নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাচ্ছেতাই

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ ওভারের ২য় বল

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:৩৭

শেষ ওভারে আবেগে আমরা সাকিবের আচরণকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি।
তখন ৪ বলে দরকার ১২ রান। ওভারের ২য় বলকে নো-বল ডিক্লেয়ারের জন্য মাহমুদুল্লাহ দাবী তুলছিল। নো বল ডিক্লেয়ার করলে ৪ বলের জায়গায় ৫ বল হাতে পাওয়া যায়, আর রানও ১১ দরকার পরে। জয়ের সমীকরণটা সুবিধাজনক অবস্থায় যায়।
মাহমুদুল্লাহ এর দাবী ঠিক আছে, কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছিল আম্পায়ারের কাছেও যুক্তি ছিল, যুক্তিটা হয়তো পোক্ত না, কিন্তু অভিজ্ঞতায় বলে আম্পায়ারের যুক্তি পোক্ত হওয়া লাগে না, মোটামুটি হলেই হয়।
এরকম পরিস্থিতিতে সাকিব দৃশ্যপটে আসে। একে তো রাগ দেখানো তার অভ্যাস, অপরদিকে তার হাতে অধিনায়কের ব্যাজ, তাকে আর পায় কে। দাবী পর্যন্ত ভালো লেগেছে, রাগ দেখানোতেও ভালো লেগেছে, অবাক হয়েছি তার হাতের ইশারা দেখে। প্রথম মুহুর্তে বুঝতে না পারলেও কিছুক্ষণ পর বুঝলাম সে অধিনায়কোচিত আদেশ দিচ্ছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে, মাঠ ছেড়ে বের হয়ে আসতে।
আঁতকে ক্রিকইনফোতে চোখ বুলালাম। দেখি সেখানে লেখা "Bangladesh will therefore be disqualified"
বিরক্ত লাগলো,
কোথাও এমন কোন লেখা পেলাম না যেখানে তার রাগের কারণে জাতীয় দল কোন সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনার সৃষ্টি হতে পারে মর্মে সন্দেহ বা আশা করছে।
নিশ্চিত সাকিবের কথামতো সব কিছু চললে শ্রীলংকাই ফাইনালে যেত।
খেলাতে মাহমুদুল্লাহ এর বডি ল্যাংগুয়েজে ম্যাচ জেতার বিষয়ে প্রচন্ড আত্ববিশ্বাস দেখা গেছে। শুধু রিয়াদ কেন? কোটি কোটি বাংগালীও রিয়াদের ব্যাপারে আত্ববিশ্বাসী ছিল। কোচ সুজনেরও ছিল। কিন্তু সবচেয়ে বেশী ছিল রিয়াদের। ক্রিকইনফো লিখেছে সুজনের কথায় রিয়াদ আবার খেলায় ফিরে যায়। কথাটাতে আমার বিশ্বাস বেশী না। কথা শুনলে সাকিবও শুনত। ক্রুশ্যাল মোমেন্টে সুজনের কথা সাকিব শোনে নাই, সাকিবের কথা রিয়াদ শোনে নাই। আসলে এখানে সাকিব বা সুজন কোন বিষয় নয়। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ প্রথম থেকেই ম্যাচ ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে কোন আগ্রহ দেখায় নাই। তার অাত্ববিশ্বাস তাকে খেলায় রেখেছে শেষ পর্যন্ত।
এই নো-বল বিষয়টা না-কি রিয়াদকে রাগিয়ে দিয়েছে, অনেকে বলছে। আমার কাছে তা মোটেও মনে হয় নি। একটা পিটানিও অস্বাভাবিক মনে হয়নি। পরের চার বল যেভাবে খেলা দরকার সেভাবেই খেলেছে, জিতেছে।
এবার বলি সাকিবের কথা। যদি সাকিবের ব্যবহার, উঠে আসতে বলা, সুজনের নিষেধ আর রিয়াদ ফেরত না আসার বিষয়টুকু পাতানো হত, অর্থাৎ, যদি নাটকটা আম্পায়ার বা শ্রীলংকা বোলিং-ফিল্ডিংকে চাপে রাখার জন্য করতো, তাহলেই শুধু সাপোর্ট করা যেত, কিন্তু স্পষ্ট দেখা/বোঝা যাচ্ছিলো যা এটা পাতানো ছিল না, এটা ছিল বদমেজাজী সাকিবের অবিবেচনাপ্রসুৎ অপকর্ম। একটুর জন্য যেটার অপবাদ থেকে বাংলাদেশ টীম রক্ষা পেয়েছে।
কিছুক্ষণ পর অবশ্য সে নিজেই বুঝেছে তার ভুলটা। তাই শেষে সে নাকে খত দিয়েছে "I need to be careful as a leader of a team, I will be careful next time." ঘোষণা দিয়ে। কিন্তু এটাতে তার রক্ষা পাওয়া উচিৎ নয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যে কোন ধরণের একটা শাস্তি তার পাওনা থাকা উচিৎ।
আজ টীম বাংলাদেশ যদি সাকিবের কথা শুনত, তাহলে
১) বাংলাদেশ জিততো না,
২) টীম বাংলাদেশ ফাইনালে যেতে পারত না,
৩) ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশকে নিয়ে মশকরা হইত।
৪) বাজে ক্যাপ্টেন্সীর তালিকায় বাংলাদেশ থাকত।
৫) বাজে ক্যাপ্টেন্সীর জন্য বাংলাদেশীদের কাছেও সাকিব প্রশ্নবিদ্ধ হত।
একটা গ্রুপে লাইক-কামানী একটা পোস্টে মুশফিক, সাকিব আর রিয়াদের ছবিতে ১,২,৩ দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে কাকে আপনারা ক্যাপ্টেন হিসেবে চান। প্রায় তিনশত কমেন্ট চেক করে দেখলাম ক্যাপ্টেন হিসেবে জনপ্রিয়তায় সাকিব তিন নম্বরে। ১০% ভোটও পায় নাই। বাকী ভোট দুই ভায়রায় সমান ভাগে ভাগ করে নিছে।
সাকিব তার ভুল বুঝতে পারলেও বাংলাদেশী ফেসবুকাররা তাকে গরীবের বন্ধু, দুর্বলের কন্ঠস্বর, প্রতাবাদী যুবক-নেতা বানাইয়া ফেলছে। এইভাবে বিদ্রোহ না করলে না-কি কেউ গুনতো না। অবাক হইলাম, ক্রিকেটে গোণায় ধরার জন্য না খেইলা বিপ্লব করার সিস্টেম চালু হইছে।
আবার কেউ কেউ বলছে সাকিব হুংকার না দিলে না-কি শ্রীলংকানরা আবার উপরের দিকে বল ছুড়ত। বুঝলাম না, তারা কি মনে করছে সাকিবের হুংকারে তারা ভয় পেয়ে খেলা ছেড়ে দিয়েছে?
মনে রাইখেন একটুর জন্য সাকিব বাংলাদেশ টীমটারে ডুবায় নাই।
এই মাথামোটার(বা মাথা গরমের) হাতে পইরা ক্রিকেট টীমের যেন কোন ক্ষতি না হয়। একবার তার বেয়াদবীর কারণে তার হাত থেকে ক্যাপ্টেন্সী কাইড়া নেয়া হয়েছিল!! ভুইলা যায় নাই মনে হয়। শেষ ওভারে আবেগে আমরা সাকিবের আচরণকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি।
তখন ৪ বলে দরকার ১২ রান। ওভারের ২য় বলকে নো-বল ডিক্লেয়ারের জন্য মাহমুদুল্লাহ দাবী তুলছিল। নো বল ডিক্লেয়ার করলে ৪ বলের জায়গায় ৫ বল হাতে পাওয়া যায়, আর রানও ১১ দরকার পরে। জয়ের সমীকরণটা সুবিধাজনক অবস্থায় যায়।
মাহমুদুল্লাহ এর দাবী ঠিক আছে, কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছিল আম্পায়ারের কাছেও যুক্তি ছিল, যুক্তিটা হয়তো পোক্ত না, কিন্তু অভিজ্ঞতায় বলে আম্পায়ারের যুক্তি পোক্ত হওয়া লাগে না, মোটামুটি হলেই হয়।
এরকম পরিস্থিতিতে সাকিব দৃশ্যপটে আসে। একে তো রাগ দেখানো তার অভ্যাস, অপরদিকে তার হাতে অধিনায়কের ব্যাজ, তাকে আর পায় কে। দাবী পর্যন্ত ভালো লেগেছে, রাগ দেখানোতেও ভালো লেগেছে, অবাক হয়েছি তার হাতের ইশারা দেখে। প্রথম মুহুর্তে বুঝতে না পারলেও কিছুক্ষণ পর বুঝলাম সে অধিনায়কোচিত আদেশ দিচ্ছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে, মাঠ ছেড়ে বের হয়ে আসতে।
আঁতকে ক্রিকইনফোতে চোখ বুলালাম। দেখি সেখানে লেখা "Bangladesh will therefore be disqualified"
বিরক্ত লাগলো,
কোথাও এমন কোন লেখা পেলাম না যেখানে তার রাগের কারণে জাতীয় দল কোন সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনার সৃষ্টি হতে পারে মর্মে সন্দেহ বা আশা করছে।
নিশ্চিত সাকিবের কথামতো সব কিছু চললে শ্রীলংকাই ফাইনালে যেত।
খেলাতে মাহমুদুল্লাহ এর বডি ল্যাংগুয়েজে ম্যাচ জেতার বিষয়ে প্রচন্ড আত্ববিশ্বাস দেখা গেছে। শুধু রিয়াদ কেন? কোটি কোটি বাংগালীও রিয়াদের ব্যাপারে আত্ববিশ্বাসী ছিল। কোচ সুজনেরও ছিল। কিন্তু সবচেয়ে বেশী ছিল রিয়াদের। ক্রিকইনফো লিখেছে সুজনের কথায় রিয়াদ আবার খেলায় ফিরে যায়। কথাটাতে আমার বিশ্বাস বেশী না। কথা শুনলে সাকিবও শুনত। ক্রুশ্যাল মোমেন্টে সুজনের কথা সাকিব শোনে নাই, সাকিবের কথা রিয়াদ শোনে নাই। আসলে এখানে সাকিব বা সুজন কোন বিষয় নয়। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ প্রথম থেকেই ম্যাচ ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে কোন আগ্রহ দেখায় নাই। তার অাত্ববিশ্বাস তাকে খেলায় রেখেছে শেষ পর্যন্ত।
এই নো-বল বিষয়টা না-কি রিয়াদকে রাগিয়ে দিয়েছে, অনেকে বলছে। আমার কাছে তা মোটেও মনে হয় নি। একটা পিটানিও অস্বাভাবিক মনে হয়নি। পরের চার বল যেভাবে খেলা দরকার সেভাবেই খেলেছে, জিতেছে।
এবার বলি সাকিবের কথা। যদি সাকিবের ব্যবহার, উঠে আসতে বলা, সুজনের নিষেধ আর রিয়াদ ফেরত না আসার বিষয়টুকু পাতানো হত, অর্থাৎ, যদি নাটকটা আম্পায়ার বা শ্রীলংকা বোলিং-ফিল্ডিংকে চাপে রাখার জন্য করতো, তাহলেই শুধু সাপোর্ট করা যেত, কিন্তু স্পষ্ট দেখা/বোঝা যাচ্ছিলো যা এটা পাতানো ছিল না, এটা ছিল বদমেজাজী সাকিবের অবিবেচনাপ্রসুৎ অপকর্ম। একটুর জন্য যেটার অপবাদ থেকে বাংলাদেশ টীম রক্ষা পেয়েছে।
কিছুক্ষণ পর অবশ্য সে নিজেই বুঝেছে তার ভুলটা। তাই শেষে সে নাকে খত দিয়েছে "I need to be careful as a leader of a team, I will be careful next time." ঘোষণা দিয়ে। কিন্তু এটাতে তার রক্ষা পাওয়া উচিৎ নয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যে কোন ধরণের একটা শাস্তি তার পাওনা থাকা উচিৎ।
আজ টীম বাংলাদেশ যদি সাকিবের কথা শুনত, তাহলে
১) বাংলাদেশ জিততো না,
২) টীম বাংলাদেশ ফাইনালে যেতে পারত না,
৩) ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশকে নিয়ে মশকরা হইত।
৪) বাজে ক্যাপ্টেন্সীর তালিকায় বাংলাদেশ থাকত।
৫) বাজে ক্যাপ্টেন্সীর জন্য বাংলাদেশীদের কাছেও সাকিব প্রশ্নবিদ্ধ হত।
একটা গ্রুপে লাইক-কামানী একটা পোস্টে মুশফিক, সাকিব আর রিয়াদের ছবিতে ১,২,৩ দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে কাকে আপনারা ক্যাপ্টেন হিসেবে চান। প্রায় তিনশত কমেন্ট চেক করে দেখলাম ক্যাপ্টেন হিসেবে জনপ্রিয়তায় সাকিব তিন নম্বরে। ১০% ভোটও পায় নাই। বাকী ভোট দুই ভায়রায় সমান ভাগে ভাগ করে নিছে।
সাকিব তার ভুল বুঝতে পারলেও বাংলাদেশী ফেসবুকাররা তাকে গরীবের বন্ধু, দুর্বলের কন্ঠস্বর, প্রতাবাদী যুবক-নেতা বানাইয়া ফেলছে। এইভাবে বিদ্রোহ না করলে না-কি কেউ গুনতো না। অবাক হইলাম, ক্রিকেটে গোণায় ধরার জন্য না খেইলা বিপ্লব করার সিস্টেম চালু হইছে।
আবার কেউ কেউ বলছে সাকিব হুংকার না দিলে না-কি শ্রীলংকানরা আবার উপরের দিকে বল ছুড়ত। বুঝলাম না, তারা কি মনে করছে সাকিবের হুংকারে তারা ভয় পেয়ে খেলা ছেড়ে দিয়েছে?
মনে রাইখেন একটুর জন্য সাকিব বাংলাদেশ টীমটারে ডুবায় নাই।
এই মাথামোটার(বা মাথা গরমের) হাতে পইরা ক্রিকেট টীমের যেন কোন ক্ষতি না হয়। একবার তার বেয়াদবীর কারণে তার হাত থেকে ক্যাপ্টেন্সী কাইড়া নেয়া হয়েছিল!! ভুইলা যায় নাই মনে হয়।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি সঠিক। সাকিবের আচরণ খেলোয়াড়ের মত নয়

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৫৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: আপনি সঠিক তবে পুরোপুরি ছাড় দেওয়া ঠিক হতনা, একটা পাতানো নাটক করলে ভাল হত। যা সাকিব মনে হয় সত্যি সত্যি করেছে।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:০৪

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: খেলার মাঠে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সবাইকে এই বাক্য অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৩০

Sujon Mahmud বলেছেন: সাকিব ভাই যা করেছে ভালো করেছে.....
কিন্তু মাঠ থেকে উঠে আসতে বলাটা একটু ভোকামিউ বটে।
শেষ ওভারের এই সমস্যার জন্য যদি সাকিব দোষি হয়।তাহলে অ্যাম্পায়ার ও সামান দোষে দোষি।
যাই হোক ম্যাচ জিতেছি এটাই বড় কথা।
অভিন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। অভিন্দন মাহমুদুল্লাহ ভাই।

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমরা যেমন হুজুগে, খেলোয়াড়রাও কেউ কেউ হুজুগে। আর আবাল ফেসবুক প্রেমী গালাগালি সর্বস্ব দর্শকদের কথা নাই বলি...

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

নিশাচর-শাহীন বলেছেন: মাঠে যারা থাকেরে ভাই তারাই মাঠের মর্ম বুঝে.তবে মিস্টার অধিনায়ক একটু না অনেক বেশিই বুঝেফেলছিলো।

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.