নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ সোহাগ (A sinner slave of Allah) 2. সভ্যতার অসংগতি তুলে ধরার চেষ্ঠা করি ।\n

স্বপ্নবাজ তরী

প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক

স্বপ্নবাজ তরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে করোনার ভবিষ্যৎ

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৮

অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করলে বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কম। কিন্তু বাস্তবে এই হিসেবটা অর্থহীন। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ৬১ এবং মৃত্যু ৬ যা শতাংশের হিসেবে আক্রান্তের প্রায় ১০%। এটা ভয়ের তবে আরো ভয়ের বিষয় হচ্ছে গত দুই সপ্তাহে দেশে করোনা লক্ষন নিয়ে মারা গেছে অনুমানিক ১৫-২০ জন। যাদের অনেকের মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ পাওযা যায়। অারেকটি ভয়ের বিষয় হচ্ছে, আমরা ভাইরাসটিকে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় আবদ্ধ করতে পারিনি যেমনটা চায়না করেছে উহানকে। বরং সরকারের লকডাউন ঘোষনার সাথে সাথে আমরা দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে গেছি, সাথে ভাইরাসকেও। যার প্রমান লক্ষন নিয়ে মারা যাওয়া রোগীরা প্রত্যকেই ভিন্ন ভিন্ন জেলা, উপজেলার। কিন্তু বাংলাদেশের যথেষ্ট সুযোগ ছিল ভাইরাসকে নির্দিষ্ট গন্ডিতে আবদ্ধ করার।

সামনে যা ঘটবে তা এখন বলি। এক. ইদের পর পুরোদমে সরকারি, বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান খুলতে বাধ্য হবে সরকার। কিন্তু ভাইরাস কি নিশ্চিহ্ন হবে? হবে না। আপনারা যারা অপেক্ষা করছেন একদিনে ১০০০ মৃত্যুর জন্যে, এমনটা এদেশে হবে না কারণ এদেশের সিস্টেমে সেটা কাউন্ট করা যাবে না। বরং এই দুই মাসের মধ্যে এদেশের মানুষ করোনাকে আপন করে নিবে। ক্যান্সার, হার্ট এ্যাটাক, নিউমোনিয়া, রোগের মৃত্যু যেমন সকলে মেনে নিছে তেমনি সাধারণ সর্দি, জ্বরে আক্রান্তরা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াবে সাধারন জ্বর ভেবে এবং সাথে এদেশের চিকিৎসা সেবার অপর্যাপ্ততা সুযোগে, কেউ কেউ করোনাকে প্রতিরোধ করে বেঁচে যাবে এবং কেউ কেউ মারা যাবে। আর বেঁচে যাওয়া এবং মারা যাওয়া উভয়ে তাদের আশে পাশের সকলের মাঝে ভাইরাস ছড়িয়ে বেড়াবে। যা বছর জুড়ে স্লো পয়জনের মত মৃত্যুর দেবদূত হিসেবে এদেশে টিকে যাবে।

যারা ভাবছেন আমি ত মনে হয় বেঁচে গেছি, বাস্তবে এমনটা হবে না। এদেশের সকলেই সংক্রমিত হবে। কেউ মরবে আর যারা বাঁচবে তারা ভাইরাসের বাহক হয়ে অন্যের মাঝে ছড়াবে।
তাই বলি আগামী দুই মাস stay home, stay safe and safe other's life.
বিঃদ্রঃ ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, ত্রান বিতরনের জন্য একটা সেনা বাহিনীভিত্তিক ত্রান কমিটি করা উচিত। যেমনটা করা হয়েছে রোহিঙ্গাদের জন্য। সকল ত্রান সেনাসদস্যের কাছে জমা দিবে সকল ধরনের সেচ্ছাসেবী সংঘটন আর বন্টন করবে সেনাবাহিনী। কারন গত কয়েক দিন বিভিন্ন সংঘটনের ত্রান বিতরন দেখে মনে হচ্ছে, তারা ডেকে ডেকে বলছে..

আসো ভাই, লাইনে দাঁড়াই
করোনা নিয়ে বাড়ি যাই

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


সম্ভব

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমরা কি চিন,আমেরিকা কিংবা জার্মানী কানাডার মত বৃত্তশালী দেশ?
আমরা গত মাসের বেতন পাইনি এখনো, এ মাসের বেতন দেবেনা
বলে জানিয়েছে কোম্পানীর মালিক। এক মাস লডাউন হয়ে ঘরে
থাকলে পরবর্তী মাসে না খেয়েই মরতে হবে। করোনাকে ভয়ের
চেয়ে না খয়ে মরার ভয় অনেক বেশী।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০৫

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: সবচেয়ে খারাপ সময় এখন মধ্যবিত্তের। সামনের দিনগুলি আরো বাজে হবে আমাদের

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪০

নেওয়াজ আলি বলেছেন:

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০৪

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: হুম। মধ্যবিত্ত জীবন না ,প্যারা

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২০

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি হিসেব দিয়েছে, দোকান বন্ধ থাকায় একদিনে তাদের ক্ষতি হচ্ছে ১০৭৪ কোটি টাকা। ক্ষতিপূরণ হিসেবে তারা সরকারের কাছে আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণসহায়তা চায়। এ ঋণ এক বছর মেয়াদে, যা তারা ছ' মাস পর থেকে শোধ করতে শুরু করবে।
আমি খবরটা পড়ে কিছুই বুঝতে পারি নি। প্রথমত, লাভ না হওয়া আর ক্ষতি হওয়া এক কথা নয়। যদি একে দোকানদারদের ক্ষতি বলি, তার অর্থ দাঁড়ায়—দোকান বন্ধ থাকায় সদাইপাতি সমিতির প্রতিদিন লাভ হচ্ছে ১০৭৪ কোটি টাকা। হা হা হা। কিন্তু চালবাজি এখানেই শেষ নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.