নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিপূর্ণ মনুষ্যত্ব অর্জনের প্রত্যয়ে

শুজা উদ্দিন

ব্যতিক্রম

শুজা উদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপমহাদেশে ধর্মের স্থান দখল করেছে সংস্কৃতি ও জাতীয়তাবাদ

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

একদা মানুষ ধর্মকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ মনে করত। এখন মনে করে সংস্কৃতি অবিচ্ছেদ্য, ধর্ম অপাংক্তেয়। সেকুলার মতবাদ প্রসার পেলে মানুষের উপর ধর্মের প্রভাব কমে যাবে। তখন তাদের উপর প্রভাব বজায় রাখার নতুন হাতিয়ার হল- সংস্কৃতি বা জাতীয়তাবোধ।
আগে রাজনীতিবিদেরা ধর্মকেই ব্যবহার করেছে। তারা এখন শহরাঞ্চলে সংস্কৃতি-চেতনা আর গ্রামাঞ্চলে ধর্ম-চেতনাকে ব্যবহার করে। সুতরাং আগে ধর্মকে আফিম বলা হলে, এখন সংস্কৃতিকে মরফিন বলা যাবে। আগে অশিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিতদেরকে দমিয়ে রাখা হত ধর্ম দিয়ে। এখন উচ্চশিক্ষিতদের দমিয়ে রাখা হয় সংস্কৃতি দিয়ে।
আগে লোকেরা ধর্মান্ধ হতো এখন হয় সংস্কৃতিমত্ত। অতীতে ধর্মের নামে কিছু বলা হলে মানুষ তার বিপরীত ভাবতেও পারত না। এখন সংস্কৃতির নামে যা বলা হয় কেউ তার উল্টো বলতে সাহস পায় না।
সংস্কৃতিকে মহানরূপে তুলে ধরেছে ধর্মহীন উন্নত রাষ্ট্রগুলো। কেননা, ধর্মের স্থানে কোন কিছু না থাকলে নাগরিকেরা একের পর এক সমস্যা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরকারকে বিষিয়ে তুলবে। এজন্য নানা দিবস জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হয়। আবার তারা ধর্মকে হেয় করে সংস্কৃতির পথে অন্তরায় হিসেবে।
এসবই মস্তিষ্কের ধোলাই। প্রচার-প্রোপাগান্ডা দ্বারা মিডিয়ার কর্তারা নাগরিকের মানসিকতা নিয়ন্ত্রণ করে। সংস্কৃতি ও জাতীয়তাবাদ চেতনা আধুনিক সমাজ ব্যবস্থারই অংশ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষমতাশালী গোষ্ঠীর প্ররোচনায় আমরা আধুনিক হবার জন্য সংস্কৃতি ও জাতীয়তাবাদকে অবিসংবাদিতভাবে মনে-প্রাণে বরণ করে নিয়েছি, হোক তা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়। মিডিয়ার কথা মত চার দশকের পুরনো ব্যাপারকে হাজার বছরের ঐতিহ্য বলেই মেনে নিয়েছি। আধুনিকতো হতেই হবে।
ধর্মান্ধতার কারণে কী ক্ষতি হয়েছে তা আমরা জেনেছি, বুঝেছি, এখন শুধরে নিলেই চলবে। কিন্তু নতুন ধর্মের তথা সংস্কৃতির উন্মত্ততায় কী ক্ষতি হবে তা বুঝতে আরো এক শতাব্দী পাড়ি দিতে হবে। তারপর সাংস্কৃতিক উন্মত্ততাকেও প্রগতির পথে অন্তরায় মনে করব। জন্ম নেবে নতুন ধর্মের। তাতে ক্ষতি বাড়ছে, বাড়বে। ততোদিনে জাতি তার স্বকীয়তা ও ঐতিহ্য সবই হারাবে। এভাবে জাতীয় সংকটের সমাধান হবেনা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মের স্থান দখল করেছে সংস্কৃতি ও জাতীয়তাবাদ এটা তো ভালো। খুব ভালো।
তাতে ধর্মের নামে হানাহানি বন্ধ হবে।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

ইনাম আহমদ বলেছেন: আমি কিন্তু আপনার কথার উল্টোটা দেখতে পাচ্ছি বর্তমান বিশ্বে।

১৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

শুজা উদ্দিন বলেছেন: আপনি বিশ্বকে মিডিয়ার চোখে দেখলে উল্টোটাই পাবেন।
আমি ভারতীয় উপমহাদেশকে নিয়ে বলছিলাম

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাল লাগলো।কিন্তু স্থানটি তো উপমহাদেশ।কাজই একশো বছরে পাড়ি দিলেও কিছ্ছু হবে বলে মনে হয়না। আমরা তবুও এদের সমালোচনা করতে পারছি।আর সভ্যতার ধ্বজাধারীদের, তাদের বর্বরতার কোন তুলনা হয়না।ঐ যে কর্পোরেট বর্বরতা! যাইহোক আমরা তাকিয়ে থাকবো সুদিনের জন্য।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

শুজা উদ্দিন বলেছেন: কর্পোরেট বর্বরতা - ভালই বললেন।
ধন্যবাদ।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮

আবু আফিয়া বলেছেন: ধর্ম যারা মানেন, তারা ঠিকই ধর্ম পালন করেন, ধর্ম কি শুধু বড় জুব্বা জামা আর দাড়ির মধ্যেই সীমাবদ্ধ? অবশ্যই না, আল্লাহ মানুষে অন্তর দেখেন। তাই্ বাহ্যিকভাবে কাউকে দেখে আমরা বলতে পারি না সেই লোকটি ধর্ম-কর্মহীন মানুষ। হতে পারে তার হৃদয় আমার থেকে অনেক পবিত্র।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.