নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিপূর্ণ মনুষ্যত্ব অর্জনের প্রত্যয়ে

শুজা উদ্দিন

ব্যতিক্রম

শুজা উদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করেন কীভাবে? সুখ দুঃখ কি শুধু প্রকৃতির নিয়মের কারণেই আসে?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

আল্লাহ যখন কোন জাতির কাছে নবী বা রাসুল প্রেরণ করেন এবং সে জাতি তাদের কথা অমান্য করে, তখন আল্লাহ তাদেরকে পরীক্ষা করেন। প্রথম পরীক্ষা নেয়া হয় অবাধ্য লোকদেরকে অর্থনৈতিক ও শারীরিক ক্ষতি ও রোগ ব্যাধির সম্মুখীন করে, যাতে তারা পরিণতির দিকে লক্ষ্য করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসে। যখন তারা সংশোধন হয় না তখন দ্বিতীয় পরীক্ষাটি নেয়া হয় ধন-সম্পদের প্রবৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দানের মাধ্যমে। তাতে যথেষ্ট উন্নতি লাভ করে যেন আল্লাহর দিকে ফিরে আসে। যারা ফিরে আসে না তারা বলতে শুরু করে -এটা কোন নতুন বিষয় নয়। সৎ বা অসৎ কর্মের পরিণতিও নয়। বরং এটা প্রকৃতির নিয়ম। কখনও সুখ কখনও দুঃখ, কখনও দারিদ্র কখনও সচ্ছলতা এমনই হয়ে থাকে। আমাদের পূর্বপুরুষদেরকেও এমন অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছে।-
অতপর আল্লাহর শাস্তি যখন অকস্মাৎ আসে তখন তাদের হায়-হুতাশ করা ছাড়া আর পথ থাকে না।
অতীতের অবাধ্য জাতিদের পরিণতিও এমন হয়েছে। তারা বলতো -কোথায় তোমার খোদা, কোন শাস্তি আসছে না কেন- আরো বলতো- তোমরা হলে আমাদের সমাজের নীচ শ্রেণি। অথবা নবীকে বলতো তোমার অনুসারী হলো কিছু পাগল ও আমাদের গোলামরা। আমরা কীভাবে তোমাকে নেতা মানব-
এভাবে অবাধ্য অন্যায়কারীদের কথা যৌক্তিক শোনাত। এসব কথা এখনও শোনা যায়। এখনও ইসলাম বিরোধীরা মুমিন-মুসলিমদেরকে সেকেলে, গোড়া, প্রগতি ও উন্নতির পথে অন্তরায় কিছু ছোটলোক হিসেবে উপস্থাপন করে।
অতীতের জাতিসমূহের জীবনকাল আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। তাই এটা ভাবার অবকাশ নেই যে আমাদের মতো অল্প সময়ের মধ্যে তারা শাস্তির শিকার হয়েছে। বহু বছর দাওয়াত ও সুযোগ পাওয়ার পর তারা ব্যর্থ হয়েছে। পবিত্র কুরআনে যেসব জাতি গোষ্ঠীর ধ্বংসের কথা আছে তারা দীর্ঘদেহী এবং দীর্ঘজীবী ছিল।
আমাদের প্রিয় নবী সঃ দোয়া করেছেন যেন তার উম্মতের কোন জাতিকে হঠাৎ আযাব দিয়ে ধ্বংস করা না হয়। আমাদের উপর আযাব বড় আকারে আসবে না। তবে আমাদের মৃত্যু হঠাৎ আসে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



এখন পরীক্ষা কি "মালটিপল চয়েস" ফরমেটে হচ্ছে? নকল করার উপায় আছে, বা প্রশ্ন ফাঁস করা সম্ভব?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯

শুজা উদ্দিন বলেছেন: না

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭

নতুন বলেছেন: মুসলিমরা ভাগ্যের উপরে বসে থাকে....

কিন্তু বিধমী`রা ভাগ্যের উপরে বসে থাকেনা। তাই তারা বিশ্বে প্রযুক্তি এবং অন্য সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২২

শুজা উদ্দিন বলেছেন: মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আজ কালের কথা নয়। মুসলিমরা যেন কেবল আখিরাত মুখী হয়ে দুনিয়াকে ছেড়ে দেয় সে জন্য ইসলাম ও কুরআনের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বা আখিরাত সংশ্লিষ্ট আয়াত সমূহকে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করা হয়েছে। ব্রিটিশ আমলের ইতিহাসে অনেক আলেম ও অলী মহাপুরুষ আছেন যারা দুনিয়া বিমুখ ছিলেন কিন্তু সমকালীন রাজনীতি ও আন্দোলনের নেতা ছিলেন। তবে তখনই হুজুররা ইসলামের ও ইতিহাসের এমন ব্যাখ্যা দিয়ে ওয়াজ করতে থাকেন যাতে মনে হয় দুনিয়াটাকে একদম বর্জন করলেই আখিরাতে সফলতা পাওয়া যায়। এভাবে তাকদীর বা ভাগ্যের ও ভুল ব্যাখ্যার কারণে মানুষ কিছু অতি ভাগ্য নির্ভর আর কিছু ভাগ্যলিপির বিরোধী বনে যায়। এভাবে মুসলিমদেরকে পৃথক করাটাও বিরোধীদের সফলতা।
আল্লাহ বলেছেন- মানুষের জন্য চেষ্টা করা ছাড়া কিছু করার নেই।
তাই আগে চেষ্টা করতে হবে তারপর ভাগ্যের উপর ভরসা করতে হবে। আল্লাহ তার রাসুলকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন- فاذا عزمت فتوكل علي الله যখন আপনি চুড়ান্ত ফায়সালা করবেন তারপর আল্লাহর উপর ভরসা করবেন। অর্থাৎ যেখানে আমাদের চেষ্টার শেষ সেখানেই আল্লাহর উপর (ভাগ্যের) ভরসা শুরু করব।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

শুজা উদ্দিন বলেছেন: এমনটা করলে হবে কী-- আমরা ব্যর্থ হলেও হতাশ হব না, নিরাশ হব না কিংবা আত্মহত্যা করব না। কেননা আমাদের বিশ্বাস আল্লাহ যা করেন ভালই করেন। আর যা হয়েছে তা আমার ভাগ্যে ছিল।

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: এমনটা করলে হবে কী-- আমরা ব্যর্থ হলেও হতাশ হব না, নিরাশ হব না কিংবা আত্মহত্যা করব না। কেননা আমাদের বিশ্বাস আল্লাহ যা করেন ভালই করেন। আর যা হয়েছে তা আমার ভাগ্যে ছিল।

বিধমী`রা কি করে... তারা নিজের উপরে ভরশা করে... তারা যদি কিছু না পায় তবে মনে করে তার নিজের পস্তুতিতে কমতি ছিলো...

তারা আরো বেশি নিজেকে প্রস্তুত করে... তাই তারা সফল।

আমাদের দেশে কি করে ... যদি এক বারে না পারে তবে... কপালে নাই বলে আর চেস্টা করেনা। এবং চেস্টা না করে বসে বসে দোয়া করে... সবার কাছে দোয়া চায়।

দুনিয়া একটা নিয়মে চলে.... সেটার পথ দোয়ায় পরিবত`ন হয়না।

হলে আমাদের দেশের দরিদ্ররা শবে বরাতের পরে ধনী হয়ে যেতো। আর বিল গেটস পরের বছর গরিব হয়ে যেত...

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

শুজা উদ্দিন বলেছেন: তা মন্দ বলেননি। আমাদের দেশের লোকেরা আগে এমনটা ভাবলেও এখন কেউ এমন করে ভাবে না।
চেষ্টার সাথে দোয়া থাকলে ভাগ্য পরিবর্তন হয়, তবে জন্ম মৃত্যুর ব্যাপারে ভিন্ন কথা। আমাদের দেশে শবে বরাতের পালনটাও ইসলামের দীর্ঘমেয়াদী ভূল ব্যাখ্যার ফসল। যারা দোয়া করে তারা চেষ্টা করেনা।

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩২

করুণাধারা বলেছেন: তবে আমাদের মৃত্যু হঠাৎ আসে।

শুধু এই ছোট্ট কথাটা সবসময় যদি আমরা মনে রাখতে পারি তবে অনেক অন্যায়, অত্যাচার, অশান্তি কমে যাবে।

পোস্টে +++

৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

নতুন বলেছেন: আপনাকে ফুটবল মাঠে পাঠালো কোচ....

ম্যাচের সময় ৯০ মিনিট<<< আপনার জীবনের সময়....
আপনি খেলবেন মাঠে<<< এই পৃথিবি

আপনি কি করবেন সেটা আপনার ইচ্ছা.... আপনি চাইলে এক স্হানে দাড়িয়ে থেকে ৯০ মিনিট পার করতে পারেন....

নতুবা মেরাডোনার মতন খেলে সেরা হতে পারেন....

এটাই আসল খেলা.....

পরে কোচ আপনার হিসাব নেবেন।

আমাদের এই বিশ্বই রিজিক.... আপনি রুটি খেয়ে থাকবেন না কি বিরিয়ানি খাবেন এটা আপনার ইচ্ছা..... কিছুই লেখা থাকেনা।

এইভাবে চিন্তা করেন তবে দেখেন বাস্তবের সাথে রিজিকের বিষয়টা মিলে.... লেখা থাকার বিষয়টাতে মেলে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.