নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাচ্ছেতাই

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্ল্যাডিয়েটরস এমডি শিহাবের ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা মওকুফ ও আশরাফুল

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০০

প্রথম যখন আশরাফুলকে শাস্তি দেয়া হলো তখন আমার খুব মন খারাপ হয়েছিল।

আশরাফুলের মতো ক্লাসিক প্লেয়ারকে নিয়মিত চাপের মধ্যে রেখে খেলতে দেয়ার কারণে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে সে ভালো রান করতে পারে নাই এবং অনিয়মিত হয়ে পড়ে। তখন আশরাফুল প্রানান্তকর চেষ্টা করে নিজের মতো করে ভালো খেলতে। এ সময় ঢাকা গ্লেডিয়েটরস আশরাফুলকে সেই সুযোগটা দেয়। আর তাই যখন ঢাকা গ্লেডিয়েটরস এর কর্মকর্তারা তাকে একটা ম্যাচ ছেড়ে দেয়ার জন্য বলল তখন আশরাফুল মালিকের কথা শুনতে বাধ্য হয়েছিল, নয়তো হয়তো পরে আর সে সুযোগ পেত না। আমার মনে পড়ে খেলা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আশরাফুল বলেছিল যে সে কর্মকর্তাদের কথামতো কাজ করেছে। একটা টিমের কর্মকর্তাগণই ঠিক করে দেন কিভাবে খেলতে হবে।



এ প্রসঙ্গে আমার একটা খেলার কথা মনে পড়ে যখন জাতীয় দলের কোচ তাকে শুধু টিকে থাকতে বলেছিল বলে সে কোন বল না পিটিয়ে অনেকক্ষণ টিকে ছিল ক্রিজে। সে ইচ্ছা করলে অনেক বল খেলতে পারত এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্য কিছু রান করতে পারতো। কিন্তু দলের সুবিধার কথা চিন্তা করে কোচ/কর্মকর্তাদের নির্দেশানা অনুযায়ী রান না করে ক্রিজে টিকে ছিল অনেকক্ষণ। তাহলে এখানে দোষটা কিভাবে খেলোয়াড়দের হয়?

আশরাফুলের দোষ হলো যে সে সরল মনে সবকিছু স্বীকার করে নিয়েছে। আর তখন শুধু তার ঘাড়ে শাস্তির খড়গ নেমে এসেছিল।

আশরাফুল শুধু গ্ল্যাডিয়েটরস এর কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ম্যাচ ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু কোন টাকা পয়সাতো গ্রহণ করেনি। এমনকি সে ঢাকা গ্ল্যায়িটর্স থেকে তার পাওনা বেতনও পায় নাই। তাহলে তাকে কেন এত বড় শাস্তি দেয়া হলো? দোষ স্বীকার করে নিয়েছে বলে?

এর চেয়ে অনেক বড় বড় অপরাধ করেও অনেকে এত বড় শাস্তি পায় নাই। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভারতের প্রিমিয়ার লীগে খেলা খেলোয়াড়রা এরপর বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলেছে এবং এখনো খেলছে। তখন কিন্তু আশরাফুল টাকার লোভে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খেলতে যায়নি। টাকা কখনোও আশরাফুলকে জাতীয় স্বার্থ থেকে বিচ্যুত করেনি। অপরদিকে টাকার জন্য কেউ কেউ জাতীয় দল থেকে বিশ্রাম নিয়েছে এমন উদাহরণও আছে। অনেক দিক বিচার করে আশরাফুলকে আরো কম শাস্তি দেয়া যেত।

আপীল করে যে শাস্তি কমানো যায় সেই শাস্তি প্রথমে কেন এত বেশী ছিল সেটাই বুঝতেছিনা। এখন যে সকল বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে তখন কেন সেসব বিবেচনায় নেয়া হয়নি? আর যদি কিছু বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তার শাস্তি কমানোই যায় তাহলে কেন আরো কমানোর চেষ্টা করা হলো না?

প্রথমে তার শাস্তি ছিল তিন বছর স্থগিত সহ আট বছর। অর্থাৎ পাঁচ বছর + এই পাঁচ বছর অন্য কোন অপরাধে যুক্ত হলে আরো তিন বছর।
আপীলেরর পর হয়েছে দুই বছর স্থগিত সহ পাঁচ বছর অর্থাৎ তিন বছর + এই তিন বছর কোন অপরাধের সাথে যুক্ত হলে আরো দুই বছর।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে নিষিদ্ধ থাকাকালীন সময়ে কোন অপরাধ করলে তার শাস্তি তিন বছর থেকে কমিয়ে দুই বছর কেন হবে? আবার অপরাধ করলে শাস্তি পাবে। বরং তার রায় টা যদি এমন হতো যে তিনবছর স্থগিতসহ পাঁচ বছর তাহলে আমি খুব খুশী হতাম।
যাই হোক আমার পছন্দ অপছন্দ মতো তো আর আইন চলবে না ! আইন চলুক তার নিজস্ব গতিতে।

যদি সে এর মধ্যে আর কোন অন্যায় না করে তাহলে আগামী ২০১৬ সালের ১৪ই আগষ্ট আবার মাঠে নামতে পারবে। কিছুটা সুখবর বটে।

এবার দেখি আপীলের রায়ে আর কার কতো লাভ হয়েছে।

ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস এর এমডি শিহাব জিসান চৌধুরীর ক্রিকেট থেকে বহিষ্কার ছিলেন 10 বৎসরের জন্য সাথে ২০ লাখ টাকা জরিমানা, আর আপীলের পর তার বিশ লক্ষ টাকা জরিমান মওকুফ হলো। আর শিহাব জিসানের বাবা মূল ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীর তখন কোন শাস্তি হয়নি এখন আপীলের পর সে ক্রিকেট থেকে ১০ বৎসর নিষিদ্ধ হয়েছেন।
বিপিএল এর এই সব কান্ডের পর নিশ্চয়ই বাপ-পুতে ক্রিকেট ব্যবসা থেকে নিজেদের সরিয়েই রেখেছিলেন। তাই তাদের আর কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। বরং তাদের যে 20 লক্ষ টাকা জরিমানা হয়েছিল সেটা যে মওকুফ হয়েছে, তাই তাদের লাভ।

সিহাব জিশান বা তার বাবা সেলিম চৌধুরী মূল ব্যবসা ক্রিকেট নয়। তাই তাদের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। যদিও তারাই ছিলেন মূল আদেশকারী। উপার্জনে বাধা পড়েছে শুধু আশরাফুলের। ক্ষতিটাও হয়েছে শুধু দেশের।

আশরাফুল শেষের দিকে ভালো খেলতো না. তার ব্যাটে ছিল রানখড়া কিন্তু একসময় যখন তার ব্যাট হাসতো তখন দেশের ১৬ কোটি মানুষকে যেভাবে উল্লসিত করেছিল সেটা কখনোও ভুলবো না।

আশরাফুল এই দেশকে দিয়েছে অনেক এটাই আমি মনে করি।

বি.দ্র.- এসব আমার একান্ত নিজস্ব চিন্তা ভাবনা। প্রচলিত আইন এবং কোর্টের রায়ের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ নয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২

আহসান২০২০ বলেছেন: আশরাফুলের শাস্তি আরো কমানো হউক। দোষ স্বীকার করলে সেখানে শাস্তিটা দেয়া দরকার ছিলো প্রতীকি। কিন্তু ক্রিকেট বোর্ড এ দুই আবালের কারণে আজকে দলের এই অবস্থা। এই আবালটা যখন ছিলনা তখন আমাদের নতুন নতুন রেকর্ড, জয় আসতো ঘরে। এখন হারতে হারতে আমাদের লেন্জা কুজা হয়ে গেছে। আশরাফুল ২০১৫ এর শুরুতেই খেলায় ফিরুক এই আশা করি।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬

সিদ্দিকী শিপলু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আশরাফুলের শাস্তি আরো কম হলে খুশি হতাম।
এই শাস্তি প্রদানের বিষয় থেকে কিছু শিক্ষণীয় বিষয় আছে। ১) দোষ করলেও আর কেউ সেটা স্বীকার করবে না। ২) তাল মিলিয়ে আর তেল দিয়ে চললে শাস্তি কম পাওয়া যায়। ৩) ভালো মানুষির আর কোন দাম নাই।

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১

প্রেমিক চিরন্তন বলেছেন: আশরাফুলের শাস্তি আরো কমানো হউক।
http://bdnewseveryday.com/

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

সিদ্দিকী শিপলু বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.