নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ সোহাগ (A sinner slave of Allah) 2. সভ্যতার অসংগতি তুলে ধরার চেষ্ঠা করি ।\n

স্বপ্নবাজ তরী

প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক

স্বপ্নবাজ তরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রিকেট খেলা কি হালাল?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৩

দেশে মনে হচ্ছে, ক্রিকেট খেলা ইসলামিক ভাবে জায়েজ, এমন ফতুয়া জারি হয়েছে।
১.
সারাদিন হারাম ক্রিকেট খেলে, হারাম ইনকাম করে, হারাম খেয়ে, পরের দিনই ইসলামিক পোস্ট।
অনেকটা মসজিদে বিয়ে করে, পরের দিন ডিজে পার্টি করার মত।
যদি সত্যিই ইসলামিক জীবন যাপন করতে চাও, প্রথম কাজ -হারাম থেকে দূরে থাকা। কিংবা দূরে থাকার চেষ্টা অন্তত করা। কিন্তু আজকে যখন বিসিবি ডাকলো তখন কিন্তু খেলা থেকে দূরে থাকার কোন ইঙ্গিত দেয় নি উল্টো ক্ষমা চেয়েছে, নিজের রিযিকের জন্য। এটাকেই হয়ত বলে ডাবল স্ট্যান্ডার্ডনেস। মজার বিষয় হচ্ছে, খেলোয়াড় কে সমর্থন করে হাজার হাজার জন পোস্ট দিচ্ছে, খোঁজ করলে দেখা যাবে, অধিকাংশই ব্যক্তি জীবনে ইসলাম ত চর্চাই করে না বরং বিভিন্ন হারাম কাজের সাথে যুক্ত রয়েছে, এমনও আছে অধিকাংশ তাদের সহধর্মিণীর ব্যপারে যথেষ্ট উদাসীনও।
একটু আগে দেখলাম, আরেক খেলোয়াড়ও এটাকে সমর্থন করছে, যা অনুমেয়। এদেশে অসম্ভব বলে আসলে কিছু ই নেই-আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিতে মানা করে পরে দেখা যায় প্রথমে উনিই পাড়ি দিচ্ছেন। তাই ত কবি বলেছেন-এমন দেশটি কোথাও তুমি পাবে নাকো খোঁজে।

২. চাকুরি করা, না করা টা সমস্যা না।
মনে করুন দেশের কোন মহিলাই চাকুরি করে না। দেশে কোন মহিলা শিক্ষক নেই, দেশে কোন মহিলা ডাক্তার নেই, মহিলা নার্স নেই, মহিলা কোন কর্মকর্তাই নেই। সব মহিলা ঘরে বসে, সন্তান, স্বামী, শ্বশুর শাশুড়ির হক আদায় করছে।
এখন আপনার বৌ অসুস্থ হলে কাকে দেখাবেন, পুরুষ ডাক্তার কে, পুরুষ নার্স সারাক্ষণ আপনার বৌয়ের সেবা করবে, পুরুষ ডাক্তার আপনার বৌকে ডেলিভারি করাবে? মানলাম করাবে, সেটারও একটা ইসলামিক ব্যখ্যা দিয়ে দিলেন। আপনার সন্তানকে কে পড়াবে? মানলাম পড়াবেন না, ওকে সন্তান অশিক্ষিতই থাকবে, না এখন বলবেন, আপনি পড়াবেন, ওকে পড়ান। এভাবে একদিন দেশের সব মহিলারা অর্ধশক্ষিত থাকবে, এটাই ত চান। কিন্তু ইসলামের প্রথম শব্দই হচ্ছে, পড় তোমার প্রভূর নামে। এখানে নারী পুরুষ কে আলাদা করে নাই। সবাইকেই বলছে জ্ঞান অর্জন৷ করতে। আপনি অনেক ব্যাখ্যা দাড় করাতে পারবেন কিন্তু জ্ঞান অর্জন করা থেকে মেয়েদের দূরে রাখার কোন ব্যাখ্যা ইসলামিক ভাবে দিতে পারবেন না।
সমস্যা চাকুরি নিয়ে না, বরং কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ নিয়ে। মেয়েরা যেন পর্দা বা বেপর্দা যার যা খুশি সে মতে চাকুরি করতে পারে তা নিশ্চিত করাটাই বড় চ্যালেন্জ। এটা তে কথা বলা উচিত। এবং এখানে সবচেয়ে এগিয়ে আশা উচিত পুরুষদেরই। অথচ পুরুষ সেটা করবে না -এটাই চরম সত্য, এটাই বাস্তবতা।
এটাকে এড়ানোর জন্যই নারীদের কাঁধে সবাই বন্দুকের নল রাখে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংগালীরা বেদুইনদের মতো ডোডোতে পরিণত হচ্ছে ক্রমেই!

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসলামে তথা হাদিসে সব খেলাধুলাই নিষিদ্ধ।
ইভেন একক খেলা ঘুড়ী উড়ানোর মত নিরিহ খেলা পর্যন্ত নিষিদ্ধ।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৮

নিমো বলেছেন: জ্বি হালাল! এদেশে চুমু খাওয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন হলেও ঘুষ খাওয়ার বিরুদ্ধে হয় না। নাস্তিকদের কোপালেও, দুর্নীতিবাজদের কেউ কোপায় না। উদাহরণ দিতে থাকলে ব্লগ আর লোড হবে না। এদেশে ইসলামের অপর নাম দ্বিচারিতা।

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫১

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: [Surah An-Nisāʾ: 34]

Muhsin Khan and Taqi-ud-Din al-Hilali:

Men are the protectors and maintainers of women, because Allah has made one of them to excel the other, and because they spend (to support them) from their means. Therefore the righteous women are devoutly obedient (to Allah and to their husbands), and guard in the husband's absence what Allah orders them to guard (e.g. their chastity, their husband's property, etc.). As to those women on whose part you see ill-conduct, admonish them (first), (next), refuse to share their beds, (and last) beat them (lightly, if it is useful), but if they return to obedience, seek not against them means (of annoyance). Surely, Allah is Ever Most High, Most Great.

পুরুষকে নারীর সুরক্ষার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কিন্তু তাই বলে উল্টোটা কি সত্যি? রাস্তাঘাটে যখন নারী তার বাবা, ভাই বা তার স্বামীর সাথে যখন চলাফেরা করে তখন তাকে সুরক্ষা কে দেয়? এখানে দেহরক্ষী কে? অবশ্যই পুরুষ। রাস্তাঘাটের উত্তক্তকারীকে থামানোর জন্য বিবাহিত নারী জানিয়ে দেয় যে সে বিবাহিত। এটিই স্বাভাবিক।

কিন্তু পুরুষকে তার যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেই দায়িত্ব কি সব যথাযথভাবে পালন করছে? বরং উল্টোটাই করছে।

আকামটা মুলত করে পুরুষ। এ নিয়ে কোন আলোচনা নেই। অথচ অসংখ্য নারীর সতীত্ব/সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলার পর দিন শেষে পুরুষ‌ "সতী"।

পুরুষের আকামঃ
/পুরুষ নারীকে ধর্ষণ করে।
/পুরুষ নারীর দিকে নোংরা দৃষ্টিতে তাকায়।
/রাস্তাঘাটে নারীদের উত্তক্ত (টিজ) করে।
/গণপরিবহনে শারীরিকভাবে নারীদের হেনস্থা করে।
/কর্মক্ষেত্রে যৌন নিপীড়ন করে।
/কর্মক্ষেত্রে যৌনতার (কর্মক্ষেত্রের যোগ্যতাকে পাশ কাটিয়ে) বিনিময়ে সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে।
/প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্ককে শারীরিক সম্পর্কের দিকে নিয়ে যেতে নারীর প্রতি চাপ প্রয়োগ করে।
/শারীরিক সম্পর্কে যাওয়ার পরে নারীদের ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ (উচ্চ মাত্রার এসব পিল ভবিষ্যতে গর্ভধারণে জটিলতা সৃষ্টি করে) পিল খেতে বাধ্য করে।
/তারপর যদি পুরুষ একবার টের পায় নারী গর্ভধারণ করে ফেলেছে, সে খুব অবলীলায় বিকারহীনভাবে ঐ গর্ভধারণকারী নারীকে পরিত্যাগ করে।
/সম্পত্তি ও জমি জমা ভাগের সময় নারীদের বঞ্চিত করা হয়। তখন ধর্মীয় মূল্যবোধের কোন খবর নেই।

নারীর প্রতি ন্যূনতম সম্মান বোধ নেই, সম্মান করার তাগিদ নেই আবার পুরুষ আশা করে যে নারী হিজাব করবে। পুরুষদের ইদানিংকালের কাজ কারবার দেখলে মনে হয় নারীদের হিজাব আর বেহেস্তের হূর পরী এছাড়া আর কোন বিষয় তার দৈনন্দিন জীবনে নেই।

"নারী হিজাব পড়েনি, উগ্রভাবে চলেছে তাই নিরুপায় হয়ে পুরুষ তাকে একটু ধ১র্ষ৯ণ করে ফেলেছে"। আচ্ছা, এই কথা বলে কি হাশরের ময়দানে পার পাওয়া যাবে?

অন্যের (মূলত নারীর) ঘাড়ে একতরফা দায়ভার চাপানোর আগে নিজে সংশোধন হয়ে যাওয়ার সাধারণ জ্ঞানটা আমাদের হবে কবে?

৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৯

রসায়ন বলেছেন: ভালো লিখেছেন তবে চোখে টিনের চশমা থাকায় অনেকেই পড়বে না এটা ঠিকমতো।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২৬

সোনাগাজী বলেছেন:


@মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ,

আপনার মনোভাব খারাপ, আপনার ধারণাগুলো আফ্রিকানদের মতো।

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৪

ধুলো মেঘ বলেছেন: ইসলামে খেলাধুলা নিষিদ্ধ নয়। বিনোদন ও শরীরচর্চার জন্য খেলাধুলার প্রয়োজনকে অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু একে জীবিকা অর্জনের হাতিয়ার বানাতে ইসলামে নিষেধ আছে। কেউ যদি ফুল টাইম সার্ভিসের পাশাপাশি খেলাধুলা করে - তাতে কোন অসুবিধা নেই।

৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

নতুন বলেছেন: ভন্ডামী আমাদের দেশের জাতীয় সমস্যা।

আমাদের দেশের নারীদের ৯০% ই সম্ভবত বোরকা পরা শুরু করেছে। সেটা তারা সামাজিক ভাবেই করছে।

কিন্তু যারা ৫ ওয়াক্ত বোরকা পরে তারা কি ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছে?

দেশে নারীদের নিয়ন্ত্রনের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করছে পুরুষেরা।

আমলা/কামলা/ ব্যবসায়ীরা সব রকমের দূনিতি/কারচুপি করছে কিন্তু শুক্রবারে মসজিদে বারান্দায় জায়গা হয়না।

দেশের রাজনিতিকরা মোল্যা গোস্ঠির সৃস্টিকর্তার ভোট হারাতে চায় না তাই এদের সংস্কারের চেস্টা করেনা।

৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৮

নতুন বলেছেন: ধুলো মেঘ বলেছেন: ইসলামে খেলাধুলা নিষিদ্ধ নয়। বিনোদন ও শরীরচর্চার জন্য খেলাধুলার প্রয়োজনকে অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু একে জীবিকা অর্জনের হাতিয়ার বানাতে ইসলামে নিষেধ আছে। কেউ যদি ফুল টাইম সার্ভিসের পাশাপাশি খেলাধুলা করে - তাতে কোন অসুবিধা নেই।

যেই খেলার জন্য মানুষ যোহর থেকে এশার নামাজের সময় মাঠে বসে থাকে নামাজ পড়েনা। আর পড়লেও কাজা পড়ে সেটা নিয়ে ইসলামের সমর্থন কতটুকু?

আর সাকিবের মতন মর্দেমুমিনেরা যারা নারীর পর্দা নিয়ে এতো ব্যকুল তারা কিভাবে একটা খেলার জন্য যোহর/আসর/মাগরীবের নামাজ কাজা করে?

তারা নামাজ কাজা করে কিছু ট্যাকা কামানোর জন্য।

ট্যাকা কামানোর জন্য নামাজ কাজা করা জায়েজ আছে, কিন্তু নারী যদি বোরকা ছাড়া অন্য পোষাক পরে তবে তাতে কিন্তু ধর্ম নাশের আশংকা আছে। :#)

১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই আধুনিক যুগে এবং জীবনে ধর্ম থেকে দূরে থাকাই মঙ্গল।

১১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৮

ধুলো মেঘ বলেছেন: @নতুন, কেবলমাত্র জীবন বাঁচানোর জন্য নামাজ কাজা করা জায়েয আছে। আর কোন কারণেই নামাজ কাজা করা জায়েয নেই। খেলাধুলার মত ফালতু কারণে তো নয়ই। ফুটবল বা হকিতে এক টানা ৪৫ মিনিটের বেশি খেলা হয়না - তাই এগুলো খেললে নামাজ কাজা করার কোন কারণ নেই। কিন্তু ক্রিকেট এমন এক খেলা, যা ফরজ ইবাদতকে বাধাগ্রস্ত করে - তাই বেশ সহজভাবেই বলা চলে টেস্ট বা ওয়ানডে খেলা জায়েজ নেই।

ফেসবুক হচ্ছে মনের ভাবনা প্রকাশের জায়গা। একটা ২০ বছরের তরুণ - এই দুনিয়ার অধিকাংশ পলিটিক্স যার বোঝার বাকি - তার ছোট্ট একটা কমেন্ট নিয়ে এত পোস্ট মর্টেমের কি আছে - সেটা আমার বোধগম্য না।

ট্যাকা কামানোর জন্য নামাজ কাজা করা কোন অবস্থাতেই জায়েজ নেই - কিন্তু তাতে কারো ঈমানদন্ড খাড়া হয়না বলে কেউ প্রতিবাদ করেনা। কিন্তু নারী বোরখা না পড়লে .....

১২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪

রানার ব্লগ বলেছেন: ইহুদীদের মুখ দর্শন যেখানে হারাম সেইখানে ইহুদীর বানানো একটা ওয়েব সাইটে এসে ধর্ম প্রচার কে এরা এতো গুরুত্বপূর্ন মনে করে ইহাই হাস্যকর ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.