নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“There is a pleasure sure in being mad which none but madmen know.”― John Dryden
খুব ছোটবেলায় ভাবতাম আমার একটা পাখি থাকবে যার পিঠে চড়ে সব খানে উড়ে বেড়াব। হুম, এইটাই পরাবাস্তব। উদ্ভট সব চিন্তা ভাবনাই পরাবাস্তব। তবে এই উদ্ভট সব চিন্তা দিয়ে অনেক বড়-বড় কাজও কিন্তু করা যায়।
পরাবাস্তবাদ কি ভাবে শুরু হলো তা বলি...। ১৯২০-এর দিকে ডাডাবাদীরা চেয়েছিলেন মানুষ সামাজিক মূল্যবোধকে পেছনে ফেলে এমন একটি নান্দনিক দৃষ্টির অধিকারী করতে যার মাধ্যমে সে ভেদ করতে পারবে ভণ্ডামি ও রীতিনীতির বেড়াজাল, কিন্তু পরাবাস্তববাদ আরো একধাপ এগিয়ে "প্রকৃত সত্য কেবলমাত্র অবচেতনেই বিরাজ করে" জন্ম হলো পরাবাস্তববাদী শিল্পের। তাদের একটাই লক্ষ্য হলো তার কৌশলের মাধ্যমে সেই সত্যকে গভীর থেকে তুলে আনা
পরাবাস্তববাদ প্রথম প্রকাশ পায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে, দাদাবাদী কার্যকলাপের উপর ভিত্তি করে। এর পর থেকে ধীরে-ধীরে ঢুকে পড়ে বিভিন্ন দেশ।
পরাবাস্তববাদ খুজে পাওয়া যায় গানে, সাহিত্যে, সিনেমাতে এবং শিল্প-কলাতে।
ব্যাপারটা আর না ঘুরায় একটা উধাহরন দেই। অর্ণব ভাইয়ের সেই গান "তোমার জন্য নীলচে তারার একটু খানি আলো" পরাবাস্তবাদ বা Surrealism এর মাঝে পড়ে, আরো একটা গান মনে পড়ে "ঘুমের গাড়ি"
পরাবাস্তবাদ জ্ঞাতেভাবেও হয় আবার অজ্ঞাতভাবেও হয়। বাংলাদেশে অনেকের কাজেই পরাবাস্তবাদের ছোয়া দেখা যায় যেমন সুকুমার রায়ের লেখা "আবোল তাবোল" "পাগলা দাশু" "হ য ব র ল" আরো আছেন জীবনানন্দ দাশ, আবদুল মান্নান সৈয়দ, সমীর রায়চৌধুরী, রবীন্দ্র গুহ, সিকদার আমিনুল হক প্রমুখ, ফেরদৌস মাহমুদ, বিজয় আহমেদ, আমজাদ সুজন প্রমুখ।
পরাবাস্তবাদ বা Surrealism এর কিছু ছবি
২৬ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮
স্বরব্যঞ্জ বলেছেন: ধন্যবাদ নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নহে ভাই
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭
নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নহে বলেছেন: লেখাটি ভালো লেগেছে।
পরাবাস্তব কল্পনা-সল্পনায় আমি আবার ওস্তাদ।