নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

brotoweb.wordpress.com/

ব্রতশুদ্ধ

ব্রতশুদ্ধ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি নায়ক উপাখ্যান। পর্ব-১

২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩০

চার ভাই ওরা। সবার ছোট সে নিজেই। নাম তোরণ। দেখতে অনেক স্মার্ট একেবারে টল ডার্ক হ্যান্ডসম যাকে বলে । কিন্তু বেচারা জন্মান্ধ। বড় তিন ভাইয়ের পাঠ্যগত শিক্ষা অনেক। একেবারে পিএইচডি হোল্ডার যাদের বলে আরকি। কিন্তু তোরণের মেধা বাকিদের চেয়ে একটু বেশিই।হোক না সে অন্ধ কি হল তাতে। এক হিসেবে বাকি তিন ভাই তোরণের অন্ধত্ব্যকে শান্তনা হিসেবে ধরে নেয় কারণ এই ছেলে যদি দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন হত তাতে বাকি তিন ভাইয়ের হতাশার পরিমাণ নিঃসন্দেহে আরও বেড়ে যেত। ওরা তিন ভাই তোরণের সৎ ভাই। এক পিতা, দুই মাতা আর চার পুত্রসন্তানের এই সংসারে পিতা নামক চরিত্রের প্রয়াণ ঘটেছে গত জানুয়ারিতে । আর ৪ বছর আগে হৃদরোগে দেহত্যাগ করেন তোরণের জন্মদাত্রী মাতা। পিতা ছোট পুত্রকে অন্যদের থেকে একটু বেশিই আদর করতেন। পিতার মৃত্যুতে বড্ড বেশি অসহায় হয়ে পড়েছে তোরণ। ভাইদের ব্যবহার দিন দিন খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে তার প্রতি। এবার আসা যাক তোরণের ভাইদের ক্ষুদ্র বিবরনে।
বড় ভাই আসাদ চৌধুরী। সাইকোলজিতে পিএইচডি তাও আবার লন্ডন ফেরত। কদরই আলাদা। এখন একটা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফসর। ব্যক্তি হিসেবে বেশ কঠোর, দাম্ভিক। অর্থ নিয়ে চিন্তা করে না আসাদ কারণ ঢের আছে তার।

মেজ ভাই সামাদ চৌধুরী জেনেটিকেল ইঞ্জিনিয়ার। পিএইচডি হোল্ডার। ইনি আবার যুক্তরাষ্ট্র ফেরত। কদরই আলাদা। এখন একটা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের এসোসিয়েট প্রফেসর। ব্যক্তি হিসেবে বেশ কঠোর, দাম্ভিক এবং লোভী। টাকার প্রশ্নে জুতোর বাড়ি খেতেও প্রস্তুত উনি। কিন্তু যেভাবেই হোক টাকা তার চাই। হয়তোবা জেনেটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করে অপমানবোধের জিনটা সনাক্ত করতে পেরেছিলেন উনি এবং সেটাকে একটা সাইকোলজিক্যাল ওয়ারের মাধ্যমে দেহ থেকে বিতারিত করতে সফল হয়েছেন। যদিও দাম্ভিকতা এখন তার শো-অফ মাত্র।

সেজ ভাই স্মরণ চৌধুরী একজন ডাক্তার। জার্মানী ফেরত তিনি। সমাজে কদরই আলাদা। এখন প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন। ব্যক্তি হিসেবে বেশ কঠোর, দাম্ভিক এবং লোভি। টাকার প্রশ্নে নো কম্প্রোমাইজ।

আর সবার ছোট তোরণ। পিএইচডি কিংবা ডাক্তারি নয় উনি, সে তো আজ অব্দি স্কুলের দরজাই মাড়ায় নি বেচারার ওসব ভারী ভারী ডিগ্রি তো স্বপ্নেও আসেনা। কিন্তু জন্মগত অন্ধ এই ছেলেটি দূর্দান্ত মেধার অধিকারী। হ্যাঁ বলতে পারেন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই যার নেই তার মেধা আবার যাচাই হয় কিভাবে? তাহলে তার এই ২১ বছরের জীবনের কাহিনীগুলো একটু বর্ননা করতেই হচ্ছে।
বয়স যখন ৬ তখন বাবা আনিছ চৌধুরী বেশ ভাল মতই বুঝে গেছিলেন যে আমার কনিষ্ঠ সন্তানটির স্বাভাবিক স্কুলে গিয়ে পড়ালেখা করা হবে না। আর বাবা কোন স্পেশাল স্কুলে ছেলেটিকে ভর্তিও করায় নি। উনার মন হয়তোবার সাই দেয়নি। তাই বাসায় একজন প্রাইভেট টিউটর রেখেদিয়েছিলেন চড়া মাসিক বেতন দিয়ে। প্রাইভেট টিউটরটির নাম অসীম রাহা। এই অসীম রাহাই প্রথম ব্যক্তি যিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এই তোরণ চৌধুরী জন্মান্ধ হতে পারেন কিন্তু তার মেধা অন্যান্য স্বাভাবিক মানুষদের থেকে বেশ এগিয়ে। অসীম সাহা তোরণের বেস্ট ফ্রেন্ড। বয়স অসম হলেও টিচার স্টুডেন্ট সম্পর্কটা কে বন্ধুত্বে পরিণত করতে বাধ্য করেছিল তোরণ তার অসম মেধার দ্বারা। পরিবারে তার বড় ভাই এবং সৎ মা এর হিংসার চক্রান্ত গুলো বেশ ভাল মতই টের পাচ্ছিলেন অসীম রাহা। বাবা-মা তোরণকে আদর তো করতেন বটেই কিন্তু নিজেদের ব্যস্ততার মাঝে অসীম রাহাই অনেকটা বাবা-মা র ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তোরনের জীবনে। একটা গভীর দূর্বলতা জন্মেগিয়েছিল তোরনের প্রতি। তোরনের যখন ১৬ বছর বয়স তখন অসীম তোরণকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন “ You are the unsung protagonist of this notorious drama ” কারন অসীম রাহা জানতেন যে এই ছেলেকে আটকে রাখবে এমন কোন প্রতিবন্ধকতাই নেই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

ব্রতশুদ্ধ বলেছেন: আমার লেখনি অনেক কাঁচা।। এটা লিখেছিলাম আরো এক বছর আগে।হঠাৎ কম্পিউটার ঘেটে পেলাম তাই শেয়ার মেরে দিলাম :)

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩১

উম্মে সালমা কলি বলেছেন: বাকি অংশ লিখে দ্রুত পোস্ট করুন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.