নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ সোহাগ (A sinner slave of Allah) 2. সভ্যতার অসংগতি তুলে ধরার চেষ্ঠা করি ।\n

স্বপ্নবাজ তরী

প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক

স্বপ্নবাজ তরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাল থেকে কালান্তরে

২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৯

কয়েকদিন ধরে চিন্তা করছি একটা লেখা লিখমু। ফাটাফাটি টাইপের লেখা। তথ্য উপাত্ত দিয়ে ভরা একখান লেখা। মোটা দাগে বলা যায় ভারি এবং ভাব মারার মত লেখা। সরকারি দল, বিরোধীদল সবদলকে ইচ্ছে মতো শাসানো টাইপের। প্রথমে চিন্তা করলাম, সোনা চুরি নিয়ে লিখমু। এতগুলো সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো জায়গা থেকে ২২ ক্যারেটের সোনা ১৮ ক্যারেট হলো কিভাবে? কয়েকটা কলাম, সম্পাদকীয় পড়ে বুঝলাম এই সোনা চুরির ব্যপারটা অত সহজ বিষয় না। এখানে রতি মহারতিরা জড়িত। সরকার এইটাকে ইংরেজি আট(8) আর বাংলা চার(৪) মারপ্যাঁচে ফেলে এমন ঘোলা করছে, এখন নতুন তদন্ত কর্মকর্তাও সেখানো গোল খেয়ে যাবেন। অসাধারণ টেকনিক সরকারের। সরকার অবশ্যই সাধুবাদ পাবার যোগ্য। তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সরকার তার চেয়েও বড় গোল খাইয়েছে। প্রথমে দাবী মেনে নিয়ে পরে হাইকোর্ট দেখালেন। কিছু ছেলেমেয়ে ত রিমান্ড, জেলও দেখছে। কি অভাবনীয় পদ্ধতি। আপনি রাস্তা নামছেন ত আপনি বিএনপি, জামায়তের এজেন্ট হয়ে গেলেন। একবারও চিন্তা করছে না, ভাবছেনা, আন্দোলনের কারন গুলো কতটুকু যুক্তিক। প্রধানমন্ত্রী কাঁদলেন, ঐশীর জন্য অথচ রাশেদের মা কেঁদেই যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর চোখেই পড়ে না। ছেলেটার অন্যায় সে সত্য কথা বলছে, ন্যায়ের জন্য রাস্তায় নামছে। এইটুকু। ছাত্রলীগকে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব দিলেন মেয়েদের নিরাপত্তা দেখার। তারা সেটা করেছে ঠিকভাবেই, রাস্তায় মেয়েদের উড়না টেনে হেঁচড়ে, হাতুরি দিয়ে হাড় ভেঙ্গে, শিক্ষকদের কে আঙুল তুলে শাসিয়ে। প্রধানমন্ত্রী এইগুলো দেখে না। হয়ত উনিও জাফর স্যারের মতো কয়েকটা ইংরেজি পত্রিকা আর ডিসবিহীন টেলিভিশন দেখেন। আমার যদি কখনও সুযোগ হত তবে প্রধানমন্ত্রীকে একখান ফেসবুক আইডি খুলে দিতাম। তারপর উনাকে ফলো করতাম,এতে যদি অন্তত জামায়েত, বিএনপি ট্যাগ থেকে মুক্তি পাই। কয়লা চুরি হচ্ছে গত পাঁচ বছর ধরে। কেউ জানে না। তদন্ত চলছে। কেউ তদন্ত রিপোর্ট চাহিবেন না কারণ মেয়েদের বয়স এবং বাংলাদেশের তদন্ত রিপোর্ট গোপন থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। কে জানে, কয়লা খুঁড়তে গিয়ে আবার কোন নাগ সাপ বের হয়ে আসে? নির্বাচন চলছে, তিন সিটিতে মেয়র নির্বাচন। একটা মেয়েকে দেখলাম ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী। লাইভে এসে হতাশামাখা কন্ঠে বলে যাচ্ছে, কিভাবে আগে থেকেই ব্যালট পেপারে সিল দেয়া ছিল, নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তার কথা, আর পেছন থেকে উনাকে ধাক্কা মারার কথা। ও ভুলে গেছি, উনিও মেয়র পদপ্রার্থী। একজন মেয়র পদপ্রার্থীর এমন করুন অবস্থা হলে ভোটারদের কি অবস্থা তা সহজে অনুমেয়। ফলাফল দিল, দুইজন অাওয়ামী জিতেছে একজন বিএনপি। আমি ভাবতে থাকলাম এমন নির্বাচনে বিএনপি জিতে ক্যামনে? পরে সজীব ওয়াজেদ জয় তার উত্তর দিল, পোলাপান নাকি নৌকা মার্কা স্লোগান দিতে দিতে কেন্দ্র ঢুকে ধানের শীর্ষে সিল মারছে। তার মানে উনি মেনে নিয়েছে, এই রকম নৌকা নৌকা স্লোগান দিলেই যে কেউ কেন্দ্র ঢুকতে পারে? আর বাকী প্রার্থীরাও একই ভাবে কেন্দ্রে ঢুকে সিল মেরে জিতেছে? এটার নামই হয়ত ডিজিটাল নির্বাচন। যেটা স্যাটেলাইট থেকে নিয়ন্ত্রন করা হয়। পোলাপানের ভাষায় বলতে মন চায়, এমন চ্যাটের নির্বাচন চাই না।
নিরাপদ সড়ক চাই অন্দোলন এখন নিরাপদ গুজব চাই তে পরিণত হয়েছে। তবে পোলাপান গুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল, মন্ত্রী, সচিব, পুলিশ, আর্মি, বিজিবির গাড়ীর যেখানে লাইসেন্স সমস্যা সেখানে অর্ধ শিক্ষিত, অশিক্ষিত হেলপার, ড্রাইভারের কি দরকার লাইসেন্সের? মধ্যখান দিয়ে হাত, মাথা, পা ফাটলো কিছু ছেলেমেয়ের, আর জেলে গেল বেসরকারি ভার্সিটির কিছু ছেলে। বিনিময়ে দেশ পেল ১৫ দিনের ট্রাফিক সাপ্তাহ।
বিএনপি কি করছে? গত তিন বছর তাদের চোখে পড়ার মত কোন কার্যক্রমই ছিল না। রুটিন ওয়ার্ক রিজভী সাহেব একটা সংবাদ সম্মেলন করেই যাচ্ছে। আন্দোলন ছাড়া গতি নাই তবে ঈদের পরে আন্দোলন হবে সেটা কোন ঈদ পরে জানিয়ে দেয়া হবে টাইপের।
বিএনপিকে মানুষ কেন ভোট দিবে? এই প্রশ্নটাই আমি করেছি কয়েকজন কে? কেউই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি? সমর্থকের একটাই উত্তর, সরকার দুর্নীতি করছে, দেশের সম্পদ পাচার করছে, দেশে চাকুরি নাই, নিরাপদ সড়ক নাই, গুম হচ্ছে তাই সরকারের পতন চাই, বিএনপির ক্ষমতা চাই। এর সাথে বিএনপির ক্ষমতার কি সম্পর্ক? বিএনপি আসলে কি এইসব বন্ধ হবে, এর কোন গ্যারান্টি স্বয়ং রিজভীও দিতে পারবে না? বরং পরিসংখ্যান বলে, দেশ আরো রসাতলে যাবে। তবে শুধু শুধু কেন সরকার পরিবর্তন, বর্তমান সরকারই থাকুক। জনগনের কল্যাণে, জনগণের জন্য কতজন বিএনপি নেতা জীবন দিয়েছে, কতজন মাঠে নেমেছিল, কতজন প্রেসব্রিফিং দিয়েছিল? বরং বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের মুক্তির আন্দোলনে জীবন দিয়েছে বহুযাত্রী পেট্রোবোমার আঘাতে।

কাল থেকে কালান্তরে
মুক্তি নেই
অসীম অবিশ্বাসের দ্বন্ধে

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৮

সাগর শরীফ বলেছেন: বাদ দিবেন না ভাই কিছু ।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: যদি আপনাকে একজন বিজ্ঞানীর নাম বলতে বলা হয় তাহলে প্রথমে আপনার মনে কার নাম আসবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.