নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভোরের শরীরে এখনও লেগে আছে রাত্রির দগদগে ক্ষত

শ. ম. দীদার

কার্ণিশ ভাঙ্গা জানালার ফাঁক দিয়ে রাতের আকাশের যেটুকু অংশ দেখা যায়, অইটাই আমার পৃথিবী।

শ. ম. দীদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনাভাইরাস (কভিড-১৯): আমরা কী নারী, প্রবীণ ও ভিন্নভাবে সক্ষম জনগোষ্ঠীকে অবহেলা করছি

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৩৩

করোনাভাইরাস আক্রমণের সময় ধনী কিংবা গরীব, উচু কিংবা নিচু শ্রেণী, বিশ্বাসী অথবা অবিশ্বাসী, ধার্মিক অথবা অধার্মিক, শিশু-যুবক-প্রবীণ কারও প্রতিই বাছ-বিচার করছে না ঠিকই, কিন্তু প্রাণহানির মতো সর্বোচ্চ ক্ষতিসাধনের ক্ষেত্রে অন্যান্যদের চেয়ে প্রবীণদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ প্রদর্শন করছে।
আমরা দেখেছি করোনাভাইরাস মহামারিতে সাড়াদানের ক্ষেত্রে, উন্নত ও পিছিয়ে পড়া উভয় সমাজ ব্যবস্থায় প্রবীণ জনগোষ্ঠীর প্রতি অমানবিক, অনভিপ্রেত রূঢ় ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। করোনাভাইরাসে মৃত্যুহার প্রবীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেশি হওয়ায় আমরা স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেঁচে থাকার সম্ভাব্যতা যাদের বেশি, আর্থিকমূল্য বিবেচনায় যারা বেঁচে থাকলে পুঁজি সমৃদ্ধ হবে, তাদের প্রতিই গুরুত্ব দিয়েছি। পক্ষান্তরে আজকে যারা প্রবীণ, যারা এক সময় আমাদের মতোই যুবক ছিলেন, যারা জামার আস্তিনে লুকানো প্রেম আর শরীরের ভাঁজে ভাঁজে জমানো শক্তি দিয়ে গড়ে তুলেছেন ভবিষ্যতের পৃথিবী। তাদেরকে অবহেলা করেছি সুনিপুণ কৌশলে, সুচারুরূপে।
আজকের যুবকরাও শিখলেন- পুঁজিপতিদের লভ্যাংশ বৃদ্ধিতে কোনো কার্যকরী অবদান রাখতে বিন্দুমাত্র অক্ষমতা মানে আপনাকে এ সমাজের আর দরকার নেই। এই আচরণ আজকের যুব সমাজকে আরও বেশি স্বার্থপর, আত্মকেন্দ্রিক ও পক্ষপাতপ্রবণ হয়ে উঠতে প্রলুব্ধ করল এবং একইসঙ্গে বেঁচে যাওয়া প্রবীণদেরকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করা হলো।

আমরা কি ভিন্নভাবে সক্ষম জনগোষ্ঠীকে অসচেতনভাবে বাদ দিচ্ছি? সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় শতকরা ৭ ভাগেরও অধিক ভিন্নভাবে সক্ষম জনগোষ্ঠী, যা সংখ্যায় বর্তমানে ১৬ লাখ ৬৫ হাজার ৭০৮ জন। অন্যদিকে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের তথ্য অনুযায়ী ষাট ও তার বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৪৬% এরও বেশি এক বা একাধিক প্রতিবন্ধিতার শিকার। ভিন্নভাবে সক্ষম এই জনগোষ্ঠী বিভিন্ন ধরনের অ্যাসিস্টিভ প্রোডাক্টের সহায়তা নিয়ে চলাফেরা করেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য সচেতনতা সৃষ্টিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন এসবিসিসি উপাদান আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে ভিডিও বার্তা তৈরিতে ভিন্নভাবে সক্ষম জনগোষ্ঠীর দিকটি বিবেচনা ক্ষেত্রে ঘাটতি পরিলক্ষিত। এক্ষেত্রে আমরা শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য ভিডিওতে ইশারা ভাষা সংযোজন প্রত্যাশা করি। অন্যদিকে, ভিন্নভাবে সক্ষম জনগোষ্ঠীর নিত্যদিনের চলাফেরার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন অ্যাসিস্টিভ প্রোডাক্টের ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী ধরনের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার দিকে খেয়াল রাখতে হবে, সেগুলো কীভাবে জীবাণুমুক্ত করে ব্যবহার করতে হবে এবিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো দিক-নির্দেশনা আমরা দেখি না। গবেষণায় দেখা যায়, প্রবীণদের মধ্যে প্রায় ১১%-ই দৈনন্দিন জীবনযাপন, খাওয়া, গোসল, কাপড় পরাসহ বিছানা করার ক্ষেত্রে আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। সংখ্যায় বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখেরও বেশি যারা শয্যাশায়ী ও শুশ্রুষাকারীর সহায়তা ছাড়া চলাফেরা করতে অক্ষম তাদের জন্য প্রতিরোধ ও সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা কেমন হবে সে বিষয়েও আমরা সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা আশা করি। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও ডিমেনশিয়ার রোগীদের জন্য উপযোগী সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার জরুরী। হোম ‘‘কোয়ারেন্টাইন’’ শব্দটি নিজে থেকেই একটি ভীতিকর শব্দ। আমরা এসব ভীতির উদ্রেককারী শব্দের পরিবর্তে অপেক্ষাকৃত সহজ, সরল ও সকলের বোধগম্য হয়, এমন বার্তাবাহী শব্দের ব্যবহারে দৃষ্টি দিতে পারি।
(অনেক চেষ্টার পরও লেখাটা সামুতে দিতে গিয়ে পারিনি। শেষ পর্যন্ত ঢাকা ট্রিবিউনেই দিয়েছিলাম। আমার প্রিয় সামু’র সহব্লগারদের জন্য শেয়ার দিচ্ছি। দূঃখিত, লিঙ্ক আকারে শেয়ার করার জন্য।)
সম্পূর্ণ লিখাটা -
রাত খুব গভীরে, প্রভাত আরও দূরে

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আর লকডাউন করে কি হবে, ক্ষতি যা হবার হয়েছে, সবকিছু খুলে দিন অন্তত অর্থনীতির চাকা তো সচল থাকবে!!! মন্দের ভালো এই যা ।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: জনগণ এমনি মরবে । লাভ দলীয় লোকের

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.