নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাজার বছর ধরে রাজার শাসন ছিল, রাজ্য চলেছে শুধু রাজার কথায়
সামন্তবাদ ছিল জমিদার এলো গেলো, মানুষ থাকেনি বসে পুরনো প্রথায়।
ধর্মরাষ্ট্র নামে গির্জার অনাচার পোপের অত্যাচার সয়নি মানুষ
ব্যক্তিতন্ত্র আর পরিবারতন্ত্রকে ভেঙেচুরে দিয়েছে তুমুল জনরোষ।
সমাজতন্ত্র এসে দুদিনেই গেছে ভেসে, লাল পতাকার রঙ হয়েছে মলিন
তারপর দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে হায় পুঁজিবাদ আর গণতন্ত্রের দিন।
বুকে গণতন্ত্র পিঠে গণতন্ত্র, নুর হোসেনেরা হয় রাজপথে লাশ
রাজনীতিবিদদের মুখে গণতন্ত্র গোপনে গোপনে ক্ষমতার অভিলাষ।
জনতার অধিকার কেড়ে নেয় সরকার, বিরোধিরা রাজপথে করে সন্ত্রাস
দুপক্ষ দুর্বার দুমুখো অত্যাচার অসহায় দেশ-জাতি করে হাঁস-ফাঁস।
গণতন্ত্রের ফাকি এখনো তা বোঝো নাকি বুঝিয়ে বলছি তবে শোনো তোমাদের
--এই গণতন্ত্র মিছে-মোহ-মন্ত্র, শোষণের যন্ত্র পশ্চিমাদের।
.
.
.
.
এই গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা হয় পশ্চিমা বিশ্বের কিছু বড় দেশে
হবেনা তা আমাদের অশিক্ষা অনাচার দারিদ্র-দুর্নীতি ভরা পরিবেশে।
এই গণতন্ত্রের সংস্কার দরকার সাজিয়ে তা নিতে হবে আমাদের মতো
নিলাম স্বাধীনতা, কেন লুফে নেব আর পশ্চিমাদের দেয়া পচা মাল যত।
আমরাই জনতার অধিকার রক্ষার নতুন ইশতেহার নিতে পারি গড়ে
এই গণতন্ত্রই পৃথিবীর শেষ নয়, এই দিন দিন নয় আরো আছে পরে।
গণতন্ত্রের আজ তন্ত্রটা শুধু আছে, গণ বাদ পড়ে গেছে হায়রে সাধের
এই গণতন্ত্রে ব্যক্তি গণনা হয় ব্যক্তিত্বের কভু হয়না ওজন
প্রার্থির তালিকায় সকলেই ঠাই পায়, মন্দ অমন্দের নেই বিভাজন।
এই গণতন্ত্রে সৎ কিবা অপরাধী মূর্খ বা শিক্ষিত সবাই ভোটার
সবার ভোটের মান অঙ্কে সমান তাই দুষ্টেরা পথ খুজে ফায়দা লুটার।
ভালদের ভোটগুলো ভাগাভাগি হয়ে গিয়ে অল্পেই মন্দেরা করে বাজিমাত
শতকরা বিশ ত্রিশ ভোটে তারা জিতে যায় বাকি সত্তর আশি হয় কুপোকাত।
.
.
.
.
কোন প্রতিবাদ হলে বুকে হাত ঠুকে বলে জনতাই এ ক্ষমতা দিয়েছে তাদের
এই গণতন্ত্র মিছে-মোহ-মন্ত্র, শোষণের যন্ত্র পশ্চিমাদের।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৩
ধ্রুবক আলো বলেছেন: কোন প্রতিবাদ হলে বুকে হাত ঠুকে বলে জনতাই এ ক্ষমতা দিয়েছে তাদের
এই গণতন্ত্র মিছে-মোহ-মন্ত্র, শোষণের যন্ত্র পশ্চিমাদের।
ভালো লিখেছেন