নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/shusmitashyamaofficial

স্বাগতম

সুস্মিতা শ্যামা

লেখাটা আমার প‌্যাশন। তবুও লিখি খুব কম। তখনই লিখি যখন আর না লিখে কোন উপায় থাকে না। মাথাটা যখন ভার হয়ে যায়, চিন্তাগুলো প্রসববেদনার মত কষ্ট দেয়, তখন লিখতে বসি। লিখে কিছু পরিবর্তন করার আশা করি না। নিজের ভাবনাগুলো নিজের কাছে আর একটু ভাল করে প্রকাশ করার জন্য লিখি। আমারর চরিত্রগুলোর আনন্দ-বেদনা আর বদলের সঙ্গী হবার জন্য লিখি।\nআমার সবচাইতে বড় পরিচয়- আমি সিরিয়াস পাঠক। আপাতদৃষ্টিতে অসামাজিক। নিজেকে মাঝে মাঝে ভীষণ বিরক্তিকর বলে মনে হয়; ঠিক তখনই মনে পড়ে, ঈশ্বর/আল্লাহ/সৃষ্টিকর্তা বড় ভালবেসে আমায় তৈরি করেছেন। তিনি আমার হাজার খামতি সত্ত্বেও আমাকে সঙ্গ দিয়ে চলেছেন। একথাটা ভাবলে নিজেকে বা অন্যকে ভালবাসতে বা ক্ষমা করতে আর অসুবিধা হয় না। \nআমার ফেসবুক ঠিকানা: https://www.facebook.com/shusmitashyamaofficial

সুস্মিতা শ্যামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কয়েকটি নালায়েক প্রশ্ন

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩০

কোথায় যেন সমাজবিজ্ঞানীর একটি দুর্দান্ত সংজ্ঞা পড়িয়াছিলাম-‍"সমাজবিজ্ঞানী হইল সেই ব্যক্তি যিনি কোন অপরাধের পেছনে একমাত্র অপরাধী ব্যতীত অন্য সকলের অপরাধ দেখিতে পান।"

ধর্ষণ বিষয়ে মানুষের যুক্তিগুলো দেখিলে কেন জানি এই সংজ্ঞাটি মনে পড়িয়া যায়।



এ্ইবার মূল প্রসঙ্গে আসি।নিজের নারী পরিচয়ের মুখে লাথি মারিয়া পৃথিবীর তাব‌‌‌ৎ ধর্ষক এবং ধর্ষকামীর পায়ের নিচের মাটিকে শক্তিশালী করিবার জন্য আশা মীর্জাকে অভিনন্দন। তাহার অভিনব বক্তব্য থেকে আমি কিছু সিদ্ধান্তে পৌছাইলাম:

১. পুরুষ নিতান্তই আত্মনিয়ন্ত্রণহীন জন্তুবিশেষ। তাহার বিবেকবুদ্ধি, ধর্ম-অধর্মবোধ বলিয়া কিচ্ছু নাই। নারীকে একা পাইলেই তাহাকে ধরিয়া ধর্ষণ করা পুরুষের পক্ষে সবচাইতে স্বাভাবিক কাজ। উহাই পৌরুষের সর্বাপেক্ষা স্বত:স্ফূর্ত প্রকাশ।



২. নারী দেখিলেই যেহেতু পুরুষের ঈমান বিপন্ন হইয়া পড়ে, অতএব নারীকে ধরিয়া বস্তাবন্দী কর, নয়তো আটকাইয়া রাখ।বিষয়টি এইরূপ, জিহ্বা থাকিলেই তোমার সন্তান মিথ্যা বলিতে পারে, অতএব, তাহাকে সুশিক্ষা দেওয়ার বৃথা চেষ্টা না করিয়া তাহার জিহ্বা কাটিয়া দাও। দেশে অপরাধীর সংখ্যা বাড়িয়া গিয়াছে, তাই সাধারণ মানুষকে ধরিয়া জেলে পোরো। তবেই সকলে নিরাপদে থাকিবে।



৩. নারী কোন কর্মী হইতে পারে না, তাহার কোন কাজ থাকিতে পারে না, কর্তব্য থাকিতে পারে না। তাহার দুইটি মাত্র পরিচয়- প্রথমত সে একটি অতি কাঙ্ক্ষিত খাদ্যবস্তু যাহাকে দেখিলেই খাইতে মন চায়। দ্বিতীয়ত, সে এমন একটি প্রজনন যন্ত্র যার মাধ্যমে আরো কিছু ভবিষ্যৎ ধর্ষক এবং প্রজনন যন্ত্র উৎপাদন করা সম্ভব। ইহা ছাড়া নারীর আর কোন দায়িত্ব নাই।



এইবার তাহার এবং তাহার সমমনাদের কাছে আমার কয়েকটি নালায়েক প্রশ্ন:

১. ৪-৭ বছর বয়সী যেসব মেয়েরা ধর্ষিত হইতেছে, তাহাদের জন্য একটা যথাযথ ড্রেসকোড এবং জনসম্মুখে বাহির হইবার একটি নিরাপদ সময়ের উল্লেখ করিয়া দিন যাহাতে তাহারা বেচারা আত্মনিয়ন্ত্রণহীন অসহায় ধোয়া তুলসী পাতা পুরুষগুলোর চরিত্রবিচ্যুতির কারণ না হয়।

২. মাদ্রাসায় যেসব পুরুষ শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হইয়া থাকে, তাহারা কী ধরণের উত্তেজক পোশাক পরিধান করে, সে বিষয়ে আমি সবিশেষ কৌতুহলী।



******

"নারীবাদী" তকমা আটা মানুষদের প্রতি আমার কোনকালেই বিশেষ সম্মান ছিল না। আমার সেই পূর্বধারণা ঠিকই ছিল দেখছি।(বিশেষ করে একজন নারী নেত্রীর সাথে ্কজন ভণ্ড অশিক্ষিত হুজুরের কোনই প্রভেদ যখন দেখতে পাচ্ছি না।) নারীকে সম্মান করতে নারীবাদী হবার দরকার নেই, ভিতরে একটু মনুষ্যত্ব থাকলেই চলে।

আমি অনেক পুরুষকে জানি, যারা বিবেকচালিত, শুধুই প্রবৃত্তিতাড়িত নন; যারা ধ্রুপদী, 'ত্রিপদী' নন।এইসব তথাকথিত হুজুর বা হুজরানীর কথা শুনে সেই শুভবুদ্ধির মানুষগুলোর অসম্মান করতে আমি কোনদিনই চাই না।নারী পুরুষ নির্বিশেষে, জয় হোক ঐশ্বরিক মনুষ্যত্বের।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

ফিলিংস বলেছেন: বিশেষ করে একজন নারী নেত্রীর সাথে একজন তেতুল হুজুরের কোনই প্রভেদ যখন দেখতে পাচ্ছি না।

পুরুষদের জন্য হুজুরের কোনই উপদেশ নাই, মুসলিম মেয়েরা ঘরে যাও।(গোলাপীর সাথে দেখা ক রা কিন্তু হারাম না)। ভিন্ন ধ(র্মর নারীরা বাইরে থাক, মুসলিম পুরুষরা দেখুক......ফেলুক।

জান্নাত গ্যরান্টেড।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০২

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: এরা মূলত ধর্ষণকে বৈধতা দিচ্ছে। এদের বয়ানগুলো পর্নমুভির চাইতেও বেশি ক্ষতিকর। পর্ণমুভি মানুষ লুকিয়ে দেখে-কারণ সেই মুহুর্তেও মানুষের মধ্যে একটা দ্বিধা আর অপরাধবোধ কাজ করে। কিন্তু এদের এইসব অভূতপূর্ব বয়ানগুলো শোনার পর ছেলেদের সেই অপরাধবোধটুকুও কেটে যায়।

আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৮

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: যেকোন ধরণের 'বাদী' তাই পরিত্যাজ্য!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: 'বাদী'-দের আমিও এড়িয়ে চলি।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

ডরোথী সুমী বলেছেন: সবাই শুধু অন্যের ঘাড়েই দোষ চাপিয়ে দেয়।।'সমাধান যেহেতু দিতে পারছিনা তাই দিলাম চাপিয়ে অন্যের উপর'। কোন যুক্তি নেই, কারন নেই। এভাবেই তো চলছে সবকিছু। আপুনি, আমরাতো প্রতিবাদের ভাষাই ভুলে গেছি। আপনার বক্তব্য পুরোপুরিই সমর্থন যোগ্য। ......কিন্তু তারপর? নারীদের একই কথা বার বার শুনে যেতে হবে। শুভ কামনা।

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৩

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: Dhonnobad apu. Khub bhalo laglo apnake Peye.

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০১

সকাল রয় বলেছেন:
সবচে বড় কথা হলো কোন পরিবর্তন নাই। সর্ষের ভেতরে ভুতের রাজবাড়ি তো।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। কেবল খোলসটা বদলায়। ভেতরে একইরকম অনাদিকালের গোঁড়ামি আর অন্ধত্ব।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮

ইখতামিন বলেছেন: জয় হোক ঐশ্বরিক মনুষ্যত্বের।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: একইসাথে জয় হোক সচেতন পাঠকের। ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৭| ২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪

দি ভয়েস বলেছেন: '' নারীকে সম্মান করতে নারীবাদী হবার দরকার নেই, ভিতরে একটু মনুষ্যত্ব থাকলেই চলে । ''

খুব সত্যি কথা বলেছেন ।
সত্যের জয় হোক ।

শুভ কামনা রইলো ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৯

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন। :)

৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার বেশীরভাগ কথার সাথেই আমি একমত। কোন ভাবেই ধর্ষণ সমর্থণ যোগ্য নয় আর এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এটাই চাই। পাশাপাশি এটাও বলবো, নারীদেরকেও জানতে হবে কিভাবে নিজেকে সম্মান করতে হয়। কারণ যেটাই হোক, এক হাতে তালি বাজার ফর্মূলা আমার জানা নেই, যদিও সেটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত ধারণা।

লিখার জন্য ধন্যবাদ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৭

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: কোন মেয়ের অশালীনতাকে সমর্থন করার জন্য আমি এই লেখা লিখি নি। অনেকেই ইদানীং অনেকরকম আপত্তিকর পোশাক পরছেন। আমি সেটা কোনভাবেই সমর্থন করতে পারি না। আমার কাছে সেটা অরুচিকর মনে হয়। কিন্তু আমার আপত্তিটা অন্য জায়গায়।
অনেকে ধর্ষণের অজুহাত হিসেবে মেয়েদের ড্রেসকে দায়ী করতে চান। সেটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এবং এ ধরণের ধারণা দিয়ে মেয়েদের চাইতে বেশি অপমান করা হচ্ছে ছেলেদের। ছেলে মানেই ইচ্ছাশক্তিহীন জন্তু নয়। তারও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আছে। পোশাক বা শারীরিক গঠণ হয়তো একটা ছেলেকে খানিকক্ষণের জন্য উত্তেজিত করতে পারে। কিন্তু উত্তেজিত হলেই সবাই ধর্ষণ করে ফেলে না। তাই, তার নিয়ন্ত্রণহীনতার দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে। যেমন ধরুন, আপনার প্রতিবেশী তাালা না লাগিয়ে চলে গেছে। আপনার সংসারে ভীষণ অনটন। টাকার দরকার। তাই আপনি সেই সুযোগে তার সমস্ত মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চলে এলেন। এই ঘটনায় দোষ কার? শুধুই কি প্রতিবেশীর অসাবধানতা দায়ী নাকি যিনি চুরি করলেন তার সচেতন সিদ্ধান্তটাও দায়ী?
আমরা 'তেঁতুল দেখলেই জিভ দিয়ে লালা ঝরবে' জাতীয় থিওরি দিয়ে আসলে ছেলেদেরই সর্বনাশ করছি। ছেলেরা তখন ভেবে নেয়, মেয়ে দেখলে্ই তাকে ভোগ করতে চাওয়াটা স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। তাই কোন মেয়েকে দেখে মনে বাজে ইচ্ছে জাগলে ওদের মনে আর অপরাধবোধ জাগে না। ভাবে, এটাই পৌরুষের স্বাভাবিক প্রকাশ।
এক হাতে তালি বাজতে কখনো দেখেননি? মাদ্রাসার ছোট ছেলেটা যখন নিপীড়িত হয়, ৪ বছরের মেয়ে যখন ধর্ষিত হয়, তখন সেক্ষেত্রে কয় হাতে তালি বেজেছিল বলে আপনার মনে হয়, ভাইয়া?
আমি একজন মেয়ে। যেদিন আমার গোড়ালি ছুইছুই ঢিলে সালোয়ার কামিজটা পরি, সেদিনও চেনা অচেনা পথচারীরা আমাকে আগাপাশতলা তাকিয়ে দেখেন, যেদিন ফতুয়া জিন্স পরি সেদিনও দেখেন। শীতের সময় চাদর মুড়ি দিয়ে থাকলেও দেখেন। ওই শ্রেণীর ছেলেগুলোর চোখে আমার একটাই পরিচয়-মেয়ে-অতএব, দেখতে হবে। এরা সবাই ওই ধরণের ভুল শিক্ষায় শিক্ষিত। মেয়ে মানেই দেখবার জিনিস- সুযোগ পেলে চাখবার জিনিস। আর ধরা পড়লে অজুহাত হিসেবে পোশাকের উপর দায় চাপানো।
হ্যা, মেয়েদের উচিত নিজেকে সম্মান করা। বিজ্ঞাপণে আমি তাদের অনেক আপত্তিকর অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি দেখি। কিন্তু তারপরো বলব, সেই মেয়েটিকেও যদি কেউ ধর্ষণ করে, তবে সেই মেয়েটির পোশাক এবং আচরণ ধর্ষণের কারণ হতে পারে, অজুহাত নয়।
জবাবটা খুব বেশি লম্বা হয়ে গেল। ধৈর্য্যচ্যুতির কারণ হয়ে থাকলে ক্ষমা চাইছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৪

লেখোয়াড় বলেছেন:
আপনার পোস্টের চেয়ে আপনার এই প্রতি উত্তরটি আমার ভাল লেগেছে। অনেক ভাল লেগেছে, ধন্যবাদ।.........................

লেখক বলেছেন: কোন মেয়ের অশালীনতাকে সমর্থন করার জন্য আমি এই লেখা লিখি নি। অনেকেই ইদানীং অনেকরকম আপত্তিকর পোশাক পরছেন। আমি সেটা কোনভাবেই সমর্থন করতে পারি না। আমার কাছে সেটা অরুচিকর মনে হয়। কিন্তু আমার আপত্তিটা অন্য জায়গায়।
অনেকে ধর্ষণের অজুহাত হিসেবে মেয়েদের ড্রেসকে দায়ী করতে চান। সেটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এবং এ ধরণের ধারণা দিয়ে মেয়েদের চাইতে বেশি অপমান করা হচ্ছে ছেলেদের। ছেলে মানেই ইচ্ছাশক্তিহীন জন্তু নয়। তারও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আছে। পোশাক বা শারীরিক গঠণ হয়তো একটা ছেলেকে খানিকক্ষণের জন্য উত্তেজিত করতে পারে। কিন্তু উত্তেজিত হলেই সবাই ধর্ষণ করে ফেলে না। তাই, তার নিয়ন্ত্রণহীনতার দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে। যেমন ধরুন, আপনার প্রতিবেশী তাালা না লাগিয়ে চলে গেছে। আপনার সংসারে ভীষণ অনটন। টাকার দরকার। তাই আপনি সেই সুযোগে তার সমস্ত মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চলে এলেন। এই ঘটনায় দোষ কার? শুধুই কি প্রতিবেশীর অসাবধানতা দায়ী নাকি যিনি চুরি করলেন তার সচেতন সিদ্ধান্তটাও দায়ী?
আমরা 'তেঁতুল দেখলেই জিভ দিয়ে লালা ঝরবে' জাতীয় থিওরি দিয়ে আসলে ছেলেদেরই সর্বনাশ করছি। ছেলেরা তখন ভেবে নেয়, মেয়ে দেখলে্ই তাকে ভোগ করতে চাওয়াটা স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। তাই কোন মেয়েকে দেখে মনে বাজে ইচ্ছে জাগলে ওদের মনে আর অপরাধবোধ জাগে না। ভাবে, এটাই পৌরুষের স্বাভাবিক প্রকাশ।
এক হাতে তালি বাজতে কখনো দেখেননি? মাদ্রাসার ছোট ছেলেটা যখন নিপীড়িত হয়, ৪ বছরের মেয়ে যখন ধর্ষিত হয়, তখন সেক্ষেত্রে কয় হাতে তালি বেজেছিল বলে আপনার মনে হয়, ভাইয়া?
আমি একজন মেয়ে। যেদিন আমার গোড়ালি ছুইছুই ঢিলে সালোয়ার কামিজটা পরি, সেদিনও চেনা অচেনা পথচারীরা আমাকে আগাপাশতলা তাকিয়ে দেখেন, যেদিন ফতুয়া জিন্স পরি সেদিনও দেখেন। শীতের সময় চাদর মুড়ি দিয়ে থাকলেও দেখেন। ওই শ্রেণীর ছেলেগুলোর চোখে আমার একটাই পরিচয়-মেয়ে-অতএব, দেখতে হবে। এরা সবাই ওই ধরণের ভুল শিক্ষায় শিক্ষিত। মেয়ে মানেই দেখবার জিনিস- সুযোগ পেলে চাখবার জিনিস। আর ধরা পড়লে অজুহাত হিসেবে পোশাকের উপর দায় চাপানো।
হ্যা, মেয়েদের উচিত নিজেকে সম্মান করা। বিজ্ঞাপণে আমি তাদের অনেক আপত্তিকর অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি দেখি। কিন্তু তারপরো বলব, সেই মেয়েটিকেও যদি কেউ ধর্ষণ করে, তবে সেই মেয়েটির পোশাক এবং আচরণ ধর্ষণের কারণ হতে পারে, অজুহাত নয়।
জবাবটা খুব বেশি লম্বা হয়ে গেল। ধৈর্য্যচ্যুতির কারণ হয়ে থাকলে ক্ষমা চাইছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

....................................................................

আপনি ভাল থাকুন।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫০

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: ভাল লাগা জানিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। :) আপনিও ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.