নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ বিশ্বাসী................... স্রোতের বিপরীতে একজন।

সাইদুর রহমান সিদ্দিক

স্রোতের বিপরীতে একজন

সাইদুর রহমান সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পতিতালয়ের পতিতা....... !.!

১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

রাস্তার আশে পাশের অনেক দোকানেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে, অদুরে নিভু নিভু ভাব নিয়ে দু একটা চায়ের দোকানে লোকবল ছাড়াই জ্বলছে ল্যাংটনের বাকিগুলি।
.
জরিনা অদুরেই বৃষ্টির মধ্যে ভিজেই কোন রকম চোখ দুটি বের করে দিয়ে মেইন রাস্তাটির দিকে নজর দিয়েই যাচ্ছে, যদি দু একটা খরিদ্দার পাওয়া যায়,তাহলে বর্ষার দিনে বাসার ছেলে মেয়েরা একটু সুখেই থাকতে পারতো।
.
গত দুদিন ধরে বাসার চুলায় তেমন খাবার জোটেনি, তাই আজ শরীরটা ভাল থাকায় বারের কর্ণারে এসেছে। আর মনে মনে মোটা খরিদ্দারের চিন্তায় মগ্ন হয়ে আছে।
.
বহুদিন আগে জরিনার ছিল একটা মন আর ছিল ভালবাসার মানুষ, কুদ্দুস আর জরিনা সবার মতই স্বপ্ন দেখছিল সুন্দর একটি জীবন সংসার তৈরী করে সারাজীবন বসবাস করবে।
.
জরিনা বাবা মায়ের অটল সম্পত্তি ফেলে রেখে কুদ্দুসের সাথে পালিয়ে শহরে চলে এলো, দাম্পত্যজীবন বেশ কয়েকদিন ভালোই চলছিল, কিন্তুু সর্বগ্রাস হওয়ার একটাই কারন।
.
তা হলো কুদ্দুস নেশাখোরে আসক্ত.......!
.
দিন যতোই যেতে লাগলো, ততই সংসারে অশান্তি চলে আসলো......ইতিমধ্যেই তাদের সংসারে একটা ছেলে সন্তানের দেখা মিলে গেল। অভাব যেন আরও কাছে চলে আসলো। এক সময় রহিমা সংসারের টানে অন্যের বাসায় গৃহকর্মনিপুণা হয়ে কাজ করতে লাগলো।
.
কথায় আছে যার ঘরে অশান্তি, তার সব জায়গায় অশান্তি।
.
বাড়ীর কর্তা রহিমার উপর নজর দিয়ে কৌশলেই একদিন জরিনার সব কিছু গ্রাস করে নিয়ে নিল, এদিকে জরিনার স্বামী অন্য জায়গায় পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে জরিনা আর ছেলেকে ফেলে রেখে দুর দেশেই পারি জমিয়ে নিল।
.
জরিনা সব দিকে অন্ধকার দেখতে লাগলো, মরন ছাড়া জরিনা কোন কিছুই ভাবতে পারছিল না। এদিকে অবৈধ্যের ফসল আবার পেটে এসে গেছে।
.
এক সময় গলায় রশি দিতেই বাধ্য হয়ে গেল, রাতের আধারে চুপ করে জরিনা গলায় রশি দিয়ে বিছানার নিচে তার ছেলের দিকে তাকিয়ে দু চোখ দিয়ে পানি ঝড়াতে শুরু করে দিল।
.
অবশেষে আর আত্নহত্যা করতে পারলো না, ছেলের দিকে তাকিয়ে ফিরে চলে আসলো, আর নিজেকে ধিক্কার দেওয়া শুরু করে দিল.....!!
.
আজ জরিনা সস্তা একটা পন্য সবার কাছে, পন্য হিসেবে এলাকায় পরিচিতও বেশ,হতভাগীকে সবাই ভোগ করে জিম্মি করে দিয়ে দিল, পেলেও আবার একটা তেমন স্বামী , দুদিন পরে সেটিও একটি পতিতালয়ে জরিনাকে বিক্রি করে দিল, আর হয়ে গেল জরিনা অন্ধ ঘরের বাসিন্দা।
.
এখন জরিনার আর আগের মত রুপ এবং যৌবন নেই বললেই চলে, শহরের সবাই এক নামেই জরিনাকে চিনে ফেলে, আর সবার কাছে জরিনা পতিতা রুপেই পরিচিত।
.
এখন আর আগের মত রাস্তায় চলাফেরা করতে কোনরকম লজ্জা লাগে না, আর লাগবে আবার কোন কারনে..........জরিনা মানুষদের দিকে কোন প্রকার তাকিয়ে থাকে না।
.
সেই কারনে জরিনার মনও বলে না, আমি কোন প্রকার ভালো মানুষের মাঝে নেই,সবাই আমার মত নষ্টা।
.
আজ প্রথম স্বামীর ভালবাসার কথা মনে পড়ে না। পড়ে না সেই বাসর রাতে ঠোঠে লাল লিপিস্টিকের রং কেমন ছিল,মনে পড়ে না সেই চুলের বেণীর দৃশ্য,ঘ্রাণটাও আজ আগের মত নেই।
.
আজ যা করতেছে সব কিছুই ছেলে মেয়েদের জন্যই করতেছে...........
.
কিন্তুু জরিনার মনে কখন থেকে আজ পর্যন্ত একটাই প্রশ্ন সেটি হলো............
.
সমাজ এবং সমাজের লোকেরাই আমার এমন পরিনতি করে রেখেছে, সমাজ আমাকে ভাল হতে দেয়নি...............

#নষ্ট

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.