নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিপূর্ণ মনুষ্যত্ব অর্জনের প্রত্যয়ে

শুজা উদ্দিন

ব্যতিক্রম

শুজা উদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দৃষ্টিতে একটি কোরিয়ান ছায়াছবির প্রেম অতঃপর কুরআনের ভাষ্য

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

একটি কোরিয়ান টিভি সিরিজ দেখার পর প্রেম সম্পর্কে মনে তুমুল আলোড়ন আসল। ভাবতে শুরু করলাম অনেক। মনে হতে লাগল -তাহলে পবিত্র প্রেম বলে দুনিয়াতে কিছু আছে!
প্রথমেই ছবি সম্পর্কে বলে রাখি। নাম- Goong ( Prince Hours)। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেক্ষাপটে প্রযোজিত। অবশ্যই অনেকটা শালীন ছবি।
ছবিতে তিনটে যুগলের প্রেম কাহিনী পাওয়া যায়। সবাই উচ্চবিত্ত পরিবারের, রাজপরিবার সংশ্লিষ্ট। তাদের মধ্যে প্রধান চরিত্রদ্বয়ের ইনোসেন্স স্পষ্ট। দ্বিতীয় যুগলের আচরণ নিষ্কলুষ নয়। তৃতীয়টি খুব সল্প পরিধির।
আমার ভাবনার জগতে তিন পর্যায়ে আমি এই সমস্যার সমাধান পেয়েছি।
১ম পর্যায়
দেখে ভাবতে লাগলাম- ১.বর্তমান যুগেও এমন প্রেম হতে পারে!
২. তাহলে আমি কি বিবাহপূর্ব প্রেমকে অপবিত্র ভেবে ভুল করেছি!
৩. তাহলে কি শিক্ষাজীবনে প্রেমে পড়া ভাল!
৪. বাস্তব জীবনে এদের মতো প্রেম করা কতটুকু সম্ভব, যদিও তাদের জীবনযাপনে বাস্তবতা আছে।
৫. আমার মতো যারা এটা দেখবে তারা কি এর দ্বারা বিভ্রান্ত হবে না!
৬. শিক্ষার্থীরা এমন ছবি দেখে কি প্রেম করতে আগ্রহী হবেনা!
৭. সেই প্রেম কতটুকু সুফল বয়ে আনবে। ছবির মতই সুফল কি ধরা দেবে!
৮. ছবির মতো সুন্দর জীবনতো অসম্ভব।
৯. এমন 'সুন্দর' প্রেম কেন ইসলামে নিষিদ্ধ!
দোয়ায় আল্লাহর কাছে পথনির্দেশনা চাইলাম-اهدنا الصراط المستقيم
২য় পর্যায়
দুদিনের মাথায় আল্লাহ শুনিয়ে দিলেন, যা জানতাম কিন্তু মনে ছিল না। দুরপাল্লার যাত্রাপথে হেডফোন লাগিয়ে কাওয়ালি গান শুনছিলাম। সৌভাগ্যক্রমে একটা সুরা এসে গেল আমার প্লেলিস্টের মধ্যে, আমি ইচ্ছা করে চালু করিনি, অন্য গানের মধ্যে চলে আসল তাই শুনছি।
সূরা আলে ইমরানের ১৪-১৫ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন- মানবকুলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী, সন্তান সন্ততি, রাশি রাশি স্বর্ণ রৌপ্য, উৎকৃষ্ট বাহন, গবাদি পশুরাজি, উৎপাদনশীল ক্ষেতখামার। এসব পার্থিব সাময়িক জীবনের ভোগ্যবস্তু। আল্লাহর কাছেই রয়েছে সর্বোত্তম আশ্রয়। ....... আল্লাহর নিকট তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত... যেখানে তারা চিরকাল থাকবে, রয়েছে পবিত্রা প্রেমিকাগণ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি।
এখানে - সাময়িক দুনিয়ার ভোগ্যবস্তু- কথাটি আমার ভুল ভেঙ্গে দিল।
অর্থাৎ যারা কামনা-বাসনা চরিতার্থ করতে ১০বছরের শিক্ষাজীবনকে ব্যবহার করবে তারা বাকি ৪০-৫০ বছর এর কুফল ভোগ করবে। যারা দুনিয়ায় অবৈধ কামনা-বাসনা চরিতার্থ করবে তারা চিরস্থায়ী সুখের আবাস হারাবে। স্মর্তব্যঃ মানুষ মরে গেলে পশু পাখির মতো ধ্বংস হবে না, তাই তার উচিৎ পরকালের আবাস ঠিক করে নেয়া, দুনিয়ার সুখকে পরকালের নিচে স্থান দেয়া।
৩য় পর্যায়
উক্ত ছবির খারাপ দিকটা আমার নজরে আসল কয়েকদিন পর। দ্বিতীয় যুগলের মধ্যে প্রেমিকপুরুষ প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। তবে তাতেও সে ব্যর্থ হয়।
এজন্যেই ইসলাম নিষেধ করে- বিবাহ বহির্ভূত প্রেম, নারীপুরুষের অবাধ মেলামেশা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩১

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: সুন্দর উপলব্ধি। আজকাল বিবাহ বহির্ভূত প্রেম একদম কমন ব্যাপার হয়ে গেছে।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

সেয়ানা পাগল বলেছেন: যে গুলা এই দুনিয়াই হারাম সেগুলা জান্নাতে অফুরন্ত supply এর প্রতিশ্রুতি !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.