নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিপূর্ণ মনুষ্যত্ব অর্জনের প্রত্যয়ে

শুজা উদ্দিন

ব্যতিক্রম

শুজা উদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শারিরীক শিক্ষার নামে আমরা যৌনতাকেই উসকে দিচ্ছি, গ্রুপ সেক্স স্টাডির দরজা খুলে দিচ্ছি! হতে পারে ধর্ষণও।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১২

বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ও পরীক্ষানীতি হলো- ১০০ভাগ পাশ করাতে হবে। যারা খাতা মূল্যায়নে নূন্যতম কঠোরতা দেখাবে তারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি, হোক সে মুক্তিযোদ্ধা।
আমাদের দেশে আধুনিক মানসিকতা প্রকাশের অন্যতম উপায় হলো- পশ্চিমাদের পোশাক পরিধান করা। আর সভ্য পশ্চিমাদের পোশাকে নিয়ম হলো- ছেলেরা যত সম্ভব শরীর ঢেকে রাখবে আর মেয়েরা যত ইচ্ছা EXPOSED রাখবে। ছেলেদের FORMAL DRESS হলো গলা থেকে পা সহ ঢাকা স্যুট। আর মেয়েদের FORMAL DRESS হলো- হাটুর উপরিভাগ পর্যন্ত।
আধুনিকতা, মুক্তমানসিকতা ও প্রগতির নামে বাংলাদেশের সমাজকে বিশেষত বিভাগীয় শহরগুলোকে বেহায়াপনা, উলঙ্গপনা এবং অনৈতিকতায় জর্জরিত করা হয়েছে। যারা বাংলাদেশের কিংবা ইসলামের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে আকড়ে ধরতে আহ্বান জানায় তারা সেকেলে। যারা নারী উলঙ্গপনাকে নিন্দা জানায় তারা প্রগতির পথে অন্তরায়।
আমার এক বন্ধু সুন্দরভাবেই বলেছেন-Developed countries are the ideals not for all the aspects of humanity. Some countries are ideal for SCIENCE, #SOCIAL_JUSTICE; only for these aspects they cannot be ideal for CULTURE and #LifeStyle as well.
গ্রামাঞ্চলে এই নির্লজ্জতা ঢোকানোর মোক্ষম উপায়- শিক্ষা ব্যবস্থা।
এখনতো সব মডার্ণ ছেলেমেয়ের হাতে পর্ণগ্রাফি। তবুও যাদের internet access নাই তাদেরকে কিভাবে যৌনতা শেখানো যায়, পাঠ্যবই একমাত্র পথ।

এমন ছবি কেন দেয়া হচ্ছে। তাদেরকে এ নিয়ে গবেষণা করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে! এগুলোতো ডাক্তারি পড়ার জন্য প্রয়োজন। তাহলে কচিশিশুদের বইয়ে এসব কি! নাকি আমি সংকীর্ণমনা?
তাহলে বুঝাই যাচ্ছে উদারমনা হতে হলে ছেলেদেরকে মেয়েদের যৌনাঙ্গ সম্পর্কে 'বিস্তারিত' জানতে হবে। আর মেয়েদেরকে ছেলেদের পুরুষাঙ্গ সম্পর্কে ছবিসহ জানতে হবে!!!!!!!!! (জানিনা বইটাতে মেয়ের গোপনাঙ্গের ছবি দেয়া আছে কিনা।) এমন পড়া থাকলে তো মা-বাবা দেরকে কষ্ট করে সন্তানকে পড়তে বসতে বলতে হবে না!!!!!! :> তারা এমনিই বই নিয়ে বসে থাকবে আর মনে মনে আঁকবে.....।
গোটা বইয়ে হাজারটা ভাল কথা থাকলেও এমন একটা কথাই শিক্ষার্থীর মানসিকতা নষ্ট করতে যথেষ্ট।
আমাদের বইগুলো প্রণয়নে সমাজের ক্ষতিকর দিকগুলোকে বিবেচনায় রাখা হয়নি।
ছেলেরা এমনিতেই এমনসব কথা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করে( আমি ছেলে তাই ছেলেদের কথাই বললাম)। এখন সুযোগ করে দেয়া হলো যেন সে চাইলে তার মেয়ে সঙ্গীকে ও ইশারায় বা প্রকাশ্যে বলতে পারে। তারপর একসময় লজ্জা-সংকোচ কেটে যাবে- আর তাতেই সমাজ বিধ্বংসী শিক্ষা ব্যবস্থা সফল হবে।
বইয়ে বলেও দেয়া হয়েছে - তোমাদের এই বয়সে একে অপরকে জানার আগ্রহ প্রবল হয়। তোমরা ছেলে মেয়ে সব বন্ধু বান্ধবির সাথে মেলামেশা করবে, একে অপরকে জানবে, পাশাপাশি পড়ালেখাও করবে। আর এটা সকলের জানা যে, টিনএজ বয়সে ঘনিষ্ঠ মেলামেশা কোথায় গিয়ে থামতে পারে। আমাদের আগের জেনারেশনের কেউ কেউ বলেন- আমরা সবাই মিলেমিশে কি পড়িনি, কই আমরা তো কোন যৌনতা দেখিনি! আসলেই তাই।
আগে মেয়েরা বাঙালির কাপড় পড়তো, আগে পথেঘাটে যৌন সুড়সুড়ির বিজ্ঞাপন দেখা যেতো না। এখনতো ইন্টারনেট চালু করলেই আবেদনময়ীদের ছবি চলে আসে, রাস্তার ধারে বিজ্ঞাপন আছে, আরো আছে আবেদনময়ীদের আনাগোনা। আপনি মুরব্বী এসব কবে দেখেছেন বলেনতো! এতো কিছু দেখে এসে বন্ধু-বান্ধবীর সাথে যখন শারিরীক শিক্ষার যৌনাঙ্গের শিক্ষা নিয়ে পড়তে বসবেন তখন কেমন লাগবে আপনার ভাবুনতো। আহা আপনি ভাল মানুষ তাই হয়তো ঐ পরিচ্ছেদ এড়িয়ে যাবেন কিন্তু আপনার সহপাঠীর মধ্যে কয়জন পাবেন এত্তো ভালো! আর যখন একজন ঐ বিষয় নিয়ে একটা কথা বলবে বা খুনসুটির নামে শুনিয়ে দেবে তখন আপনিও তার পাল্টা না বলে থাকতে পারবেন না। তাহলে আপনাদের সেক্স স্টাডির দরজা খুলে গেল!!!! :-P
এভাবে ছেলে-মেয়েদের সুপ্ত কামনাকে একবার প্রকাশের সুযোগ দেয়া গেলে তারপর অমনি সবসময় যৌনতা নিয়ে তারা মেতে থাকবে।
বইয়ে এও বলা আছে তোমাকে যদি কোন সহপাঠী শারিরীক মিলনের জন্য ডাকে তাহলে তুমি না বলবে। X( আমাদের দেশে এমন আহ্বানের কোন সম্ভাবনাই তো ছিলনা! এখানেতো এটাই শিখানো হচ্ছে যে- তুমি তোমার সহপাঠীকে যৌনমিলনের জন্য ডাকতে পারো, সে হ্যা বা না বলতে পারে। কিন্তু কোন টিনএজ কি একবার না বললেই দমে যাবে! সে বারবার ডাকবে। আর সবাই তো এত নৈতিক শিক্ষা পায় নাই যে না বললেই সরে যেতে হবে! কে মানে এসব। কয়েকবার ডাকার পর কিশোরী মেয়ের মন (আমাদের সমাজে ছেলেরাই ডাকে) ভয়ের সাথে উত্তেজিত হবেই। একটু জোর করলেই ক্রমান্বয়ে রাজি হতেও পারে। আর যদি রাজি না হয় তাহলে সোজাাাা ধর্ষণ B-)) । করতেই পারে। তারপর বলা হবে - ছেলেটা বখাটে, মানসিক বাতিকগ্রস্তও বলা যেতে পারে।
TABOO বিষয়কে আর ট্যাবু রাখা চলবে না। তাই বলে অপরিণত বয়সে তাকে ইচড়ে পাকা করতে হবে! এসবতো মা-বাবাদেরকে জানালে চলে। প্রয়োজনে তারাই সন্তানদের জানাবে। আর এসব বিষয় ট্যাবু যখন ছিল তখন কি মানুষের যৌনশক্তি কম ছিল নাকি অসুস্থ ছিল? আসল কথা হলো এসব মুখে বলাবলি না হলেও সবাই গোপনে কোন না কোন ভাবেই জেনে নিত। এসব শিক্ষা শিশুদের নয় যুবকদেরকেই দেয়া যায়। শিশুদের দেয়া মানে তাদেরকে নষ্ট করা, বিপথে পরিচালিত করা। আমরা যারা এমন শিক্ষার বিরুদ্ধাচরণ করি তারা আসলেই সমাজের ধ্বংসাত্মক প্রগতির পথে অন্তরায়।

আর

এই শিক্ষার সাথে স্কুল পর্যায়ে এইডস ও কনডম সচেতনতা ধ্বংস ও ধর্ষণের পথে সহায়ক।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ছোটবেলা কাক আর ময়ূরের একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পে - কাক ময়ূরের অঙ্গী ভঙ্গি নকল করতে গিয়ে নিজের'টাও হারিয়ে অদ্ভুত এক ভঙ্গিমায় হাটা শিখলো। না ময়ূর, না কাক। আমাদের দশাও এমন হয়ে যাবে।
ছেলেমেয়ের সচেতন করে যৌন হয়রানি থেকে বাঁচানোর নামে - ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

যে দেশের বিবাহিত পুরুষ মহিলা কনডম ক্রয় করতে এখনো লজ্জা পায়, সেই দেশের শিশুদের বই পুস্তকে যৌনতা নিয়ে প্রবন্ধ।
বিষয়টা অনেকটা ঠিকমতো হাটতে শিখানোর আগে, দৌড়াতে বলা। দৌড়া, দৌড়া....

২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: আপনিতো মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি! :(

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: বই পুস্তক তো বড় সমস্য না ভাই।এখন তো হাতে কাছে সব । গ্রাম আর শহর 4G এখন সর্বত্র।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২১

খাঁজা বাবা বলেছেন: সহমত।
মানুষ যে বয়সে যা শেখার তা তার চারপাশের পরিবেশ থেকে এমনি এমনি শিখবে।
বয়সের আগে এই গুলি শিখলে তাতে আগ্রহ ও কৌতুহল তৈরি হবে।
তাছাড়া সব কিছু খোলা মেলা আলোচনায় লজ্জা ও ভেঙ্গে যাবে।

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪

তানুন ইসলাম বলেছেন: দেশটা পশ্চিমা হতে ,আর বেশি দূরে নাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.