নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিপূর্ণ মনুষ্যত্ব অর্জনের প্রত্যয়ে

শুজা উদ্দিন

ব্যতিক্রম

শুজা উদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে সামাজিক ব্যবস্থা ও বামপন্থা

০৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২১

ইসলাম সম্পর্কে সকলের মনে সঠিক ধারণা থাকলে আজকে আত্মঘাতী সন্ত্রাসও এপর্যায়ে আসতে পারত না। ইসলামিক স্টাডিজ যারা পড়ছেন তাদের দায়িত্ব একথাটি প্রতিষ্ঠিত করা যে, যে সমাজে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও বিচার ব্যবস্থাগত বৈষম্য বিরাজমান সে সমাজকে কখনও একটি ইসলামিক সমাজ বলা যাবে না। এই অর্থে ইসলামের বায়ে কোন ‘বা’ নেই। অথচ কে বা কারা কখন কোথায় কীভাবে ইসলামকে একটি দক্ষিণপন্থী, পশ্চাৎপদ, অনগ্রসরমান ধর্ম হিসাবে অভিক্ষেপণ করল তা মোটেও বোধগম্য নয়। আমি বাম ও ডানের ভাষায় কথা বলতে চাই না। তবে যদি আদৌও ডান বাম শব্দ ব্যবহার করতে হয়, তাহলে একথা স্বীকার করতে হবে ইসলামের চেয়ে অধিক বামপন্থী কোন ধর্ম পৃথিবীতে থাকতে পারে না।
১. যে ধর্ম বলে সারা রাত নফল নামাজ পড়েও কোন লাভ হবে না যদি তোমার প্রতিবেশী অভুক্ত থাকে,
২. যে ধর্ম বলে ঘাম শুকানোর আগে শ্রমিকের পাওনা মিটিয়ে দাও,
৩. যে ধর্ম বলে তোমার সম্পদে অন্যের অধিকার আছে,
৪. যে ধর্ম বলে ধন যেন ধনীদের মধ্যে আবর্তিত না হয়,
সেই ধর্মের চাইতে বেশী মানবতাবাদী ধর্ম আর কী হতে পারে?
বামপন্থীরা যদি ধর্মে বিশ্বাসী হতেন তবে তারাই সবার আগে এদেশের গণমানুষের আস্থা অর্জন করতে পারতেন তা বলাই বাহুল্য। ইসলামিক স্টাডিজে যারা ভর্তি হচ্ছেন তারা যদি সর্বক্ষেত্রে ইসলামের JUSTICE ও FAIR PLAY এই দুটি কথা মানুষকে বোঝাতে পারেন তবে সমাজে বিদ্যমান ইসলাম সম্পর্কে ধারণার একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতে পারে। কিন্তু গইঅ-এর মত এখানেও কথা দিয়ে নয়, কাজ দিয়ে সবকিছু প্রমাণ করতে হবে। পবিত্র কোরআনেও বলা হয়েছে আল্লাহর দৃষ্টিতে এটা গুরুতর অপরাধ এই যে, তোমরা যা বল তা কর না

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: আপনার কথাগুলো ভালো লাগল। যদি আয়াত-হাদীসের রেফারেন্স দিতেন লেখাটা আরও সুন্দর হতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.