নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিপূর্ণ মনুষ্যত্ব অর্জনের প্রত্যয়ে

শুজা উদ্দিন

ব্যতিক্রম

শুজা উদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিল্লির ‘চীন ভীতি’তে ঢাকার কিছু বুদ্ধিজীবীর ঘুম যেন হারাম হয়ে গেছে

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

দিল্লির ‘চীন ভীতি’তে ঢাকার কিছু বুদ্ধিজীবীর ঘুম যেন হারাম হয়ে গেছে। নাওয়া-খাওয়া ভুলে তারা মায়াকান্না করছেন ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা চুক্তি (ডিফেন্স প্যাক্ট) স্বাক্ষরে ঢাকাকে সম্মত করতে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগে সরকারের নীতি নির্ধারকরা যাতে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন সে জন্য গায়ে পড়ে শলাপরামর্শ দিচ্ছেন। ‘চীনের সাবমেরিন না কিনলে হয় না’ এমন টাইপের তোয়াজে ব্যর্থ হয়ে এখন তারা কোমড়বেঁধে মাঠে নেমেছেন দিল্লি-ঢাকার প্রতিরক্ষা চুক্তি চাই-ই। চীনের সাবমেরিনে বাংলাদেশের নৌ-বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধিতে তাদের উদ্বেগের যেন শেষ নেই। এ জন্য ভারতের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিকরের ঢাকা সফর, পররাষ্ট্র সচিব জয়শঙ্করের ঢাকা সফর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফর দ্ইু দফায় পিছিয়ে যাওয়া, পর্দার আড়ালে দিল্লির কূটনীতিকদের দেনদরবারের পাশাপাশি ঢাকার মুখচেনা এই বুদ্ধিজীবীরা উঠে পড়ে লেগেছেন। দিল্লির সাউথ ব্লকের লবিস্ট হয়ে যে সাংবাদিকরা ঢাকায় এসেছিলেন তাদের চেয়েও যেন বড় লবিস্ট ঢাকার এই বিভিন্ন পেশাজীবী বরেণ্যরা। তারা কখনো পর্দার আড়ালে কখনো ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের ওপর চাপ দিয়েই যাচ্ছেন। তাদের মনোবাঞ্ছা চীনের সাবমেরিনে সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে স্বতন্ত্র শক্তিতে উজ্জীবিত হওয়ার বদলে ভারতের ওপর নির্ভরশীল শ্রেয়। এই কাজে তারা ব্যবহার করছেন পাকিস্তানিকরণ (!) কার্ড।
ঢাকার গুলশানে হোটেল লেকশোরে গত শনিবার হয়ে গেল একটি গোলটেবিল সেমিনার। ইনস্টিটিউট অফ কনফ্লিক্ট ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাজিজ (আইক্ল্যাড) নামক একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান আয়োজিত এ সেমিনারের প্রধান প্রতিপাদ্য ছিল ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ঃ প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’। সেখানে ওই বুদ্ধিজীবী খ্যাত সুশীল, সাবেক আমলা, সাবেক বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাবেক কূটনীতিক, এনজিওকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী, সামরিক বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ দেশবরেণ্য (!) ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত হন। তারা ভারতের চীন ভীতির শঙ্কা এবং ভারতপ্রীতিতে উজ্জীবিত হয়ে জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই আলোচনা সভাটির খবর প্রায় সবগুলো টিভিতে প্রচার হলেও প্রিন্ট মিডিয়ায় তেমন গুরুত্ব পায়নি। সংসদ ভবন এলাকায় ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) সম্মেলনের কারণেই হয়তো প্রিন্ট মিডিয়ায় এ আলোচনা সভার খবর গুরুত্ব দেয়নি। সেমিনারে যে ধারণাপত্র উপস্থাপন করা হয় তাকে বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্কের বিস্তর চিত্র তুলে ধরে বলা হয় দুই দেশের মধ্যেকার সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা চুক্তির বিরোধিতা যারা করছেন তারা পাকিস্তানি মনোভাবাপন্ন। ’৭১ এ সহায়তা করেছে এই জন্য ‘ভারত জীবন ভারত মরণ’ এই চেতনায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের নিরাপত্তা চুক্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। বলা হয় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রতিবেশীসূলভ প্রতিরক্ষা বিষয়ক আদান-প্রদান চলমান রয়েছে। দুই দেশের সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ কিংবা তথ্যের আদান-প্রদান চলছে। ফলে প্রতিরক্ষা চুক্তিতে নতুন কিছু সংযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। প্রতিরক্ষা বিষয়টি একটি ব্যাপ্তিময় বিষয়; যার আওতাধীন অনেক কিছুকেই ঢোকানো সম্ভব। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের মৈত্রী থাকলে প্রতিরক্ষা মৈত্রীতেও খুব বড় কোনো সমস্যা তৈরি হওয়ার কথা নয়। বক্তাদের কেউ কেউ দুই দেশের দেনা-পাওনার বিষয় ভারতের মনোযোগী হওয়া উচিত মন্তব্য করলেও বিচারপাতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক স্পষ্টভাবে বলেন দুই দেশের দেনা-পাওনা হিসেব করলে ভারত বঞ্ছিত হয়েছে; বরং বাংলাদেশ বেশি পেয়েছে; ঢাকার প্রাপ্তির পাল্লা ভারী। ভারত যা করেছে বাংলাদেশের জন্য বাংলাদেশ তার কিছুই করেনি। ওলিউর রহমান সম্ভাব্য সামরিক চুক্তি নিয়ে কেন বিতর্ক করা হচ্ছে তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। কোনো কোনো বক্তা বিস্ময় প্রকাশ করেন এই বলেন যে, যারা তিস্তা চুক্তির দাবি জানিয়ে প্রতিরক্ষা চুক্তির বিরোধিতা করছেন তাদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয় না কেন? সীমান্ত হত্যা, টিপাইমুখে বাঁধ, ট্রানজিট চুক্তি, চট্টগ্রাম ও মঙ্গলা বন্দর ভারতকে ব্যবহারের সুযোগ দেয়া, ৫৪ অভিন্ন নদীর পানি না দেয়া, ২৫ বছরের পানি চুক্তি অনুযায়ী পানি না দেয়া ইত্যাদিসহ বাংলাদেশের স্বার্থ নিয়ে দু’একজন বক্তব্য দিলেও অধিকাংশ বক্তাই দুই দেশের বহুমাত্রিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ তুলে তিস্তা চুক্তিকে হালকা সেন্টিমেন্ট হিসেবে অবিহিত করেন। শাহরিয়ার কবির তো বলেই ফেললেন ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তির বিরোধিতার মতোই দুই দেশের মধ্যেকার সম্ভাব্য সামরিক চুক্তির বিরোধিতা করা হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়াসহ যারা এ সব করছে সরকারকে তাদের কঠোর হাতে দমনের পরামর্শ দিয়ে দেশকে পাকিস্তানিকরণের প্রক্রিয়া থেকে মুক্ত রাখার প্রস্তাব দেন। উল্লেখ্য, সরকারের নীতি নির্ধারকদের খুশি করতে বক্তারা কারণে অকারণে ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গ টেনে আনেন। - See more at: Click This Link

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


" দিল্লির ‘চীন ভীতি’তে ঢাকার কিছু বুদ্ধিজীবীর ঘুম যেন হারাম হয়ে গেছে। "

-আজগুবি। ঢাকায় বুদ্ধিজীবি আছে, তাদের আবার ঘুম হারাম হয়ে গেছে, দিল্লী, চীন নিয়ে! আজগুবি

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

আহা রুবন বলেছেন: ‌এটা তো ইনকিলাবের প্রতিবেদন :P

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

বীরেনদ্র বলেছেন: ১৯৭২ সালে ২৫ বছরের জন্য ভারত - বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়। সে চুক্তি ছিল বি,এন,পি এবং সমমনা দল গুলোর জন্য গোলামী চুক্তি। জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে ১৯৯১ সালের খালেদা জিয়ার বি,এন,পি সরকার কেউই এ চুক্তি বাতিল করেননি, যা তারা অতি সহজেই করতে পারতেন। যে কোনো চুক্তি যদি দেশের জন্য মংগলময় তা করতে বাধা কোথায়? আর দুটো সাবমেরিন ভারতের জন্য খুব বেশী মাথা ব্যাথার কারন মনে হয় না।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:১৬

শুজা উদ্দিন বলেছেন: বিষয়টা অনেকে অনেকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে, কিন্তু আমাদের দেশে অন্য দেশের সেনাবাহিনী ইচ্ছা করলেই বা নানা অজুহাতে ঢুকে পড়বে এটা কিভাবে মঙ্গলময় হবে?
কোথায় স্বাধীনতা,সার্বভৌমত্ব?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.