নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পৃথিবীর সন্তান।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন

এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভুটান ভ্রমণ।

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়তে দেখেছি। বরফ টুকরো পড়া (শিলা বৃষ্টি) দেখার অভিজ্ঞতা আছে। আকাশ থেকে আম পড়ে/জাম পড়ে/ কিন্তু জীবনে প্রথম অভিজ্ঞতা হল, আকাশ থেকে পাথর পড়া দেখার।

আমরা ফুলশিলং ফিরছিলাম থিম্পু থেকে। চালক আগেই সর্তক করে দিলেন। প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাটা আজ কোন ভাবেই নিরাপদ নয়। যদি বেশি খারাপ হয় তবে ফিরে আসব এই শর্তে রওনা হলাম। ঘন্টাখানিক চলার পর চালক সিদ্ধান্ত জানাল সামনে না গেলেই এখন ভাল। যেহেতু আমি ব্যক্তিগত ভাবে গাড়ি ভাড়া নিয়েছি। আমি তার কথা এ বাক্যে রাজি হয়ে গেলাম।

সমস্যা হল আর এক বাঙ্গালি পরিবার তার জরুরী কাজ যেতেই হবে। তিনি কিছুতেই থাকতে পারবেন না। তিনি আমাকে নিয়ে যাবেন। তারা ভয় পাচ্ছেন। আমি ভীতু মানুষ তাদের সাথে রওনা দিলাম। তাদের মনে জোর বাড়াতে।

যেহেতু যাবার পথে পুরুষ চালক ছিল। এইবার আমি আর ভুল করিনি। একজন মহিলা নিলাম। সেই নারী গাড়ির চালকের অসম্ভব দক্ষতার জন্য গাড়ির সামান্য ক্ষতি হলেও, সবাই বড়সর ক্ষতি ছাড়াই নিচে নেমে আসতে পারি।

তিনি সারা রাস্তায় গাড়ি চালিয়েছেন আকাশের দিকে তাকিয়ে। বিশাল পাথরে ধাক্কা থেকে যেমন গাড়ি ও যাত্রীদের রক্ষার দক্ষতা দেখিয়েছেন। ঠিক তেমনি তিনি বিপদে মাথা ১০০ ভাগ ঠান্ডা রেখে কাজ করেছেন। পাথর পড়ার সময় গাড়ি থেকে নেমে একদম পাহাড় ঘেষে দাড়ানো আর ভূমি ধ্বসের স্থানগুলোতে নিরাপদ দূর দিয়ে যাওয়া। সবই তার অভিজ্ঞতার ফল।

এসেই দেখি কুইন অফ ফুশিলং আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমার ফোনে ভুটান গেইটের কাছে হাটাহাটি করছেন। যদিও ঐদিন তার অফিস বন্ধের দিন। তাকে আমি ভাবী ডাকি। ভুটানের প্রতিটি মানুষই আন্তরিক। সুতরাং তাদের আন্তরিকতার মূল্য দেওয়া উচিত আমাদের পর্যটক হিসেবে।

ভুটানে নতুন নিয়ম হয়েছে। যারা স্থলপথে যাবেন তাদের অবশ্যই স্থানীয় কোন ভুটানির জামানতকারী প্রয়োজন হবে অথবা কোন পযটন সংশ্লিষ্ট্য কোন প্রতিষ্ঠানের পত্র কিংবা থিম্পুতে হোটেল বুকিং। এই তিনের এক ছাড়া এই সপ্তাহ থেকে ভুটানে বাঙ্গালীদের আর ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে না।

কুইন অব ফুলশিলং আমার জিম্মাদার, পাশাপাশি তারা অন্তরিক ব্যবহার এবং বিনামূল্যে ফুলশিলং থাকা, এক বড় ভাই অতিথেয়তায় আমি শুধু মুগ্ধই না। পাহাড়ে চড়তে ভীতু আমি বার বার ভুটান যাব। প্রতিবছর ভুটান যাব পণ করে আসলাম তার পরিবারের কাছে।
আমার ফেবুর বন্ধুরা আপনাদের স্থলপথে যাবার পথে যদি কোন প্রকার সমস্যা হয় ভুটান সীমান্তে। তবে কুইন অব ফুলশিলং এর সহযোগিতা পাবেন শতভাগ নিশ্চিত। গত কয়েকদিনে আমার মৃদু অনুরোধে ৪জন বাঙালীর জিম্মাদার হলেন কুইন অফ ফুলশিলং।

* বৃষ্টির সময় রাতে ফুলশিলং থেকে থিম্পু আসা যাওয়া না করুন।
*স্থানীয়দের অভিজ্ঞতা/উপদেশ মেনে চলুন।
*ভাল হয় চালক হিসেবে মেয়ে চালকদের বেছে নিন। কারণ তারা সেলফোনে কথা বলে না অথবা চ্যাট করবে না গাড়ি চালানো অবস্থায়।
*ভুটানিদের প্রতি আস্থা রাখুন। তারা অার যাই করুক। বিপদে আপনাকে ফেলে আসবে না। কিংবা ঝামেলা করবে না।
*স্থানীয় আইনগুলো মানার ক্ষেত্রে দৃষ্টি রাখুন। আপনি শুধু একজন ভ্রমণকারী নয়, আপনি বাংলাদেশ নামক দেশের প্রতিনিধিত্বও করেন।
* ফুলশিলং থেকে ভিসা পাবার পর অবশ্যই থিম্পুতে যাবেন। যদি না যেতে চান তা ভিসা অফিসারকে অনুরোধের সাথে বলেন।
* গালগালি,বাজে কথা বলবেন না। কারণ ভুটানিরা মোটামোটি বাংলা বুঝে।
* আপনি একজন বাংলাদেশি নাগরিক আপনার ভ্রমণকালীন ভাল/খারাপ আচরণ অন্য বাংলাদেশির ভ্রমনের উপর প্রভাব রাখবে।
*ফুলশিলংয়ে ভিসার জন্য এককপি ছবি ও পাসপোর্টের ফটোকপি দরকার হবে।

ছবি
১. ভূমি ধ্বস গাড়ির সামনে রাস্তা হুট করে বন্ধ।
২. গাড়ির সামনে পাথর পড়েছে
যারা আমার জন্য চিন্তিত/প্রার্থনা করেছেন। ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা আপনাদের প্রতি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভিন্নরকম স্বাদ পেলাম :)

সর্তকতাগুলো সবারই গুরুত্বের সাথে নেয়া উচিত।

++++

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.