নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাচ্ছেতাই

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাজা হত্যাকান্ড ২০১৪ এবং অপপ্রচারের জবাব . পর্ব-১

২৭ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১

আজ ২৭/০৭/২০১৪

ইতোমধ্যে প্রায় হাজারখানেক ফিলিস্তিনী গাজাবাসীর রক্তে ইসরায়েল তার হাত রঞ্জিত করলো।

অনেকে বলে যে ইসরায়েলের তিন কিশোরকে হত্যার কারণে এই সংঘাতের শুরু। আসলে তা ভূল।

ফিলিস্তিন সমস্যার শুরু থেকে লিখে শেষ করা যাবে না। তাই ২০১৪ এর ইসরায়েলী হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর অবতারণা করার চেষ্টা করলাম।



১৫ মে- Nakba Day- Yawm an-Nakba- Day of the Catastrophe- দূর্যোগের দিন



এই দিনটা হচ্ছে ইসরায়েলের স্বাধীনতা দিবস। আর এই দিবসটাকে আরবরা তথা ফিলিস্তিনীরা দুর্যোগের দিন বা Yawm an-Nakba হিসেবে পালন করে থাকে। ১৯৪৮ সন থেকে ইসরায়েল স্বাধীনতা ঘোষনা করে। ১৯৪৭ সনে শুরু হওয়া ফিলিস্তিন যুদ্ধ যা ১৯৪৮ সনে আরব ইসরায়েল যুদ্ধের মাধ্যমে শেষ হয় সেই যুদ্ধে তৎকালীন প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ ফিলিস্তিনী হয় পালিয়ে যায় বা ঘরছাড়া হয় এবং উদ্বাস্তুর জীবন বেছে নিতে বাধ্য হয়। বর্তমানে জর্ডানে ২০ লক্ষাধিক লেবাননে সাড়ে চার লক্ষ, সিরিয়াতে প্রায পাঁচ লক্ষ পশ্চিম তীরে প্রায় আট লক্ষ এবং গাজায় এগারো লক্ষাধিক সবচেয়ে দুর্ভাগা জাতি ফিলিস্তিনীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।





১৯৪৮ সনের ফিলিস্তিনী উদ্বাস্তু।



স্বাভাবিক ভাবেই ফিলিস্তিনীরা এই দিবসটা ঘৃণা করবে। আমরা হলেও তাই করতাম। েপ্রতিবছর ফিলিস্তিনীরা িএই দিবসে মিছিল করে স্লোগান দেয়, ইত্যাদি।



২০১৪ সালের ১৫ই জুন[



ইসরায়েল কর্তৃক দখলকৃত বেইতুনিয়ায় ১৬/১৭ বছরের দুইজন ফিলিস্তিনী নাদিম নুয়ারা এবং মুহাম্মদ আবু আল তাহির কে হত্যা করে।





নাদিম নুয়ারা এবং মুহাম্মদ আবু আল তাহিরের লাশ নিয়ে হাজারো মানুষের মিছিল





এটা হলো প্রাথম ঘটনা, কিন্তু বাস্তবে এটাই মূল ঘটনা নয়।

ইসরায়েলের কারাগারে প্রায দুইশত শিশু আর শতাধিক মহিলা সহ প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ফিলিস্তিনী বন্দী অবস্থায় দিনাতিপাত করছে।

বছর বছর হাজারো ফিলিস্তিনী জীবন দিচ্ছে।

এই সকল শহীদদের আত্মীয়রা প্রতিশোধের জন্য বা যারা জেলে আছে তাদের আত্মীয়রা বন্দী আত্মীয়দের মুক্তির জন্য কিডন্যাপ এর মতো

অন্যায়গুলো অবলম্বন করে এবং হোষ্টেজের বিনিময়ে বন্দীদের ছেড়ে দিতে দাবী করে।



অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজায় ফিলিস্তিনীদের উঠিয়ে দিয়ে নতুন নতুন ইয়াহুদী বসতি স্থাপন করা হয়।ইহুদী বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনীদের উপর নিয়মিত অত্যাচার করে। ফলে ইয়াহুদীদের সাথে স্থানীয় আরব মুসলিমদের সাথে ভূমি হারানোর কারণে হিংসা দিন দিন বাড়তে থাকে।



ফিলিস্তিনের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন

ফিলিস্তিনের বাইরের বিশ্বের মানুষজন আমরা ফিলিস্তিনের শুধুমাত্র দুইটা সংগঠনের নাম শুনি। হামাস এবং ফাত্তাহ

ফাত্তাহকে ইসরায়েলীরা হুমকি হিসেবে মনে করে না। তবে হামাস কখনোই ইসরায়েল রাষ্ট্র কে স্বিকৃতী দেয় না। এবং

স্বসস্ত্র সংগ্রামকে মুক্তির পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে। আর ফাত্তাহ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কায়েমের স্বার্থে ইসরায়েল রাষ্ট্রকে মেনে নিতে রাজী আছে।

এখানেই হামাস এবং ফাত্তাহ এর মূল বিরোধ।

ফিলিস্তিনী জনগন নির্বাচনে ফাত্তাহ কে সমর্থন দিলেও তারা েএখন হামাসকে চাচ্ছে। গত নির্বাচনে তারা হামাসকে জয়ী করে।

এর ফলে এই বছরের শেষের দিকে হামাস এবং ফাত্তাহ এর মিলিত সরকার ক্ষমতায় আসার সুযোগ তৈরি হয়। দু পক্ষই এই বিষয়ে সম্মত হয়।

কিন্তু এই বিষয়টা ছিল ইসরায়েলের মূল মাথা ব্যাথার কারণ । তারা চায়না কট্টর ইসরায়েল বিরোধী হামাস রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে

ঠাই করে নিক।

তাই যে কোন উছিলায় হামাস কে দমন করার দরকার ছিল।

কিন্তু সেখানে হামাস এবং ফাত্তাহ ছাড়া আরো কিছু চরমপন্থি গ্রুপ আছে যারা স্বসস্ত্র সংগ্রামে বিশ্বাসী।

তারা মাঝে মাঝে কিডন্যাপের মাধ্যমে হোস্টেজ তৈরি করে েইসরায়েল থেকে তাদের বন্দীদের মুক্তি করার চেষ্টা করে থাকে।



তিন ইসরায়েলী ছাত্র অপহরণ



১৫ই জুন এ দুই ফিলিস্তিনী যুবকের মৃত্যুর বদলা হোক বা হোষ্টেজ তৈরির জন্য হোক তিন জন ইসরায়েলী কে অপহরণ করা হয় । বেশীর ভাগ ফিলিস্তিনী বলে এবং বিশ্বাস করে যে এটা ১৫ই জুনের হত্যার বদলা । কে করেছে সেটা বললাম না। কারণ এই অপহরণ কে করেছে তা এখনোও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইসরায়েলী পুলিশও বলেছে এর সাথে হামাস জড়িত নয়। হামাস ও বলেছে এই অপহরণের সাথে তারা জড়িত নয়। ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও এর সাথে হামাস এর জড়িত থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দেয়। অপহরণকৃত তিন জন হলো Eyal Yifrach, 19, Naftali Fraenkel, 16, and Gil-ad Shaar 16.





অপহরণকৃত তিন ইসরায়েলী



আর এতেই শুরু হলো ইসরায়েলের হামাস ধংস্ব করার নীল নকশার বাস্তবায়ন। প্রথমে ওই তিনজন কে খুজতে ইসরায়েলী বাহিনী তাদের সার্চ কার্যক্রম শুরু করতে যেয়ে শত শত হামাসের কর্মীকে আটক করে এবং পাঁচজন ফিলিস্তিনীবাসীকে (Mohammed Dodeen (15, of Dura), Ahmad Sabarin (20–21, from Jalazone refugee camp), Mustafa Aslan (22, from Qalandiya refugee camp), Mahmoud Atallah (Ramallah), Ahmad Khalid (36, fromEin Beit al-Ma' refugee camp).) মেরে ফেলে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:১৩

বিজন শররমা বলেছেন: কিছু সত্যের মাঝে মিথ্থ্যা মিশিয়ে প্রচার করা একধরনের স্টাইল । যেমন - " ১৫ই জুন এ দুই ফিলিস্তিনী যুবকের মৃত্যুর বদলা হোক বা হোষ্টেজ তৈরির জন্য হোক তিন জন ইসরায়েলী কে অপহরণ করা হয় । বেশীর ভাগ ফিলিস্তিনী বলে এবং বিশ্বাস করে যে এটা ১৫ই জুনের হত্যার বদলা । কে করেছে সেটা বললাম না। কারণ এই অপহরণ কে করেছে তা এখনোও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। "ইসরায়েলী পুলিশও বলেছে এর সাথে হামাস জড়িত নয়"।- (এটি একেবারে মিথ্যা কথা ।) হামাস ও বলেছে এই অপহরণের সাথে তারা জড়িত নয়। (সেটা বলাই তো স্বাভাবিক) ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও এর সাথে হামাস এর জড়িত থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দেয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.