নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পৃথিবীর সন্তান।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন

এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে দেশে মানুষ ৫০কোটি টাকা ব্যয় করে একটা গাছ বাঁচিয়ে রাখে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১



এইদেশে উন্নয়ন মানেই গাছ কাটা। এক সময় আমাদের পাহাড়ে বিশাল বিশাল দৈতাকার গাছ ছিল। আজ পাহাড় গাছ শূণ্য।
একটা বড়সর বট গাছ ঘিরেই গ্রামগুলোতে হাট বসত। ৮০ কিংবা ৯০ দশকে যারা Village Market রচনা পড়েছেন। তারা চোখ বন্ধ করেই সেই বট গাছের নিচে সপ্তাহে এক/দুদিন বসা গ্রাম্য হাটটির কথা কল্পনা করতে পারবেন আজও।

বটের তলায় আমাদের গ্রামগুলোতে আর হাট বসে কিনা জানি না। স্কুল কলেজ এখন Village Market রচনা পড়ানো হয় কি?
প্রশ্নের উত্তর যাই হোক না কেন। সারাদেশে ব্যাপক গাছ কাটা হচ্ছে। সংসদে গাছকাটা বিষয়ক আইনটা মনে হয় এখনো ঝুলে আছে।
আমিও বহুবার ব্যর্থ গাছ কাটা রুখতে। থানা-পুলিশের চড় থাপ্পড় নিয়ে জানাব একদিন।

তবে আশার কথা ঢাকা সিটি কলেজ থেকে একটু সামনে গেলে। এলিফ্যান্ট রোডের শুরুতেই কয়েকটা সিমেন্টের হাতি দেখা যায়। সে সিমেন্টের হাতিগুলোকে যে বিশাল বটগাছটা ছায়া দেয়। তা রক্ষায় সফল হয়েছিলাম। কিভাবে রক্ষা হয়েছিল বড় বড় কর্তাদের হুমকারকে তুচ্ছ করে। তার সাক্ষী Maruf Rahman Ibnul Syed Rana Syed Mahbubul Alam Tahin। তারা ছুটে গিয়েছিলেন গাছটির জন্য।

ধানমন্ডি লেকের পাড়ে আগামী কয়েক বছর পরে বেশ কয়েকটা বিশাল ছায়াধারী পেট মোটা বট-পাকুরকে নিয়ে আমি গর্ব করতেই পারি। কারণ গাছগুলো আমি আর সেলিম ভাই লাগিয়ে ছিলাম বছর দশ আগে।

সেলিম ভাই মারা গেছেন তাও বছর পাচ তো হবেই। গাছগুলো আছে।

নাগরিক হিসেবে আমার গাছ সংশ্লিষ্ট ব্যর্থতা অনেক। ঢাকা শহরে কয়েক হাজার গাছ লাগিয়ে, শেষ পর্যন্ত একশ গাছও রক্ষা করতে পারিনি।

গাছ নিয়ে আপনারও হয়ত হাজার গল্প আছে। তবে ছবির এই গাছটা নির্মম ভাবে গাছ কাটার দেশে আপনাকে আশাবাদী করে তুলবে।
এই গাছটিকে ঘিরে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠেছে পাঠাগার, স্কুল, প্রার্থনালয়, অসংখ্য মানুষের জীবিকা। ভুল পড়েন নি। টাকার অংকটা ৫০ কোটি টাকা।

আমি গাছটা দেখে এখন বাসে করে ঢাকায় ফিরছি। বার বার মনে হচ্ছে ব্যর্থ হলে হবে না। যে দেশে মানুষ ৫০কোটি টাকা ব্যয় করে একটা গাছ বাঁচিয়ে রাখে। যেদেশে একটা গাছ ঘিরে গড়ে উঠে পাঠাগার, স্কুল, প্রার্থনালয়, অসংখ্য মানুষের জীবিকা। একটা অজপাড়া গ্রাম আলোয় ভরে যায় গাছটাকে ঘিরে।

সেখানে ক্রমেই ধূসর হয়ে যাওয়া এই শহরটার দায় আমারও। এই শহরটা সবুজ রাখার দায়িত্ব আমারই। কারণ আমার দেহই তো প্রতি মূহুর্তে বিশুদ্ধ অক্সিজেনের জন্য হাহাকার করে এই শহরে।

আসুন গাছ লাগাই। এই শহরে আবারো আমতলা, জামতলা, কলাবাগান, খেজুরতলা, জিগাতলা, কাঠাল বাগান, সেগুন বাগিচা হাজারো গাছের নামে এলাকার পরিচয় হোক।

৫০কোটি টাকা না হোক ৫০টাকা ব্যয়ে তো গাছ লাগানো যায়।


আসুন
আপনার জন্য, নিজের জন্য একটা গাছ

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২১

অর্ক বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে পড়লাম পুরো পোস্ট। আপনার মতো সমাজ একজন নিবেদিতপ্রাণ স্বেচ্ছাসেবক কর্মী নাগরিককে আমি স্যালুট জানাই। এই সবুজহীন শহর ঠিক মানুষকেও নির্জীব করে তুলেছে। এসব নিয়ে ভাববার যেন কেউ নেই। আপনি এগিয়ে যান। আপনার মতো সুনাগরিকের সত্যি ভীষণ, ভীষণ অভাব এই বাংলাদেশে।
তবে ছবির শিরোনামের গাছটি সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিত জানবার কৌতূহল হচ্ছে। গাছটা কোন জেলায়?
যাই হোক চমৎকার পোস্ট। এই গাছ ঘাশ সবুজহীন ঢাকা শহরে ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা অশেষ।

১১ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৫৭

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: গাছ আমার বন্ধু।

১১ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৫৮

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: সহমত

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: এই নিয়ে একটা নীতিমালা প্রয়োজন।

আমাদের দেশে যেহেতু জমি কম, কত অংশ গাছ, কত অংশ ধানী জমি আর কত অংশ বাসা-বাড়ি বা কলকারখানা হবে তা নির্ণয় করা খুব জরুরী।

১১ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৫৮

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: সহমত

৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:১১

শাহিন-৯৯ বলেছেন: গাছ আমাদের লাগাতেই হবে, নইলে অদূর ভবিষ্যতে এদেশের মানুষের কপালে খারাপ আছে।

১১ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:১৪

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.