নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পৃথিবীর সন্তান।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন

এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অহনদের কান্না শুনতে পান কি মাননীয় মন্ত্রী ??

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

অহন বয়স মাত্র ৯। এই বয়সের অহনে বয়স থেকে বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি তাকে বাধ্য করছে দ্রুত বড় হয়ে যেতে। ৯ বছর বয়সে যখন অহনের স্কুল আর খেলার মাঠ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা। সেই বয়সে সে সারাদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যস্ত বিনামূল্যে সেচ্ছায় রক্ত সংগ্রহ নিয়ে।

খুলনা কিংবা দেশের অনলাইনে যারা সেচ্ছায় রক্ত সংগ্রহ করে তাদের মাঝে অহন খুবই পরিচিত নাম। জন্মের পাঁচ মাস বয়সে তার থ্যালাসিমিয়া ধরা পড়ে। তারপর থেকে প্রতি মাসেই তার রক্ত দরকার হয় নিজের জন্য। প্রথমে তার পরিবারের লোকজন রক্তের ব্যবস্থা করত। কিন্তু বছর কয়েক হল অহন নিজেই নিজের রক্ত সংগ্রহ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শুধুই কি তাই আশেপাশে কারো রক্তের প্রয়োজন হলেই অহনের ডাক পড়ে।

সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা সেচ্ছায় রক্তদানকারী, রক্তসংগ্রহকারী সবাই যেন অহনের ডাকে সাড়া দেয় নিমিষে। ইদানিং তার শরীরে খুব তাড়াতাড়ি রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। তাই মাসে প্রায় তিন চার বার রক্তের প্রয়োজন হয়।

বিপত্তি বাধে রক্ত থেকে রেডসেল সংগ্রহ করা নিয়ে। খুলনা থেকে যশোর প্রায় ৬০ কি:মি। অহনের মা প্রথমদিন রক্তদাতাকে নিয়ে যান যশোর। তারপর সেই রক্ত বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রেডসেল আলাদা করা হয়। পরেদিন সেই রক্ত এনে অহনকে খুলনায় দেওয়া হয়। এই আনা নেওয়া, রক্ত দেওয়া প্রক্রিয়াটা যতটা সহজ মনে হয় তারচেয়ে হাজার গুণ কষ্ট চাপা পড়ে আছে শিশু অহনের বুকে।
সেই কষ্ট নিয়ে গত১৮জুলাই ২০১৬ সালে ফেইস বুকে একটি স্ট্যাটাস লিখে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করে।

“ আমি আমার আপূর কাছে শুনেছি জাপানে নাকি শুধুমাত্র একটি স্কুলের মেয়ের জন্য প্রতিদিন রেলগাড়ি যেতে স্টেশন। আমাদের দেশেও নাকি যোগাযোগ মন্ত্রী এক মেয়ের স্কুলে যাতায়াতের সমস্যার কথা শুনে বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

আমি অহন। আমার মত অনেক অহন আছে খুলনায় l যাদের বেচে থাকার জন্য মাসে একবার দুইবার তিনবার রক্তের বিভিন্ন উপাদানের দরকার হয়। যেমন আমার দরকার হয় রেডসেল। আমার মা একদিন ডোনার নিয়ে যান খুলনা থেকে যশোর। তারপর রক্ত ওয়াশ হবার পর আবার রক্ত আনতে যেতে হয়। প্রতিবার ৬০ কিঃমিঃ । সেই রক্ত দেওয়ার জন্য আবার হাসপাতালে। সব মিলিয়ে আমার মায়ের খরচ ৩০০০টাকা। মাসে তিনবার হলে ৯০০০টাকা। কিন্তু যদি খুলনায় একটা রক্ত ওয়াস করার মেশিন থাকত।তাহলে এত টাকা লাগত না।

জাপানের মেয়েটির স্কুলের জন্য রেলগাড়ির দাম কত
ঢাকার স্কুলের পড়া মেয়েটির জন্য বাসের দাম কত

মন্ত্রী আমরা তো আরো অনেকদিন বাঁচতে চাই। আমাদের রেড সেল দরকার শিশুদের জন্য একটা মেশিনের দাম কত? একটা মেশিন চাই।

ইদানিং আমার প্রতি সপ্তাহে রক্তের দরকার হয়। আমার মা তো ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে যশোর ও খুলনা যেতে যেতে। মন্ত্রী একটা মেশিন দিয়ে দেন না প্লিজ। ’’


স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর অহনের এই আকুতি হাজার হাজার মানুষ শেয়ার দেয়। অসংখ্য মন্তব্য। সবার অনুরোধ মাননীয় মন্ত্রী যেন একটা রক্ত ওয়াসের মেশিন দিয়ে দেয় খুলনা মেডিক্যালে হাসপাতালে। যদিও ফেইস বুকে একজন কমকর্তা জানিয়েছেন খুলনা মেডিক্যাল কলেজে এই মেশিনটি আছে নষ্ট অবস্থায়। মাত্র এক লক্ষ টাকা প্রয়োজন মেশিনটি মেরামত করার জন্য। মাননীয় মন্ত্রী প্রায় এক মাস হয়ে গেল খুলনায় এখনো মেশিনটি পৌছেনি।

মাননীয় মন্ত্রী অহনের অনুরোধটি বিশেষ বিবেচনায় নিন।হাসপাতালের মেশিনটি দ্রুত মেরামত করে দিন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগে ৩/৪ জন সরকারী ব্লগার আছে, উহাদের লেখা দেখে মনে হয়, মামার জোরে চাকুরী পেয়েছে; দেখা যাক, মন্ত্রী পন্ত্রীকে জানায় কিনা, নাকি খালি কাঁঠাল পতা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: কাজ হয়েছে। মেশিন পৌছে খুলনায়।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাক।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: কাজ হয়েছে। মেশিন পৌছে খুলনায়।

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি মন্ত্রী নাসিমের কাছে লিখেছেন? কাজ সারছেন, উনি খালেদা জিয়ার বিপক্ষে সাক্ষাৎকার দিয়েই হয়রাণ

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: কাজ হয়েছে। মেশিন পৌছে খুলনায়।

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

কানিজ রিনা বলেছেন: মাননীয় প্রধান মন্ত্রী একবার হুকুম দিলেই হবে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: কাজ হয়েছে। মেশিন পৌছে খুলনায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.