নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“There is a pleasure sure in being mad which none but madmen know.”― John Dryden
রাজ্যে খাজনা আদায় করা হয় চাঁদের হিসাব করে, কিন্তু চাঁদের সাথে বাঙ্গালি কৃষকদের ফসলের সময় মিলত না যার কারনে খাজনাও ঠিকমত আদায় করা সম্ভব ছিলনা। খাজনা আদায় যেন ভালো ভাবে হয় এই জন্য মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। আসলে তিনি প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। ফতেহউল্লাহ সিরাজি যিনি জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ সেই সময়ের প্রথম বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়, প্রথমের দিকে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।
আকবরের সময় থেকে বৈশাখ উদযাপন করা হয় তাখন চৈত্র মাসের শেষ দিনে খাজনা দিতে হইত, আর তার পরের দিন থেকেই নতুন ফসলের আনান্দ, আর পরের দিন থেকেই শুরু হয় বৈশাখ। আর যারা ঐ সময়ে যারা ব্যবসা করতেন নতুন বছরে আগের হিসাব বন্ধ করে নতুন হিসাব খুলতেন যার নাম হালখাতা। হালখাতে একটু ঘটা করে পালন করা হতো, যেমন ক্রেতাদের মিষ্টি খাইয়ে বা বিশেষ কোন খাবার খাইয়ে তবে সবই এইটা করত না। স্বর্ণের দোকানে এই ভাবে হালখাতা করা হতো বেশি।
১৯১৭ সালে মহাযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে বৈশাখ মাসে পূজার ব্যবস্থা করা হয় এবং হোম কীর্তন করা হয়
এর পর থেকেই বাংলার বছরের প্রথম দিনটা উদ্যাপন করা হয়।
©somewhere in net ltd.