নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পৃথিবীর সন্তান।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন

এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কার ভয়ে ভীতু রাষ্ট্র? ট্যানারী বর্জ্য দিয়ে পোল্ট্রি ফিড তৈরি বন্ধ করতে হবে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১১


আগামীকাল সকাল ১০.০০ আমরা বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ৭১-৭২ ইস্কাটন গার্ডেন, ঢাকা অফিসে যাব। মানুষ হত্যার এই মিছিল বন্ধের দাবীতে। আপনিও আসুন। যদি খুব ব্যস্ত থাকেন। তবে একটা ফোন দিন কিংবা আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুই লাইন লিখুন “কার ভয়ে ভীতু রাষ্ট্র? ট্যানারী বর্জ্য দিয়ে পোল্ট্রি ফিড তৈরিকারকদের রুখতে ভয় পায়?

সাভারের ভাকুর্তার মোগরাকান্দির গ্রামের চকের একটা বড় অংশ ২০ জন ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে পোল্ট্রি ফিডের কাঁচামাল তৈরি মালিকের দখলে ।

যদি ভাবেন এই সমস্যা শুধুই মোগরাকান্দা গ্রামবাসীদের। আপনি আমি নিরাপদ। তবে ভুল ভেবেছেন। আমার আদরে শিশু কিংবা আপনি যে পোল্ট্রি মুরগী বা মাছ খাচ্ছেন। তার কোনটা দেহে যে মোগড়াকান্দা এই ভয়ানক বিষাক্ত উপাদান নেই, তার প্রমাণ কি? মোগড়াকান্দা থেকে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের কোটি কোটি মানুষের দেহে।

ট্যানারির বর্জ্যে ব্যাপক জনস্বাস্থ্যেও জন্য ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে। চামড়া প্রক্রিয়াজাতের সময় ১৩২ ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়।ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে তৈরি খাবার মাছ ও মুরগিকে খাওয়ানো হলে মাছ ও মুরগির শরীর বিষাক্ত হয়।ভয়ঙ্কর এসব কেমিক্যাল ফুড চেইনের মাধ্যমে নানাভাবে মানবদেহে প্রবেশ করছে। ক্রমিয়াম এবং সীসা মানবদেহে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি প্রবেশ করলে মানুষের লিভার, কিডনী, ব্রেন ও নার্ভাস সিস্টেম অচল হয়ে যায়। ক্রমেই নারীর প্রজননক্ষমতাও ধ্বংস হয়ে যায়।

২০১১ সালের ২১ জুলাই বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে তৎকালীন একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ এক মাসের মধ্যে বর্জ্যকে মাছ-মুরগির খাবার তৈরির কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেয়।হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা লিভ টু আপিল করেন। সেই লিভ টু আপিল আজ খারিজ করে দেন। এরপর ফের আবেদন (আপিল ফর রেস্টোরেশন) করে। যে আবেদন রবিবার ৯ এপ্রিল ২০১৭ খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ট্যানারি বর্জ্য থেকে পোল্ট্রি ও মাছের খাদ্য তৈরি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ সেই নিষেধাজ্ঞা না মেনে দেদারসে ট্যানারি বর্জ্য থেকে তৈরি হচ্ছে পোল্ট্রি ফিড।

প্রশ্ন হচ্ছে আদালতের নিষিদ্ধ তারপরও কিভাবে চলছে এই কাজ?
উত্তর একটাই আমার ভীতু? আমার আমাদের দেহকে কোম্পানীর মুনাফার জন্য তুলে দিয়েছি। মুনাফালোভী এই কোম্পানীগুলো আপনি আমি এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে নিরবে হত্যা করছে।

কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করার পর থেমে নেই ট্যানারীর বর্জ্য থেকে পোল্ট্র ফিডের কাঁচামালা তৈরির কার্যক্রম। মোগরাকান্দির গ্রামের সেই ক্ষমতাশালীদের কাছে কতদিন জিম্মি থাকবেন আপনি। স্বাধীনতার পর আর কতদিন আপনি সমর্থন দিবেন এই গণহত্যা?

আসুন প্রতিবাদ করি। রুখতে হবে এই মুনাফালোভীদের।

আগামীকাল সকাল ১০.০০ আমরা বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ৭১-৭২ ইস্কাটন গার্ডেন, ঢাকা অফিসে যাব। মানুষ হত্যার এই মিছিল বন্ধের দাবীতে। আপনিও আসুন। যদি খুব ব্যস্ত থাকেন। তবে একটা ফোন দিন কিংবা আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুই লাইন লিখুন “কার ভয়ে ভীতু রাষ্ট্র? ট্যানারী বর্জ্য দিয়ে পোল্ট্রি ফিড তৈরিকারকদের রুখতে ভয় পায়?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮

বিষাদ সময় বলেছেন: ঘরে ঘরে রুগী, ফার্মেসি গুলোতে সন্ধা হলেই ওষুধ ক্রেতার ভিড়, মহল্লায় মহল্লায় প্রাইভেট হাসপাতাল দেখলেই বোঝা যায় আমরা কতখানি স্বাস্থ ঝুঁকিতে আছি। দেশে প্রতিবছর ৩.৫% টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায় স্বজনের চিকিৎসা করাতে গিয়ে। দেশ মধ্যম আয়ের দেশ বলে যে আত্মতৃপ্তি অনুভব করছি, সে আয়ের যদি সিংহ ভাগ ব্যয় হয়ে যায় চিকিৎসা খাতে তবে এমন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়ে লাভ কি!

খাদ্য দূষণ, বায়ু দূষণ , পানি দূষণ সহ এ ধরণের দূষণ থেকে যদি এ দেশের জনসাধারণকে মুক্ত করা না যায় তবে অচিরেই আমরা একটা পঙ্গু জাতিতে পরিণত হবো।

দেশের সরকার বা ক্ষমতাশালীরা না হয় তাদের স্বার্থক্ষুন্ন হওয়ার ভয়ে এ ধরণের জঘন্য কাজের বিরোধীতা করতে ভয় পাচ্ছে, কিন্তু আমরা সাধারণ ব্লগাররা কিসের ভয়ে আপনার পোস্টের সাথে সহমত পোষণ করে একটি মন্তব্য করতে ভয় পাচ্ছি সেটা ঠিক বুঝলাম না, না হলে এ ধরণের একটি পোস্ট ৪ ঘন্টা ধরে মন্তব্যহীন থাকে কি করে! আমরা কেমন ব্লগার হলাম!!!!!

আপনাদের কার্যক্রমের পূর্ণ সমর্থন করছি , সবার মঙ্গলের জন্য এ রকম কার্যক্রম গ্রহণ করায় আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং সাধ্য অনুযায়ী এসব ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার অঙ্গীকার করছি। ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

বিষাদ সময় বলেছেন: মন্তব্যহীন একটি পোস্ট হওয়ার পরও এর গুরুত্ব বুঝে পোস্টটিকে নির্বচিত পাতায় স্থান দেয়ায় সামু মডারেটরদের বিচক্ষনতার প্রশংসা করছি।...................

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১২

সুমন কর বলেছেন: এসব বন্ধে সরকারকে কঠোর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নতুবা এ সমস্যার কোন সমাধান নেই।

৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: সাথে আছি।

৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এক সময় ফরমালিন ঝড় গিয়েছিল। এখন ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে মুরগী ফিড। বাংলাদেশে কেন যে এসব ব্যপারে কোন চরম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় না বুঝি না। এর আগে ওয়াসার লেগুনার মাছ নিয়েও প্রতিবাদ আসায় সেটা বন্ধ হয়েছিল। এই ব্যবসায়ীগুলোকে ফাঁসি দেয়া উচিত...

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

ডা: মেহেদী হাসান বলেছেন: ভয়ংকর অবস্থা দেখছি.!!!

৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

অলিউর রহমান খান বলেছেন: সহমত। আমাদের দেশ কি তবে কখনো পরিবর্তন হবে না?
এসব দেখার কি কেউ নেই?

খুব দু:খ জনক। সবাই প্রতিবাদ জানান।
পূর্ণ সমর্থন পাবেন সাবার কাছ থেকে আশা করছি।
ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টের জন্য।

৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

দয়িতা সরকার বলেছেন: যেকোন ধরনের খাদ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান মিশ্্রনকারীর ফাঁসি হওয়া উচিৎ।এরা এক ধরনের খুনি।
যারা পাবলিক প্লেসে সিগারেট খায়, তাদেরও কঠিন সাজা হওয়া উচিৎ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.