নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাচ্ছেতাই

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা বিরতি কি উচ্চশিক্ষা গ্রহণের যোগ্যতার মাপকাঠি হওয়া উচিৎ?

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪

‪ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়‬ সহ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না-কি ২য় বার ভর্তী পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে। সিদ্ধান্তটা মোটেও যুক্তিযুক্ত বলে মনে হচ্ছে না।

১) উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগের মাপকাঠি হওয়া উচিৎ যোগ্যতা - শিক্ষা বিরতি নয়। কেউ ১/২ বছর শিক্ষা বিরতি বা অন্য অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণে ব্যস্ত থাকলে আর তার যদি যোগ্যতা থাকে তাহলে এসব ফালতু নিয়ম করে তার উচ্চ শিক্ষার পথ বন্ধ করার কোন যৌক্তিকতা নাই। সাধারণত ১ম বার কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেলে পরের বছর আরো পড়ালেখা করে অর্থাৎ আরো জ্ঞান অর্জন করে আবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তার ফলে কিন্তু বলা যায় না যে, স্নাতক স্তরে কম মেধাবীরা সুযোগ পাচ্ছে। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের পথ সবার জন্যই উন্মুক্ত থাকা উচিৎ, উন্নত দেশগুলোতে উপরের সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে এই ধরনের ফালতু নিয়ম নাই।

২) ১ম বারের পরে পুনরায় ভর্তির সুযোগ চাইলে তাকে কিছু শর্ত জুড়ে দেয়া যেতে পারে। যেমন - GRE অথবা Advance English জাতীয় কোন কোর্স সম্পন্ন করা ইত্যাদি। কিন্তু উচ্চ শিক্ষার পথ বন্ধ করা উচিৎ নয়।

৩) অনেকে বলেন যে, সবার উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের কোন দরকার নাই। কারিগরী বা টেকনিক্যাল শিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা উচিৎ। সহমত প্রকাশ করা যায়। কিন্তু কয়েকটা স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তীর সুযোগ না পেলেও তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কলেজে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করবেই। কিন্তু উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের যোগ্যতা থাকলে তাকে জোর করে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে ভর্তীর সুযোগ বন্ধ করা অনুচিত।

৪) কেউ কেউ চাকরীর বাজারে প্রবেশের সময় কম পাওয়ার কথা বলেন। অর্থাৎ শিক্ষায় বিরতি থাকলে সে চাকরীর বাজারে প্রবেশে অনেক দেরী করে ফেলে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তীর যোগ্যতা নিরুপণে এই মাপকাঠিটা মোটেও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় চাকরীর বাজারের চাকর তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠিত নয়, এর লক্ষও তা হতে পারে না। কোন সাধারণ শিক্ষার লক্ষ্যও তা হওয়া উচিৎ নয়।

# # বরং উচিৎ হচ্ছে যোগ্যতার মাপকাঠিগুলোকে আরো ঝালাই করে যুগোপযোগী করার প্রয়াস নেয়া, মেধা যাচাইকরণের উন্নত পদ্ধতি প্রয়োগ করা, বয়স বা শিক্ষা বিরতিকে মাপকাঠি হিসেবে না নেয়া ।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯

সাজিদসামহয়ার বলেছেন: শিক্ষার বাণিজ্যীকিকরণ কে সহায়তা করার প্রচেষ্টা । বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় দের জন্য সুসংবাদ

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩

সিদ্দিকী শিপলু বলেছেন: লাভটা আসলে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরই হবে। কারণ অনেকে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তী হয়ে পরের বছর আবার ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেয়ে চলে যায়। তাতে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বানিজ্য কমে যায়। ধন্যবাদ সাজিদসামহয়ার।

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

সুমন কর বলেছেন: সরকার যেভাবে পাশ করাচ্ছে শিক্ষা-ব্যবস্থা বলে অার কিছু নেই। সেক্ষেত্রে ঢাবি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অামার কাছে ঠিক মনে হয়েছে। অার উনি ঢাবি সম্পর্কে যেটা বলেছেন, সেটা মেনে নেয়া যায় না।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:০০

সিদ্দিকী শিপলু বলেছেন: ভাই সুমন কর। সরকার যেভাবে পাশ করাচ্ছে এবং তাতে যেভাবে পাশ হচ্ছে - এর প্রেক্ষিতে ১ম বার যারা চান্স পাবে তারা যে সব মেধাবী হবে এমনটা সত্য নয়। বরং যারা পড়া লেখা না করেই ভালো রেজাল্ট করার সুযোগ পেয়েছে তারা চান্স না পেলে পরের বছর পড়ে পরীক্ষা দিবে।

কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কে কিভাবে পাশ করল সেটা মূখ্য বা বিবেচ্য বিষয় হতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে মেধাবী যাচাই বাছাই করে ভর্তি নিবে। ১ বার সুযোগ দিলেই যে সমস্যার সমাধান তা সত্য নয়।
ধন্যবাদ ভাই সুমন কর।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩

সত্য সাহা বলেছেন: আম্রিকা কানাডার ইতিহাস বইলা লাভ নাই, ঢাবি সঠিক সিদ্ধান্ত ই নিয়েছে

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সমস্যাটা ভ্রাতা অন্য জায়গায়। প্রথমত আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রশ্ন যে লেভেলের হয়, তা শুধুমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সিলেবাস দিয়ে কাভার করা যায় না। ফলে দরকার পড়ে বিশেষ প্রস্তুতির। এখানেই সমস্যা। ২য় বার যারা পরীক্ষা দেয়, তারা দীর্ঘ এক বছর অতিরিক্ত সময় পায় প্রস্তুতির জন্য, কিন্তু চলতি বছরে পাশ করা স্টুডেন্টরা সময় পায় মাত্র ৪-৫ মাস। তাই ২য় বার পরীক্ষা দেয়ারা কিছুটা এডভান্টেজ পেয়ে যায়।

তবে, সরকারের উচিত, যে কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০-২০ শতাংশ সীট অনিয়মিতদের জন্য বরাদ্দ রাখা, নইলে একটা বিশাল সংখ্যক স্টুডেন্ট মেধা থাকা সত্ত্বেও উচ্চশিক্ষা হতে বঞ্চিত হয়ে যাবে।

জনগুরুত্বপূর্ণ সুন্দর পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল।

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:০৯

আরজু পনি বলেছেন:

চাকরীর বাজার কোন কারণ হতে পারে না।

পোস্টে সহমত রইল ।।

৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৫৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আপনার প্রতিটা পয়েন্তেই সহমত। কোন কারণে কারোর শিক্ষাবিরতি হতেই পারে। তাই বলে তার বাকি জীবনে আর ঘুরে দাঁড়াবার কোন সুযোগই না থাকাটা খুবই দুঃখজনক।

৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: স হমত আপনার সাথে।
কিন্তু নতুনদের যে পুরাতনদের সাথে টিকে উঠতে যে কী কষ্ট হয় তা সদ্য চান্সপ্রাপ্তরাই জানে। কারণ যে যতোই ভাগ্যশালী হোক না কেন, শুধু ভাগ্যে ঢাবিতে টিকে যাবে এমন নজির নেই।
ঢাবির সাথে একমত, তবে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেয়া যেতে পারে তাতে পাশ মার্ক বেশী বা সকল সিটের ৩০% কোঠা দ্বিতীয়বারের জন্য দেয়া যাবে। যাতে পাশের পর মেধা তালিকা অনুসারে আসতে হবে, কেউ আবার মুক্তিযোগ্ধার কোঠা ভেবে ভুল কইরেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.