নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাচ্ছেতাই

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটা পোষ্টার ও বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪

আমার এক বন্ধু ফেসবুকে তার ওয়ালে একটা পোষ্টার ছেপেছে।



যাতে বলা আছে যে “ হিন্দু মুক্ত বাংলাদেশ করেই ছাড়বো। ”

এমন ভাবে লিখা যে এটা কোন মুসলিম সংগঠনের ছাপানো। কিন্তু পোষ্টার টা দেখেই আমার সন্দেহ হলো।

পোষ্টারটাতে মোট ৪ টা ছবি। এর কয়েকটা আমি আগেই দেখেছিলাম। গত বছর রাজনৈতিরক গোলযোগের সময়ে একটা বাচ্চা শিশুর কাটা দেহ সহ ছবিটা নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম। এই ছবিটা বাংলাদেশের না । সাম্প্রদায়িক গ্যাঞ্জাম লাগানোর জন্য যে কেউ এই কাজ করছে তা স্পষ্ট বুঝা যায়। এবার দেখি এক কা সরেস।

যাই হোক আমার সন্দেহ হওয়াতে ছবি গুলো নেটে খোজা শুরু করলাম।

সবগুলো ছবিই খুজে পেলাম। বুঝলাম এসব বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়।



প্রমান :- প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটা মসজিদে কয়েকজন মুসলিম মিলে ভিমল পটক নামে একজন বাঙ্গালী হিন্দুকে মারছে।

কিন্তু আসল ঘটনা হলো- ছবি টা ভারতের মেওয়াত গ্রামের।
সেখানে এক মুসলিম মেয়ে এবং এক হিন্দু ছেলের প্রেমের পর পালিয়ে গেলে

হিন্দু পরিবারটি দুইজনকেই পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে মুসলিম প্রধান ওই গ্রামের পঞ্চায়েত বসে এবং ছেলেটিকে মেরে ৫ বছরের জন্য গ্রাম থেকে

বহিষ্কার করে। লিংক-



যাই হোক, ভারতের মুসলিম জনগোষ্ঠী কি করলো তা নিয়ে আমার মাথাব্যাথা নেই। কিন্তু বাংলাদেশ কে নিয়ে বাজে প্রচারতো আমার পছন্দ না।



২য় ছবি- পিছনে বাড়ি ঘরে আগুন জ্বলছে এবং সামনে একজন লোক তার সন্তানকে কোলে নিয়ে কাঁদছে। এই ছবিটা আসামের বাঙ্গালী আর অবাঙ্গালীদের সংঘাতের ছবি। এটা বাংলাদেশের কোন ছবি না। এই নিয়ে ভারতের সাফ কথা পত্রিকার রিপোর্টটা দেখুন -



আসামের অবাঙ্গালীদের দ্বারা বাঙ্গালীদের উপর অত্যাচার এর ছবি বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের ছবি বলে চালিয়ে দেয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র।



৩য় ছবিটা বাংলাদেশের , এটা বাস্তবেই হিন্দু পরিবারগুলোর বাড়ি ঘর ধ্বংসের ছবি।

বরিশাল শহর কীর্তনখোলা নদীর পশ্চিম তীরে, পূর্ব তীরে সদর উপজেলার কাউয়ার চর ইউনিয়নের কালিখোলা গ্রাম। সেই কাউয়ার চরে গত সন্ধ্যায় ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে কিশোরদের ঝগড়া, পরে সংঘর্ষে এক মুসলমান কিশোরের মৃত্যু হয়। আহত বেশ কয়েকজন, যাদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের কিশোররা রয়েছে। খেলা নিয়ে কিশোরদের ঝগড়ায় মৃত্যু, ওই পর্যন্তই রাতের মানসিকতা। কিন্তু পরদিন সকালে গুজব ছড়িয়ে পরে, নিহত ওই কিশোরের গুরুতর আহত ছোট ভাইকে ঢাকা নেয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে। তারপরই জ্বলে ওঠে আগুন। শত শত মুসলমান হাতের কাছে যা কিছু পাওয়া গেছে তা নিয়ে ছুটে আসে হিন্দু পাড়ায়, সাম্প্রদায়িক আক্রোশে ঝাঁপিয়ে পড়ে হিংস্র তান্ডবে। প্রথমে লুটপাটের পর আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় পন্ডিত বাড়িতে, নয়টা ঘর আগুনে পুরে মুহুর্তের মধ্যে ছাই। ভস্মিভূত একটি মন্দির। তারপরই তান্ডব ও অগ্নিসংযোগ ধোপা বাড়িতে। পুড়ে ছাই তিনটি ঘর, একটি মন্দির ভাংচুর। মাঝখানে আরও চারটি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট। গোটা পাড়ায় ৫২টি হিন্দু পরিবার। প্রায় সব পরিবারেই হামলার আঁচ লেগেছে। লিংক-



কিন্তু এটা প্রথমদিকে মোটেও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছিল না। পরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় পরিণত হয়। এই ধরনের ঘটনা আসলেই আমাদের মাথা নত করে দেয়।



৪র্থ ছবিটা মায়ানমারের (বার্মার) মুসলিম বৌদ্ধ সংঘাতের ছবি।

মুসলিম বিদ্বেষী েএকটা বার্মিজ পত্রিকা মতে এটা রেহিঙ্গা দের দ্বারা সংগঠিত হত্যাকান্ড , লিংক-

আর মুসলিম পত্রিকার মতে এটা বার্মিজ বৌদ্ধদের দ্বার সংগঠিত মুসলিম নিধনের চিত্র। লিংক-

সবার আগে ২০১২ সনের ডিসেম্বরে এই ছবি অনলাইনে প্রকাশ করা হয় যাতে দেখা যায় যে বৌদ্ধরা একটা মুসলিম বাচ্চাকে কুপিয়েছে -

কিন্তু কোনভাবেই শেষের চিত্রটা বাংলাদেশের নয়।

যদিও অনেক মুসলিম অথবা বাংলাদেশ বিদ্বেষী অনলাইন পত্রিকা এই সব ছবি বাংলাদেশে হিন্দু নিধনের ছবি বলে প্রচার করছে। কিন্তু আমরা এসবের বিরুদ্ধে সত্যিকারের কোন অনলাইন যুদ্ধ চালাচ্ছি না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

আব্দুল্লাহ আল ফারুক ( অন্তু ) বলেছেন: সত্য ঘটনা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ :) চালিয়ে যান।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮

সিদ্দিকী শিপলু বলেছেন: আব্দুল্লাহ আল ফারুক ( অন্তু ) আপনাকেও ধন্যবাদ

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: এরা নব্য রাজাকার। অপপ্রচার চালিয়ে দুশমনদের সাহায্য করছে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮

সিদ্দিকী শিপলু বলেছেন: অবশ্যই এরা দুশমন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.