নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ সোহাগ (A sinner slave of Allah) 2. সভ্যতার অসংগতি তুলে ধরার চেষ্ঠা করি ।\n

স্বপ্নবাজ তরী

প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক

স্বপ্নবাজ তরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মসমালোচনা

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৮

ইসলাম শান্তির ধর্ম। খ্রিস্টান শান্তির ধর্ম। বৌদ্ধদের স্লোগানই হচ্ছে সম্প্রীতি। হিন্দু ধর্মও শান্তির ধর্ম। আমি মোজাফর আহমেদের "ইতিহাস কথা কয়" বইটি পড়ে শেষ করার পর মনে হলো, যে অখন্ড ভারতের জন্য হিন্দু মুসলিম একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিট্রিশ তাড়ালো তারা হঠাৎ ১৯৩৫- ৪৭ এ এসে এতটা উগ্র হলো কিভাবে? যারা ১৭০ বছর অখন্ড ভারতের জন্য লড়লো তারা আজ নিজেরাই নিজেদের প্রতিবেশীদের হত্যা করছে। শুধু ধর্মীয় বিবেচনায় অথচ ধর্মে এমনটা নেই। ট্রেন ভর্তি লাশ প্রবেশ করে ভারতে, ট্রেন ভর্তি লাশ যায় পাকিস্তানে। কোন অর্থ সম্পদ কিংবা প্রতিহিংসা / প্রতিশোধ তারা নেয় নি। শুধু ধর্মীয় বিবেচনায়। ওরা পাকিস্তানে আমাদের একজন হিন্দুকে মারছে আমার এখানে ভারতে আমার প্রতিবেশী মুসলিমকে মারবো। বিনিময় স্বর্গ মিলবে দুই হত্যাকারীর, শুধু এইটুকু ধারনা তাদের। হত্যাকারীদের কাছে তারা নিজেরা এক একজন গাজী, মারা যাওয়া দুই ব্যক্তি নরকবাসী। অথচ পুরো বিশ্বের সকল মুসলিম সাধারনের কাছে এবং হিন্দু সাধারনের কাছে নিহত দুই ব্যক্তিই স্বর্গবাসী। হত্যাকারী নরকবাসী। কি অদ্ভুত, একই ঘটনার ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ। অথচ সত্যটা সকলে জানে ও বুঝে। লাশ দেখে, নেহেরু ও বল্লব ভাই প্যাটেল লর্ড মাউন্টবেটনের কাছে গিয়ে বলে আমরা এমন দেশ চাই না আপনারা ক্ষমতা গ্রহন করুন। লর্ড সাহেব তাই পুনরায় গর্ভনরের দায়িত্ব নেয় ভারতের। সম্ভবত ১৯৫৫-৫৬ পর্যন্ত দায়িত্বে থাকেন তিনি। এবং কঠিন হস্তে দমন করে দাঙ্গা। মুসলিম হিন্দু কেউই কারো শত্রু ছিলনা বরং ক্ষমতা ও কিছু উগ্র মানুষ যারা নিতান্তই কম তারা বিভেদের দেয়াল তুলেছে, কখনও জুজুর ভয় দেখিয়ে কখনও ক্ষমতার লোভে। বাস্তবে জনগন কখনোই কোন কালে হত্যাকে সমর্থন করে নি। তারপর মার্কিনবাহিনী নতুন মাত্রা যোগ করলে, সন্ত্রাসের ধর্মীয় পরিচয়কে প্রকট রুপে বিশ্বকে ঘুলিয়ে খাওয়ালো। তার দিল মুসলিম জঙ্গি। যা স্পষ্টত অপরাধ ছিল কিন্তু ক্ষমতা লোভীরা এটাকে আরো বিভিন্ন রঙে রাঙ্গিয়ে সাধারন ধর্মবলম্বীদের মাথায় "জঙ্গি" নামক শব্দটি সেট করে দিল। ফলে সব ধর্মেই সৃষ্টি হলো আরো একটি শব্দ উগ্রবাদী। এখন আরো প্রকট হয়েছে। ফেসবুক এসে তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কমেন্ট নামক ব্যক্তি/ বাক স্বাধীনতা ব্যবহার করে সহজেই লিখি ফেলা যায়, ব্যাঙ্গ করা যায়, গালি দেয়া যায়, বিশ্রী শব্দের প্রতিক্রিয়া দেখানো যায়, গরু, মুর্তি কিংবা মসজিদ, মোল্লাদের ছবি, বক্তব্যের নিচে। বিনিময় বুক খালি হচ্ছে বহু মায়ের। প্রিয়জন, খেলার সাথী, বন্ধুরা হারাচ্ছে নিকট স্বজন। পৃথিবী, রাষ্ট্র পাচ্ছে কিছু শব্দ, উগ্র, জঙ্গি, ক্ষমতা।
পুরো ভারত জুড়ে এখন ফ্রান্সের পণ্য গ্রহনে উৎসাহ দিচ্ছে হ্যাশ ট্যাগে, মৌন নয় প্রকাশ্যে। তাদের দৃষ্টিতে এটা ইবাদত, ক্ষমতা প্রদর্শনের সুযোগ। প্রত্যেকেরই বাক স্বাধীনতা রয়েছে, লিখবার স্বাধীনতা আছে তবে অন্যায় কে ন্যায় লিখবার অধিকার কারো নেই। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারবো, কোন বিজ্ঞ আলেম কখনও হিন্দুদের নিয়ে কটুক্তি করে না এবং কোন হিন্দুের পূজারী, খ্রিস্টানদের পাদ্রীরা কখনও মুসলিমদের নিয়ে কটুক্তি করেনি। যারা কটুক্তি করে তারা দুই শ্রেনীর ১৷ ক্ষমতালোভী রাজনীতিবিদ ২। অজ্ঞ ধর্মবলম্বী ব্যক্তি। যা এখন ফ্রান্সের ম্যঁক্রো আর এরদোগান খেলছে। কিছুদিনের মধ্যে মোদীও হয়ত যোগ দিবে।
আমি তাই বলি, ধর্মীয় শিক্ষা আরো প্রসারিত না করা হলে, সবজান্তা শমসের এবং অল্প বিদ্যায় জ্ঞানী দের কবলে অতিশ্রীঘ্রই জ্ঞানী আলেম, জ্ঞানী পূজারী পড়বে (যা এখনও দৃশ্যমান)। এখন পর্যন্ত কেউ বলতে পারবে না, হত্যাকারী বড় কোন আলেম বা ধর্মীয় প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি। আমরা প্রত্যকে এতটাই জ্ঞানী যে অন্য ধর্মবলম্বীদের বই পড়তে দ্বিধান্বিত বোধ করি। তাই তাদের ধর্ম সম্পর্কেও জানি না, তাদের মূল্যবোধ সম্পর্কেও জানি না। যার ফলস্বরূপ আমরা অন্য ধর্মকে তার প্রাপ্য সম্মান টুকু দিইনা। ফলে নিজেও প্রাপ্য সম্মান পাই না।
আসুন বই পড়ি, জানি, তারপর কমেন্টে লিখি।
(ম্যাঁকোকে যদি এরদোগান একখানা কোরআন শরীফ দিয়ে বলত, এটা পড়ুন, তারপর আপনার প্রতিক্রিয়ার জবাব দিবো, এমন একটা দৃশ্য যদি দেখা যেত।)

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইউরোপ ও ফ্রান্স সম্পর্কে আপনার ধারণা পরিস্কার বলে মনে হচ্ছে না।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৩

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: আপনার ধারনাটা শেয়ার করলে উপকৃত হবো।

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্ম নিয়ে ঝামেলা উচ্চ পর্যায়ে হয়না, ঝামেলার মাঝে তারা ধর্ম মিশিয়ে দেয়। ধর্ম নিয়ে ক্যাচাল করে সাধারণ জনগণ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৮

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: কঠিন সত্য কথা।

৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " আপনার ধারনাটা শেয়ার করলে উপকৃত হবো। "

-বিশ্ব যখন আপনাকে সঠিক ধারণা দিতে পারেনি, আমার ধারণা আপনাকে সাহায্য করবে না।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৯

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: বিশ্ব যেখানে বিশ্বাস আর অহংকার নিয়ে ব্যস্ত সেখানে সত্য খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: আত্মসমালোচনা করত্রে পারাটাই অনেক বড় ব্যাপার।

৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ফ্রাস বেশী বাড়াবাড়ি করতেছে যেটা সীমাহীন । যেমন আমাদের মোল্লা করে। সব ইসলামী দল এক হয়ে কিছু করছে না করবেও না

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৬

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: ইসলামী দল গুলো কখনওএক হতে পারবে না।

৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধর্মগুলো মানুষকে মানুষ করেনি করেছে অমানুষ।ধর্ম নিজে একটা দুষ্ট ভাইরাস।দেহের ভিতর চুপ করে বসে থাকে সুযোগ পেলেই বিকশিত হয়।
যারাই হলি আর্টিজান কিলিংএর সাথে জড়িত তাদের পরিচয় প্রকাশ হবার পর ,তাদের পরিচিতরা বললো ,তারাতো খুব ভাল ছেলে ছিল।এই ছেলে এমন করতে পারে স্বপ্নেও ভাবিনাই।
কি তাদের এমন করতে উদ্বুদ্ধ করলো,ধর্ম।
বর্তমানে দেখেন না ,হাজার হজার লোক ফ্রান্স এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত।ঢাকার রাজ পথ কাপিয়ে ফেলছে।মনে হয় ফ্রান্স তাদের বিরাট আর্থিক ক্ষতি করে ফেলেছে।বাস্তবতা হল এক পয়সার ক্ষতিও করেনি,তবে করছেটা কি ,ধর্মে আঘাত দিয়েছে।আমরা তাদের ধর্মে আঘাত দিয়ে দেই ,হিসাব শেষ।
এমন একজন বিজ্ঞ আলেম দেখান যে অন্যের ধর্মকে খারাপ বলে না,আর যদি বলে তবে বুঝতে হবে সে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানে না,অথবা কোরান পড়ে নি।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৮

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: ধর্ম মানুষকে অমানুষ বানিয়েছে এটা সম্পূর্ণ ভাবে লোকাহিত,অতি পরিচিত, ট্রেন্ডজাতীয় আধুনিক শব্দ। এটার ব্যবহারে আরো ষতর্ত হতে হবে। ধর্মই মানুষকে বর্ব, অসভ্য, ব্যভিচার থেকে তুলে ন্যায়, সুস্থ সমাজের স্বপ্ন দেখিয়েছে । ধর্মকে আধুনিক কিছু শব্দ যেমন জঙ্গি, মৌলবাদ, উগ্রবাদ দিয়ে বিবেচনা করার সময় শেষের দিকে। জঙ্গি শব্দটি যে একটা অন্তঃসার শূন্য তা আফগানিস্তান পরাজয়, কিংবা ইরাকের বিরোদ্ধে যোদ্ধের নথি গুলোই বলে দেয় কিংবা ৯/১১ এর মত নাটক থেকেই বুঝা যাচ্ছে। ধর্মই পৃথিবীর আদি তে ছিল এবং অন্ত তেও থাকবে। ধর্ম ছাড়া মনুষ্য কিংবা মহাবিশ্বের ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ সবাই। বিজ্ঞান একটি পরিবর্তনশীল মতবাদের ভেতর দিয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চেষ্টা করে মাত্র। কিন্তু ধর্ম তার মতামত, বক্তব্য কখনও পরিবর্তন, পরিবর্ধন থেকে মুক্ত। সকল সময়ের জন্য ধর্মের বাণী খাটে।

৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " বিশ্ব যেখানে বিশ্বাস আর অহংকার নিয়ে ব্যস্ত সেখানে সত্য খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। "

-নতুন নবীর জন্য অপেক্ষা করেন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪৭

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: ইমাম মাহাদী আসবে এব ঈসা (আঃ) ও আসবে। এটা আমার ধর্মীও বিশ্বাস। আর আমি বিশ্বাস করি স্পষ্ট কথাতে। খোঁচা দিয়ে কথা বলাটা নিজের অজানারই বহিঃপ্রকাশ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪৮

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: ভালো থাকুন।

৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৫৯

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার ভাবনা।

৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাজে আলোচনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.