নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ বিশ্বাসী................... স্রোতের বিপরীতে একজন।

সাইদুর রহমান সিদ্দিক

স্রোতের বিপরীতে একজন

সাইদুর রহমান সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগে মনুষ্যত্বের জ্ঞান অর্জন করতে হব,তার পর সামাজ

৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

সমাজের চাবিকাঠি আর চালন ক্ষমতা সব কিছুই  মানুষের নিখুঁত হাতের তুলির স্পর্শে গঠিত হয়, যেখানে ভালো শিল্পী দ্বারা আঁকানো হয়, সেই সমাজ হয় অধিক উন্নত। আর যে সমাজে মনুষ্যত্বহীন বিবেক দ্বারা শাসিত হয়,  সেই সমাজ থেকে শুরু করে ব্যক্তিবর্গ পর্যন্ত হয় বি-পথ গামী।
.
একজন ভালো শিল্পী যেমন তার তুলির পরশে অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি আকিয়ে বিলবোর্ড বা কোন অডিটোরিয়ামএ প্রকাশ করিয়ে স্বুনাম অর্জন করে।
.
ঠিক তেমনি ভাবেই আর একজন শিল্পী কুৎসিত ছবি প্রকাশ করে অন্যের কাছে বদনাম অথবা ঘৃর্ণিত চরিত্র নিয়ে আসে।
.
উপরক্ত উদাহরণের দোষ গুণ ভাল মন্দ দিকগুলি কিন্তুু মানুষেই পর্যবেক্ষক করে কাউকে করেছে জ্ঞানী আবার কাউকে করেছে ঘৃর্ণা।
সেইগুলি করেছে অন্য কিছুর জন্য না, করেছে সমাজের জন্য। কারন সমাজকে ভালভাবে বাচিয়ে রাখার জন্য আমাদের দরকার চারপাশের সব ভালগুলি।
.
ভাল মন্দ কিন্তুু মানুষের মাঝেই বিরজমান এবং বোঝার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞাময়, কোন গবাদিপশু বা উভয়চর প্রাণীরা কিন্তুু সমাজে বসবাস করে একটু পেট পুড়িয়ে খেতে, আর একটু অন্যের সাথে যুদ্ধ করে নিজেকে আর কিছুদিন বাচিয়ে রাখতে, আর তারা এ জন্যই এমন করে,  কারন সমাজ সংস্কর বা সমাজের তারতম্য অথবা বোধগম্য সমন্ধে কোন ধরনা রাখতে পারে না।
.
পশু-পাভিদের নেই কোন ডাক্তার,মাষ্টার, পাইলট হওয়ার চিন্তা আর নেই কোন দিক দিয়ে নিজেকে উন্নত করার চিন্তা, তাদের শুধু একটাই চিন্তা.........শিকার সংগ্রহ করা আর শত্রুকে মোকাবেলা করিয়ে নিজেকে রক্ষা করা।
!
মানুষ কিন্তুু ভিন্ন ধরনের হয়, মানুষকে করতে হয় কাজ, পরিবারকে পরিচালনা করার জন্য করতে হয় কাজ, সমাজের ভাল সমাজ তৈরী করার জন্য করতে হয় নানা ধরনের আসবাবপত্র।
আবার বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলাও করতে হয়।
.
এই সকল লাভ বা লোকশানের মূল্যায়ন বুঝে শুধু বোঝে মানুষ................কিন্তুু........
.
মানুষ আবার বড় আজব ধরনের প্রাণী,আজকে মানুষের কারনেই ধংস্ব হয় একটা সমাজ একটা গোত্র একটা জাতী, মানুষের মাঝে যদি কখনও দন্ডপ্রাপ্ত কোন আভাষ থাকে, তাহলে সব দিক দিয়ে হয়ে যায় হিংস্র। করে ফেলে সমাজকে লন্ড-ভন্ড।
.
এরুপ হওয়ার পিছনে শুধুমাত্র মানুষেরেই হাত, মানুষের হাত দিয়ে দিয়ে তৈরী হয় সমাজের অধপতন।
.
কেউ আদিপত্য বিস্তার লাভ করার জন্য, কেউ বা নিজের সার্থ হাসিল করার জন্য, আবার কেউ নেশায় মগ্ন হয়েই এসব করে ফেলে।
.
এইগুলির মুল কারন হলো "লালসা" লোভ সব জীবজন্তুুর মাঝেই আছে, আছে ভালবাসা এবং আছে হিংস্রভাব। কিন্তুু মানুষ সমপুর্ণ অন্য ধরনের, লোভ লালসা সব সময়েই মানুষের মাঝে বিরাজ করে।
.
আজ সমাজ থেকে শুরু করে রাষ্ট্র ব্যক্তি পর্যন্ত সেই নেশায় মগ্ন হয়ে দুমড়িয়ে মুচরিয়ে সমাজকে নিজের থেকে ছিন্ন করে দিচ্ছি। ছিন্ন করতেছি নিজের শরীরের লুকায়িত মনুষ্যজগতকে।
.
আমরা প্রায় প্রত্যেক লোকেই চাই সমাজকে উন্নত করতে, কিন্তুু ভিতরে যদি আমরা লোভ লালসা তৈরী করে অন্যের কাছে প্রচার করি, তাহলে সমাজ উন্নায়ন তো দুরের কথা, ধংস্ব হবে সব কিছুই।
.
সব চেয়ে মজার ব্যাপার হলো---- আজ মানুষের মনুষ্যত্বের কাছে সমাজ জিম্মি হিসেবে রয়েছে, আর এভাবেই চলবে পৃথিবী ধংস্ব হওয়ার আগ পর্যন্ত।
আমরা যকই সমাজবিদ্যা রাষ্ট্রবিদ্যা নিয়ে গবেষনা করে সমাজকে উন্নত কররা চেষ্টা করি না কেন, সমাজ বা রাষ্ট্র কখনই উন্নত করতে পারব না।
.
এর জন্য চাই প্রত্যেক মানুষকে মনুষ্যত্ববিদ্যা, সেটা আমাদের সমাজের ছোট-বড় সবাইকে চর্চা করতে হবে, তাহলেই অন্ধকার থেকে আলোর দিকে অগ্রস্বর হতে পারে হাওয়া নামের সমাজ।
.
-সাইদুর রহমান সিদ্দিক

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.