নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাংকের এই নিয়মের মানে কী!

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সিটি ব্যাংকে গেলাম একটা কাজে। আগেই খবর নিয়ে গেলাম, অন্য ব্যাংক একাউন্ট থেকে অটো ডেবিট করতে যা যা লাগে তা হইলো
- ছয় মাসের ব্যাংক ষ্টেটমেন্ট
- ঐ ব্যাংকের ব্ল্যাংক চ্যাকের ফটোকপি
- ন্যাশনাল আইডির ফটোকপি
- পাসপোর্টের ফটোকপি
- টিন সার্টিফিকেটের ফটোকপি
- এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
সব নিয়ে গেলাম। ব্যাংকের স্মার্ট মেয়েটা আমারে বললো
- স্যার এই ফর্মগুলা ফিলআপ করেন প্লিজ।

একটা ফর্ম দেখি আমার ব্যাংক ষ্টেটমেন্ট তুলতে পারার অথোরাইজেশন লেটার। আমি বললাম
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট'তো আমি নিয়ে আসছি অলরেডি!
সুন্দর একটা অফিসিয়াল ফর্মাল হাসি দিয়ে বললো
- স্যার এইটাও লাগবে, আমরা আবার তুলবো

ব্যাংক স্টেটমেন তুলার কথা শুনে আমার চওখ কপালে তুলে বললাম
- তারমানে আপনারা ভদ্রভাবে আমারে ফ্রড বলতেছেন? আপনারাই যদি তুলবেন, তো আমাকে কেন নিয়ে আসতে বলছেন?
মেয়েটা আবারো আগের হাসি'র কপি পেস্ট করে বললো
- স্যার এইটা আমাদের নিয়ম।
বললাম
- তো একই কাজ দুইবার করতে গিয়ে আমার যে খাটনিটা হলো, আমার যে দুইবার করে স্টেটমেন্ট তোলা বাবাদ মোট ১১৫ টাকা করে ২৩০ টাকা কাটা হবে, এইটা কোন নিয়মে পড়ে?
মেয়েটা কোন উত্তর দিলোনা। বিষয়টা এমন যে, শিশুদের কিছু কথা শুনেও না শোনার ভাণ করতে হয়। আমি আবারো বললাম
- আপনি আমারে যুক্তি দিয়ে বুঝান। যে স্টেটমেন্ট আপনারা তুলবেনই, এই কাজটা আমাকে দিয়ে কেন আবার করালেন?
মেয়েটা আবারো শুধু হাসি'র কপি পেস্ট করলো, কোন উত্তর দিলো না।

ব্যাংকার ভাইয়েরা আছে কোন উত্তর এর?

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১

সুমন কর বলেছেন: নো......

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কিছু করার নেই। আমার ভাইও ব্যাংকার। সে নিজেও ব্যাংকিং সিস্টেম নিয়ে অনেক ফেড আপ। এক এক ব্যাংকের এক এক পলিসি। ব্যাংকের নিয়ম কানুন যদি এতই কড়া হয় তাহলে এত ঋণখেলাপী আর এত জালিয়াতি কীভাবে হয়? এখানেও হাসি'র কপি পেস্ট হবে...

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

সুখী মানুষ বলেছেন: সত্যি তাই, চিন্তা করেন - তোরাই যদি আবার স্ট্যাটমেন্ট নিবি, তো আমারে দিয়ে কেন নেওয়াইলি ফাও!

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কিছু ব্যাংকে স্টেটম্যান্ট চাইলে এত ঢং করে। অথচ এক মিনিটেরও কম সময় লাগে। আমার একাউন্ট, আমাকে প্রিন্ট দিবি তো এত ঢং কেন?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২০

সুখী মানুষ বলেছেন: টাকাও কিন্তু নেয়! ১১৫ টাকা করে। ১০০ টাকা এরা নেয়, ১৫ টাকা ভ্যাট।

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বছরে দুইবার ফ্রি স্টেটমেন্ট সরবরাহ করে আমি সেই সুযোগটি নেই।

অফটপিকঃ কর্মস্থল পরিবর্তনের কারণে আমার আগের দুইটি একাউন্টে
ট্রানজেক্সন হয়না বিধায় স্টেটম্যান্ট তুলতে গেলাম, পেলামও বিনা পয়সায়
কিন্তু একই যাত্রায় দুই ফল দেখে চোঁখ ছানাবড়া, দুটি ব্যাংকই সরকারী,
উভয় ব্যাংকের হিসেবে আমার স্থিতি ছিলো কম বেশী ৬ হাজার টাকা,
এর একটি হিসাবের ৩ বছরের মেইনট্যানেন্স ফি কেটেছে ২ হাজার টাকা
অন্যটিতে কোন কিছু না কেটে লাভ দিয়েছে ৬০০ টাকা, বুঝন ব্যাপারটা !!

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৬

সুখী মানুষ বলেছেন: বছরে দুইবার স্ট্যাটমেন্ট ফ্রি! সত্যি? যতদূর জানতাম প্রতিবারই ১১৫ টাকা করে কেটে রাখে।

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: উফফ, এদের যে কত্ত ঢং X((

৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

হানিফঢাকা বলেছেন: ১। অনলাইনে এক বছরের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট প্রিন্ট করা যায়।

২। ইদানীং কর্পোরেট লেভেলে কিছু ব্যাংক স্টেটমেন্ট জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়েছে, যা রেগুলেটর (বাংলাদেশ ব্যাংক না) কে ভাবিয়ে তুলেছে।

৩। কারো চেহারায় লেখা থাকেনা সে ফ্রড না ভাল। এই গুলি ব্যাক্তিগত ভাবে না নেওয়াই ভাল। ব্যাংক শুধু মাত্র তার প্রটেকশনের জন্য এই কাজটা করেছে।এই ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের কারো ক্ষেত্রে যদি সন্দেহ হয় তবে ব্যাংক যাতে ঐ স্টেস্টমেন্ট ভেরিফাই করতে পারে সেই জন্য এই ব্যাবস্থা। এইটা ইতিবাচকভাবে নেওয়াই উচিত।

৪। আমি বর্তমানে কোন ব্যাঙ্কে চাকরি করি না। অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।


২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৪

সুখী মানুষ বলেছেন: ক্লায়েন্টকে অপমান করার অধিকার তাদেরকে কে দিয়েছে? ব্যাক্তিগতভাবে নিবো না কেন! তারা যদি নিজেরাই স্টেটমেন্ট নেয়, তাতে'তো আমার আপত্তি নাই। আমাকে তাহলে স্টেটমেন্ট দিতে হবে কেন? এর যুক্তি কী দিবেন?

৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ইহার চেয়ে তো কাবুলিওয়ালাই বেশী ভালো ছিলো।
ব্যাংকগুলোর উপর থেকে ভক্তি শ্রদ্ধা সব উঠে যাচ্ছে।

৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: বেসরকারি ব্যাংকগুলো সার্ভিস দেয়া খাতে আয় বাড়ানোর জন্য এটা করে।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৬

সুখী মানুষ বলেছেন: বিষয়টা কিন্তু অপমানজনক ভাই।
এরা নিজেরা চেক করুক, এইজন্য আমার কাছ থেকে চেক করার অনুমতিও নিয়ে রাখুক, কোন সমস্যা নাই।
কিন্তু আমার কাছ থেকে স্টেটমেন্ট নিয়ে আবার আমাকে দিয়ে ঐটারও কেন সাইন নিবে যে এরা আমার স্টেটমেন্ট তুলে ভেরিভাই করবে!

৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮

নতুন বলেছেন: ভাই এটা করে আমাদের দেশের জনগনের জন্য...

অনেকেই এই জিনিস বানাইয়া জমা দেয়।

১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: ক্লায়েন্টের মর্যাদা বিবেচনা না করে নিয়ম বানানো বা চর্চা করা মোটেই ঠিক নয়। দেশের মানুষকে দোষ দেয় আর নিজেরা দুইবার চার্জ কাটে - এটা কি ন্যায় সংগত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.