নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ সোহাগ (A sinner slave of Allah) 2. সভ্যতার অসংগতি তুলে ধরার চেষ্ঠা করি ।\n

স্বপ্নবাজ তরী

প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক

স্বপ্নবাজ তরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াই বিশ্ব করোনার বিরোদ্ধে যুদ্ধ করে চলছে

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০১

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াই বিশ্ব করোনার বিরোদ্ধে যুদ্ধ করে চলছে
মুল লেখক : Zhang Tangjun (Global times)
অনুবাদক: মোহাম্মদ সোহাগ
=====================================

করোনা ভাইরাসের সংকট যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক নেতৃত্ব কে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করেছে। এই শতকে মধ্যে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সেবা সর্বোচ্চ খারাপ অবস্থার সম্মুখীন।
পশ্চিমা বিশ্ব শুধু মাহামারী ঠেকাতেই ব্যর্থ নয়, সাথে সাথে বৈশ্বিক নেতৃত্বেও ব্যর্থতার সম্মুখীন। মিউনিখ সিকিরিটি কনফারেন্সের আলোচ্য বিষয়, "পশ্চিমানির্ভরতা হ্রাস নীতি " আবারও সমানে আসছে বারবার। যেখানে মহামারী পুরো বিশ্বকে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে নিক্ষেপ করেছে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ভুমিকা এখনও প্রশ্নবিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র আক্রান্তের দিক দিয়ে সর্বোচ্চ অবস্থায় থাকার পরও ট্রাম্প প্রশাসন সেখানে বিশ্বায়ন ব্যবস্থাকে দোষারোপ করে যাচ্ছে, সাথে সাথে ভাইরাসকে রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে সামনে এনে বৈশ্বিক দায়িত্ব থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসন নেত্বত সংকটে ভুগছে যার মধ্যে
প্রথমত, অভ্যন্তরীণ সংকট মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত না থাকা। মহামারীর শুরুদিকে গুরুত্বহীনতা এবং মুল্যবান দুইমাস হেলায় পার করাই কাল হয়েছে। ফলে ভাইরাসটির প্রকোপ দ্রুত ছড়িয়ে স্বাস্থ্য সেবাকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে। বোস্টন গ্লোব হয়ত সত্যিই বলেছে, ট্রাম্পের হাতে রক্তের দাগ দরকার।

দ্বিতীয়ত, ইউরোপের মিত্রদের দিক হতে ট্রাম্প প্রশাসনের দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়া। যখন ইউরোপে মহামারী দিনকে দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে তখনই ট্রাম্প প্রশাসন সহযোগিতার পরিবর্তে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। যা শুধু আমেরিকার মিত্রদের প্রতি অঙ্গীকার ভঙ্গই নয় বরং তা আমেরিকার নেত্বতকেও প্রশ্নের সম্মুখীনে ফেলেছে।

তৃতীয়ত, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় এখনও যুক্তরাষ্ট্রের অবদান যতসামান্যই। যেখানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টাই হচ্ছ এই সংকট উত্তোরনের একমাত্র উপায়। সেখানে ট্রাম্প প্রশাসন ব্যস্ত একাত্ববাদ ও সংরক্ষনবাদ নীতিতে। কোন প্রকার কার্যকর সহযোগিতা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র চীনের বৈশ্বিক রাজনৈতিক সহযোগিতাকেও তাদের চর্চিত বিষয় বানিয়েছে। যা নেতৃত্ব শূন্যতারই বহিঃ প্রকাশ।

মহামারির এই সংকট কালেও ট্রাম্প প্রশাসন তাদের কূটনীতিক দর্শন, " আমেরিকান ফার্স্ট" নীতি আঁকড়ে রয়েছে। যার ফল হয়ত সমানের নির্বাচনে ঘরে তুলতে চাইবে ট্রাম্প। যার নির্দেশন মিডিয়া এবং ডেমোক্রেটিক পার্টিকে ক্রমবর্ধমান দোষারোপ এবং নিউইয়র্ক এবং ক্যালিফোর্নিয়ার সংকটকে গুরুত্বসহকারে জনগনের সামনে তুলে ধরা। আমেরিকান ফার্স্ট নীতির আরেকটা দিক হচ্ছে, আমেরিকান নেতৃত্ব কে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে না পারা। আমেরিকা কিছু করেনি তা বলা যাবে না বরং আমেরিকা সব রকম প্রচেষ্টাই করেছে শুধু কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ব্যবস্থা না করে। যেমন করোনা ভাইরাসকে "চীনা ভাইরাস" বলে সম্বোধন করে বিশ্বের সামনে চীনের ভাবমূর্তি ক্ষূন করা এবং চীনের বৈশ্বিক সহযোগিতাকে খাটো করে দেখানো।

আত্নকেন্দ্রিকতা লুকে আছে আধুনিক সিস্টেমের মাঝেই যার বীজ বপন করা হয় ১৬৪৮ সালের শান্তি চুক্তির মাধ্যমে। চুক্তির সময়, ইউরোপের দেশ সমূহ বৈশ্বিক নেতৃত্ব ও সহযেগিতাকে গুরুত্ব দিলেও সংকটকালে তারা প্রত্যকেই সুবিধা খুঁজতে থাকে অন্যের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে। যার ফলে মতাদর্শ গত যুদ্ধ এখনও চলমান। যা বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধির সবচেয়ে বড় বাঁধা।
পশ্চিমা বিশ্ব সবসময় জিরো সাম গেম(zero sum game) খেলতে পছন্দ করে যার নতুন নাম হচ্ছে আমেরিকান ফার্স্ট।
বিশ্বনেতৃত্ব বৃন্দগন ধীরে ধীরে উপলব্ধি করছে যে আমেরিকান ফার্স্ট নীতি বৈশ্বিক নীতির জন্য কতটা ক্ষতিকর। আমেরিকান নীতি ফলে ধীরে ধীরে দায়বোধ ও প্রতিনিধিত্ব মুলক বেশ্বিক কাঠামো তে ভাঙন শুরু হয়েছে। যার সর্বোচ্চ ভঙ্গুরতম মুর্হুর্তে বিশ্ব আজ।
ভাইরাস সীমানা পিলার এবং মতাদর্শ মানে না। পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার মাধ্যমেই মহামারী মোকাবেলা করতে হবে। সুখবর হচ্ছে অনেক দেশই এখন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তে চীনের ওপর নির্ভরতা করছে এবং বড় শক্তিশালী দেশ হিসেবে চীনও যতটা তড়িৎ সম্ভব সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে । যা বিশ্বকে অামেরিকার অনুপস্থিতি অনুধাবনও করতে দিচ্ছে না। আমেরিকা ছাড়াও বিশ্ব চলতে পারে, এটা তারই প্রমান বহন করে।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের প্রশাসন চীনের উপর নির্ভর করছে; বাংগালী ইন্জিনিয়ারেরা চাকুরী না পেয়ে "টোকাই" হচ্ছে, চীনা টেকনিসিয়ানরা বাংলাদেশের সেতু, রাস্তা, কারখানা তৈরি করছে। আপনিও বাংলাদেশে বসে চীনা ফার্মে চাকুরী পেতে পারেন।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৬

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: করোনা মহামারীর পরে বিশ্বে চীন নির্ভরতা অারো বৃদ্ধি পাবো। চীন কেন্দ্রিক বিশ্ব গড়ে উঠার সমূহ সম্ভাবনা অাছে।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " করোনা মহামারীর পরে বিশ্বে চীন নির্ভরতা অারো বৃদ্ধি পাবো। চীন কেন্দ্রিক বিশ্ব গড়ে উঠার সমূহ সম্ভাবনা অাছে। "

-চীনের উপর বার্মা ব্যতিত কোন দেশ নির্ভর করে না; বাংলাদেশ ও আফ্রিকার দেশসমুহ চীনমুখী হয়েছে, নিজ দেশের সম্পদ ডাকাতি করতে গিয়ে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৯

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: এটাও একটা কারণ

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: চীন ভালো থাকুক। আম্রিকা ভালো থাকুক। বাংলাদেশ ভালো থাকুক।
সমস্ত দেশ ভালো থাকুক। তবেই না শান্তিময় একটা বিশ্ব হবে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৫

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: Stay home, stay safe.

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিশ্বের প্রায় সকল মেডিকেল গবেষণা, ইলেক্ট্র মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট গবেষণা, টিকা উদ্ভাবন, দীর্ঘমেয়াদি সাইডেফেক্ট ফলোআপ সহ তাবত গবেষণার ৯০% আমেরিকাতে তথা আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়েরই হয়ে থাকে।
ঔষধ আমেরিকান এফডিএ অনুমোদন না দিলে ডাডব্লিউএইচও অনুমোদন দেয় না।
আমেরিকার সমকক্ষ হতে চীনের আরো ১০০ বছর লাগবে

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৮

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: এটাও মনে রাখা উচিত, চিকিৎসা সামগ্রীর জন্য যুক্তরাষ্ট্র এখনও অন্যান্য দেশের উপর নির্ভরশীল

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পুরা দুনিয়াই চীন নিয়ন্ত্রণ করতে চায়

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৯

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: সামনে হয়ত চীন আরো বেশি নিয়ন্ত্রকের ভুমিকা পালন করবে

৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " সামনে হয়ত চীন আরো বেশি নিয়ন্ত্রকের ভুমিকা পালন করবে "

-আমার চমনে হয় না যে, আপনার ধারনা ঠিক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.