নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাচ্ছেতাই

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইন্টারেষ্টিং - পেলে

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮

ইন্টারেষ্টিং



ক) আবিষ্কারক থমাস এডিসনের নামের সাথে মিল রেখে বাবা মা আদরের ছেলের নাম রেখেছিলেন আরান্তেস দো নাসিমান্তো, আর ডাক নাম ডিকো। বাবা ডনডিনহো ছিলেন একজন ফুটবলার, খেলতেন ব্রাজিলের ভাস্কে দা সাও লরেন্স(Vasco de Sao Lourenco) দলে। সেই দলের একজন গোলকিপারের ডাক নাম ছিল বিলে ("Bilé")।



বিলে স্বমন্ধে আগে কয়েকটা কথা বলি। বিলে ছোটবেলা দুই বছর অব্দি কোন কথা বলছিল না বলে তার কুসংস্কারছন্ন বিধবা মা যাদুকরদের দিয়ে পূর্ণ চাদনী রাতে যাদু টোনা করে। যাদুকরদের মন্ত্র ছিলো ”বিলি বিলু তেতেলা “ জাতীয় কিছু অর্থহীন বাক্য । সপ্তাহখানেক পর ছেলেটা হঠাৎ “বিলে” বলে চিৎকার করে উঠে এবং এরপর থেকে তার ডাক নাম হয়ে যায় বিলে।



একদিনি ডনডিনহো তার ৩/৪ বছর বয়সী ছেলে ডিকো কে নিয়ে যায় ভাস্কো ডা সাও লরেন্সের খেলার মাঠে খেলোয়াড়দের একটা ট্রেনিং সেশনে। ডিকো সারা মাঠ জুড়ে খেলাধুলা করতে থাকে আর গোলকিপিংও করতে থাকে। যখন সে গোল সেভ করছিল তখন খেলোয়াড়রা "Good one, Bilé!" বা "Great save, Bilé!" ইত্যাদি বলে তাকে উৎসাহ দেয়।



স্কুলে এসে ডিকো তার বন্ধুদের বলছিল যে সে যখন বড় হবে তখন সে পিলের মতো গোলকিপার হবে। আসলে সে বলতে চেয়েছিল বিলের মতো গোলকিপার হবে। কিন্তু ছোটকালে ঠিকভাবে উচ্চারণ করতে না পারায় বলছিলো ”পিলের মতো”।, কয়দিন বলতে বলতে পিলে শব্দটা হয়ে যায় পেলে। একদিন ক্লাসের কেউ একজন ডিকোকে পেলে বলে খেপিয়ে ডিকোর কাছ থেকে একটা ঘুষি খেয়ে বসে। আর ডিকো হয় দুই দিনের জন্য সাসপেন্ড । অন্য পোলাপাইনরা মজা পেয়ে গেলো। তারা বেশী বেশী করে ডিকোকে পেলে বলে খেপানো শুরু করে। এই পেলে নামটাই একসময় তার ডাক নাম হয়ে যায়। এখন সারা বিশ্বের মানুষ কালোমানিককে পেলে নামেই চিনে।



খ) পেলে ব্রাজিলের সান্তোষ দলে খেলতেন । ১৯৭৪ সনে চৌত্রিশ বছর বয়সে পেলে সিদ্ধান্ত নিলেন খেলা ছেড়ে দেয়ার। ছেড়েও দিলেন, কিন্তু জমানো টাকার ভুল বিনিয়োগের কারণে খুব দ্রুতই আর্থিক কষ্টের মধ্যে পড়লে পরের বছরই আমেরিকার নর্থ আমেরিকান সকার লীগের নিউইয়র্ক কসমস দলের অফারে সাড়া দিয়ে তাতে যোগ দেন। .. .. .. .. ১লা অক্টোবর 1977 এ জায়ান্টস স্টেডিয়ামে পেলে তার সর্বশেষ ম্যাচটা খেলেন। মজার বিষয়টা হচ্ছে এই ম্যাচটা হয় তার পূর্বের দল সান্তোষ এবং বর্তমান দল কসমসের মধ্যে । আর পেলে খেলেন দুই দলেই, প্রথমার্ধ কসমসের হয়ে আর দ্বিতীয়ার্ধ সান্তোষের হয়ে।



গ) পেলের বাবা ডনডিনহো একজন ফুটবলার ছিলেন যিনি এক ম্যাচে পাঁচবার হেড দিয়ে গোল দিয়েছিলেন। কিন্তু পেলে সেই রেকর্ড ভাঙ্গতে পারেনি। পেলে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ চারবার হেড দিয়ে গোল করেছিলেন।



ঘ) হাঁটুর ইনজুরীর কারণে পেলের বাবার ফুটবল ক্যারিয়ার ধংস্ব হয়ে গেলে পেলে স্থানীয় রেলষ্টেশনে জুতা পালিশ করে পরিবারকে আর্থিক ভাবে সহায়তা করতো।



ঙ) ১৯৬৭ সন। তখন নাইজেরিয়ায় যুদ্ধ চলছিল ফেডারেল বাহিনী এবং বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে। এই সময়ে পেলে যুদ্ধবিদ্ধস্থ নাইজেরিয়া ভ্রমণ করলে পেলের খেলা দেখার জন্য ফেডারেল বাহিনী এবং বিদ্রোহী বাহিনী ৪৮ ঘন্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষনা করে।



চ) ১৯৬১ সনে ব্রাজিল সরকার পেলেকে সরকারী জাতীয় সম্পদ হিসেবে ঘোষনা দেয় যেন পেলেকে অন্য কোন দেশ নিয়ে যেতে না পারে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অনেক অজানা তথ্য জানলাম , উনি হেডে দুর্দান্ত ছিলেন আর তখন তো অফসাইড ছিলনা !

২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫৬

লেখোয়াড় বলেছেন:
কিছু জানতাম, আরো কিছু জানলাম।

ধন্যবাদ।

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২৫

সিদ্দিকী শিপলু বলেছেন: লেখোয়াড়কেও ধন্যবাদ।

৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পেলের সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে ভালো লাগলো।

ধন্যবাদ, লেখক।

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২৬

সিদ্দিকী শিপলু বলেছেন: ওয়েলকাম আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম।

৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন:
ছদ্ম নামে নয় যারা
পোষ্টে আপনার নাম এ্যাড করা হয়েছে, আপনার কোন অপত্তি আছে কি?

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: thank u

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.