নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পৃথিবীর সন্তান।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন

এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুড়িগঙ্গা রক্ষায় কার দায়িত্ব ?

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

ভাল খবর দিয়ে শুরু করি । উজানে বাঁধ কাটায় এবার যমুনা থেকে পানি আসছে বুড়িগঙ্গায়। পানির মানের কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। স্থানীয় মাঝিদের সাথে কথা বলে জেনেছি যে কয়েক দশকে তারা বৈশাখে এত পানি দেখেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আমি বারাবরই দেশের নদী হত্যার অন্যতম সহযোগি হিসেবে দেখি। তারা দেশব্যাপী বাঁধ নির্মানের নামে যেভাবে নদীর গলা টিপেছে তাতে নদী হত্যার জন্য অন্য কারো ভূমিকার প্রয়োজন ছিল না। আর এজিআরডি তো সরাসরি নদী হত্যার সাথে জড়িত। রাস্তা ঘাট বানানোর নামে তার নদীগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহকে বাধাগ্রস্থই করেনি। অদূর্রদর্শী ভুল নকশায় তৈরি সেতুগুলো নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে যেমন ধ্বংস করে দিয়েছে। তেমন নদীগুলোর সংযোগ নষ্ট করে দিল শাখা-প্রশাখাগুলো থেকে।

বর্তমানের আদালতের রায় বাস্তবায়নের নামে, আদালতের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে নদীর দুই পাড়ে যে ওয়াকওয়ে নির্মান ও সীমানা পিলার নির্মান করা হচ্ছে তা বুড়িগঙ্গার দুই পাড়ের অবৈধ দখলদারদের বৈধতাই দিবে। পাশাপাশি বুড়িগঙ্গা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে দুই পাড়ে বিস্তৃণ সবুজের সমারহ থেকে। এই বিচ্ছিন্ন হওয়া যতটা না বুড়িগঙ্গার জন্য দুসংবাদ তারচেয়ে বেশি খারাপ সংবাদ ঢাকাবাসীর জন্য। বুড়িগঙ্গার ইতি নামেই ঢাকা নামক একটি নগর সভ্যতা ইতিহাসের বইয়ের পাতায় স্থান পাওয়ার পথে চরম ধাপে এগিয়ে যাওয়া।

বুড়িগঙ্গা রক্ষায় কার দায়িত্ব ?
এই প্রশ্নের উত্তরে কোন কর্তৃপক্ষ আছে বলে মনে করার কোন কারণ নেই। কোন কর্তৃপক্ষই দায় নিতে রাজী নয়। তবে সবাই মাখন খায়। যেমন দখলদাররা যখন বালু ভর্তি বড় বড় নৌকা দিয়ে নদী ভরাট করছে তাতে যে রশিদ আদায় হচ্ছে তা বিআইডাব্লিউটি’র নাম খচিত রশিদ। পুলিশ আছে নদীর মাঝে ভাসমান থানা নিয়ে প্রতিটি বালু ভর্তি নৌযান থেকে টাকা আদায় হয়। এই ভাসমান থানার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করার যৌক্তিকতা আমরা নগরিকরা হারিয়ে ফেলেছি বহুদিন হল।

পরিবেশ অধিদপ্তর আমি বুড়িগঙ্গার তীর বহু লাল কারখানার হিসেব দিতে পারি যারা কোনদিন পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতির তোয়াক্কা করেনি। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া কারখানাগুলো হল কি করে?

ভূমি অফিস এর নাম মুখে আনা পাপ।

জেলা প্রশাসকদের অফিসের কাজ ছিল সীমানা পিলার নিধারনের। কিন্তু মন্ত্রী এমপি আর স্থানীয় প্রভাবশালীদের ঠেলায় তারা নিজেরাই দিশা হারা। নদীর সীমানা যেখানে দিয়েছেন তা যদি জেলা প্রশাসক দেখেন বর্ষায়। তবে নিজেই লজ্জা পাবেন।

বুড়িগঙ্গা রক্ষায় নিয়োজিত কয়েক ডজন প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড নিয়ে না লিখে। আইন প্রণেতাদের কথা বলি এবার জাতীয় সংসদে বর্তমান সংসদ সদস্য বেশ কয়েকজন দখলে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। তারা নদী দখলের মাধ্যমে নৈতিকতা কিংবা শপথ ভঙ্গ করেছেন কিনা এই প্রশ্ন করা সমীচীন হবে না। যদি প্রমাণ চায় তবে জনে জনে পৌছে দেয়া হবে।

এত সবের মাঝেও ভাল খবর বৈশাখে বুড়িগঙ্গার পানির মান উন্নতির পথে, ট্যানারী সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে নিচের ছবিগুলো আপনাকে আমার মত হতাশ করবে। বুড়িগঙ্গার তীর ঘেষে উঠা মন্ত্রীর চেলা এই হাউজিং কোম্পানী বেচে দিচ্ছে বুড়িগঙ্গা। আর আইন প্রণেতা তো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামে বুড়িগঙ্গা সবচেয়ে বড় শাখা নদীটি গিলে ফেললেন বিনা বাক্যে।

এতকিছুর পর রাষ্ট্রের আইনের প্রতি আস্থা হারানো যাবে না। পাশাপাশি আস্থার রাখতে হবে আল্লাহর গজবের উপর। একটা গজবই হয়ত পাল্টে দিতে পারে ঢাকার মানচিত্র। আইনের পাশাপাশি আমি আল্লাহর গজবের প্রতীক্ষায়।

সর্বশেষে বলি বুড়িগঙ্গা নিয়ে হতাশ হবার কিছু নেই। গজব কিংবা আইন এই দুইয়ে এক আমাদের জয় নিশ্চিত করবেই। কারণ প্রকৃতি সবসময় ভার‌সাম্য তৈরি করে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

বিজন রয় বলেছেন: আমার।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

শাহ আজিজ বলেছেন: গাবতলি ব্রিজের আগে বায়ে ঘুরে আমিনবাজারের দিক বরাবর নদী ছিল যা আমি ৭৬ সালে বাসে আসা যাওয়ার সময় দেখতাম । অনেকগুলো অকার্যকর ব্রিজ বানান ছিল যা এখন নেই। নদী নেই , ব্রিজ নেই , সেখানে গড়ে উঠেছে ৬ তালা বিল্ডিং আর বেশুমার বাড়িঘর । ৬১ বা ৬২র জরপ ম্যাপ দেখলে পাবেন কত হাজার একর জমিন সমান নদী দখল হয়েছে ৯৬/৯৮ সালের জরিপে । নদী উধাও , কিছুটা পেলাম সাভারের আগে। আমরা স্কেচ করতে সচারচর বুড়িগঙ্গা পার হতাম । তখন নদী একমুখী পানি বইত । সবচে বেশি দখল হয়েছে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং তার পেছনে হাজার হাজার একর। এসব জায়গা সরকারি জলাশয় ছিল। আমি যে দালানে বাস করি তাও জলাশয়ের অংশ । রায়ের বাজার , টেকনিক্যালের পেছনের এসব জায়গা স্মৃতিবহুল। এসব জলাশয় ভরে মানুষ বা ভোটার বাড়ানো হয়েছে। আচ্ছা দেশ যদি বিকেন্দ্রীকরণ হয় তো আমি জানি বা আলাপ সালাপ করে যা বুঝি তা হচ্ছে ঢাকা শহর অর্ধেক খালি হয়ে যাবে । এইযে প্রায় ৫০হাজার ফ্লাট খালি পড়ে আছে তার উপর যোগ হবে আরও ৩০ লাখ ফ্লাট বা ভাড়া বাড়ি । কি ভয়াবহ অবস্থা হবে বুঝতে পেরেছেন? লক্ষ কোটি টাকার ঋণ পুরোপুরি ব্যাড লোণে আশ্রয় পাবে। আর ব্যাঙ্ক বাজেয়াপ্ত করে ফ্লাটে মুরগি এবং গরু পালবে। সরকার এবং কোন সরকারই জনকল্যানমুখী নয় তা বুঝে গেছি অনেক আগে।
ভাল প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন । আলাপ চলবে।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮

রাবার বলেছেন: বুড়িগংগা থাকলে তো রক্ষা :||

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.