এটা হুমায়ুন সারের জীবনী নয়, দুই মিনিটের টেইলার দেখেই বুঝলাম এটা সারের জীবনী আর উনি পুরা ছবি বানিয়েও বুঝলেন না । এই ছবি দেখবনা ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: ছবি দোখতে পারেন, যদি অাপনি ধৈর্যশীল হন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.