নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাচ্ছেতাই

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধে আমাদের করণীয় -ছোট মুখে কিছু বড় কথা বলা।

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩



যুগ যুগ ধরে চলা এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধে একজন মানুষ হিসেবে কি আমাদের কিছু করণীয় নেই? আমরাও লক্ষ লক্ষ স্বজাতির মৃত্যুর ইতিহাস বহন করছি। তখন বিশ্বের নানা প্রান্তে অন্য দেশের মানুষেরা আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশে বসবাস করে আমাদের উচিৎ বিশ্বে যারা নির্যাতিত হচ্ছে তাদের জন্য চোখের পানি ফেলা।

যুগ যুগ ধরে এই একটি অঞ্চলে নারী শিশু বৃদ্ধ আবাল বনিতা নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিচ্ছে স্বাধীনতার জন্য, নিজ ভূমির জন্য। যা আমরা করেছিলাম ৭১ এ।

আসুন কিছু একটা করি।

বিভিন্ন রাষ্ট্রে কিছু ইসলাম নামধারী সংগঠন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে অস্ত্র কিনে যুদ্ধ করছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। তাদের উচিৎ এই সব অর্থ সত্যিকার অর্থে মুসলিমদের কাজে লাগে এমন কিছু করা

কিন্তু ব্যক্তিগত পর্যায়ে আসলে আমাদের কিছুই করণীয় নেই। তবু সামান্য কিছু যা করনীয় আছে তা করতে চেষ্টা করা উচিৎ।

১) ওআইসি ভেঙ্গে নতুন শক্তিশালী ইসলামিক নেশনস অর্গানাইজেশন সৃষ্টি করার জন্য মুসলিম সরকার দেরকে বাধ্য করার জন্য মুসলিম নাগরিকদের চেষ্টা করা। এই লক্ষ্যে একটা প্লাটফরম প্রস্তুত করা প্রয়োজন। এই প্লাটফরম অস্ত্র ছাড়া অন্য পদ্ধতীতে যেমন, আলোচনা, সোস্যাল সাইটের মাধ্যমে প্রচারনা ইত্যাদি এর মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা।

২) জাতিসংঘে ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করার জন্য সরকারদেরকে চাপ প্রয়োগ করা।

৩) গণহারে অমুক পণ্য তমুক পণ্য ইত্যাদি ইসরায়েলী পণ্য বলে তাদেরকে পরিহার করার কথা না বলে কোন পণ্যে ইসরাইলী শেয়ার কতটুকু তা নির্ধারণ করা এবং সেগুলো থেকে ইসরায়েলী শেয়ার বাদ দেয়ার জন্য কোম্পানী গুলোকে বাধ্য করার চেষ্টা করা। সম্ভব না হলে বিকল্প পণ্য প্রস্তুত করে অলাভজনক ভাবে বাজারে ছাড়া উচিৎ।

যেমন ধরুন কোকাকোলা কোম্পানীর কথা। বলা হয়ে থাকে যে এই কোম্পানীর লাভের টাকা থেকে ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র বা বুলেট কেনা হয়। কিন্তু আসলে সেটা কতটুকু সত্য?

ইসরায়েল রাষ্ট্র সৃষ্টির শুরুর দিকে কোকাকোলা কোম্পানী তাদেরকে সহযোগিতা করছে বলে প্রথমে আরবে কোকাকোলা কোম্পানী পরিহার করা শুরু হয়েছিল । তখনকার ঘটনা সত্য হতে পারে। কিন্তু এখন জানতে হবে যে কোকাকোলা কোম্পানীর বর্তমান মালিকগণ কে? মার্কেটে প্রচুর শেয়ার আছে কোকাকোলা কোম্পানীর এবং সাধারণ ব্যবসায়ীরা সেই শেয়ার কিনে সেই অংশের মালিক হতে পারছে। এমনকি একজন মুসলমানও পারছে মালিক হতে। উইকিপিডিয়া দেখাচ্ছে যে কোকাকোলা কোম্পানীর কি পিপল (চেয়ারম্যান এবং সিইও) হচ্ছে আহমেত মুহতার কান্ট (Ahmet Muhtar Kent) যিনি একজন তার্কিশ মুসলমান। ,এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও একজন তার্কিশ।কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে বাকী মালিকগণ মুসলমান । আবার এও সত্য নয় যে এসব মুসলমানগণ সব ইসলামের পথে টাকা ঢালছেন। এবং এও সত্য প্রমানিত হচ্ছে না যে কোকাকোলার লাভের টাকা ইসরায়েলে যাচ্ছে । এখন আসলেই কোম্পানী গুলোর টাকা সেখানে যাচ্ছে কি- না তা যাচাই বাছাই ছাড়া শুধু অতীতের মালিকদের কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে গণহারে অপবাদ দেয়া যায় না। এখন যদি সত্যি সত্যি তাদের লাভের টাকা ইসরায়েলে যেয়ে থাকে তাহলে সঠিক প্রমাণ সহ ইসলামী দেশগুলোর সরকারকে অবহিত করা উচিৎ। বছর বছর ধরে এসব পণ্য পরিহারের কথা বললেও যেহেতু জনসাধারণ অল্টারনেট কোয়ালিটিফুল পণ্য পাচ্ছে না তাই তাদেরকে এসব পণ্যও ব্যবহার থেকে বিরত করা যাচ্ছে না। সঠিক প্রমানাদি সহ সরকারী জ্ঞাত করাতে না পারলে অন্য পথ ধরুন। শুধু মুসলামানদের উন্নয়নের জন্য ফান্ড তৈরি করার জন্য অল্টারনেট পণ্য উৎপন্ন করুন।

৪) যে সকল মুসলিম রাষ্ট্র ইসরায়েলের সাথে সামান্য সংযোগ রক্ষা করছে তাদের উচিৎ সেই সম্পর্কটাকে শেষ করে দেয়ার চেষ্টা করা। যেমন বাহরাইন, মরোক্কো এবং ওমান। তারা ইসরায়েলের সাথে এখনও ব্যবসায়িক এবং টুরিজ্যম সংক্রান্ত সম্পর্ক বজায় রাখছে।তাদেরকে বলুন তারা যেন ইসরায়েলের সাথে সকল সম্পর্ক বন্ধ করে।

৪) যেসকল রাষ্ট্র ইসরায়েলের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করছে এবং সেই সাথে ইসলামী রাষ্ট্রগুলোর সাথেও সুসম্পর্ক রক্ষা করছে তাদেরকে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েলী আগ্রাসন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করা। যেমন- ভারত. যে কি-না এশিয়ায় ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বন্ধু। হয়তো সব মুসলিম দেশ ভারতের বড় অর্থনৈতিক বাজারকে ইগনোর করতে পারবে না কিন্তু কূটনৈতিক কৌশল অবলম্বন করে ভারতকে রাজী করানো যেতে পারে ইসরায়েলকে গণহত্যা বন্ধে চাপ দিতে।

৫) যে সকল অমুসলিম রাষ্ট্র ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক রাখছে না তাদের সাথে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সংযোগ বাড়ানো উচিৎ । যেমন- বলিভিয়া, কিউবা, নিকারাগুয়া, ভেনিজুয়েলা ইত্যাদি।

## মুসলিক সংগঠনগুলো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ফালতু কাজে খরছ না করে যদি পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতো তাহলে ইসরায়েলের গণহত্যা অনেক কমানো যেত। আর যদি মুসলমানরা সব একতাবদ্ধ থাকতে পারতো তাহলে তো ইসরায়েলের কখনোও সাহসই হতো না মুসলমানদের উপর গুলি ছোড়ার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.