নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিপূর্ণ মনুষ্যত্ব অর্জনের প্রত্যয়ে

শুজা উদ্দিন

ব্যতিক্রম

শুজা উদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিমরা নির্যাতিত হয় ঈমান আনার কারণে। কেমনে পারে এতো সইতে

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬

মুসলিম-মুমিনদেরকে বিদ্রোহী, দেশদ্রোহী, ষড়যন্ত্রকারী ইত্যাদি অপবাদ দিয়ে তাদেরকে হত্যা করা, পঙ্গু করে দেয়া (অপরাধের অজুহাতে) এসব নতুন কিছু নয়। প্রায় ৩০০০ বছর আগে মিসরের ফারাও সাম্রাজ্যের উদাহরণ কুরআন কারীমে এসেছে- সুরা আরাফ ১২১-১২৭
মুসা ও হারুন (আঃ) এর নিকট যখন সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ যাদুকরেরা পরাজিত হয়ে, ফেরাওনকে খোদা মানতে অস্বীকারপূর্বক বলল-"আমরা জগৎসমূহের প্রতিপালকের উপর ঈমান আনলাম। যিনি মুসা ও হারুনের প্রভু। তখন ফেরাওন বলল- তোমরা আমার অনুমতি ছাড়া ঈমান এনেছ! এটা নিশ্চয় ষড়যন্ত্র, যা তোমরা করেছ দেশের লোকদের বিরুদ্ধে তাদেরকে দেশ থেকে বের করে দেবার জন্য, শীঘ্রই তোমরা এর পরিণতি জানতে পারবে। তোমাদেরকে পঙ্গু করে দেব, সবাইকে ফাসিতে ঝুলাব। ঈমানদারেরা (যাদুকর) বলল- নিশ্চয় আমরা আমাদের প্রতিপালকের দিকে ফিরে যাব।আমাদের সাথে তোমার শত্রুতা তো এ কারণেই যে আমরা ঈমান এনেছি আল্লার নিদর্শন সমূহের প্রতি যা আমাদের নিকট এসেছে।"
ঐতিহাসিক বর্ণনায় রয়েছে - যাদুকরদের সর্দার মুসলমান হয়ে যাবার পর প্রায় ৬লক্ষ লোক ঈমান এনেছিল। তখন ছিল যাদুবিদ্যার উৎকর্সের যুগ।সবচেয়ে বড় যাদুকর বিপুল প্রভাবের অধিকারী ছিল। এত লোক মুসলমান হয়ে যাবার কারণে ফেরাউনের একটা বিরাট বিরোধী দল দাড়িয়ে গেল।
সে -তোমরা আমার অনুমতি ছাড়া ঈমান এনেছ!- বলে একথা বুঝানোর চেষ্টা করল যে আমিও মুসাকে সত্য বলে মেনে নিতাম, এবং তোমাদেরকে ঈমান আনার অনুমতি দিতাম।কিন্তু তোমরা তাড়াহুড়া করলে আর প্রকৃত ঘটনা না বুঝেই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে গেলে।
অন্য দৃষ্টিতে, ফেরাউন তার ভয়কে গোপন করে একজন ধুর্ত ও বিজ্ঞ রাজনীতিকের ভঙ্গিতে যাদুকরদের উপর বিদ্রোহমূলক অপবাদ আরোপ করল যে তোমরা মুসা এর সাথে গোপন ষড়যন্ত্র করে এ কাজটি নিজের দেশ ও জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে করেছ।
(এগুলো বর্তমান বিশ্বের সাথে মিলিয়ে দেখবেন। কাশ্মীরসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধ আধিপত্যবাদীদের এবং মিডিয়ার কথার সাথে মিলে)।
ফেরাউন এই দুরাবস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছিল। তার উৎপীড়নমুলক শাস্তি অন্তরাত্মাকে কাপিয়ে দেবার মত যথেষ্ট ছিল। যে যাদুকরেরা কয়েক মুহুর্ত আগেও ফেরাউনকে খোদা মানতো এবং অন্যদেরকে সেই দীক্ষা দিত। ইসলাম গ্রহণের সাথে সাথে তারা কীভাবে বলে উঠল- তুমি আমাদেরকে হত্যা কর আর যাই কর আমরা আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব!!!
ইসলাম ও ঈমান(বিশ্বাস) এমন এক প্রবল শক্তি যে, যখন তা কোন আত্মায় বদ্ধমুল হয়ে যায় তখন মানুষ সমগ্র পৃথিবী ও তার যাবতীয় উপকরণের মোকাবেলা করতে তৈরী হয়ে যায়।এই ঈমানের কারণেই মুসলমানরা প্রথমে নির্যাতিত অতপর দিগ্বীজয়ী হয়েছিল। এই ঈমানের কারণেই মুসলমানরা এখন নির্যাতিত হচ্ছে অতপর দিগ্বীজয় করবে। ইনশা আল্লাহ।
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ওমর ফারুক রাঃ বলেন- আল্লাহ আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন ইসলাম দ্বারা, আমরা এতদ্ব্যতীত অন্যকোথাও সম্মান খুঁজলে অপমানিত হবো।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১২

দোদূল্যমান বলেছেন: বর্তমান অস্থির সময়ের প্রক্ষাপটে খুবই ভাল লেখা। ফির’আঊন, হামান, নমরূদ, আবূ জাহল, আবূ লাহাব, আবদুল্লাহ ইবনে ঊবাই প্রমুখদের ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্র, কূটচাল, দমন, নিপীড়ন, রেটোরিকের সাথে বর্তমান বিশ্বের মোড়ল, তাদের পদলেহনকারী নেতা, তাদের তাঁবেদার মিডিয়া মোগলদের কার্যকলাপ হুবহু মিলে যায়।

চালিয়ে যান ভাই।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৭

খালিদ আলম বলেছেন: সুন্দর লিখনি। একটু কারেকসন ওমর রা: ২য় খলিফা ...

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

শুজা উদ্দিন বলেছেন: দেরীতে সংশোধিত। ধন্যবাদ।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: মুমেনের সংজ্ঞাটা বলবেন?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৮

শুজা উদ্দিন বলেছেন: মেরিনার বলেছেন: ৩ নং মন্তব্যকারীর জ্ঞাতার্থে:
সাধারণভাবে যারা (পরিপূর্ণ) ঈমানদার, তারাই মু'মিন। "মু'মিন" শব্দটি এসেছে "ঈমান" কথাটা থেকে। কুর'আনে আল্লাহ্ তাদের বর্ণনা দেন এভাবে:

"যারা নিজদের সালাতে বিনয়াবনত। আর যারা অনর্থক কথাকর্ম থেকে বিমুখ। আর যারা যাকাতের ক্ষেত্রে সক্রিয়। আর যারা তাদের নিজদের লজ্জাস্থানের হিফাযতকারী। তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে তারা ছাড়া, নিশ্চয় এতে তারা নিন্দিত হবে না। অতঃপর যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী। আর যারা নিজদের আমানতসমূহ ও অঙ্গীকারে যত্নবান। আর যারা নিজদের সালাতসমূহ হিফাযত করে।" (কুর'আন, ২৩:২~৮)

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

মেরিনার বলেছেন: "তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে এ মর্মে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তিনি নিশ্চিতভাবে তাদেরকে যমীনের প্রতিনিধিত্ব প্রদান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব প্রদান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদের এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দীনকে, যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং তিনি তাদের ভয়-ভীতি শান্তি-নিরাপত্তায় পরিবর্তিত করে দেবেন। তারা আমারই ইবাদাত করবে, আমার সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না। আর এরপর যারা কুফরী করবে তারাই ফাসিক।" (কুর'আন, ২৪:৫৫)

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসা (আ: ) আদৌ মিসরে কখনো গিয়ে থাকলেও, ফেরাওনের সাথে উনার দেখা হওয়ার কোন সম্ভাবনা ছিল কিনা ভাবতে হবে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

শুজা উদ্দিন বলেছেন: ভেবে কিছু পেলেন?
ফেরাউন কে ছিল, জানেন?

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৮

মেরিনার বলেছেন: ৩ নং মন্তব্যকারীর জ্ঞাতার্থে:
সাধারণভাবে যারা (পরিপূর্ণ) ঈমানদার, তারাই মু'মিন। "মু'মিন" শব্দটি এসেছে "ঈমান" কথাটা থেকে। কুর'আনে আল্লাহ্ তাদের বর্ণনা দেন এভাবে:

"যারা নিজদের সালাতে বিনয়াবনত। আর যারা অনর্থক কথাকর্ম থেকে বিমুখ। আর যারা যাকাতের ক্ষেত্রে সক্রিয়। আর যারা তাদের নিজদের লজ্জাস্থানের হিফাযতকারী। তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে তারা ছাড়া, নিশ্চয় এতে তারা নিন্দিত হবে না। অতঃপর যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী। আর যারা নিজদের আমানতসমূহ ও অঙ্গীকারে যত্নবান। আর যারা নিজদের সালাতসমূহ হিফাযত করে।" (কুর'আন, ২৩:২~৮)

৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

দূর পাহাড়ে বলেছেন: চাঁদগাজী কিছু না জেনেই মন্তব্য করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আর পোস্টে ভুল আছে, উমার রা. দ্বিতীয় খলিফা ছিলেন।

৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪১

স্বতু সাঁই বলেছেন: কোরানের পরিভাষায় সমাজে শতকরা কতোজন মুমিন খুঁজে পাওয়া যাবে? এর উত্তরে যদি বলেন, এটা দেখা আমাদের দায়িত্ব নয়, তা আল্লাহ বিচার করবেন। তাহলে মুশরিক ও কাফিরের আচরণে অতিষ্ট হওয়ার কিছুই দেখি না। কারণ সেটাও আল্লাহই বিচার করবেন।

তবে আমার মনে হয় ঈমান আনার কারণে মুমিনরা নির্যাতিত হয় না, তাদের নফরমানীর কারণে তারা নির্যাতিত হয়। কারণ এই মুমিনের অধিকাংশই নফরমান এবং এরা সালাত আদায়ে অমনোযোগী। আল্লাহ নিজেই বলেছেন যারা অমনোযোগের সাথে সালাত আদায় করে তারা আমার সাথে মশকরা করে। আরও বলেছেন, আমি মুমিনদের অধিকাংশকেই দোজখে পুরবো তাদের দূর্বল ঈমানের কারণে। অতএব ঈমান আনার কারণে মুমিনরা নির্যাতিত হয় না। দূর্বল ঈমানের কারণে তারা আল্লাহর সাথে নফরমানী করে বলেই তারা নির্যাতিত হয়। আল্লা বলেছেন, আমি মুমিন ও মুত্তাকিনকে নিজে হেফজত করি। যে আল্লাহর হেফাজতে, তার শত্রু কি কেউ হতে পারে?

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৪

শুজা উদ্দিন বলেছেন: সাহাবিরা কি নির্যাতনের শিকার হননি?
নির্যাতনের বিনিময়ে আল্লাহ মুমিনদেরকে দুনিয়ায় সংশোধন করেন,আখিরাতে মুক্তি দেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.