নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পৃথিবীর সন্তান।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন

এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই নগর,নগরবাসী, নগরপিতা বর্ষা উৎসবে নামবে আগামী বর্ষাতে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

বর্ষা আর বাঙ্গালী দুইয়ে মধ্যে এখন অনেক দূরুত্ব। যে বর্ষাকে ঘিরে বাংলা শিল্প,সাহিত্য, কৃষি,প্রাণবৈচিত্র সমৃদ্ধ । মাত্র কয়েক দশকের ব্যবধানে বর্ষা নাগরিক জীবনের অভিশাপ। গণমাধ্যমগুলোর প্রথম পাতায় ছাপা হয় কি করে এই বর্ষা নাগরিক জীবন অচল করে দিল। সবাই মিলে নগরপিতাকে গালাগালি । তারপর পরিকল্পনাবিদরা উঠে পড়ে লাগে আসো বর্ষা তাড়াই নগর থেকে।

বর্ষা সারা শহর আর নাগরিক মনের রুখ ভাব নিমিষেই দূরে করে দেয়, হাজার প্রানের অস্তিতের জানান দেয় নগরে। সেই বর্ষাকে নগর থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ও প্রকল্প কতটা বাস্তব সম্মত?

বর্ষাকে সরূপকে অস্বীকার কিংবা আমলে না এনে ঢাকাকে বাসযোগ্য রাখাই বরং পরিকল্পনার সবচেয়ে ভুল দিক। এ শহরের পরিকল্পনা হতে হবে বর্ষাকে উৎসব ও আর্শিবাদ ভেবে। ঢাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনের নামে যা হচ্ছে তা হল বর্ষা তাড়ানোর পরিকল্পনা। ভৌগলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক কারণে ঢাকায় জলাবদ্ধতা স্বাভাবিক। এই স্বাভাবিক অবস্থা মেনে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

নাগরিককে বর্ষা উপভোগের সুযোগ দিতে হবে। বর্ষাকে ঘিরে পরিকল্পনা করতে হবে। আর নাগরিকরা যত বেশি বর্ষাকে আপন ভাববে এ শহর ততবেশি প্রাণবন্ত, বাসযোগ্য হবে।

বর্ষা নিয়ে শুধু আবেগই নয়, অর্থনৈতিক আর সামাজিক দিকে নিয়ে কয়েক শব্দের লেখা দিতে বলেন এক বড় ভাই। আমি আবেগের মানুষ। আমি বরাবরই বলি আমি আবেগ দিয়ে চলি। আবেগ তাড়িত হয়ে হাজার ভুল করি । কিন্তু বর্ষা সমর্থন করা, বর্ষার প্রেমে পড়া যে যৌক্তিক তা হাজার শব্দে প্রমাণ দিতে পারি।

গেল কয়েক দশকের উন্নয়নের নামে আমার আবেগ, অনুভূতি, প্রকৃতিকে প্রাধান্য দেইনি। শুধু অর্থনীতি আর অবকাঠামোকে দাড় করিয়েছি উন্নয়নের মানদন্ড হিসেবে। এখন আবেগ,অনুভূতি,প্রকৃতি বিচ্ছিন্ন নগরটাকে প্রায়ই মৃত মনে হয়। আসুন শুধু অর্থনীতি, বিজ্ঞান আর পশ্চিমা শিক্ষা/পরিকল্পনাকে কপিপেস্ট না করে স্থানীয় মানুষের আবেগ, অনুভূতি, প্রকৃতি, আচার-আচারণকে প্রাধান্য দিয়ে নগর পরিকল্পনা করি। তবে নগর জীবন্ত রবে।

আজ রাত একটায় নগরপিতা এবং নগরবাসীকে বর্ষার প্রেমে পড়া আহবান জানাতে চাই ‪#‎এটিএননিউজের‬ ‪#‎ইয়াংনাইট‬ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। সুযোগ থাকলে আপনিও ফোনে জলাবদ্ধতা নামে বর্ষা তাড়ানোর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সমর্থন দিতে পারেন আমার সাথে।
ঢাকায় জলাবদ্ধতা হবে একটা স্বাভাবিক। এই বর্ষা ঢাকা ভবিষ্যৎ রক্ষায় সবচেয়ে কার্যকর ঋর্তু। বর্ষা ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানির ভান্ডার সমৃদ্ধ করে, এই বর্ষা আপনার মাঝে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, আপনার খাদ্য তালিকায় ভিন্নতা আনে, এই বর্ষাকে সম্পদ ভাবুন ধারণ করুন বর্ষার পানি বাড়ির ছাদে, নতুন পানি কে সুযোগ দিন বুড়িগঙ্গাকে জীবন্ত করতে।

প্রকৃতি থেকে নগরকে বিচ্ছিন্ন নয় কিংবা প্রকৃতিকে বশে আনার চেষ্টায় নয়। বরং পরিকল্পনা হোক প্রকৃতির থাকে খাপ খাইয়ে নেবার যুক্তিকে মূল্যায়ন করে।

এই নগর,নগরবাসী, নগরপিতা বর্ষা উৎসবে নামবে আগামী বর্ষাতে। আর আমি রিকশা হুড তুলে বর্ষা দেখব, আমার বৃষ্টি সহ্য হয় না। মাথা ব্যাথা করে। প্যাককাদা মাখামাখি বর্ষা আমার পছন্দ নয়। তবে বর্ষা ঘিরে যদি উৎসব হয়। কয়েকটা মাল্টিন্যাশন কোম্পানী বিজ্ঞাপন করে 'এসো নীপ বনে ছায়াবীথি তলে/এসো কর স্নান নবধারা জলে” তবে আমিও মত পাল্টাব। আমিও বর্ষায় ভিজব।
আমিও চাইব বর্ষার প্রথম দিন নগরে সব স্কুল-কলেজে যেন ছুটি দেওয়া হয়। সকল প্রেমিকা প্রেমিকাকে কদম বিতরন করুন নগরপিতা বিনামূল্যে। কিংবা পানশালাগুলো সেদিন উমুক্ত বর্ষার পানি খাওয়ার জন্য।

কাদামাটি মাখামাখি শুভ বর্ষা ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

সুমন কর বলেছেন: মজা করে লিখেছেন, ভালো লাগল।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪১

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ।
মজা করে সত্য লিখেছি।

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: ;) পরে এসে পড়ে ফেলছি

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪১

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.