নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ সোহাগ (A sinner slave of Allah) 2. সভ্যতার অসংগতি তুলে ধরার চেষ্ঠা করি ।\n

স্বপ্নবাজ তরী

প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক

স্বপ্নবাজ তরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ থাকার চেষ্টা................

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৬

মাঝে মাঝে চিন্তা করি, লেখালেখি করে কি লাভ, যদি লেখার মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, যদি পরিবর্তন না আসে, আমাদের মননে চিন্তায়। সামান্য কয়েকটা লাইক, লাভ ইমু, আর একটা দুইটা শেয়ারই যদি হয় প্রাপ্তি তবে লিখে কি লাভ। তবুও লিখতে হয়, কারণ এখনো মানুষ হিসেবে বাঁচতে চাই। যেদিন পশু হয়ে যাবো সেইদিন আর লিখবো না। কারণ পশুরা পড়ালেখা করেও মানুষ হতে পারবে না। আমরা অদ্ভূত জাতি, আমাদের রক্তে মিশে আছে বহুজাতিসস্ত্বার বীর্য। আমরা এতটাই অদ্ভুত ভুতুড়ে কোথায় কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখা হতে তাও আজ আমরা জানি না। কার কি দায়িত্ব তাও ভূলে গেছি। বাংলা ছবির মতো ঘটনার পর পুলিশের আগমন। সত্যিই হাস্যকর, লজ্জার, ভয়ংকর ঘৃণা সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট। দশ বিশেক ক্যামরাম্যান সাংবাদিকদের সামনে হামলা হচ্ছে কিন্তু সংবাদের হেডলাইন, "আমরা হাঁটছিলাম তাই দেখে তারা পালাচ্ছে।" গুঁটি কয়েক সংবাদ মাধ্যম ছাড়া সবাই বিবেক বিক্রি করে দিয়েছে। একটা দেশের বিরোধীদলের পর সবচেয়ে প্রতিক্রিয়াশীল সংস্থা হচ্ছে সংবাদ মাধ্যম। তাদের এমন দৈন্যতা জাতির স্বাধীনতা হুমকি জন্য যথেষ্ট। একটা মেয়ে একটা ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে, আর সাংবাদিক, মোবাইল ক্যামরা ম্যানরা ছবি খিচ্ছে। একটা মেয়েকে ঘিরে ধরেছে সাত আটজন। তার উড়না টানছে কেউ, কেউ দিচ্ছে গায়ে হাত, কেউ খুঁজছে সুযোগ। সুন্দর। সুন্দর। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও একজন মেয়ে ভেবে খুশি হবার আর কিছুই নেই। অনেক টকশোবাজ নারীরা আজ নিশ্চুপ। কারণ মৃত্যু ভয়। অথচ মৃত্যুত বহু আগে হয়েছে, যখন একজন অসুস্থ ব্যক্তিকে হসফিটালে ভর্তি করাতে অস্বীকার করে এবং রাত আটটায় একজনকে বিনা অপরাধে বের করে দেয়। এমন নিষ্ঠুরতায় যখন মানুষ চুপ থাকে তবে মানুষ রয় কিভাবে সে। প্রকাশ্যে লাঠি, ছুরি নিয়ে প্রশাসনের সামনে যখন হামলা হয় তবে স্বাধীনতা আর থাকে না। প্রশাসনের প্রয়োজনীয়তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আজকের এই পরিবেশ একদিনে তৈরি হয়নি। এই পরিবেশ ধীরে ধীরে তৈরি হয়েছে। সরকার যখন জনগনের ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে তখন এমনটা হওয়া অনিবার্য। অনুগত বাহিনী হয়ে উঠে উগ্র কারণ তারাও বুঝে, সরকার তাদের কাঁধের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটাকেই বলে, লেজ গরুকে নাড়ে। একদিন হয়ত কোটা সংস্কার হবে, তবে মানুষের অন্তরে সৃষ্ট হওয়া ভয়ংকর ঘৃণার কি সংস্কার হবে?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৩৫

রাকু হাসান বলেছেন: যখন ভিডিও ফুটেজ দেখছিলাম ....তখন ভাবছিলাম ,,আচ্ছা কেই না কেউ তো সাহয্যে এগিয়ে আসতে পারতো ..পরে ভাবলাম হয়তো তাদের দায়িত্বে পড়ে না ,তাই ...যখন নুরকে মারছিলো তখনও পাশে অনেকে ছিল যারা নীরব দর্শক হয়ে উপভোগ করছিলো । প্রতিবাদ টা হয় না ,ভয়, ভয় ...নারীবাদী রা এখন কথা বলবে না । এমন একটি সমাজ হয়ে গেছে যেখানে প্রকাশ্য কেউ মরতে থাকলেই সাহায্য করবে না । এই সব ভাবি যখন ,প্রশ্ন জাগে অনেক কিছুর । আপনার রেখে যাওয়ার প্রশ্নটির উত্তর হ্যা তবে যদি কিন্ত অনেক এখানে । দীর্ঘপথ,ত্যাগ ,উদারতা অনেক কিছু দরকার । এ সবের কোন লক্ষণ আমার ছোট জ্ঞানের পরিধিতে ধরছে না । তবু স্বপ্ন দেখি ভাল একটা সমাজের । ...আমার একটি প্রশ্ন আমরা কি সভ্য হচ্ছি ?

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: এই ঘটনায় আমি প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছি। কিন্তু কিছুই করতে পারিনি।

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন: মানুষ থাকার চেষ্টা ... :-<

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.