নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“There is a pleasure sure in being mad which none but madmen know.”― John Dryden

স্বরব্যঞ্জ

“There is a pleasure sure in being mad which none but madmen know.”― John Dryden

স্বরব্যঞ্জ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসমানি ( ছোট গল্প )

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৩৪



ভোর চারটা, বাসার সবাই জেগে আছে, কারো চোঁখে ঘুম নেই। বারান্দার এ মাথা থেকে ও মাথা হাটা-হাটি করছে রাহিন, বাহিরে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি সাথে ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটা। রাহিনের মা গত এক ঘন্টা ধরে সবাইকে বকা-ঝকা করতেছে।
-তোদের কান্ড জ্ঞান দেখে আমি অবাক হচ্ছি, তোরা এক প্যাকেট তো মিষ্টি আনে রাখবি আগে থেকে।
-মা মিষ্টি সকালে কেনা যাবে। আপনি একটু শান্ত হয়ে বসেন। ভূল তো হয়েই গেছে।
সবাই হসপিটালে বসে আছে। বাসায় আজ একজন নতুন সদস্য আসতেছে। সবাই নতুন সদস্য নিয়ে মহা কল্পনা করা শুরু করেছে। কি নাম হবে, ছেলে হবে না মেয়ে হবে। কে আগে কোলায় নেবে। কার কোলায় হিসু করলে কে কিভাবে মজা নিবে। কার নাম আগে ডাকবে বাবা না মা। কার মতো দেখতে হবে..।
অপারেশন থিয়েটারের বাহিরে সবাই আনন্দ, ভয় নিয়ে অপেক্ষা করছে। সবচে বেশি অস্থির রাহিন কারন সে বাবা হচ্ছে, অদ্ভুত এক অনুভূতির মাঝে যাচ্ছে তার সময়। মাঝে মাঝে চিৎকার করে সবাইকে বলতে ইচ্ছে করতেছে আজ আমি বাবা। আমার একটা অংশ আজ আমাকে স্পর্শ করবে।
অনেক অপেক্ষার পার ডাক্তার বের হলেন, এবং বললেন মেয়ে বাচ্চা হয়েছে। রাহিনের চোখে পানি এসে গেলো, সে মনে মনে আল্লাহ্‌র কাছে একটা মেয়ে চেয়েছিলো।

কিছুক্ষন পর এক মেয়ে ডাক্তার কোলে করে ফুট-ফুটে একটা বাচ্চা তাদের সামনে নিয়ে আসলো। ছোট ছোট হাত পা, মিট মিট করে তাকায় আছে, মনে হয় বলতে চাচ্ছে অনেক অপেক্ষা করেছি এই মানুষগুলোকে দেখার জন্য। রাহিন কোলায় নিলো, ওমা তার দিক তাকায় আছে। মানে হয় তাকে চিনতে পেরেছে, এই মানুষটা তার সারা জীবনের নায়ক। যত বিপদে আসুক এই মানুষটা বেচে থাকা পূযন্ত তার এক বিন্দু ক্ষতি হতে দেবেনা। সারা জীবন গাছের মতো ছায়া দিয়ে যাবে।

মা কে দেখানো হলো বাচ্চা। এর মাঝেই বাচ্চার নাম দেয়া হয়ে গেছে আসমানি।এ একবার কোলে নেয় ও একবার, আসমানির মামার তো অল্প ক্ষনের জন্য কোলে নিয়ে মন ভরতেছেনা। উনি নাকি এক ঘন্টা কোলে নিয়ে থাকবে।
ডাক্তার এসে রাহিনকে ডেকে সাইডে নিয়ে গেলো।
- আপনার বাচ্চা স্বাভাবিক না। সে অনেক অনেক অসুস্থ। আমরা চেষ্টা করতেছি আশা করি সব ঠিক ঠাক হয়ে যাবে আপনি খেয়াল রাখবেন ঠান্ডা যেন না লাগে।

প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। রাহিন একা ভিজে হাটতেছে। কি করে সে আসমানির মা কে বলবে আসমানি আর নেই। এইটা বলার সাহস রাহিনের নাই। সবাইকে ছেড়ে চলে গেছে আজ আসমানি। রাহিনের মনে হচ্ছে কি ভূল করেছি যে অভিমানে এতো দূর যাওয়া লাগবে। চিৎকার করে কাঁদতে হচ্ছে করছে কিন্তু কান্না আসতেছে না। পুরো পৃথিবীটা হতাশার শুন্য মনে হচ্ছে।




মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২০

টেক সমাধান বলেছেন: আহারে।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৩

সুমন কর বলেছেন: গল্পে ভালো লাগা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.