নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ সোহাগ (A sinner slave of Allah) 2. সভ্যতার অসংগতি তুলে ধরার চেষ্ঠা করি ।\n

স্বপ্নবাজ তরী

প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক

স্বপ্নবাজ তরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসহায় বাংলাদেশ.. অসহায় জনগন

২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৯

আজকের এই আধুনিক বিশ্ব সমাজ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের মত এত দূর্ভাগা, অসহায় জাতি মনে হয় আর একটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিশ্ব যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমাদেরকে টেনে দরে রাখছে, এক অশুভশক্তি। তা হল আমাদের অপরিপক্ব রাজনীতি। বারবার এই অশুভ শক্তি আমাদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেও, আমরা জাতি হিসেবে এতই অসংগঠিত, অপরিনামদর্শী যে, আমরা যেনে শুনে বারবার অাগুনে পা দিয়েই যাচ্ছি।
আমাদের রাজনীতি কে এমনভাবে দ্বিজাতিতত্ত্বের মতো দ্বিরাজনীতিতে পরিনীতি করেছে ও বর্তমান সমাজকে এমনভাবে দ্বিখন্ডিত করেছে, বাবা- ছেলে, ভাই-ভাই, চাচা - ভাতিজা কে সামনাসামনি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এমন এক ভীতকর পরিবেশ তৈরি করেছে , বাবা ছেলের, ভাই ভাইর , ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে।
দ্বিরাজনীতি ব্যবস্থা দেশকে এমন এক আবদ্ধ ঘরে আটকে রেখেছে, যেখানে সূর্যের আলো পৌছার কোন ব্যবস্থা নেই,ফলে নতুন করে ফসল উৎপাদের কোন সম্ভবনাই নেই, শুধু কি তাই, যা আছে তা থেকে নতুন কোন ফসল উৎপাদনেরও কোন উদ্দেগ্যও নেই। তারা আবদ্ধ ঘরে রেখে, জনগনের মধ্যে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, দৈনন্দিন বা বেঁচে থাকার যাবতীয় পণ্যসামগ্রী কে তাদের মূল হাতিয়ার হিসেবে নিজেদের মধ্যে কবজ্জা করে রেখে জনগনকে তাদের হুকুমের গোলাম বানিয়ে রেখেছে। মাঝে মাঝে জনগনের মধ্যে থেকে যারাই বিদ্রোহ করেছে, তাদেরকে হয়তো মরতে হয়েছে আর না হয় মরার মত বেঁচে থাকতে হচ্ছে। দুই দলের গদি দখলের জন্য হানা হানা, মারামারি, খুন, দুর্নীতি, অনিয়ম, অপশাসন, অপরিকল্পিত সমাজ উন্নয়ণ ব্যবস্থার কারনে বর্তমানে এমন এক ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, মানুষ বিচার ব্যবস্থার উপর থেকে এতটাই অাস্থা হারিয়ে ফেলেছে যে, প্রকাশ্যে খুনের বিচারও পরজগতের বিচারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে।
জনগন বুঝতে পারছে, তারা অর্থনীতির দুষ্টচক্রের মত রাজনীতির দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়ে, বারবার একই বৃত্তের পরিধির চারপাশে ঘুরতেছে। তারা এইও জানে, এই দুষ্টচক্র থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই দুর্বিষহ জীবন ব্যবস্থা হতে মুক্তিও নেই। এত কিছু বুঝতে পেরেও তারা অাজ পথহারা , কারন এই ব্যবস্থাকে ভেঙে নতুন করে, নতুন ব্যবস্থা পরিচালনা করার মত, সুনির্দিষ্ট কোন দিক নির্দেশনা যেমন নেই, তেমনি তাদেরকে নির্দেশনা দেবার মত কোন সৎ নেতাও তাদের মধ্যে নেই।
একসময়ে এদেশের উন্নয়নের মূল বাধা ছিল বিট্রিশরা, এরপর ছিল পাকিস্তানিরা, কিন্তু বর্তমানে হচ্ছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং তাদের লালিত পালিত শিক্ষিত,অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত, লোভী, দুর্নীতিবাজ, চোরবাটপার, খুনেরর আসামি জাতীয় বিভিন্ন প্রজাতির সুবিধাবাদী নেতা। যাদের কাছে কুলিমুজুর থেকে শুরু করে সম্মানিত শিক্ষক পর্যন্ত অপমান অপদস্থ, এমনকি পায়ে ধরে ক্ষমা পর্যন্ত চাইতে বাধ্য। বিট্রিশ এবং পাকিস্তানিদেরকে যুদ্ধের মাধ্যমে তাড়ানো গিয়েছে, মুক্তি মিলেছে সাধারন মানুষের অপশাসন থেকে। কিন্তু যাদেরকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি, তাদের থেকে মুক্তি লাভের একটি উপায় ছিল, ভোটের মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমানে দেশ এতটাই ডিজিটাল হয়েছে যে, সেই পুরানো ভোটাধিকার টাও বর্তমানে নেই। আপনি ঘরে না শুধু বিদেশে থাকলেও অসুবিধা নাই, আপনার ভোট, ভোটের আগের দিনই কাস্ট হয়ে যাবে। আপনাকে কষ্ট করে ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে না।
ফলে মুক্তি আপনি সহজে পাবেন কি? না।
প্রশাসনের প্রত্যেকটি পর্যায় রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে। স্বাধীন কোন প্রতিষ্ঠান নেই। এমনকি বেসরকারি গণমাধ্যমও, সরকারের পা চাটা ভৃতে পরিনত হয়েছে, অথচ তাদেরই উচিত ছিল , অনিয়ম, দুর্নীতি, অপশাসনের অন্তঃপুরের কাহিনী জনগনের সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে গন আন্দোলণ সংগঠিত করা।
আজকে জাতি হিসেবে আমরা এতই অপরিনামদর্শী, খামখেয়ালিপনা, এতটাই বেখেয়ালি, আমরা জানি না, সাধারণ মানুষ জানেই না তাদের ভবিষ্যৎ কি, পাঁচ বছর পর তারা কোথায় দাঁড়াবে অথবা জাতি হিসেবে তাদের লক্ষ্য কি, দেশের ভবিষ্যৎ কি?। শুধু কি সাধারন জনগন, আমি হলফ করে বলতে, যাদেরকে জাতি নির্বাচিত করেছে, তাদের কাছেও এই সকল প্রশ্নের উত্তর পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে। যাদেরকে এদেশের মানুষ সুশীল বলে, তারা মনে হয় আন্দাজ করতে পারবে না, বাংলার ভবিষ্যৎ কোন দিকে মোড় নিবে।
এতকিছুর মূল সমস্যা একথায় বলা যায়, আমাদের দুষ্টরাজনীতিচক্র। এই বিষবৃক্ষ সম্পর্কে ছেলে, বুড়ো, থেকে শুরু করে শিক্ষিত, অশিক্ষিত, সুশীল সমাজ সবাই অবগত, তবু আমরা জাতি হিসবে ঐক্য বদ্ধ হতে না পারা সত্যিই দুর্ভাগ্য। শুধু মৃত্যুভয়, আর জেলের ভয়ে আজ সবাই এই অন্যায় অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছে সবাই।
আমরা সবাই অপেক্ষায় আছি, কেউ এসে আমাদের কে এই অন্ধকার প্রকোষ্ঠ হতে উদ্ধার করে, মুক্তির স্বাদ দিবে। এমনটা ভেবে থাকলে তা হবে চরম বোকামি। স্বয়ং আল্লাহ যেখানে বলেছে, "যে জাতি নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে সচেষ্ট নহে,...................
সেখানে আমি, আপনি, যদি এভাবে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকে, আর ভাবতে থাকে একদিন কেউ এসে আমাদের ভাগ্য পরিবর্ত করে দিবে, তবে মনে রেখো সেই একদিন আর আসবে না, এই অন্যায়, অপশাসন, দুর্নীতি, অবিচার আমাদের ওপর অভিশাপ স্বরূপ চলতে থাকবে এবং পরবর্তী প্রজম্মর ওপরও চলবে। আর ইতিহাসে আমাদের ঠাঁই হবে, দুর্বল চিত্তের, এবং নিকৃষ্ট মানুষ হিসেবে।
এমন অনিয়ম, দুষ্ট রাজনীতির বেড়াজালে পড়া শর্তেও আবারও আমাদেরকে এক হয়ে ভাঙতে দুষ্টরাজনীতিচক্রকে।
সময় লাগবে বেশী, ত্যাগও করতে হবে বেশী কারণ দুষ্টচক্রের হাত পা বড্ডই বড় হয়ে গেছে, অার শুরু করতে হবে আমাদেরকেই, আমাদের পরবর্তী প্রজম্মের জন্য, না হলে এর দায়বার ও কুফল দুইটাই আমাদেরকে বহন করতে হবে ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই সরকারের বদলে কারা সরকার চালালে অবস্হা ভালোর দিকে যাবে?

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৮

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দেশে ভালো কোন রাজনৈতিক দল নাই, কাকে দিবেন ক্ষমতা । আজকে যতটা দেশে যুদ্ধ-বিগ্রহ চলছে, তার প্রথম ধাপ কিন্তু গৃহযুদ্ধ । ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তান, তারপর তালেবানের উত্তপত্তি, তারপর আমেরিকা দ্বারা রাষ্ট্র দখল । সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন যেই দেশেই বলেন, সেটার শুরু গৃহযুদ্ধ থেকেই । আমরা ও সেই পথে হাটতেছি । বাংলাদেশের ভবিষ্যত খুবই ভয়াবহ ।

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় বহু দল থাকলেও বেশিরভাগ দেশেই বাংলাদেশের মতোই দুই প্রধান রাজনৈতিক দলকেই রাজনীতিতে গুরুত্ব পেতে দেখা গেছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানেও এই দ্বিদলীয় শাসন ব্যবস্থাকেই সবচেয়ে ভালো বিকল্প হিসেবে ধরা হয়। সাধারণ জনগণ তৃতীয় শক্তির কথাটা শুনতে শুনতে অনেকটা বিরক্ত হয়ে গেছে। সেটা আদৌ আসবে কিনা তা সবার প্রশ্ন?

মূলত কোনো রাজনৈতিক সংকট তৈরি হলেই বাংলাদেশে এই কথিত তৃতীয় শক্তির প্রসঙ্গ উঠে আসে। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির বাইরে তৃতীয় রাজনৈতিক ধারার জন্য জনগণ মুখিয়ে আছে, এ ধরনের প্রচার চলে জোরেশোরেই। কিন্তু এর বাস্তবায়ন নেই। আর পেশাজীবী, পরিবর্তনের ডাক দিয়ে গড়া সংগঠন, দলে গুরুত্ব হারানো রাজনৈতিক নেতা বা রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লেষ নেই এমন মানুষরাই বেশিরভাগ এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করেন।

মূলত আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দুই দলের বিরুদ্ধেই অগণতান্ত্রিক আচরণ, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ফলশ্রুতিতে বারবার উঠে এসেছে এই কথিত তৃতীয় শক্তির প্রসঙ্গ। এর মধ্যে কেউ কেউ রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের কথা বললেও অরাজনৈতিক শক্তির প্রসঙ্গও আসে নানা সময়, যদিও সেই বিষয়টি নিয়ে কেউ তেমন কথা বাড়াতে চান না।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে তৃতীয় শক্তির শব্দটির বহুল ব্যবহার শুরু হয়। সে সময় হঠাৎ সামনে আসেন গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু তার নাগরিক শক্তি ফুরিয়ে যায় বিকশিত হওয়ার আগেই। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর আর রাজনৈতিক অভিলাষ শোনা যায়নি ক্ষুদ্র ঋণের এই প্রবক্তার।

অদূর ভবিষ্যতে তৃতীয় শক্তি আসার কোন চান্স নেই; তবে, আসলে ভাল হত।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রাজনীতিতে দ্বিদলীয় ব্যবস্থা খারাপ কিছু না।
অনেক দেশেই আছে। আমেরিকায় ও আছে।

কিন্তু আমাদের দেশে একটা বেসিক সমস্যা।
একটি দল ও সমর্থকরা বলতে গেলে স্বাধীনতা বিরোধী।
মুক্তিযুদ্ধকে মহান পাকিস্তান ভাগ করে দুর্বল দেশে পরিনত করার ভারতীয় চক্রান্ত হিসেবে দেখে।
জাতীয় সঙ্গীত মানে না, বলে হিন্দুয়ানী সঙ্গীত।
মুজিবকে বঙ্গবন্ধু বললে তাদের অজু নষ্ট হয়ে যায়।
নিজ দেশকেও ভালবাসে না। ভালবাসে মরুভূমির একটি দেশকে।

৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশ টা ছোট। মানুষ বেশি। আর এই বেশির ভাগ মানুষই নির্বোধ শ্রেনীর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.