নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পৃথিবীর সন্তান।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন

এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

২১ এখন শুধুই বাংলা ভাষা ভাষীদের নয়। ২১ এখন সারা পৃথিবীর প্রতিটি ভাষার রক্ষার লড়াইয়ে প্রতীক।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

বাংলা ভাষা এবং ভাষা আন্দোলন নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। কিন্তু ভাষার জন্য শুধুই আমরা রক্ত দিয়েছি এই রকম প্রচারণা অন্য ভাষা-ভাষীদের ভাষার আন্দোলন-লড়াইকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে শিখাবে না। বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে ভাষা নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। কোথাও কোথাও শত শত মানুষ জীবন দিয়েছে তাদের মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনে।

আমাদের গর্বের আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবসের ২১শের আলোচনায় এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যদি সেই সব ভাষা-শহীদের ত্যাগের কথা উল্লেখ করা হয়। তবে তাতে ২১শের চেতনা আরো দৃঢ় হবে। নতুন প্রজন্ম শ্রদ্ধা করতে শেখাবে অন্য ভাষা-ভাষীদের।

২১ এখন শুধুই বাংলা ভাষা ভাষীদের নয়। ২১ এখন সারা পৃথিবীর প্রতিটি ভাষার রক্ষার লড়াইয়ে প্রতীক।

যদি শ্রদ্ধা জানাতে পারি, সম্মান জানাতে পারি ১৬ জুন ১৯৭৬ সাল দক্ষিন আফ্রিকার, ১৯৬৫ সালের ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যর মাদ্রাজ (বর্তমান চেন্নাই), আমেরিকার বিভিন্ন নেটিভ/আদি/স্থানীয় ভাষা রক্ষার আন্দোলনগুলোক। তবে মাতৃভাষা দিবস আরো অর্থবহুল হয়ে উঠবে।

ভারত, বার্মা, পাকিস্থানের চলমান বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের ভাষার অধিকার পাওয়ার আন্দোলনগুলোকে সমর্থন দেওয়াই বর্তমান মাতৃভাষা দিবসের অঙ্গিকার হওয়া উচিত।

বায়ান্নের বেরিকেট ভেঙ্গে যে বাঙ্গালীরা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে গিয়েছিল তাদের দেশে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই দিয়ে সর্বস্তরে বাংলার প্রচলনটা থামিয়ে রাখা মানে বেরিকেটে বন্দী হওয়া। সর্বস্তরে বাংলার ভাষার ব্যবহারের স্বার্থে ভাঙ্গতে হবে বেরিকেট।

সর্বশেষ বলি আমাদের বিশেষ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা এবং আদিবাসীদের ভাষা রক্ষার উদ্যোগ বিষয়গুলোতে চোখ বন্ধ করে রাখার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা প্রয়োজন।

আমাদের শহীদমিনার শুধুই আমাদের বাঙ্গালীর ভাষা রক্ষার আন্দোলনের প্রতীক নয়। সারা পৃথিবীব্যাপী চলমান সকল ভাষা অধিকার রক্ষার আন্দোলনকে সমর্থন দেওয়ার প্রতীক। তাই এই মিনারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমিও বলতে চাই।

হে ভাষার জন্য লড়াকু সৈনিক তোমরা জেনে রেখো।

লড়াইটা যেখানেই হোক পাহাড়ে অথবা সমতলে, ভারত, পাকিস্থান, বার্মা, ভিয়েতনাম, ফান্স কিংবা অমেরিকায় । ভাষার জন্য কিংবা ভাষার বিশুদ্ধতা রক্ষার এই আন্দোলনে আমি এবং আমরা সমর্থন করি। আমরা তোমাদের সাথে আছি। আমার তোমাদের আন্দোলনকে ভালবাসি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



পৃথিবীতে পাকীদের মত, আর আমাদের মতো ইডিয়ট কম আছে, ভাষা নিয়ে কারো সমস্যা নেই।

১১ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৪০

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ভাষা নিয়ে পৃথিবীতে এখনো অনেক স্থানেই আন্দোলন চলছে। অনেক স্থানেই ভাষার আগ্রাসন চালানো হচ্ছে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.