নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাচ্ছেতাই

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু

সিদ্দিকী শিপলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

জলে টাকা

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

১০ টার বেশী বেজে গেছে, সবাই চায়ের দোকানের বেঞ্চ থেকে উঠে গ্যাছে। অফিসের সামনের বাবুল ভাইয়ের চায়ের স্টল থেকে আমিও উঠলাম, অফিসের ভিতরে যেতে হবে, কার্ড পাঞ্চ করতে হবে টাইমমতো।
৪/৫ টা চায়ের স্টল একসাথে, ফুটপাতের মতো এক জায়গায়। কোণায় ফুট ওভার ব্রীজের নীচে যাত্রীরা বাসের জন্য অপেক্ষা করে, বাস থামে, যাত্রী উঠে, আবার চলেও যায়।
একটু বৃষ্টি হলেই চায়ের দোকানগুলোর সামনে রাস্তায় পানি জমে যায়, লাফ দিয়েও পার হওয়া যায় না, তাই বাকী চায়ের দোকানগুলো পার হয়ে একটু ঘুরে সাইড হয়ে রাস্তা পার হয়ে অফিসে ঢুকতে যাচ্ছিলাম। একটা ছোট্ট জটলা ওখানে, দেখলাম চার পাঁচ জন লোক একটা গরীব, ভিক্ষুক বা পাগল শ্রেণির হাঁড় টিংটিংয়ে মাঝ বয়সী একটা মহিলার হাতে দড়ি দিয়ে বেঁধে ধরে শাসাচ্ছে ৯০০ টাকা দেয়ার জন্য। লোকগুলোর একজনের ড্রেস (আচরণ দেখে না) দেখে অবস্থাপন্নই মনে হল, বাকীদের ড্রেস আর চেহারা দেখে গাড়ির হেলপার/টেলপার হবে মনে হচ্ছে। হাত বাধা মহিলাটার কাপড় আধছেঁড়া-পুরোনো, হাতে একটা পোটলা, দাঁত পান খাওয়া লাল, চেহারা দেখে মোটেও ভয় পাওয়া চেহারা মনে হচ্ছে না, বরং অনেক রাগাম্বিত দেখাচ্ছিল, হাত ছাড়াতে পারবে না বুঝে সেই চেষ্ট করছে না, বার বার বলছে আমাদেরকে গাড়িতে উঠতে দিচ্ছিলি না কেন? গরীব বইলা? ভিক্ষুক বইলা? কেন? টাকা দিতাম না? কইছিলামইতো টাকা দিমু, তাইলে উঠতে দিলি না কেন?
রাস্তার পাশে একজন মহিলাকে কয়েকজন পুরুষ দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে রেখেছে আর শাসাচ্ছে, বিষয়টা মোটেও চোখের জন্য সুখকর নয়। এখানে সবসময়েই ব্যাংকের কেউ না কেউ থাকেই থাকে, কিন্তু এখন কেউ নাই, সব গেটের ভিতরে ঢুকে গেছে, অন্য কোন সাধারণ মানুষও দেখলাম না আশে পাশে। সব কয়টা হেলপার বা বাটপার শ্রেণীর লোকজন একযোগে মহিলাকে ধমকাচ্ছে আর বারবার বলতেছে টাকা বের কর, টাকা বের কর, তুই গাড়ির জানালা ভাংলী কেন? আর বেশভূষায় অবস্থাপন্ন লোকটা হিসাব দিচ্ছে যে ক্ষতি হয়েছে ১১০০ টাকা, তুই ৯০০ টাকা দে। এরমধ্যে একজন একটা কঞ্চি নিয়ে এসে মহিলাকে একটা বাড়িও দিল।
দুই পক্ষের কথা বার্তা শুনে বুঝলাম, মহিলা বাসে উঠতে চাইলে তার ময়লা শাড়ি, হাতে ভিক্ষুকদের মতো ঝোলা, এসব দেখে ড্রাইভার বা হেল্পার গাড়িতে উঠতে দিচ্ছিল না। তাতে মহিলা বলছিল যে সে বিনা পয়সায় যাবে না, কিন্তু তাতেও হেলপার তারে উঠতে দিচ্ছিল না।
আমার এতদিনের বাসের চড়ার অভিজ্ঞতায় বলে হেলপার-ড্রাইভাররা গরীব বলে কাউকে গাড়িতে উঠায় নাই এরকমটা হয় না। প্রায়ইতো হেলপাররা গরীব শ্রেণির কাছে টাকা নেয় না। কিন্তু এজন্য বাসে উঠতেই দিবে না, এমনটা হওয়ার কথা না। কনফার্ম, মহিলার বেশ-ভুষায় তাকে পাগলী টাইপের কেউ ভেবেছে। (আসলে শব্দটা হবে মানসিক প্রতিবন্ধী, কিন্তু আমরা আর্থিকভাবে অবস্থাপন্ন মানসিক প্রতিবন্ধীদেরকে মানসিক প্রতিবন্ধী বলি, আর গরীব হলে হলে বলি পাগল। তাই সেটাই বলছি।)
যাই হোক, মহিলাকে বার বার বাসে উঠতে বাধা দেয়ার কারণে মহিলা রাগের বশে রাস্তা থেকে একটা ইট উঠিয়ে গাড়ির জানালা বরাবর মেরে দিয়েছে, আর তাতে বাসের একটা জানালার কাঁচ ভেংগে যায়।
ঘটনাটা বুঝতে পারার সাথে সাথে মহিলার উপর রাগ না উঠে কেন জানি মনে হল "এক্কেরে ভালো হইছে"।
দেখতে অবস্থাপন্ন যে লোকটা বার বার "আমার গাড়ির কাঁচ ভাংছে" বলে হিসাব দিয়ে টাকা চাচ্ছিল, তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, কই গাড়িটা? লোকটা জায়গায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য গেটের দিকে আংগুল দিয়ে দেখালো ওই দিকে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা আছে, আমি ঐ দিকে তাকাইলাম, বেশ কয়েকটা গাড়ি রাস্তায়,সবাই লোক উঠাচ্ছে, এরকম দুর্ঘটনায় পড়া গাড়ি কোনটাকেই মনে হচ্ছিল না। যেখানে কাঁচ ভাংছে বললো সেখানেও রাস্তায় তাকিয়ে কোন কাঁচের টুকরা দেখলাম না। মনে মনে লোকগুলাকে হারামী বলে একটা গালি দিলাম। মহিলাও স্বীকার করতেছিল না যে কাঁচ ভাংছে, তবে ইট মারছে এটা সত্য, স্বীকারও করছে।
তবে এই সামান্য কারণে এই শক্তিমান পুরুষগুলোর আচরণ দেখে অবাক হচ্ছিলাম, অসহায়ও লাগছিল, মহিলাকে দেখে পাগল ধরণের লাগতেছিল, এরকম ময়লা শাড়ি পাগল ছাড়া কি কেউ পরতে পারে!!
কি করবো বুঝতে ছিলাম না, আর আমি অত সাহসীও না। জটলা আর গ্যাঞ্জাম এড়িয়ে রাস্তা পার হলাম অর্ধেকটা। মাঝখানে একটা আইল্যান্ড এ দাঁড়িয়ে দেখলাম সেকেন্ড বিশেক। মন চাচ্ছিল যদি ক্ষমতা থাকতো, তাহলে.....
সবকিছুতেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি। কোন সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করতেই আশে পাশে চোখ যায়, কেউ দেখে ফেললো কিনা, কেউ দেখলে হয়তো ভাববে-এহ্, দরদ উছলাইয়া পড়ে, উদারতা দেখাইতে আসছে, সব লোক দেখানো, ব্লা ব্লা। বা সাহায্যটাও কাকে করবো? এই মহিলারও তো আর্থিক কোন লাভ হবে না। আর কয়জনকেই বা হেল্প করতে পারবো!!
তারপরও মানীব্যাগটা চেক করতে বের করলাম। টাকা থাকার কথা না, যদি না থাকে তাহলে মনকে প্রবোধ দেয়া যাবে যে টাকা ছিল না, তাই হেল্পও করতে পারিনি। কিন্তু মানিব্যাগ খুলে দেখি সেখানে পাঁচশত টাকার একটা নোট আছে। নোটটা বের করে ডান হাতে দলা করে মুঠির মধ্যে নিলাম। টাকা থাকলেই সেটা বিলাইতে হবে না। আর তাছাড়া দান খয়রাত মাসের শুরুতে মানায়, শেষের দিকে না, তবে হাতে থাকুক।
পিছনে ফিরে আরেকবার চাইলাম, হঠাৎ নজরে এলো একটা ৭/৮ বছরের বাচ্চা মেয়ে কোলে আরেকটা বাচ্চা নিয়ে ঐ জটলার পাশেই কান্না করতে করতে একবার এদিকে যাচ্ছে আবার ঐদিকে যাচ্ছে, পাশে একই রকম ছেড়া ময়লা কাপড় পরা আরেকটা বুড়ি সমানে গালাগালি করে যাচ্ছে লোকগুলোকে আর অভিশাপ দিচ্ছে। এবার রাগে আমার চোখ মুখ শক্ত হয়ে গেল। রাস্তা পার হয়ে মেয়েটার কাছে গেলাম। এধরণের রাস্তার মানুষদের জন্য এরকম পরিস্থিতির সম্মুক্ষীন হওয়া নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হবে, আর কান্নাও হবে নৈমত্তিক আবেগহীন কান্না। সেটাই আশা করে বাচ্চা মেয়াটার মুখের দিকে তাকিয়ে একটা ধাক্কা খেলাম। স্পষ্টতঃ ভয় পাওয়া টাইপ কান্না। একটা বাচ্চা মেয়ে দেখতেছে তার মাকে কতগুলো মানুষ চেহারার পশু হাত বেঁধে ধমকাচ্ছে টাকার জন্য। আতংকিত চেহারায় চোখ দিয়ে পানি বেয়ে নামিয়ে জামা ভিজিয়ে কাঁদতেছে। মনটা খারাপ হয়ে গেল। জিজ্ঞাসা করলাম ঐ মহিলা তোর কি হয়? কাঁদতে কাঁদতেই বললো "আমার আম্মা"। পাশের বুড়ি মহিলাকে দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম ঐ মহিলা কি হয়, বললো " আমার নানী"। আশে পাশে তার বাপ গোত্রীয় কাউকে দেখি নাই। থাকার কথাও না। এধরনের বাচ্চাগুলো একসময় বাপ ছাড়াই বাঁইচা থাকে। বাপেরা সব পালায়।
শক্তিশালী পুরুষগুলো তাদের টাকা আদায়ের চেষ্টা তখনও ক্ষ্যামা দেয় নাই, বাচ্চাটাও কান্না থামায় নাই, বুড়িও গালাগালি বন্ধ করে নাই।
আর আমিও তখনও কোন সাহায্য করি নাই, যতটা না টাকা খরচের ভয়ে, তার চেয়ে বেশী ঐ পুরুষ টাইপের কুকুরগুলোর কোন কটু কথা শোনার ভয়ে, আর তাছাড়া ৫০০ টাকায় তারা বিষয়টার সুরাহা করবে কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ ছিল, ভয় ছিল এসবে জড়িয়ে যাওয়ারও।
কিন্তু রাগ হচ্ছিল, প্রচন্ড রাগ। নষ্ট সমাজ, যাহ্, যা ইচ্ছা কর। ধংস হয়ে যাক সব, যত্তোসব।
কিন্তু হারামীগুলো কোন ভাবেই টাকা আদায় করতে না পেরে হঠাৎ বললো ওই, ঐ টারে পিলারের সাথে বাঁন্ধ। এই কথাটা বলেই তাকে পিলারের সাথে বাঁধার জন্য টানতে লাগলো। এই ঘোষনার সাথে সাথে হাত বাঁধা মহিলাটা চিৎকার দিয়ে বলতে থাকে আমি কি চোর? কেন বাঁধবি? আমি কি চোর? পাশে গালাগালি দিতে থাকা বুড়ি চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠে ওদের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে দেয়, ছোট আরেকটা বাচ্চা কোলে নিয়ে থাকা বাচ্চাটা আরো জোরে কান্না জুড়ে দেয়, আমিও আতঁকে উঠি, আর হারামীগুলো আরো জোরে টানতে থাকে পিলারের সাথে বাঁধার জন্য। এই শহরে দিনের বেলায় জনসম্মুখে একজন মহিলাকে পিলারের সাথে বাঁধার চেষ্টা করা অন্নেক সাহসের ব্যাপার। অনেক ক্ষমতাবান নিশ্চয়ই এরা। আশে পাশের চা স্টলের দোকানদাররাও কেউ এগিয়ে আসে নাই, নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই, তারা অনেক ক্ষমতাবান!!
কিন্তু যেই মুহুর্তে দড়ি দিয়ে পিলারের সাথে একটা প্যাঁচ দিল, অমনি আর সহ্য করতে না পেরে বললাম এই, এসব কি করছেন? এসব কি করছেন? ছাড়েন, ছাড়েন ওনাকে। তৎক্ষণে হাতে মুঠ করে রাখা ৫০০ টাকার নোট মুঠ থেকে বাহির করে লোকটার দিকে বাড়িয়ে বললাম নেন, এই টাকা রাখেন, ছেড়ে দেন, ছেড়ে দেন ওনাকে।
ভোজবাজির মতো সিচুয়েশন চেইঞ্জ হয়ে গেল। সবাই শান্ত হয়ে গেল। আর দেখতে অবস্থাপন্ন কুত্তাটা ছো মেরে আমার হাত থেকে টাকাটা নিয়ে নিজের পকেটে রেখে দিয়ে বাকীদেরকে বলছে ঐ ছাইড়া দে, আর মহিলাকে উদ্দেশ্যে বলছে, এই লোকের লাইগা আইজকা বাঁইচা গেলি।
আমি তখন একটু সাহস সঞ্চয় করতে পেরে রাগী চেহারা করে বললাম ওনার হাতের বাঁধন খোলেন, এক্ষুনী খোলেন, তাড়াতাড়ি। যারা এতোক্ষণ মহিলাটাকে পিলারের সংগে বান্ধার জন্য টানাটানি করতেছিল, তারাই এখন তাড়াতাড়ি বাঁধন খোলার চেষ্টা করছে, কিন্তু এমন শক্ত করে বাঁধছে যে খুলতে সময় লাগছিল। আমি ভয়ে নড়ছি না, যদি আমি চলে যাওয়ার পর এরা আবার টাকার জন্য চাপ দেয়!!! এর মধ্যে হাত বাঁধা মহিলাটাকে একবারের জন্যও অনুনয় বিনয় করতে দেখিনি, একবারের জন্য কাঁদতে দেখিনি, একবারের জন্যও ক্ষমা চাইতে দেখিনি, শুধু পিলারের সাথে বাঁধতে চেষ্টা করার সময়ে হতবিহবল হতে দেখেছি মাত্র। কিন্তু যখন হাত খোলা হচ্ছিল, তখন মহিলা আর বুড়ীটা চিৎকার করে বলছিল, তোদের আমি দেইখা নিমু,.... জায়গা দিয়া যাবি না? তোদের আমি দেইখা নিমু।
এরকম উত্তপ্ততা ভালো লাগে না। গালাগালি শোনার পরও লোকগুলো কিছু বলছিল না দেখে দড়ি খোলা শেষ হওয়ার আগে আমি প্রস্থান করতে উদ্যত হলাম। রাস্তা অর্ধেক পার হতে না হতে দেখি একটা চ্যাংড়া বয়সের পুলিশ (এত কম বয়সেও পুলিশে চাকরি পাওয়া যায়!!) তার পিঠে ঝুলানো রাইফেল এক হাতে পিছন দিক থেকে ধরে দৌড়ে আসছে আর জিজ্ঞাসা করছে কি হইছে এখানে, কি হইছে এখানে!!! তখন হঠাৎ আমারও মনে পড়ে গেল যে এখান থেকে জাস্ট ১৫/২০ কদম দুরেই পুলিশ বক্স, কিন্তু এতক্ষণ তাদের কাউকেই দেখা যায় নাই। কিন্তু আমি সাহস পাওয়ার বদলে আঁতকে উঠলাম, কারণ সেই পুলিশ এসেই সবার আগে হাত বাঁধা মহিলাকেই ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করছে "এই তুই কি করছিস বল"। তৎক্ষণে আশে পাশের সবাই একসাথে মহিলার অপরাধটাকে ব্যাখ্যা করে যাচ্ছিল। আমি প্রমাদ গুণলাম, টাকাটা মনে হয় জলেই গেল! এর মধ্যে মহিলার হাতের বাঁধন খোলার চেষ্টা করা বন্ধ হয়ে গেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছিল মহিলাটাকে এখন থানায় নেয়া হতে পারে। আমি আবার দৌড়ে গেলাম, আর মহিলার অপরাধ ব্যাখ্যাকারীদের কথা বলার সুযোগ না দিয়ে বারবার পুলিশকে বলছিলাম যে আমি টাকা দিয়ে দিয়েছি, আমি টাকা দিয়ে দিয়েছি, আমি কিন্তু টাকা দিয়ে দিয়েছি। পাশ থেকে কেউ একজন সমর্থনও জানালো। আমি ধমক দেয়ার সুরে বলছিলাম ওনার হাতের বাঁধনটা খুলেন, দড়িটা খুলে দেন। কিন্তু কথাগুলো ধমকের সুরে না বের হয়ে কান্না কান্না সুরে বের হল।
যাই হোক, শেষমেশ হাতের বাঁধন খোলা হল, মহিলা মুক্তি পেলেন, আর তাতে তাদের সাহসও বেড়ে গেল। চিৎকার আর গালাগালি বেড়ে গেল তাদের, যাইতে যাইতে গালিগালি দিয়ে বলছে তোদের আমি দেইখা নিমু ইত্যাদি ইত্যাদি।
এটা সিনেমা হইলে একটা ধন্যবাদ পাইতাম, কিন্তু নাহ্, কোন ধন্যবাদ পাইনি।
যাই হোক ব্যাপার না।
এবার অফিসে ফেরত যাওয়ার পালা, যেতে যেতে গেটের কাছ পর্যন্ত যেয়ে পিছন ফিরে দেখি লোকগুলো এখনও দাঁড়িয়ে আছে, কেউ কেউ হাসাহাসি করতেছে, তাদের কই জানালা ভাংগা বাস, কোথায় কি? মনে মনে একটা গালিই দিলাম, টাকাটা একটা বাজে মানুষের পকেটে গেল। ফালতু!!!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

সনেট কবি বলেছেন: কিছুটা পড়লাম।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৫

সিদ্দিকী শিপলু বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি পড়ে আরাম পেলাম না।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৬

সিদ্দিকী শিপলু বলেছেন: আমার লেখার হাত ভালো না ভাই, তবে যা লিখেছি তা পুরোটাই সত্য।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কতো কি যে দেখতে হয় এই ভবে। তবে লিখাটি পড়ে মনে হল আপনার একটি সুন্দর মন আছে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৭

সিদ্দিকী শিপলু বলেছেন: প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু সুন্দর মন আরো ব্যাপক কিছু।

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৫

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: বড় পোস্ট পরে পড়ব।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৭

সিদ্দিকী শিপলু বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.