নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পৃথিবীর সন্তান।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন

এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাবধান বিষাক্ত এই খাবারগুলো থেকে বিরত থাকুন এবং স্থানীয় ভাবে তাদের প্রতিরোধ করুন।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

এক সন্ধ্যায় স্কয়ার হাসপাতালের সামনে দেখি এক লোক রিকশা ভ্যানে করে সবুজ মটরশুটি বিক্রি করছে। প্রচুর মানুষের ভিড়। আমার শখ হল মটর পোলাও খাবার । তাই মটরশুটি কিনে নিলাম। ঐদিন রাতে দেশের বাইরে চলে যাওয়াতে আমার মটর পোলাও খাওয়া হয়নি।

মটরপোলাওয়ের জন্য কিছুটা লোভ হচ্ছিল। তাই দিন দশেক পর ঢাকায় ফিরে বাসায় এসে মটরের কথা জিজ্ঞাসা করলাম।
মটর !!! হ্যাঁ মটরশুটি ঐযে ঐদিন যাবার আগে কিনে ছিলাম?

ঐগুলো তো মটরশুটি না বিষ। গোটা দশবার পানি দিয়ে ধুয়ে নাকি সবুজ রং থেকে মুক্তি মিলেনি। তারপর যখন সিদ্ধ করল তখন পানি সবুজ হয়ে গেল। যত সিদ্ধ হয় পানি তত সবুজ হয়। তারপর এক সময় পানি কালো হয়ে গেল। মটরশুটিগুলো ফেলে দেওয়া হল।

এই রকম মটরশুটি ঢাকার প্রায় সকল বাজারে বিক্রি হয়। কোন প্রতিকার নেই।
নিরাপদ খাদ্য আইন

পঞ্চম অধ্যায়
বিষাক্ত দ্রব্যের ব্যবহার

বিষাক্ত দ্রব্যের ব্যবহার
২৩। কোন ব্যক্তি বা তাহার পক্ষে নিয়োজিত অন্য কোন ব্যক্তি, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অথবা বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী রাসায়নিক দ্রব্য বা উহার উপাদান বা বস্ত্ত (যেমন-ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ফরমালিন, সোডিয়াম সাইক্লামেট), কীটনাশক বা বালাইনাশক (যেমন-ডি.ডি.টি., পি.সি.বি. তৈল, ইত্যাদি), খাদ্যের রঞ্জক বা সুগন্ধি, আকর্ষণ সৃষ্টি করুক বা না করুক, বা অন্য কোন বিষাক্ত সংযোজন দ্রব্য বা প্রক্রিয়া সহায়ক কোন খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণে ব্যবহার বা অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবেন না অথবা উক্তরূপ দ্রব্য মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ মজুদ, বিপণন বা বিক্রয় করিতে পারিবেন না।


ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯

খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণের দণ্ড
৪২৷ মানুষের জীবন বা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক কোন দ্রব্য, কোন খাদ্য পণ্যের সহিত যাহার মিশ্রণ কোন আইন বা বিধির অধীন নিষিদ্ধ করা হইয়াছে, কোন ব্যক্তি উক্তরূপ দ্রব্য কোন খাদ্য পণ্যের সহিত মিশ্রিত করিলে তিনি অনূর্ধ্ব তিন বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।



ঢাকায় বাসস্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেল স্টেশন, বিভিন্ন জায়গায় এই সবুজ রং দেওয়া শশা, আমড়া বিক্রি করতে দেখা যায়। এগুলোতে স্বাস্থ্যহানীকর রং ব্যবহার করা হয়। আপনি যদি তাদের প্রতিরোধে এগিয়ে আসেন একবার তবেই মুক্তি মিলবে আমাদের। তাই আসুন স্থানীয় ভাবে আমরা প্রতিরোধ শুরু করি। পাশাপাশি দায়িত্বশীল সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ভেজাল প্রতিরোধে সম্পৃক্ত করি।


প্রতিকার কি আছে?

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারেন।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ , ২৯৷ কোন পণ্য মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর বলিয়া প্রমাণিত হইলে, মহাপরিচালকের পরামর্শক্রমে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সমগ্র দেশে বা কোন নির্দিষ্ট এলাকায় এইরূপ পণ্যের উৎ‍পাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করিবার বা প্রজ্ঞাপনে নির্ধারিত শর্তাধীন ঐ সকল কার্যক্রম পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশ জারী করিতে পারিবে।

ভেজাল পণ্যের সরাসরি আটক ও নিষ্পত্তি
৩৬। এই আইনের অধীন গৃহীত কোন অনুসন্ধান, তদন্ত বা বিচার কার্যক্রমে যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোন পণ্য দৃশ্যতঃ ভেজাল এবং মানুষের খাদ্য হিসাবে ভক্ষণের অযোগ্য বা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, এবং অনুরূপ অভিযোগ প্রতিপক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত হয় বা অস্বীকার না করা হয়, তাহা হইলে উক্ত পণ্য সরাসরি আটক করিয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে ব্যবহার, হস্তান্তর, ধ্বংস বা অন্য কোন প্রকারে বিলি বন্দোবস্ত করা যাইবে।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

জুন বলেছেন: আমিও একবার দেখেছিলাম পটলে সবুজ রঙ মেশাতে। কি ভয়ংকর এক পরিবেশে আছি। আপনার দেয়া ফোন নম্বর বা ভোক্তা অধিকার আইনে জানালে কি কিছু কাজ হবে? নাকি আবার হয়রানিতে পরতে হবে??

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: তাদের জানালে নিদিষ্ট বাজারে অভিযান চালাবে।

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আরে মিয়া ঐগুলোতে সবুজ রং ছিল না, ছিল কোন কেরামত/পদার্থের গুণাগুন। না হলে পানি সবুজ থেকে কালো হলো ক্যামতে। আপনার পরিবার না বুঝেই সেগুলো ফেলে দিয়েছে।

বৈজ্ঞানিকভাবে জারণ-বিজারণ প্রক্রিয়ায় তা থেকে কোন মূল্যবান ধাতু আবিস্কার করা যেত।
কবিরাজ বিদ্যায় সেগুলো দ্বারা মানুষের মুত্র দোষ সারানো যেত।

আর সর্বশেষ, কেহ যদি দয়াল বাবার নামে সেই সবুজ/কালো পানি নিয়তের উপর সকাল বিকাল পান করত তাহলে সে চির যৌবন লাভ করত।

এখন,
স্কয়ার হাসপাতালের সামনে আবার যান এবং মটরশুটি বিক্রেতাকে খুঁজে বের করে বাড়িতে তৈরী করতে থাকুন বিশেষ কিছু।

সাবধান, র‌্যাব যেন না জানে, তাহলে নাশকতার মামলায় ঢুকিয়ে দিবে।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: আ হা রে ভুল হয়ে গেল।

৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

শায়মা বলেছেন: আমিও দেখেছি এমন মটরশুটি!

দেখলেও বুঝা যায় ন্যাচারাল কালার না!

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০০

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: আমি কিনে ধরা খেয়েছি। এখন শুনি অনেকেই কিনেছে। তরকারি পুরো রং পরিবর্তন হয়ে গেছে তাদের

৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬

পলাশমিঞা বলেছেন: সবাইকে সচেতন হতে হবে। সদলে ওদেরেকে মাইর দিলে তাদের আক্কেল হবে।

আমাদের এখন একটা দল বানাতে হবে।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০০

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: কত দল হবে। তারপরও সবাই এক হলে হয়তবা সম্ভব।

৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭

রাতুল_শাহ বলেছেন: বাজারের সব কিছুই বিষাক্ত হয়ে গেছে।
কোন কিছু খাইতে ইচ্ছে করে না।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: হুম কিন্তু রুখতে হবে আমাদের।

৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: এত ভেজাল ভিড়ে টিকে থাকাই মুস্কিল ।মানুষ কি খাবে আর কোথায় যাবে ।
অদ্ভিত দেশ আমার অদ্ভুত সব মানুষ ।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: হুম।

৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



খাদ্যে ভেজাল মেশানোয় যদি পৃথিবীতে কোন পুরস্কার থাকতো, আমি হলপ করে বলতে পারি- সেটা নির্দ্ধিধায় আমাদের কব্জায় চলে আসতো!

এ বিষয়ে এত বেশি গবেষনা না করলেও অন্যান্য দেশ-জাতি সম্মন্ধে যতটুকু জেনেছি, তাতে অন্তত: এটুকু বুঝি, খাদ্যে ভেজাল মেশানোর মত অতি স্পর্শকাতর ব্যাপারটিতে আমাদের ছাড়িয়ে যাওয়ার দু:সাহস বোধ করি, কেউ করবেন না!

রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের দেশেও খাদ্য মান নিরুপন, মনিটরিং ইত্যাদি কর্মযজ্ঞের জন্য রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাদি রয়েছে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয় বিধায়ই আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি, বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব, স্বাস্থ্যহীনতাসহ সংশ্লিষ্ট নানা দুর্ভোগ দিনকে দিন গানিতিক হারে বেড়ে চলেছে।

আমাদের দেশেও রাষ্ট্রীয়ভাবে খাদ্য ও খাদ্যজাত দ্রব্যাদির মান নিয়ন্ত্রন, মনিটরিং এবং সর্বোপরি জনস্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য করে জনস্বার্থে সর্বোচ্চ প্রায়োরিটির ভিত্তিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন মনে হয় এখন সময়ের অন্যতম এবং অপরিহার্য দাবি।

সচেতনতামূলক পোস্টে ধন্যবাদ।

আমার ব্লগ কুটিরে আগাম স্বাগত।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: আপনার সাথে সহমত

৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৪

সুমন কর বলেছেন: কখনো কেনা হয় নেই। সচেতনার জন্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৪

শাহজাহান মুনির বলেছেন: অনেকবার কিনতে গিয়েও কেনা হয়নি অজানা কারণে। খাবো কি বলেন, সবকিছুতে ভেজাল! এসব দেখার কেউ নেই। ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৩

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: এমন একটা পোস্ট শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ। সচেতনতা বাড়ুক।

১১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪২

রায়হান মাহমুদ রাজিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

১২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৪

জাহিদ হাসান বলেছেন: বাংলাদেশে সব খাবারেই ভেজাল।
কোনটা ছেড়ে কোনটা খাই এর বদলে বলতে হবে কোনটা ছেড়ে কোনটা না খাই
সবই তো ভেজালে ভর্তি।

১৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৫

ঘটনা সত্য সাক্ষী দুর্বল বলেছেন: আল্লাহর গজব পড়ুক, এই কথা বলা ছাড়া কিছুই বলার নেই। আইন আছে; সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দেখিয়ে দেয়া ছাড়া আগ বাড়িয়ে কেউই এগিয়ে আসেন না। বাজার করব, নাকি বিচারের আশায় দৌড়াব। কে করে কার কাজ? সরকার আইন করে, পাবলিক তালি মারে আর দায়িত্বপ্রাপ্তরা মাছি মারে এই হল আমাদের হাল।

১৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমরা এখন বিষ কাইতে অভ্যস্থ্, ভালো খাবার খেলে পেট খারাপ করে।

১৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫

গরল বলেছেন: এগুলো মটরসুটি না, ডাবলী যেটা দিয়ে চটপটি বানান হয়। সেগুলোকে রং করে মটরসুটি বলে বিক্রি করে।

১৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩০

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আসলে কেবল কাগুজে আইন দিয়ে অন্যায় বন্ধ করা অসম্ভব! আমাদের সবার সচেতনতা আর সরকারের সদ ইচ্ছা এইসব বিষের হাত থেকে হয়তো আমাদের বাঁচাতে পারে!!

সুন্দর একটা পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!:)

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: হ্যাঁ আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.