নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/shusmitashyamaofficial

স্বাগতম

সুস্মিতা শ্যামা

লেখাটা আমার প‌্যাশন। তবুও লিখি খুব কম। তখনই লিখি যখন আর না লিখে কোন উপায় থাকে না। মাথাটা যখন ভার হয়ে যায়, চিন্তাগুলো প্রসববেদনার মত কষ্ট দেয়, তখন লিখতে বসি। লিখে কিছু পরিবর্তন করার আশা করি না। নিজের ভাবনাগুলো নিজের কাছে আর একটু ভাল করে প্রকাশ করার জন্য লিখি। আমারর চরিত্রগুলোর আনন্দ-বেদনা আর বদলের সঙ্গী হবার জন্য লিখি।\nআমার সবচাইতে বড় পরিচয়- আমি সিরিয়াস পাঠক। আপাতদৃষ্টিতে অসামাজিক। নিজেকে মাঝে মাঝে ভীষণ বিরক্তিকর বলে মনে হয়; ঠিক তখনই মনে পড়ে, ঈশ্বর/আল্লাহ/সৃষ্টিকর্তা বড় ভালবেসে আমায় তৈরি করেছেন। তিনি আমার হাজার খামতি সত্ত্বেও আমাকে সঙ্গ দিয়ে চলেছেন। একথাটা ভাবলে নিজেকে বা অন্যকে ভালবাসতে বা ক্ষমা করতে আর অসুবিধা হয় না। \nআমার ফেসবুক ঠিকানা: https://www.facebook.com/shusmitashyamaofficial

সুস্মিতা শ্যামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সে এবং এক রাশ লালিমা

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

নিজের সম্পর্কে লেখা কাগজটা খুলতেই একরাশ লজ্জা ছড়িয়ে পড়ল ওর সারা মুখে। মনে হল একটা রক্তিম বিদ্যুত যেন মুখের এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত খেলা করে গেল। ফর্সা মুখে লজ্জার লাল আভাটা খুব বেশি করে ধরা পড়ছিল।



কাগজটা হাতে নেয়া থেকে শুরু করে, সেটা খোলা, পড়া এবং অবশেষে একটা চেষ্টাকৃত উদাসীনতার ভান করে সেটা পাশে রেখে দেওয়া পর্যন্ত প্রত্যেকটা ধাপ আমি খুব মনোযোগ দিয়ে দেখলাম।



আমি জানতাম, আমি ওর সম্পর্কে যা লিখেছি তাতে ও ভীষণ খুশি হবে। আমাদের প্রত্যেকের বাড়ির কাজ ছিল এক টুকরো কাগজে করে একে অন্যের একটা করে ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য লিখে নিয়ে যাওয়া। গ্রুপে সেদিন আমরা ছিলাম মোট চার জন। ও ছাড়া বাকি দুজন তাদের খুশিটা আড়াল করার কোন চেষ্টা করে নি। বাকি দুজন পড়া শেষ করেই সশব্দে হেসে উঠে আমায় ধন্যবাদ দিল। সেটা আবার জোরে জোরে পড়ে সবাইকে শোনাল। কেবল সে চুপ। অন্যরা জানতে চাইল দেখে ও আবার কাগজটা তুলে নিল। আমিও আবার ওর লজ্জা পাওয়া মুখটা দেখার অবসর পেলাম। এবারে লজ্জার পরিমাণ দ্বিগুণ হল কারণ এবার পুরো কথাটা তাকে সশব্দে পড়তে হল।

কাগজে লেখা ছিল- "তোমার রসবোধের কারণেই তুমি অনন্য এবং বিশিষ্ট। তোমার সাথে থাকা প্রতিটি মুহর্তই ভীষণ মজার।"



পড়া শেষ করে এবার সে হাসতে হাসতে মুখটা তুলল, এবারই প্রথম সরাসরি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, "ব্যাপারটা কি অনেকটা 'বুঝহ সুজন যে জন জানহ সন্ধান' গোছের কিছু? যে খারাপ, সেও কিন্তু তার নিজস্ব ধরণে খারাপ । তাই, সে-ও কিন্তু অনন্য এবং বিশিষ্ট। ইচ্ছে করেই কথাটার মধ্যে dual meaning রেখেছ, তাই না? আমি চিনি না তোমাকে? চিনি তো!"



রাগতে গিয়েও রাগলাম না। কারণ ও তো এমনই। দুষ্টুমি করতে ভালবাসে।



যাহোক, এর পরের ঘটনাটা বর্ণনা নিষ্প্রোয়জন।



এবার আমার পাঠকের কাছে একটা প্রশ্ন---লজ্জায় রাঙানো মুখটা কল্পনা করতে গিয়ে কার মুখ কল্পনা করেছেন? ছেলের নাকি মেয়ের? নিশ্চয়ই মেয়ের? হ্যা পাঠক, আমি হলেও হয়তো তাই করতাম। কিন্তু আপনাদের হতাশ করতে হচ্ছে বলে দু:খিত। লজ্জা পাওয়া মুখটা একটা ছেলের।



আসলে ছেলেদের জবানীতে সাহিত্য পড়তে পড়তে পৃথিবীটাকে এতদিন শুধুই তাদের চোখ দিয়ে দেখেছি। ভেবে এসেছি- লজ্জা, জড়তা জাতীয় মিষ্টি বৈশিষ্ট্যগুলো কেবল মেয়েদেরই মানায়। আমিও অনেকটা তাই ভাবতাম। কিন্তু সেদিন সন্ধ্যায় হঠাতই বুঝলাম, সুন্দর সবখানেই সুন্দর- যদি তা আন্তরিক হয়। কখনো ভাবিনি, কোন ছেলের লজ্জা পাওয়া মুখ এত সুন্দর হতে পারে। এক বিন্দু মেয়েলী লাগে নি তাকে। অনুভূতির কোন দেশ-কাল সীমানা নেই। অনুভূতির কোন লিঙ্গভেদ নেই। মানুষকে সবচেয়ে ভাল লাগে তার সহজতায়, তার আন্তরিকতায়।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

অনন্য ঐশিক বলেছেন: ভাল লেগেছে।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: অনন্য ঐশিক, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং ভাল লাগা জানিয়ে যাওয়ার জন্য।

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

রিয়ান৯১১ বলেছেন: বাংলাদেশে কর্মজীবি নারীদের উচ্চ শিক্ষার সমস্যা

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: ঠিক বুঝলাম না, ভাইয়া। বুঝিয়ে বলবেন?

৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

ডরোথী সুমী বলেছেন: আপনার থাইল্যান্ডের কাহিনীতেও একজনকে পেয়েছিলাম যিনি মেয়েদের চরিত্রে অভিনয় করলেও তাকে মেয়েলী মনে হয়নি।সত্যিই এক একজনের বৈশিষ্টের কিছু অংশ, কিছু মুহূর্ত তাদেরকে অনন্য করে তোলে। ধন্যবাদ আপনাকে, সেই সাথে ধন্যবাদ সেই মানুষগুলোকে যারা আপনাকে সেই সুন্দর মুহূর্তের অংশীদার করেছিলেন। শুভকামনা রইলো।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: এত অসাধারণ তুলনামূলক বিশ্লেষণ! এরকমভাবে তো ভাবি নি ভাই, ডরোথি সুমী! ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। হ্যা, "সত্যিই এক একজনের বৈশিষ্টের কিছু অংশ, কিছু মুহূর্ত তাদেরকে অনন্য করে তোলে" আমি একমত আপনার সাথে।

৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

আমিজমিদার বলেছেন: বাংলা ভাষা জ্ঞানীদের ভাষা। ইংরেজরা হি-সি দিয়া মেয়ে-ছেলে আলাদা করে, আমরা করি সে দিয়া। লাও ঠ্যালা, নিজে বুইঝা লও।

ভাল লেকছেন।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া। খুব দারুণ একটা বৈশিষ্ট্য সামনে আনলেন। আসলেই, আমাদের ভাষাটার মধ্যে কোন অকারণ লিঙ্গ-বৈষম্য নেই। আর সে কারণেই, যে কোন বর্ণনায় সাসপেন্স রাখাটা আমাদের জন্য সহজ হয়।

৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনুগল্প এবং বিশ্লেষন! লেখাটা ভালো লেগেছে। সাবলীল লেখার ধরন। তবে ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়েছে, যে বিষয়টা তুলে ধরেছেন, তা বিশ্লেষন না করেই যদি গল্পে মাঝে কোন ভাবে প্রকাশ পেত, তাহলে হয়ত আরো ইন্টারেস্টিং হত।

অনেক শুভ কামনা রইল। :) আপনাকে অনুসরনে নিলাম।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: Priyo kalponik valobasha, apnar bastob ebong gothonmulok montyobber jonno dhonnobad. :)

৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

হতাস৮৮ বলেছেন: আপু আমি কিন্তু ছেলেই ভেবেছিলাম... :) :)

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: Hahaha! Ahem! Vishon buddhinan pathok apni, shondeho nei. Hotash bhaia, apnake dekhe ashannito holam. Dhonnobad.

৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

আশমএরশাদ বলেছেন: লিখা গুলা পড়তে শুরু করলাম।

ছেলেদের চোখ দিয়ে দেখা--- আসলেই একপক্ষের লিডিং করা সমাজে এমনই হয়।
অল্পতে অনেক ভালো লাগলো।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, এরশাদ ভাই। লেখাগুলো পড়ার পরে আপনার প্রতিক্রিয়া জানবার অপেক্ষায় থাকলাম। :) যদি সময় থাকে, ম্যাজিক ডায়েরীটা পড়ে আমাকে আপনার মতামতটা জানয়েন।
বহুদিন পরে পরে ব্লগে ফিরে এসে আপনাদের দেখলে আবার নতুন করে অণুপ্রেরণা ফিরে পাই। :)

৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগল। আরো ভাল লাগল আপনার প্রকাশ ভঙ্গি।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল লাগাটা জানিয়ে যাওয়ার জন্য আরো ধন্যবাদ। :)

৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৯

কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: গল্পের স্টারটিংটা খুভ ভালো লাগলো।
লজ্জা নিয়ে গল্প খুব ভালো লাগলো

আমার তো লজ্জাই নাই :( :(

আমার মা আমকে বলে আমি নাকি নির্লজ্জ :P

শুভ সকাল

শুভ কামনা

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: কাগজের নৌকা ভাই, শুরুটা ভাল লেগেছে? ধন্যবাদ। চেষ্টা করব পরের লেখাগুলোতে শেষটাও ভাল করার। মা নির্লজ্জ বলে? মায়েরা এমন কত কথা বলে! আমার মায়ের চোখে আমি দুনিয়ার সবচাইতে অকর্মা মেয়ে। হাহাহা

১০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: না শেষটাও ভালো হইছে কিন্তু শুরুটা আরও ভালো হয়েছে

ভালো থাকবেন :)

১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

সুন্দর সবখানেই সুন্দর- যদি তা আন্তরিক হয়। এ তত্ত্বের বিশ্লেষণ করতে যেয়ে যে-উদাহরণটা দিয়েছেন সেটার ব্যাপারে আমার মতভেদ রয়েছে। মতভেদের কারণটা হয়তো আমার একান্তই ব্যক্তিগত। আমি শুরু থেকেই লজ্জায় রাঙানো মুখটাকে একটা ছেলের মুখ হিসাবেই ভাবছিলাম। এর কারণ হলো, এ পোস্টের লেখক একজন ফিমেইল। লেখাটা প্রথম পুরুষে লেখা। মেয়েটা যার কথা বলছে তার সাথে একটা রোমান্টিক সম্পর্কের আঁচ পাওয়া যায় শুরুতেই। মেয়ের বিপরীতে একটা ছেলে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক বলে লজ্জায় রাঙানো মুখটি একটা ছেলেরই ধরে নিয়েছি শুরু থেকে। আর, সত্যি কথা হলো, লজ্জারাঙানো মুখ যে কেবল মেয়েদেরই হয়, এটা এতদিন আমার মাথায় বা মনে আসে নি ;)

ভালো থাকুন আপু।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: আরিব্বাস! এটা কে আমার ব্লগে?
লজ্জা রাঙানো মুখটা যে পুরুষের সেটা বুঝতে পারার কারণ আপনার ম্যাচিউরড রিডিং হ্যাবিট। আপনার কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশিত।
তবে লেখা প্রথম পুরুষে হলেই যে সেটা লেখক নিজে এমনটা ভাবার অবশ্য কোন কারণ নেই। ;)

১২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: :)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: ;)

১৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩০

যাযাব৮৪ বলেছেন: াল ই.।.।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: :-o

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.