নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিপূর্ণ মনুষ্যত্ব অর্জনের প্রত্যয়ে

শুজা উদ্দিন

ব্যতিক্রম

শুজা উদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের দ্বিতীয় খলিফার পত্নীর সাথে ব্যবহার

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯

স্ত্রীর রাগারাগি এবং স্বামীর ধৈর্য্য ধারণঃ
হযরত ওমর (রাঃ) এর খেলাফত কালে এক ব্যক্তি হযরত ওমর (রাঃ) এর নিকট স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে এলেন। তিনি তার গৃহে প্রবেশ করেই শুনতে পেলেন, হযরত ওমরের স্ত্রী ওমর (রাঃ) কে কঠোর ভাষায় তিরস্কার ও নিন্দা করেছেন। অথচ তিনি নিরবে তা শুনেই চলছেন, কোন উত্তর দিচ্ছেন না। এ অবস্থা দেখে তিনি চলে যেতে লাগলেন এবং মনে মনে ভাবতে লাগলেন, এমন প্রতাপশালী খলিফার অবস্থাই যখন এমন সেখানে আমি আর কে? কিন্তু ইতিমধ্যে ওমর (রাঃ) গৃহ থেকে বের হয়ে দেখলেন, লোকটি চলে যাচ্ছেন। তিনি তাকে বললেন, ভাই! তুমি যখন আমার কাছে এসেছ তাহলে দেখা না করেই চলে যাচ্ছো কেন? লোকটা উত্তর দিলেন, হে আমিরুল মুমেনীন! যে কারণে এসেছিলাম তার সমাধান হয়ে গেছে। ভেবেছিলাম, আমার স্ত্রীর ব্যাপারে আপনার কাছে নালিশ করবো, এখন দেখি, আপনি নিজেই তো এ অবস্থার শিকার! তখন হযরত ওমর (রাঃ) তাকে বললেন, দেখ ভাই, আমার স্ত্রীরও আমার কাছে অধিকার আছে। সেজন্য আমি তিরস্কার নিরবে সহ্য করলাম। তাছাড়া সে আমার রান্না-বান্না, ছেলে মেয়েদের প্রতিপালন, কাপড় ধৌতসহ যাবতীয় কাজ করেন। অথচ এগুলো করা তার জন্য জরুরী নয়। তাই তার সামান্য কটু কথা মেনে নেই। তুমিও তোমার স্ত্রীর সঙ্গে সুন্দর আচরণ করো। সে রাগারাগি করলে একটু ধৈর্য ধারণ করিও।"

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনি জেরুযালেম, দামেস্ক, আলেকসান্দিয়ায় যুদ্ধ নিয়ে এত ব্যস্ত ছিলেন যে, এগুলো করার সময় উনার থাকার কথা নয়; এগুলো হ্য়তো মফিজদের লেখা অপ্রয়োজনীয় গল্প।

অন্যভাবে, ততকালীন বেদুইন সমাজে নারীদের কোন অধিকার ছিলো না; আজকেও আরবের নারীরা বিশ্বের মাঝে কন্ঠহীন; দরকারী কইছু লেখেন।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪

শুজা উদ্দিন বলেছেন: দেরীতে মন্তব্য করার জন্য দুখিঃত।
আপনি বেদুইন সমাজ আর ইসলামি সমাজকে মিলিয়ে ফেললেন।
ইতিহাস থেকে প্রমাণ করুন উনার খেলাফতকালে উনি কোন যুদ্ধে গিয়েছিলেন কিনা

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৯

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে লোকদেখানো ধর্মে বেশীরভাগ মানুষ আগ্রহী, লোকে যেটা দেখেনা সেই জায়গায় ধর্ম পালনে সবাই অনাগ্রহী

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৩

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: উমর রা. কি বছরের ৩৬৫ দিনই যুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন?


গাজী সাহেবের মাথাটা পুরাই গেছে।। =p~

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৬

প্রোলার্ড বলেছেন: তাছাড়া সে আমার রান্না-বান্না, ছেলে মেয়েদের প্রতিপালন, কাপড় ধৌতসহ যাবতীয় কাজ করেন। অথচ এগুলো করা তার জন্য জরুরী নয়।

০ স্বামীর সংসারে স্ত্রীদের আসলে কি কোন কাজ আছে ?

ইসলামের ইতিহাসে নারী তথা স্ত্রী সংক্রান্ত কিছু কিছু কথা আমরা শুনতে পাই তাতে মনে হয় যে মুসলিম সংসারে একজন নারীর কোন কিছুই করার দরকার নেই । সে যে তারপরও কাজ করে এটা স্বামীর উপর একপ্রকার দয়া - এমন ভাবেই বলা হয় ।

মানে লাখ লাখ টাকা খরচ করে এমন একজনকে আনা হল যার ভরণপোষন সারাটা জীবন করেই যাবে কিছু পাবার আশা না করে ।
আসলেই কি ব্যাপারটা এমন ? ক্বুরআন কি সংসারে নারীর অধিকারের বিপরীতে তার কোন দ্বায়িত্ব / কর্তব্য বাতলে দেয়নি ? আল্লাহ তায়ালা ক্বুরআনে স্ত্রীকে প্রহার করার অধিকার স্বামীকে দিয়েছেন একটা বিশেষ পর্যায়ে গিয়ে । স্ত্রীদেরকে তার স্বামীকে তিরষ্কার বা কটু কথা বলার অধিকার দিয়েছেন?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

শুজা উদ্দিন বলেছেন: দেরীতে মন্তব্য করার জন্য দুখিঃত।
এ ব্যাপারে উমর রা এরই একটা ঘটনা পাওয়া যায়।
অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হবে ভালবাসার ভিত্তিতে। তার ভিত্তিতেই একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করবে। একে অপরের ভাল-মন্দ মাথা পেতে নিবে। কেউ সীমালংঘন করলে তখন এই সব বিষয় বিধান প্রয়োগ করতে হবে।

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৬

Al Rajbari বলেছেন: জাজাকাল্লাহ্

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

কানিজ রিনা বলেছেন: স্ত্রীর তিরস্কার কোনও স্বামী যদি মানবীক
গুনাবলির অধিকারী হন তাহলে তিরস্কার
কেন হচ্ছে তা ভেবে চুপ থাকা অবশ্যই
কর্তব্য। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদগন মনে
হয় সব সময় স্ত্রীর তিরস্কার শুনতে অভ্যস্ত
কারন রাজনীতিবিদগন সংশার সন্তান স্ত্রীকে
সময় দিতে পারেনা। তিরস্কার শুনতেই হবে।
স্ত্রীর মানবীক গুনাবলি থাকলে বিবেচনায়
তিরস্কার না করাই ভাল। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.