নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাত যত গভীর হয় ভোর তত ঘনিয়ে আসে। ইসলাম ও মুসলিমদের দুর্দশা যত বাড়ছে জাগরণ ততই কাছে আসছে।
আজ ফ্রান্সে নির্বাচন হচ্ছে। লে পেন জিতলে ফ্রান্স ইইউ থেকে বের হয়ে যাবে। আর ইইউর শাসক জার্মানির আগামী নির্বাচনে এএলডি জিততে পারে। তারাও ইইউ থেকে বের হয়ে যাবে। এরপর ইইউর হাল আর কেউ ধরবে না। মানে ইইউ ভেঙ্গে যাবে। ঠিক একশ বছর আগে ইউরোপ তুরষ্ক-খেলাফতকে এবং মধ্যপ্রাচ্যকে ভেঙ্গে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে পরিণত করে, নিজেদের ফায়দা লুটানোর জন্য। আজ সেই মধ্যপ্রাচ্যের অভিবাসীদের আঘাতে ইইউ ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হবার উপক্রম। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ-আমেরিকা বিলুপ্ত হবার তথা খন্ড বিখন্ড হতে পারে। এমনই একটা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, কাশ্মীরের দরবেশ শাহ নিয়ামাতুল্লাহ (র)। তিনি নাম না বলে বলেছেন- (ফারসি হতে ভাষান্তরিত)
ভারতের মত পশ্চিমাদেরও ঘটিবে বিপর্যয়
তৃতীয় বিশ্ব সমর সেখানে ঘটাইবে মহালয়
টীকা: বর্তমান সময়ে স্পষ্ট সেই তৃতীয় সমরের প্রস্তুতি চলছে। অর্থ্যাৎ সমগ্র বিশ্ব জুড়ে মুসলমাদের বিরুদ্ধে কাফিররা যুদ্ধ করছে তথা জুলুম নির্যাতন করছে। এই জুলুম নির্যাতনই তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধে রুপ নিয়ে একসময় তাদের ধ্বংসের কারণ হবে। এখানে বলা হচ্ছে মহালয় বা কেয়ামত শুরু হবে যাতে পশ্চিমারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।
এ রণে হবে ‘আলিফ’ এরূপ পয়মাল মিসমার
মুছে যাবে দেশ, ইতিহাসে শুধু নামটি থাকিবে তার
টীকা: এ যুদ্ধের কারণে আলিফ = আমেরিকা এরূপ ধ্বংস হবে যে ইতিহাসে শুধু তার নাম থাকবে, কিন্তু বাস্তবে তার কোন অস্তিত্ব থাকবে না।
ইসলামের ইতিহাস হতে জানা যায়, ৬২২খ্রিষ্টাব্দে শ খানেক অভিবাসী গিয়ে মদিনায় ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। এখন ঠিক ১৪০০ বছর পর প্রাচ্য-আফ্রিকার অভিবাসীরা ইউরোপে গিয়ে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটায় তাতে অবাক হব না। আর এমনটা যে হবে তা জেনেই ইহুদিরা, যারা আমেরিকার কলকাঠি নাড়ে, এই জাগরণকে প্রতিহত করার জন্য জিহাদ ও ইসলামকে সন্ত্রাসবাদ বলে প্রচার করছে। আর ঐ উগ্র ডানপন্থি লে পেন ইতিমধ্যে ইসলামকে সন্ত্রাসবাদের সাথে মিলিয়ে দিয়েছেন। ট্রাম্প ও আমেরিকার আচরণও ইসলাম বিদ্বেষী। জার্মানিতেও ঐ এএলডি ইসলাম-অসহিষ্ণু। তথা ইউরোপে-আমেরিকায় মুসলিমদের জন্য রাত গভীর হচ্ছে! গভীর রাতের পর কি আসে তা আপনারা জানেন। আর ভারতেও অবস্থা ব্যতিক্রম নয়। কাশ্মিরের স্বাধীনতা সংগ্রাম তুঙ্গে। জয় হবে ইনশা আল্লাহ।
পশ্চিমাদের থিংকট্যাংকগুলো ইসলামের পুনরুত্থানের ভয়ে অস্থির। এ জন্যে তারা এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যেন ইসলামি জাগরণকে আই-এস, আল-কায়েদার নামে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। তবুও খ্রিস্টান প্রধান দেশগুলোতে গীর্জা কিনে মসজিদ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে।
আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সাবেক ডিরেক্টর PROFESSOR S.P.HUNTINGTON তার CLASH OF CIVILIZATION AND THE REMAKING OF WORLD ORDER বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন RESURGENCE OF ISLAMIC CIVILIZATION সম্পর্কে। বলেছেন ইসলামী সভ্যতাই হবে আমেরিকার কর্তৃত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। According to him SOCIALISM was a temporary problem।আমাদের বঙ্গদেশীয় তথাকথিত মুক্তমনা্রা বলে কী। ইসলামকে তারা কি ভাবে? আসলে তারাও তাদের ধর্মে ধর্মান্ধ। মুক্তমনা নামে ধর্ম বিদ্বেষ বিশেষত ইসলাম বিদ্বেষ চরিতার্থ করে। মিডিয়া, ভার্চুয়াল জগত এবং রাজধানীর কিছু স্থান ছাড়া আর সর্বত্র এরা অবাঞ্ছিত!!
০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১১:২৪
শুজা উদ্দিন বলেছেন: সহমত।
২| ০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১:৩৯
মুক্তমনা বাতাস বলেছেন: ভাল লেখা।
০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১১:২৫
শুজা উদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০২ রা মে, ২০১৭ ভোর ৫:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
মাথায় ডোডো পাখী উড়ছে?
০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১১:২৬
শুজা উদ্দিন বলেছেন: বুঝলাম না ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৪
মিঃ আতিক বলেছেন: আই-এস, আল-কায়েদা মুসলমানদের মূল ধারার প্রতিনিধিত্ব করেনা;
তবে হ্যাঁ বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা আগের চেয়ে এখন অনেক সচেতন।